পাতা:প্রবাসী (অষ্টম ভাগ).pdf/১২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२२७ পবিত্র করিয়া লই "ত করিবে ? দেশহিতের নাম করিয়া করি মিথ্যাকেও এবং অষ্ঠায়কেও স্যায়ের আসনে বগাই তবে কাহাকে কোনখানে ঠেকাইব ? শিশুও যদি দেশের সম্বন্ধে বিচারক হইয় উঠে এবং উন্মত্তও ह्नेि দেশের উন্নতিসাধনের ভারগ্রহণ করে তবে সেই উচ্ছ জ্বলতা সংক্রামক হইতে থাকিবে, মহামারীর ব্যাপ্তির মত তাহাকে রোধ করা কঠিন হইবে। তখন দেশহিতৈষীর ভয়ঙ্কর হস্ত হইতে দেশকে রক্ষা করাই আমাদের পক্ষে সকলের চেয়ে দুঃখকর সমস্ত হইয়া পড়িবে। দুৰ্ব্বদ্ধি স্বভাবতই - কোনো বন্ধন স্বীকার করে না ; বৃহৎভাবে সকলের সহিত যুক্ত হইয়া বৃহৎ কাজ করিতে সে সহজেই অক্ষম | - দুঃস্বপ্ন যেমন দেখিতে দেখিতে অসঙ্গত অসংলগ্নভাবে এক বিভীষিকা হইতে আর এক বিভীষিকায় লাফ দিয়া চলিতে - প্রতি সাংঘাতিক আক্রমণের উদ্যোগ রেলগাড়িতে বোমা' ছড়িবার পূৰ্ব্বে এই প্রবন্ধ লিখিত উইকিরূপে বিকৃতিতে লইয়া যায় এই লজ্জাক থাকে তেমনি মঙ্গলবুদ্ধির অরাজকতার দিনে নিতান্তই সামান্ত কারণে চন্দননগরের মেয়রকে হত্য করিবার আয়োজন হয়, কোথাও কিছু নাই হঠাৎ কুষ্টিয়ার নিতান্ত নিরপরাধ পাদ্রির পৃষ্ঠে গুলি বন্ধিত হয়, কেন য়ে ট্রামগাড়ির श्ब्र ऊांश कि বুঝিতে পারা যায় না ; বিভীষিকা অত্যন্ত তুচ্ছ o: অবলম্বন করিয়া চারিদিকে ছড়াইয়ু পড়িতে থাকে, এবং কাণ্ডজ্ঞানহীন মত্ততা মাতৃভূমির হৃৎপিণ্ডকেই বিদীর্ণ विझिङ्ग করিয়া দেয়। এইরূপ ধৰ্ম্মহীন ব্যাপার প্রণালীর ঐক্য থাকে না, প্রয়োজনের ওরলঘুতা বিচার চলিয়া যায় উদেপ্ত ও উপায়ের মধ্যে মসঙ্গতি স্থান পায় না, હજના উদ্ৰোন্ত দুঃসাহসিকতাই লোকের কল্পনাকে উত্তেজিত করিয়া তুলে। অন্ত বারবার দেশকে স্মরণ করাইয়া দিতে হইবে যে অধ্যবসায়ই শক্তি এবং অধৈর্যন্থ হৰ্ব্বলতা ; প্রশস্ত ধৰ্ম্মের পথে চলাই নিজের শক্তির প্রতি সন্মান এবং উৎপাতের সংকীর্ণ পথ সন্ধান করাই কাপুরুষতা, তাহাই মানবের প্রকৃত শক্তির প্রতি অশ্রদ্ধা, মানবের মনুষ্যধন্মের প্রতি অবিশ্বাস । ংযম নিজেকে প্রবল বলিয়া অহঙ্কার করে ; কিন্তু তাহার প্রবলতা কিসে? সে কেবল আমাদের যথার্থ অন্তরতর বলের সম্বলকে অপহরণ করিবার বেলায় । এই বিকৃতিকে যে-কোনো উদেপ্তসাধনের জন্তই একবার প্রশ্রয় দিলে সরতানের কাছে মাথা বিকাইয়া রাখা হয়। প্রেমের কাজে, স্বজনের কাজে, পালনের কাজেই যথার্থভাবে আমাদের সমস্ত শক্তির বিকাশ ঘটে ; কোনো একটা দিকে আমরা "মঙ্গলের পথ নিজের শক্তিতে একটু মাত্র * কিনাড়ার কারখানার ইংরেজ কৰ্ম্মচারীদের প্রতি লক্ষ করা হয় । কোনো ক্রমশই মানুষকে শোচনীয় ঘটনাই ছিষ্ট্ৰে পাপ একবার অন্তরে প্রবেশ করিতে পরিলে তাহার প্রমাণ । প্রবাসী । শাখায় લિનનાં কিছুকে গড়িয়া তুলিতে সেই আনন্দে আমাদের কাটিয়া দিলেই তাই অভাবনীয়রূপে ব্যাপ্ত হইয়া পড়ে ;–একট। কতকটা কৃতকার্য হইবামার শক্তি অচিন্তনীয়রূপে নবনৰ সৃষ্টিার নিজেকে চরিতা{ করিতে থাকে। এই মিলনের পথ, স্বজনের পথই ধর্মে পথ। কিন্তু ধৰ্ম্মের পথ ছগম–ছৰ্গংপথস্তৎকবয়ে বন্ধি 4* *८थई श्रमkभद्र गमठ cश्रोत्ररसब প্রয়োজন, ইহার পাথেয় সংগ্ৰহ করিতেই আমাদের সর্বস্ব ত্যাগ করিতে হইবে , ইহার পারিতোষিক অহংকারভৃপ্তিতে নষ্ট্রে অহংকার বিসর্জনে ; ইহার সফলতা নহে, নিজেকে পরিপূর্ণ করিয়া। ঐরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। ব্রিটিশ মিউজিয়ম্ ও মিশরের পুরাতত্ত্ব। পৃথিবীর মধ্যে যত গুলি পুরাতত্বের মিউজিয়ম অ ব্রিটিশ মিউজিয়মই সৰ্ব্বাপেক্ষ প্রধান। ལཱ་ཧཱ་ পুরাতন দেশের অতীত ইতিহাসের নিদর্শন সংগৃহীত হইয়া অথবা তাহার অনুকরণে প্রস্তুত নমুনা সকল অতি যত্নে ও অতি স্থব্যবস্থায় সাজান, আছে। সে সাজানর প্রথা এমন স্বন্দ, . ঠিক স্থান হইতে দেখিতে আরম্ভ কীি: বে ক্রমান্বয়ে দেখিয়া যাইলে, কেহ না দিলেও, মোটামুটি সকল কথা বুঝা o স্বপ্ন রাজ্যে, সৃষ্টির প্রারম্ভ হইতে আরম্ভ করিয়া, বাষ্পময় সৌর জগতের মধ্য দিয়া, ফলত গোলার মত পৃথিবীতে আসিয়া—তাহার পর, আজ আর পৃথিবীর যাবতীয় পরিবর্তন সবই চোখের উপরে দেখিলাম। একরূপ পদার্থ হইতেই যাবতীয় পদার্থের স্তরে স্তরে অভিব্যক্তি ; ও সকল দেশের সকল সমাজের ইতিহাসের মোটামুটি একতা। সামান্ত অবস্থা হইতে श्राबष्ट श्ठेग्न, फ्रश् ক্ষমতাশালী ও দিগ্বিজয়ী হইয়া, কোনও কোনও মানৰ সমাজ কিছুদিন মেদিনী কাপাইয়া, পরে সকল জিনিষেরই যেমন স্বধৰ্ম্ম—লয় প্রাপ্ত হইয়া, এখন কেবল মাত্র নিজের কঙ্কাল রাখিয়া চলিয়া গিয়াছে। লী : ভাবশেষ হইতে নূতন ভাবে নূতন দেশের নূতন রাজ্যের আবির্ভাব। ঠিক যেন পিতার পর পুত্রের বংশ পরম্পরায় আবির্ভাবের মত। যেমন একটি লোকের ইতিহাস, তেমনি একটি সংসারের ইতিহাস ও তেমনিই সেই দেশের ও মানবজাতির ইতিহাস। সেটি কি ?— না—জন্ম, অতিবৃদ্ধি, মৃত্যু, ও শেষে স্মৃতি চিত্ত্ব ও কোনও অন্তকে পরাস্ত করিয়া । ન્ય ના | | -- - !. না কোনও রূপে গর্ভে লুকান। এখানে থাকিতেই সে জ্ঞানরত্নভাণ্ডারের নাম শুনিয়াছিলাম, ও বিভিন্ন পুস্তকে তাহার সম্বন্ধে অনেক মনোহর কথাও পড়িয়াছিলাম। তাই যাইবার পূর্ব হইতেই সে স্থান দেখিবার একান্ত বাসনা অহরহ মনে জাগিয়া থাকিত । লওনে পৌঁছাবার পর এক দিন লণ্ডনের নিকটবর্তী "ইষ্টফিনচলে” নামক এক স্থানে একটি রমণী আমাকে নিমন্ত্ৰণ করিয়াছিলেন। তাহারা ভারতবাসী জানিলেই এইরূপ সৌহৃদ্য করেন। এরূপ সেখানে অনেক লোক আছেন। সেই দিনই সদ্বংশীয় ইংরাজ পরিবারের আচার ব্যাবহার প্রথম দেখিলাম। বেলা ২টা হইতে ৬টা পৰ্য্যন্ত র্তাহার বাড়ীতে ছিলাম। সে দেশে নিমন্ত্রণ মানে খাওয়া দাওয়াই সব নহে। একত্র কথাবাৰ্ত্তাই তার প্রধান উদ্দেশ্য। এমন সহজ কায়দা ছরস্ত সরল আত্মীয়তা, যে মনেই হয় না পরের বাড়ীতে আছি। পিয়ানোতে গান গাহিয়া শুনাইলেন। নিজের লেখা কবিতা পড়িয়া শুনাইলেন। তার অধিকাংশই ভালবাসার কবিতা । সেগুলি অতি স্বরুচিপূর্ণ ও সে দেশের প্রথার অনুমোদিত। নিজের ছোট লাইব্রেরীটি দেখাইলেন—তাতে অধিকাংশই উপন্যাস। বিংশতিবর্ষীয় রমণী, সবে মাত্র বিবাহ হইয়াছে। স্বামী একখানি খবরের কাগজের লেখক । শরীর ক্ষীণ ও অঙ্গ প্রত্যঙ্গ চালনা ও কথা কহিবার ভাব অতি তৎপর। মিষ্ট কথার তুলনা নাই। তিনিই কথায় কথায় ওই মিউfaxxa (British Musium) ràtzfelton–s stofề বলিলেন—“আমি আপনাকে সঙ্গে করিয়া কাল লইয়া যাইব ।" একত্র মিলিবার স্থান ও সময় নির্দেশ করিয়া, কাগজে টুকিয়া দিয়া, আমাকে বিদায়-দিলেন। পরদিন যথা সময়ে টিউব ষ্টেশনে ঠিক একটার সময় সাক্ষাৎ হইল। তার সহিত আরও দুটি লোক ছিলেন– একটি ডাবিসায়ারের এক রমণী—অপরটি ময়ুরভঞ্জ রাজার প্রধান ইঞ্জীনিয়ার—“মার্টিন” সাহেব । সেখান হইতে একত্রে চলিতে চলিতে আমরা (British Museum) “ব্রিটিশ মিউজিয়মে” গেলাম। সে সব চলিবারই স্থান—যেমন রাস্ত ভাল, সুন্দর নিৰ্ম্মল হাওয়া, তেমনি সে দেশের লোকেরাও সজোরে দ্রুতপদে ও মুনিয়মে অতি সুন্দর চলে –সে দেশের সকল লোক পদব্রজে চলিতে বড়ই ভালবাসে। আমি সেরূপ চলায় অভ্যস্ত ছিলাম না বলিয়া একত্রে চলিতে বাধ বাধ লাগিতে লাগিল। কথা কহিতে কহিতে একত্র পা ফেলিতে হয়, অথচ অন্ত কোনও যাত্রীর গায়ে গা না লাগে সে বিষয়েও বেশ লক্ষ্য রাখিতে হয়—সে চলা শিক্ষাসাধ্য। কিছু দূরে যাইয়াই কাল পাথরের সে প্রকাও বাড়িটি ভবিষ্যতের বীজ রাখিয়া—অনন্তের দেখা যাইতে লাগিল। লণ্ডনের অধিকাংশ বড় বড় বাড়ি গুলিই কালো। ধোয়া ও কুয়াশায় আপনিই কাল হইয় যায়। মোট উচু থামের সারিগুলির চারিদিকে প্রাচীরে ঘেরা। সম্মুখেই অনেকগুলি ভাঙ্গা ভাঙ্গ প্রস্তরময় মূৰ্ত্তি। ও ভিতরে ঢুকিলে পৃথিবীর যাবতীয় দর্শনোপযোগী পুরাতন ইতিবৃত্ত স্বচক্ষে দেখা যায়। কি পুস্তক পড়া, কি দর্শনীয় স্থান দেখা, এ সকল বিষয় আলোচনা করিতে আমি প্রথমেই তার সম্বন্ধে মোটামুটী একত্রে একটি জ্ঞান পাইতে চাই। তারপর তার উপর বিশেষ বিশেষ স্থানের সবিস্তার অনুসন্ধান সহজেই বুঝা যায়। এইরূপ প্রপার অনেক সুবিধা আছে। সমস্ত অংশগুলি পরম্পরের সহিত সম্বদ্ধ বলিয়া একটির স্মৃতি অপরটিকে ডাকিয়া আনে। বিষয়গুলি মনে রাথিতে বড় বেশী আয়াস হয় না। আর তা ছাড়া—সবগুলি একত্রে দেখিলে সকল জিনিষেই একটি সুন্দর নিয়ম অন্তর্নিহিত দেখা যায়— আলাদা আলাদা করিয়া দেখিলে তা পাকে না। তাই সেরূপ কল্পনার অতীন্দ্রিয় একটি মধুর ভাব আছে। বাড়িটি দ্বিতল। এক তালায় চুকিয়া সামনেই একটি বড় হল আছে, সেইখানে সমিতির অধিবেশন হয়। তার পিছনে, চারিদিকের পুস্তকাগারের মধ্যস্থিত বড় একটি পড়িবার ঘর। বাম দ্বিকে সব ব্লকগুলিতে মিশর, বেবিলন, ফিনিসিয়া, এসিরিয়া, গ্রীস, রোম প্রভৃতি সকল পুরাতন দেশের অনেক প্রস্তরমূৰ্ত্তি ও অন্তান্ত দ্রব্যাদি আছে। ও দক্ষিণদিকের ব্লকগুলি সব পুরাতন পুথি ছবি ও অন্তান্ত ব্রিটিশ মিউজিয়ম ও মিশরের পুরাতত্ত্ব। ২২৭। পুস্তকসম্বন্ধীয় সামগ্রীতে পরিপূর্ণ। এদিকে বই পড়, আর | ওদিকে সেই সব জিনিষ স্বচক্ষে দেখিয়া লও, এই উদ্দেশ্রে এমন করিয়া সাজান । উপরে উঠবার অনেকগুলি সিড়ি আছে। তারও | চারিধারেই সব দর্শনীয় দ্রব্যাদি সাজান। এইরূপ একটি স্থানে ভারতবর্ষের বৌদ্ধধৰ্ম্মসম্বন্ধীয় কতক স্মৃতি রক্ষিত আছে। এত দূরদেশেও ধ্যানস্থ বুদ্ধের প্রস্তর মূৰ্ত্তি দেখিয়া আমার ঘাড়টি আপন আপনিই নত হইয়া পড়িল। এমন দেবতা তো কোথাও জন্মান নাই, যার ভূবনের যাবতীয় প্রাণীরই দুঃখ মোচন করা একমাত্র ব্রত ছিল। আমাদের ও অন্তান্ত সকল দেশের ধৰ্ম্মশাস্ত্রে লেখা, তোষামোদপ্রিয় ও প্রতিহিংসালোলুপ ধৰ্ম্মের কল্পনা হইতে এই কল্পনাটি কত মুন্দর,—কত মহান। কেবলই পরের দুঃখে অশ্রজল—ও কেবলই ক্ষমা। - উপরে উঠিয়াও একধার আবার কেবল মিশর, বেবিলন, ফিনিসিয়া, এসিরিয়া, গ্রীস, রোম, ইত্যাদি দেশের পুরাকালিক ছোট ছোট দ্রব্যসামগ্রীতে পরিপূর্ণ। অপর দিয়ে অন্যান্ত নানা বিষয়ের প্রত্নদ্রব্য সাজান আছে। তার মধ্যে আমেরিকা, অষ্ট্রেলিয়া, চীন, জাপান, ব্রটেন, প্রভৃতি আর ।