পাতা:প্রবাসী (অষ্টবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা ] পরভৃতিক لأسوأ AAAAAA AAAA AAAAMMMAMMMMAMMSJAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAAMMAMMAMMAMMAMM সারা সকাল এবং দুপুরেরও থানিকট সুবীর শিবপুরের বাগানেই কাটাইয় দিল । ছুটির দিন না হইলে এখানে মানুষের ভীড় বেশী নয়, নিরালা স্থান খোজ করিলেই পাওয়া যায়। নিজের সঙ্গিনীটিকে লইয়া এইরকম অনেক স্থানে বসিয়া সে তাহাকে প্রাণ ভরিয়া দেখিয়া লইল। তাহার পর রৌদ্র অত্যন্ত প্রখর হইয়া উঠিতেছে দেপিয়া, ষ্টীমার যোগে কলিকাতায় ফিরিয়া, ট্রামে চড়িয়া বাড়ী চলিল । দিনের প্রথম ভাগটা যেমন মুনীররপে কাটিয়াছিল, শেষের দিকটা মোটেই তাহার সঙ্গে তাল রাথিতে পারিল না। বাড়ীতে আসিয়া প্রথমেই মায়ের সঙ্গে থানিকটা বকবিকি করিতে হুইল ; তাহার পর শুনিল যে, ভবানীর অবস্থ৷ অন্তদিনের চেয়ে ও আজ খারাপ। তাহাকে গিয়া একবার দেপিয়া আসিল । ভবানী তন্দ্রাচ্ছন্নের মত পড়িয়া ছিল, সুবীর আর তাহাকে বিরক্ত না করিয়া পা টিপিয়া চলিয়া আপিল । " - নিজের ঘরে ঢুকিয় সে স্থির করিল স্নান করিয়া খাষ্টয়া খানিকটা ঘুমাইয়া লইবে । তাহার পর ছবিখানা বাধাইবার জন্য লইয়। যাইবে। যদিও দেয়ালে টঙাইয়া রাখা চলিবে না, তবু এমনি রাখিয়া দিলে রং জলিয়া ঘাইবার ভয় আছে । এই কাজের ভার আর কাহাকেও সে ভরসা করিয়া দিতে পারিল না, কারণ ধরা পড়ার এবং জিনিষটি পছন্দমত না হওয়ার, দুই সম্ভাবনাই ছিল। ছবিখানি টেবিলের উপর কাগজ চাপা দিয়া রাখিয়া, সে স্নানাহারে মন দিল । সকালবেলাটা কাটিয়াছিল তাহার অশরীরী তরুণ দেবতার আরাধনা করিয়া। এখন হাজির হইলেন বৃদ্ধ প্রজাপতি নিজের নৈবেদ্য জোর করিয়া আদায় করিতে। স্থবীর ধাইতে খাইতেই শুনিতে পাইল তাহার মেজ মালীমাত ঠাকুরাণী বক্তৃতা করিতে করিতে সিড়ি ভাঙিয়া উঠিতেছেন। সঙ্গে অপেক্ষাকৃত তরুণ কণ্ঠস্বরও ই একটা শোনা যাইতেছিল। কাজেই সুবীর আন্দাজ করিল, তিনি সদল বলেই আবিভূত হইয়াছেন। খাওয়া শেষ হইবামাত্র তাহার মায়ের ডাক পড়িল । স্থবীর বিরক্ত মনটাকে খোচা দিয়া আরো বেশী বিরক্ত ఫి. করিয়া তুলিল। কারণ, যে নারীবাহিনীর সঙ্গে তাহাকে যুদ্ধে অবতীর্ণ হইতে হইবে, মনে যথেষ্ট তাপ না থাকিলে সেখানে জয় লাভ করা সম্ভব নয় । যাইবার আগে কাগজের আবরণ তুলিয়া সে কৃষ্ণার ছবিটিকে একবার দেখিয়া গেল। মনে মনে বলিল, “তোমার আমার মাঝের একটা ব্যবধান অস্ততঃ আজ আমি ভেঙে দিয়ে আস্ব।” তাহার মেজ মালীম, কন্যা নাতনী সকলকে লইয়া আসিয়াছিলেন। নাতনীটির সঙ্গে সুবীরের মন্দ বনিবনাও ছিল না, কিন্তু দুর্গার সঙ্গে তাহার আলাপ ছতিন মিনিটের পরেই ঝগড়া অথবা তর্কে রূপান্তরিত হইয়া যাইত । আধুনিক সব কিছু জিনিব সম্বন্ধে প্রবলভাবে অবজ্ঞা প্রকাশ করা দুর্গার একটা অভ্যাস ছিল। তাহার স্বামী একটি নব্য হিন্দু ; তিনি বেদবেদান্ত, সংহিতা, গুপ্তপ্রেস পঞ্জিকা সব কিছু মানিয়া চলেন । কাজেই দুর্গ তাহার যোগ্য সহধৰ্ম্মিণী হুইবার চেষ্টায় নিজে অস্থির হইয়া উঠিয়াছিল, এবং আত্মীয় বন্ধু সকলকে অস্থির করিয়া তুলিয়াছিল। তাহার স্বামী পছন্দ করেন না বলিয়া সে জুতা পায়ে দিত ন, ব্লাউস পেটিকোট পরিত না, মাংস খাইত না। বিবাহের আগে লেখাপড়া যেটুকু শিখিয়াছিল, তাহাও ভুলিয়া যাইবার চেষ্টা যথাসাধ্য করিত । সুবীর ঘরে ঢুকিতেই দুর্গ বলি উঠিল, “কি গে৷ সাহেব, কেমন আছ ?” সুবীর বলিল, “দিব্যি আছি। তোমার হিন্দু ধৰ্ম্মের বিশাল খুঁটিট কেমন আছেন ?. দুর্গার স্বামীটি বেশ কিছু মোট । ইহা লইয়া ভাই বোন সকলেই তাহাকে ক্ষেপাইত, এবং সেও যথোচিত ক্ষেপিতে ক্রটি করিত না। সুবীরের কথায় সে যথেষ্ট কাজের সহিত বলিয়া উঠিল, “সবাইকে যে তোমার মত ফড়িং বাবাজী হ’তে হবে, তার কিছু মানে নেই।” তাহার মা বলিলেন, “থাম, থাম, দিন দিন যেন পাগলামী বাড়ছে। ভাই বোনে যদি ঠাট্টা ক’রে একটা কথা বললে, অমনি মেয়ের মাথায় ক্ষ্যাপাচণ্ডী চড়ে গেল। দেখ খোকা, তোকে বললেই ত চ’টে যাবি, অথচ না ব’লেও ত পারি না ।”