পাতা:প্রবাসী (অষ্টবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাত্রে ঘুম তাহার অনেকক্ষণ আসিলই না। চিন্তার স্রোত তাহাকে কতদিকে যে ভাগাইয়া লইয়া গেল তাহার ঠিকানা নাই। কৃষ্ণকে রাখিয়া আসিয়া এই ব্ৰহ্মদেশে বসবাস করিবার খেয়ালটাও একবার তাহারমনে উকি দিয়া গেল। এখানে অন্ততঃ তাহার পরিচিত কেহই নাই, তাহার উচ্চ দশা হইতে পতনে শ্লেষের হাসি কেহই হাসিবে না। কিন্তু তাম্বুমতী বাচিয়া থাকিতে তাহা কি সম্ভব হইবে ? আকাশ-পাতাল ভাবিতে ভাবিতে কখন একসময় সে ঘুমাইয়া পড়িল। সকালে উঠিতে তাছার বেশ বেলাই হইয়া গেল। তাড়াতাড়ি হাত মুখ ধুইয়া বেশ পরিবর্তন করিয়া সে বাহির হইয়া পড়িল। কৃষ্ণ হয়তো তাহার জগু অপেক্ষা করিয়া আছে। আজি তাহাকে দেখিয়া দরোয়াম তাড়াতাড়ি উঠিয়া ীিড়াইয়া সেলাম করিল। নীচে বসিবার প্রস্তাব না করিয়া বলিল, “চলিয়ে বাবু উপরমে।” . মুবীর তাহার সঙ্গে সঙ্গে বিপিনের সেই পরিত্যক্ত ঘরে জাসিয়া বসিল । ঘরখানার চেহারা একটু ফিরিস্বাছে, দেখা গেল। বীট পড়িয়াছে, জানলাটা খোল, তাহাতে একটা বিলাতী ছিটের পরদা, চেয়ার-টেবিলগুলিও বাড়িয়া মুছিয়া পরিষ্কার করা। তাহার এবং কৃষ্ণার ইতিহাস যে বাড়ীময় প্রচার হইয়াছে, অন্ততঃ আংশিকত:, তাহা বাড়ীর লোকের ব্যবহারেই বোঝা গেল । ছোট দুটি ছেলেমেরে দরজার সামনে দাড়াইয়া বেশ কৌতুহলসহকারেই তাহাকে দেখিতে আরম্ভ করিল এবং মুীর তাহাদের দিকে চাহিবামাত্রই তাহারা উৰ্দ্ধশ্বাসে পলায়ন করিল। একটি পনেরো ষোলো বছরের মেয়েও তাহাকে একবার উকি দিরা দেখিয়া গেল। মিনিট-পাচ বসিবার পর কৃষ্ণ আসিয়া প্রবেশ করিল। একরাত্রেই তাহার চেহারা বদলাইয়া গিয়াছে। মুখ ফ্যাকাশে, চোখ দুইটি অস্বাভাবিক দীপ্ত দেখাইতেছে, চোখের নীচে একটু যেন কালি পড়িয়া গিয়াছে। আজ আর সে যত্ন করিয়া সাজিয়া জাগে নাই। তাহার গায়ে ভয়েলের একটি সাদা রাউল এবং কাল পাড়ের ফরাসডাঙ্গার শাড়ী, পারে সাধারণ চটি জুতা। চুলের রাশ হাতখোপা कब्रिग्र वैशा। उबू श्रौtद्रब्र भरन रुईण, हेशंरक ভিখারিণীর বেশে দেখিলেও মানুষ বুঝিবে এ রাণী হুইবার জন্তই জন্মগ্রহণ করিয়াছে। কৃষ্ণ চুকিয়া সুবীরকে একটা নমস্কার করিয়া বসিল । প্রতিনমস্কার করিয়৷ মুবীর জিজ্ঞাসা করিল, “যাওয়ার দিন কি রকম স্থির করলেন ?" কৃষ্ণ' বলিল, “এদের প্রায় সব কথাই জানিয়েছি। না বললেও চলত, তবে তাতে এত শীগগির যাওয়ার ব্যবস্থা করতে পারতাম না। আমি যদিও তাদের এই মাসের গোড়াতেই নোটিশ দিয়েছি, তবু মাস শেষ হ’তে এখনও দিন পনেরো বাকি। আমার কাজে যিনি আসবেন, তাকে কাজ বুঝিয়ে দিয়ে যাব, এই রকম একটা আণ্ডারস্টাণ্ডিং ছিল । তবে সব কথা শোনার পর এর আপত্তি করছেন না। যত শীগগির জাহাজে ‘বার্থ পান, আমি যেতে পারি।” ইছার পর সুবীরের উঠিয়া পড়িরা জাহাজ অফিশের দিকে যাত্রা করা উচিত ছিল। কিন্তু এত চট, করিয়া উঠিয়া পড়িতে সে কিছুতেই যেন পারিল না। জিজ্ঞাসা করিল, “এখান থেকে যাওয়া তাহলে আপনি আগেই ঠিক ক'রে ফেলেছিলেন না কি ?” কৃষ্ণ বলিল, “হঁ্য, শরীর ভাল থাকৃছিল না ব’লে কলকাতায় ফিরে যাওয়াই ঠিক করেছিলাম।" সুবীর বসিয়া ভাবিতে লাগিল, আর কি বলা যায়। সাধারণভাবে ইহার সঙ্গে আলাপ হইলে বলিবার কথার অস্ত থাকিত না। কিন্তু তাহদের যে সম্বন্ধ দাড়াইয়াছে তাহাতে কথা বলিতে দু-জনেরই সঙ্কোচ, অথচ মনে মনে দুজনেরই পরস্পরের কাছে থাকিবার প্রবল আকাঙ্ক্ষা। क्रुि cछांथ लिब्रां ऊ cषप्यझे भtनग्न छिठब्रछे ८मथिएठ পাওয়া যায় না ? মুতরাং সুবীর কেবলই ভাবিতে লাগিল, বেশী ঘনিষ্ঠত করিতে গেলে হয় ত বা কৃষ্ণ বিরক্ত হইবে। কৃষ্ণ ভাবিতে লাগিল, তাহার জার বলিবার অাছে কি ? সুবীরের সর্বনাশ করিয়া এখন আর কোন লজ্জায় সে তাহার সহিত তন্ত্রতার ঘটা দেখাইবে ? যদি ভাষাকে সব কথা খুলিয়া বলিবার কৃষ্ণায় जांश) थांकिङ ? यनि७ छ्रौौtग्नब्र जांश्नांब्रिक ब्रिख्ग्ठांब्र