পাতা:প্রবাসী (অষ্টম ভাগ).pdf/১৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२8७ নামই চক্ষুর দৃষ্টি-ফুরণ, আলোকের অপ্রকাশের নামই চক্ষুর দৃষ্টিরোধ ; আর চক্ষুগোলকের অন্তরাকাশের স্পৰ্শ-ক্ষেত্র হইতে বহিরাকাশের দৃষ্টিক্ষেত্রে দৃশু-বেশে আলোকের সাজিয়া বাহির হওনের নামই চক্ষুর দৃষ্টি-বিকাশ। ॥২॥ তা তো বুঝিলাম, কিন্তু গোড়া’র প্রশ্নটির মীমাংসা হইল কই ? প্রশ্নটি তোমার মনে আছে তো ? জিজ্ঞাসা করা হইয়াছিল—“আলোক কি-ভাবেই বা সৰ্ব্বজীবের চক্ষু—কি-ভাবেই বা বিশেষ-বিশেষ জীবের বিশেষ-বিশেষ চক্ষু ?” ইহার তুমি কী • উত্তর দাও ? ॥১॥ উহার উত্তর প্রদানের বাকি আছে নাকি ? “সাত কাও রামায়ণ, সীতা কা’র ভাৰ্য্য !" এতক্ষণ ধরিয়া তোমাকে আমি যে কথাটা’র ধারাবাহিক যুক্তি পুখামুপুঙ্খরুপে প্রদর্শন করিলাম, তাহাতে অন্ততঃ এটা তোমার বোঝা উচিত ছিল যে, আলোক যে-অংশে দৃষ্টিক্ষেত্রে (অর্থাৎ চক্ষুগোলকের বহিরাকাশে ) প্রকাশ পায়, সেই অংশে তাহ সৰ্ব্বজীবের চক্ষু ; আর যে-অংশে তাহা দর্শকের চক্ষুগোলকের অন্তরাকাশের স্পর্শক্ষেত্রে ছাপ লাগানে থাকে, সেই অংশে তাহ বিশেষ-বিশেষ জীবের বিশেষবিশেষ চক্ষু। তোমার চক্ষুগোলকের বহিরাকাশ-তো-আর আমার চক্ষুগোলকের বহিরাকাশ হইতে ভিন্ন নহে ; ভিন্ন যখন নহে—এটা যখন স্থির যে, তোমার চক্ষুগোলকের বহিরাকাশ এবং আমার চক্ষুগোলকের বহিরাকাশ একই অভিন্ন বহিরাকাশ, তখন তাহা হইতেই আসিতেছে যে, আলোক যে-অংশে চক্ষুগোলকের বহিরাকাশে ভাসমান সেই অংশে তাহা তোমারও চক্ষু—আমারও চক্ষু। পক্ষান্তরে, তোমার চক্ষুগোলকের অন্তরাকাশ কিছু-আর আমার চক্ষুগোলকের অন্তরাকাশ নহে ; তথৈব, আমার চক্ষু গোলকের অন্তরাকাশ কিছু-আর তোমার চক্ষুগোলকের অস্তরাকাশ নহে ; তাহ যখন নহে, তখন ইহা বলা বাহুল্য

  • কি-শব্দের স্ব্যর্থ নিবারণের একটা তো উপায় করা চাই ।

তাহার সহজ উপায় এই – - প্রশ্ন। ক্ষুধা মাদ্য হইলে কি আহার করা কর্তব্য ? উত্তর। কোনো ক্রমেই না। প্রশ্ন। ক্ষুধা মান্দ্য হইলে কী জাহার করা কৰ্ত্তব্য ? উত্তর। লর্যুপথ্য। প্রবাসী SSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSS [ ৮ম ভাগ। - ~~. --ു. যে, আলোক যে-অংশে আমার চক্ষুগোলকের অন্তরাকাশে ছাপ লাগানো আছে, সে অংশে তাহা কেবলমাত্র আমারই চক্ষু—অপর কাহারো না ; তথৈব, যে অংশে তাহা তোমা। চক্ষুগোলকের অন্তরাকাশে ছাপ লাগানো আছে, সে অংশে তাহা কেবলমাত্র তোমারই চক্ষু—অপর কাহারো না। ইহার একটি উপমা দিতেছি, তাহা হইলেই তোমার মনের ধন্ধ মিটিয়া যাইবে :– গঙ্গাজল যে-অংশে গঙ্গায় বহিতেছে, সে অংশে তাহার উপরে তোমার এবং আমার উভয়েরই স্বত্বাধিকার সমান ; তেমি, আলোক যে-অংশে বহিরাকাশে প্রকাশমান, সে অংশে তাহা তোমার এবং আমার উভয়েরই চক্ষু। পক্ষাস্তরে গঙ্গাজল যে-অংশে, আমার গৃহের জল-নালীতে বহিতেছে, সে অংশে তাহ যেমন আমার নিজস্ব সম্পত্তি ; তেমি, আলোক যে-অংশে আমার চক্ষুগোলকের অন্তর কাশে ছাপ লাগানো আছে, সে অংশে তাহা আমারই চক্ষু, তা বই, তাহা তোমার বা অপর কাহারো চক্ষু নহে। অতএব এটা স্থির যে, চক্ষুগোলকের বহিরাকাশের দৃষ্টিক্ষেত্রে আলোকের রূপ যাহা ফুটিয়া বাহির হয় তাহাই সমষ্টি জীবের চক্ষু, আর, বিশেষ-বিশেষ জীবের চক্ষু গোলকের অন্তরাকাশে আলোকের বিশেষ-বিশেষ রকমের ছাপ যাহা নিপতিত হয়, তাহাই বিশেষ-বিশেষ জীবের বিশেষ বিশেষ চক্ষু। ॥২॥ চক্ষু পদার্থ টা কি—এতো মোট মুটি একরূপ বুঝিতে পারা গেল ;–আচ্ছা—দ্রষ্টা পদার্থ টা কি ? তাহার তুমি কোনো প্রকার সন্ধান-বাৰ্ত্তা বলিতে পার’ কি ? সেই কথাটিই হচ্চে প্রকৃত কাজের কথা । ॥১॥ গুণ টানিয়া নৌকা চালানো বড়ই পরিশ্রমের কাজ ; এই খানে এখন নোঙড় নিক্ষেপ করাই পরামর্শসিদ্ধ ! জোয়ার আসিলে নৌকা ছাড়িয়া দেওয়া যাইবে। শ্ৰীদ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর। রিয়ারও কতকটা গুঢ় রহস্ত প্রকাশ হইয়া পড়িয়াছে। , | | \ ৫ম সংখ্যা । ] প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য সভ্যতা। (জি-দে-লাফোর ফরাসী হইতে ) শত বৎসর পূৰ্ব্বে, আমাদের যুগের পূর্ববর্তী প্রাচ্য ভূভাগের পচি যাহা কিছু আমরা পাইয়াছিলাম, তাহা গ্রীক ও বাটন ইতিহাসের খণ্ডাংশ হইতে এবং কতকগুলি দেশ পর্যটকের ভ্রমণ বৃত্তান্ত হইতে। প্রমাণের মধ্যে তখন একটি ধৰ্ম্মগ্রন্থ মাত্র ছিল –সেটি বাইল ; সেই বাইবলঅনুসারে প্রাচীন জাতিদিগের মধ্যে শুধু একটি সভ্য জাতি ছিল –সেই ইহুদি জাতি,—"নিৰ্ব্বাচিত জাতি।” খৃষ্ট জন্মের ৪••• বৎসর পূৰ্ব্বে পৃথিবীর श्रृष्ट्रि ठ्म्न ; বিদিত ব্যবস্থাকর্তাদের মধ্যে মূসাই সৰ্ব্বাপেক্ষা প্রাচীন। পূৰ্ব্বে, ফারাওদের কথা, সাইরসের কথা, অ্যাসিরিয়ার রাজাদের কথা, গ্রীসের সপ্ত জ্ঞানীর কথা অস্পষ্টভাবে বলা তৈ-শুধু ইহুদি জাতির শ্রেষ্ঠত আরও ভাল করিয়া প্রতিপাদন করিবার জন্য। পাশ্চাত্য দেশে এখনও যে "পেগান” শব্দের প্রয়োগ প্রচলিত আছে-একদিকে সেই পেগানের,—আর একদিকে, হিব্রু জাতি,—ঈশ্বরের নিৰ্ব্বাচিত জাতি। এখন সেকাল আর নাই—কালের পরিবর্তন হইয়াছে! এখন পণ্ডিতেরা স্বীকার করেন, পৃথিবী গঠিত হইতে কোট কোটি বৎসর লাগিয়াছিল ; ভূতত্ত্ববেত্তারা বলেন,= লক্ষ বৎসর হইল, পৃথিবীতে মানুষের আবির্ভাব হইয়াছে, ৭ছ অনুশীলন ও অনুসন্ধানের ফলে, প্রাচ্য জগৎ এখন প্রকাশ হইয়া পড়িয়াছে ; অষ্টাদশ শতাব্দি পর্য্যন্ত যে সত্য বোর অন্ধকারের মধ্যে সুপ্ত ছিল, সেই দীপ্যমান সত্য অন্ধকার ভেদ কৰিয়া এখন উদিত হইয়াছে। আমাদের যুগের পূৰ্ব্বে, বিদ্যা-জননী মিসরে ৫••• বৎসরব্যাপী नडाड विश्रभांन हिण-हेश कनिर्छ Champollion, Champollion Figeac, Bunsen, Osburn, Lenormant, Chabas,–è#fai f#witw *f#tC¢* l কীৰ্ত্তিস্তম্ভ পিরামিড, সমাধি-মন্দির, মিসরের ত্ৰিশটা রাজবংশ–এই সমস্ত, মিসরের ঔপন্যাসিক প্রাচীনত্বের সাক্ষ্য দেয়। শঙ্কুআকৃতি অক্ষরের আবিষ্কার হওয়ায়, চ্যাল্ডিয়া ও অ্যাসি প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য সভ্যতা ।


WikitanvirBot (আলাপ)

२8१ -- - .--്~~ Burnouf, Westergaard, Oppert, Menant, Rawlinson, Lenormant–Eăttă অনুশীলন ও অনুসন্ধানের ফলে জানা গিয়াছে যে, যিশুখুষ্টের পূৰ্ব্বে উহাদের সভ্যতা ৪০০০ বৎসরের পুরাতন। চীন সভ্যতার আরম্ভকাল, প্রাগৈতিহাস-কালের মধ্যে এতটা বিলীন হইয়া গিয়াছে যে, চীনভাষাবিং পণ্ডিতেরা भक्षा-5ौनসাম্রাজ্যের সভ্যতার কাল নির্দেশ করিতে সাহস পান না। oft-sco, William Jones, Colebrooke, Burnouf, Lassen, Max Muller প্রভৃতি পণ্ডিতগণ ভারত ও পারস্ত দেশের প্রধান প্রধান পুথির অনুবাদ করিয়াছেন। এই ক্ষেত্রে পণ্ডিতেরা আরও অধিক বিস্থিত হইয়াছেন। কেননা, তুলনা-সিদ্ধ শব্দতত্ত্ব এবং বৈদিক ও সংস্কৃত ভাষার অনুশীলনের দ্বারা স্থিরসিদ্ধান্ত হইয়াছে যে ভারতীয় আধ্যগণ, পারসিক জাতি, গ্ৰীক জাতি, ল্যাটিন জাতি, স্ক্যাণ্ডিনেভীয় জাতি, সেলটু-জাতি—ইহারা সকলেই একই कार७ब निख्द्रि भाथ। Pictet ॐशब “ইন্দ-যুরোপীয় জাতির উৎপত্তি” গ্রন্থে ইহা সপ্রমাণ করিয়াছেন। যে সময়ে মূসা (Moses ) মিসর হইতে বহির্গত হয়েন (Exodus, সেই সময়ে ভারতের যে সভ্যতা ছিল তাহার তুলনা নাই –ইহারও অকাটা প্রমাণ পাওয়া গিছে। ভারতে যে সব অসংখ্য পুথি আছে, সেই সকল পুথির দ্বারা ইহাই সপ্রমাণ হয় যে, দর্শন ও ধৰ্ম্মের প্রধান প্রধান তত্বগুলি, ভারতের বড় বড় চিন্তাশীল ব্যক্তিদের দ্বারাই প্রথম আলোচিত হইয়াছিল। ইহা সিদ্ধান্ত হইয়াছে যে পিথাগোরাস, প্লেটাে প্রভৃতি গ্রীসের বড় বড় দার্শনিকেরা, ভারতের ঐ সকল মূল-উৎস হইতেই তাহদের চিন্তা-ঘট পূর্ণ করিয়াছেন। প্রাচ্য ভূখণ্ডের আবরণ এখন উদ্‌ঘাটত হইয়াছে ; ঐথান হইতেই আমরা আলোক প্রাপ্ত হইয়াছি। sTrefzstfäflix Philon বহুপূৰ্ব্বে বলিয়াছিলেন : এখানে প্রাচী (Orient ) নামে একব্যক্তি আছেন।” Fernon বলিয়াছেন, “এসিয়ার চুল্লি হইতেই আলোক বাহির হইয়া আমাদের দেশগুলাকে আলোকিত করিয়াছে।” এবং Panthier তাহার “প্রাচ্যখণ্ডের ধৰ্ম্মগ্রন্থাবলীর" ভূমিকায় আরও এই কথা বলিয়াছেন –“হুর্য্যের উদয়কালের সহিত প্রাচী-র যেমন সংস্রব, জগতের সমস্ত শৈশব