পাতা:প্রবাসী (অষ্টবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা । নিজের ঘরে বলে পড়ে তাতে আপত্তি কেন করুব ? তবে আমার বৌমাদের সঙ্গে ও-সব বিষয়ে কথাবাৰ্ত্ত না বলে যেন, তা হ’লেই হ’ল। গির্জায় যেতে চায় যাবে। গুয়োর গরু খায় না ত ? শাড়ী পরে, না গাউন ?” কৃষ্ণ' বলিল, “পূর্যের-গরু কখনই খায়নি, এ কথা বলতে পারব না। তবে আপনার বাড়ীতে নিশ্চয়ই খেতে চাইবে না। শাড়ীই পরে।” গৃহিণী বলিলেন, “আচ্ছ, তা আসতেই লিখে দাও । এর চেয়ে ভাল আর পাচ্ছি কই ? এতদূরে ত আর হিন্দুর মেয়ে আসতে চাইবে না ? কাজেই এই সবই রাখতে হবে ।” গৃহিণীর কথায় কৃষ্ণার হাসি পাইলেও, সে গম্ভীর ভাবেই তাহার ঘর চইতে বাহির হইয়া আসিল । যেন হিন্দুর মেয়ে গভনেস্ হইবার জন্য গণ্ডীয় গণ্ডায় দেশে বসিয়া আছে। এবং তাহার কৃষ্ণ, বিদ্যুৎ প্রভৃতি জীব হইতে সৰ্ব্বাংশেই অতি উৎকৃষ্ট, নিতান্ত এতদুরে তাহারা আসিবে না বলিয়াই গৃহিণী কোনোমতে তাহাদের অনাচরণ সহ করিতেছেন । কৃষ্ণার হাতে তখন বিশেষ কোনো কাজ ছিল না । তাহার সকালের পড়ানোর পালা চুকিয়া গিয়াছিল, বিকলেরটা আরম্ভ হইতে তখন ও ঢের দেরি । সুতরাং সে গাড়ী লইয়া বাজার করিতে যাত্রা করিল। এখন ইহাই ছিল তাহার একমাত্র চিত্তবিনোদনের উপায়। নিজের এবং বন্ধু বান্ধবের জন্ত দরকারী অদরকারী নানাপ্রকার জিনিষ কিনিয়া দে বাড়ী ফিরিয়া আসিল । দরজার সাম্নে গাড়ীতে মুবীরকে দেখিয়া সে বিস্ময়ে অভিভূত হইয়া গেল। আবার এখানে সে ইহাকে দেখিবার প্রত্যাশা কোনো দিনই করে নাই। কোথা হইতে সে আসিল ? কেনই বা সে আসিল ? কিন্তু দরজায় দাড়াইয়া এ ভাবনা ভাবা চলে না । সে ভাড়াতাড়ি উপরে উঠি গেল। নিজের ঘরে ঢুকিয়া জুতামোজা খুলিয়া চুল খুলিতে মুরু করিল। তখনও छांशंब्र प्रांन इग्न नहेि । 哆 সবেমাত্র সে আরম্ভ করিয়াছে, এমন সময় দরজার কাছ ইতে রোয়ান ডাকিল, “দিদিমণি ।” পরস্থাতকা

झकर्ण यू१ छूणिब्र वणिग, “कि छांe ?” ऋब्रांबांन বলিল, “একজন বাৰু এই কাগজ দিলেন।” এখানে আসিবার পর বাৰু বা বিবি, কোনো মানুষের সঙ্গেই কৃষ্ণার কোনো সম্বন্ধ ছিল না। কাজেই একটু অবাক হইয়া সে উঠিয়া পড়িল। পরদা তুলিয়া হাত বাড়াইয়া বলিল, “কোথায় কাগজ ? দাও।” দরোয়ান তাহার হাতে একটা কার্ড ধরিয়া দিল । কৃষ্ণ উহ! চোখের সম্মুখে তুলিয়া ধরিবামাত্র তাহার শরীরের ভিতর দিয়া বিদ্যুৎপ্রবাহ বহিয়া গেল। এ কি ? হঠাৎ ভাগ্যবিধাতা তাহাকে লইয়া কোন খেলা খেলিতে বসিলেন ? ষে মানুষটি ভিতরে তাহার অন্তরতম, বাহিরের জগতে যে অপরিচয়ের দুর্ভেদ্য বৰ্ম্মে আবৃত, আজ হঠাৎ কি করিয়া সে কৃষ্ণায়ই দ্বারে অতিথিরূপে আসিয়া দাড়াইল ? সে তাহার নাম জানিল কি করিয়া ? কি চায় সে কৃষ্ণার কাছে ? দরোয়ান কৃষ্ণাকে এতখানি সময় চুপ করিয়া থাকিতে দেখিয়া জিজ্ঞাসা করিল, “বাবুকে কি চলে যেতে বলব ?” কৃষ্ণ বলিল, “না, উপরে নিয়ে এস।” রোয়ান নীচে চলিয়া গেল। উপরে আসিতে বলিয়াই কৃষ্ণার ভাবন হইল, সুবীরকে সে বসাইবে কোথায় ? এ বাড়ীতে কর্তা সচরাচর বাদ না করায় পুরুষ অতিথি অভ্যাগতকে বসাইবার বিশেষ কোনোই ব্যবস্থা নাই। বিপিন নবীনের বন্ধু-বান্ধবের প্রায়ই বাড়ীতে আসিত না, আসিলেও তাঁহাদের ঘরেই বসিত। মেয়ের আসিলে গৃহিণীর ঘরে না হয় বেীদের ঘরে জাড়া করিত । সৌভাগ্যক্রমে বিপিনের ঘরটা খালি পড়িয়াছিল। কৃষ্ণ তাড়াতাড়ি একট চাকরকে ডাকিয়া বলিল, “ঐ ঘরের দরজাটা খুলে, চেয়ারগুলো একটু ঝেড়ে দাও। দরোয়ান একজন বাবুকে নিয়ে আসছে, তাকে ঐখানে বসিও * , 酸 বলিতে বলিতেই সিড়িতে পায়ের শব্দ শোনা গেল। কৃষ্ণ উৰ্দ্ধশ্বাসে নিজের ঘরে পলায়ন করিল। ভিতরে ঢুকিয়াই সে তাড়াতাড়ি চুলটা ভাল করিয়া अँझकृहेब्र अफ्रांहेब्र बैंक्षिण। फाइब्र झुई श्रृं क्वथन