পাতা:প্রবাসী (অষ্টম ভাগ).pdf/১০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

〉bペ

      • ानि विशैब ८वगैब ब्रिफ़ेस फ़िकिल्ले हिण। ७कह कामबा भूगिब्रां गांझे ७श्वरद* कशिरड যাইবেন, অমনি তন্মধ্যস্থিত এক সাহেব বলিল—“এইও—কাল আদমিকা গঞ্জ নেহি হায় ।”

প্রচারক মহাশয় বলিলেন—“কেন সাহেব, আমার টাকাগুলোও কি কালা ? আমারও দ্বিতীয়শ্রেণীর টিকিট আছে।” বলিয়া তিনি দরজা খুলিয়া ভিতরে প্রবেশ করিলেন। একে হুকুম অমান্ত করা, তাহাতে মুখের উপর জবাব, “বাদশাহ-কা-দোস্ত” আর সহ করিতে পারিল না। উঠিয় সেই ধূতি-কামিজ রেশমীচাদরধানী মূৰ্ত্তিমান রাজদ্রোহকে এক ধাক্কা দিয়া প্ল্যাটফৰ্ম্মে ফেলিয়া দিল । বিনয়বাবু “বীরভারত” পত্রের সম্পাদক হইলেও, অত্যন্ত কৃশকায় ব্যক্তি। निब স্বাস্থ্যবল সমস্তই কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়কে পূজা দিয়া, প্রসাদ স্বরূপ কয়েকখানি কাগজ পাইয়াছিলেন । আর স্থানান্তরে পাইয়াছিলেন একযোড়া সোনার চশম,— তাহার জন্ত স্বতন্ত্র মূল্য দিতে হইয়াছিল। প্লাটফৰ্ম্মে পড়িয়া তিনি বিশেষ আঘাতপ্রাপ্ত হইলেন না বটে কিন্তু তাহার চশমাখানি চুরমার হইয়া গেল। ইহা দেখিবামাত্র তাহার সহচরগণ বন্দেমাতরম্ বলিয়া গর্জন করিয়া উঠিল। দুই তিন জনে সাহেবটাকে টানিয়া বাহির করিয়া, তাহাকে বেদম প্রহার করিতে লাগিল । কিল, চড়, ঘুসি ও লাথি। গোলমাল শুনিয়া গার্ডসাহেব সেই দিকে যাইতেছিলেন, কিন্তু ব্যাপার দেখিয়া, উৰ্দ্ধশ্বাসে ধাবন করিয়া, (পলায়ন করিয়ানহে )—ত্রেকভানে আরোহণ করিলেন। অনেক কষ্টে পাশ্ববৰ্ত্ত ভদ্রলোকগণ পড়িয়া সাহেবকে উদ্ধার করিলেন —তাহার মাথা ফাটিয়া ঝর ঝর করিয়া রক্ত পড়িতে লাগিল । - ডাক্তার বাবুও গোলমাল শুনিয়া সেই স্থানে উপস্থিত হইলেন। সাহেবের অবস্থা দেখিয়া, তাহাকে তিনি চিকিংসার্থ হাসপাতালে লইয়া যাইবার প্রস্তাব করিলেন। সাহেব সম্মত হইল। ইতিমধ্যে কখন বিনয় বাৰু গাত্রের ধূলা বাড়িয়া মধ্যমশ্রেণীতে আরোহণ করিম বসিয়াছিলেন – পরদিন নিৰ্ব্বিঘ্নে কলিকাতায় পৌঁছিয়া, "বীর-ভারতে” এক ভীষণ প্রবন্ধ বাহির করিয়া ফেলিলেন। প্রবাসী । দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ । হরগোবিন্দ বাবু স্থানীয় হাসপাতালের সরকার ডাক্তার। লোকটি বৃদ্ধ হইয়াছেন ;-নেটব ডাক্তার ট্র লেও যথেষ্ট প্রতিষ্ঠাসম্পন্ন। সহরে দুইজন এম,বি-কায় । জন এল.এম.এস, থাকা সত্বেও হরগোবিদ বাবুর বিপুল পসার। তাহার উপর লোকের যেমন অগাধ त्रिा, তেমন আর কাহারও উপর নহে। প্রাইবে কলুষ্ঠা যথেষ্ট, এমন কি সময়ে সময়ে ভদ্রলোক মানাহার পৰ্য্যস্ত সময় পান না । হরগোবিন্দ বাবুর দুই পুত্র ;–একটির নাম অজয়চন্ত্র, কলিকাতা রিপন কলেজে বি,এ পড়ে, সম্প্রতি গ্রীষ্মাবকাণে বাড়ী আসিয়াছে। ছোটটির নাম স্বশীল, স্থানীয় জেলা স্কুলের ছাত্র। অজয়ের বিবাহ হইয়াছিল,—গত বৈশা মাসে বধুমাতাকেও আনা হইয়াছে। রাত্রি দশটার পর হরগোবিন্দ বাবু হাসপাতাল হয়ঃ ফিরিয়া আসিলেন। অজয় বলিল—“বাবা সাহেবটা কেন আছে ?” “ভাল আছে। মাথায় কিছু বেশী আঘাত পেয়েছিল কিন্তু ভয় নেই। আহা, বেচারীকে বড্ড মেরেছে।” অজয় বলিল—“তার যেমন কৰ্ম্ম তেমনি ফল হয়েছে। শাদা রঙ বলে মনে করে যেন লাট। বেশ হয়েছে।" ডাক্তার বাবু বলিলেন—“দেখ, সে অন্তায় করেছিল তার আর সন্দেহ নেই। কিন্তু একটা লোককে পাঁচজনে পড়ে মারাটা কি রকম বীরত্ব ? একে ত ষ্ঠায়যুদ্ধ বলে না! অজয় বলিল—“ইংরেজের সঙ্গে বাঙ্গালীর কখনও ষ্ঠায়যুদ্ধ হতে পারে ?” “কেন ?” "সবই যে অন্যায়। দেখুন, এ নিয়ে যদি মোকদম হয়, তবে হাকিম কি ন্যায়বিচার করবে ?” - ডাক্তার বাবু হাসিলেন। বলিলেন—“তোমার যুক্তিা ত বেশ দেখছি! অন্যে অন্যায় করে সেই নজিরে আমিও অন্তায় করব ?” অজয় সহসা এ কথার উত্তর দিতে পারিল না। একটু নীরব থাকিয়া বলিল—“দেখুন, এ রমক স্থলে সংখ্যা দ্বারা .م. - ) -- বা অন্যায় | ৪র্থ সংখ্যা । ] স্থির হতে পারে না। একজন বাঙ্গালী, সে একজন মানুষ মাত্র। একজন ইংরেজ, সে একাধারে একজন মানুষ, একজন রাজজাতীয় এবং সম্ভবতঃ একজন রাজপুরুষ। সুতরাং একটা ইংরেজ তিনজন বাঙ্গালীর সমান বা তার চেয়েও বেশী। একজন আততায়ী ইংরেজকে তিনজন বাঙ্গালীতে মারলে কোনও দোষ হয় না।” ডাক্তার বাবু বলিলেন –“এ যুক্তির অবতারণা করে ভূমি নিজের জাতিকে অপমান করছ। একজন ইংরেজ, সেও একজন মানুষ মাত্র। হলই বা সে রাজপুরুষ, হলই বা সে রাজজাতীয়। সে রাজপুরুষ এবং রাজজাতীয় বলে কি সে গায়ে বেশী জোর পাচ্ছে ?” অজয় বলিল—“গায়ের জোর না পাক, মনের জোর পাচ্ছে। মনের জোরেই গায়ের জোর ।” পুত্রের এ যুক্তির সারবত্তা ডাক্তার বাবুকে স্বীকার করিতে হইল। বলিলেন—“তা ঠিক বটে। মনের জোরেই গায়ের জোর। বলং বলং ব্রহ্মবলং। মনের জোরকে উপলক্ষ্য করেই শাস্ত্রকার ব্রহ্মবল বলেছেন বোধ হয়। কিন্তু তথাপি কিছুতেই আমি মনে করতে পারিনে, তিনজন বাঙ্গালী না হলে একজন ইংরেজের সমকক্ষত করতে পারে না। এরূপক্ষেত্রে, বাঙ্গালীর দিকেও কি মনের উপর আধিপত্য করবার মত বিশেষ ভাব কিছু নেই ? বাঙ্গালী যখন আত্মমৰ্য্যাদা রক্ষা করবার জন্তে, অত্যাচার নিবারণের জন্তে, মা বোনের সম্মান বাচাবার জন্তে কোনও অত্যাচারী ইংরেজের প্রতি বল প্রয়োগ করবে, তখন কি এই ভাবগুলি থেকে তার বাহুতে বলবৃদ্ধি হবে না ?" | এই সময় ভৃত্য আসিয়া বলিল, আহারের স্থান হইয়াছে। পিতা পুত্র তখন ভোজনকক্ষে প্রবেশ করিলেন । তৃতীয় পরিচ্ছেদ । পরদিন প্রাতে, সাহেব-মারা ঘটনা লইয়া রাজপুরুধ মহলে হুলস্থল পড়িয়া গেল। ম্যাজিষ্ট্রেট সাহেব একেবারে আগুন হইয়া উঠিয়াছেন। পুলিসকে হুকুম দিলেন, তিন দিনের মধ্যে আসামী ধরিয়া বিচারার্থ প্রেরণ করিতে হইবে। তদন্তভার কোতোয়ালার দারোগ বদনচন্দ্র ঘোষের উপর পড়িল। দারোগ বাবু আহার নিদ্রা __ হাতে হাতে ফল । >br○ ত্যাগ করিয়া, সহরময় ছটাছুটি করিয়া প্রমাণ সংগ্ৰহ করিতে লাগিলেন। ছোকরা দলের কয়েকজন উকীল ও মোক্তারকে গেরেপ্তার করিয়া ফেলিলেন। ষও ধও দেখিয়া কয়েকজন বিদ্যালয়ের বালককেও ধৃত করিলেন। একদিনেই তদন্ত অনেক দূর অগ্রসর হইয়া পড়িল। পরদিন ভোর ছয়টার সময়, সেই মাত্র ডাক্তার বাবু শয্যাত্যাগ করিয়া, বারান্দায় বসিয়া ধূমপান আরম্ভ করিয়াছেন, ধূতি ও চাদরে সজ্জিত হইয়া, রূপা বাধানে বেতের ছড়ি ঘুরাইতে ঘুরাইতে, হেলিতে ছলিতে দারোগ বদনচন্দ্র বাবু আসিয়া দর্শন দিলেন। দুই চারিটা বাজে কথার পর দারোগ বাবু বলিলেন— “আর ত মশায় চাকরি থাকে না ।" ডাক্তার বাবু ঔৎসুক্যের সহিত বলিলেন–“কি হয়েছে ?” “পরশুকার সেই সাহেব-মারা মামলাটা নিয়ে বড়ই বিপদে পড়েছি।” “কেন ? আসামী ত.অনেক গুলি ধরেছেন শুনলাম।” বলিয়া ডাক্তার বাবু একটু ব্যঙ্গস্বচক মৃদু হাস্ত করিলেন। দ্বারোগা বাবু তাহা গায়ে না মাথিয়া বলিলেন— “আসামী ত গ্রেপ্তার করেছি, কিন্তু সাক্ষী প্রমাণ ভাল পাওয়া যাচ্চে না ।” “সাক্ষী প্রমাণ নেই ত গ্রেপ্তার করলেন কি করে ?” বলিয়া ডাক্তার বাবু আবার ঈষৎ বক্রহান্ত করিলেন। “গ্রেপ্তার ঠিক লোককেই করেছি। ঐ সব ছোড়াগুলো বড়ই ছৰ্দান্ত । এক একটা গুণ্ডো। স্বচক্ষে এমন কতদিন দেখেছি, ম্যাজিষ্ট্রেট সাহেব রাস্তা দিয়ে টমটম হাকিয়ে যাচ্চেন, ওরা উল্টোদিক থেকে আসছে, সেলামটা পৰ্য্যন্ত করলে না।” "তাই গ্রেপ্তার করেছেন ?” “না না তা নয়, ওরাই সাহেবকে মেরেছিল তাতে श्राद्ध भएमङ् ८नहे। जारौँ श्राप्झ किरु भाङक्तत्व गांको তেমন পাওয়া যাচ্চে না।” - “তবে মিছে কেন ভদ্রলোকের ছেলে গুলোকে হাজতে পুরে রেখেছেন, ছেড়ে দিন।” দারোগ বাৰু আড়ষ্ট হইয়া বলিলেন—“সৰ্ব্বনাশ ! o