পাতা:প্রবাসী (অষ্টম ভাগ).pdf/১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- ১৪:১৪, ২৪ মার্চ ২০১৬ (ইউটিসি)WikitanvirBot (আলাপ)...~...১৪:১৪, ২৪ মার্চ ২০১৬ (ইউটিসি)WikitanvirBot (আলাপ) ১৪:১৪, ২৪ মার্চ ২০১৬ (ইউটিসি) প্রবাসী । [ vश उांश । سالا" রক্তাক্তকলেবর হইতে হয়। অধ্যয়ন করিলা দেখা গিয়াছে, তাহাদিগের সংশোধনের জন্য ধৰ্ম্মোপদেশ প্রায়ই নিষ্ফল— শরীরের উন্নতি ও পরিবর্তন না হওয়া পৰ্য্যন্ত তাহাদিগের প্রকৃতি পরিবর্তিত হয় না। এই দেহ ও বংশের প্রভাবকেই খৃষ্টীয় শাস্ত্রে ‘আদিম পাপ” (the original sin) afta afgfèw xxl হইয়াছে। এই প্রভাবের নিকট পুনঃ পুনঃ পরাজিত হইয়াই ধৰ্ম্মবীর সেন্ট ole sfs 3:ta HfHttgR–For the good that I would I do not; but the evil which I would not, that I do...O wretched man that I am | Who shall deliver me from this body of death?” সেণ্ট পল যেন এদেশীয় সাধকের ভাষায় বলিতেছেন— “জানামি ধৰ্ম্মং ন চ মে প্রবৃত্তিঃ । জানাম্যধৰ্ম্মং ন চ মে নিবৃত্তিঃ —ধৰ্ম্ম জানিয়াও তাহার অনুসরণ করি না, অধৰ্ম্ম জানিয়াও তাহা হইতে নিবৃত্ত হই না—হায়! কে এই হতভাগ্য আমাকে মৃত্যুময় দেহ হইতে উদ্ধার করিবে ?” ধী এবং বিদ্যা-–শাস্ত্রজ্ঞান ও ব্রহ্মজ্ঞান সম্বন্ধেও ঐ কথা। উহার যে পরিমাণে পুরুষকারের উপর নির্ভর করে, ঠিক সেই পরিমাণে দেহ ও বংশের শক্তি দ্বারা নিয়মিত হয়। এ কথু বলিবার অপেক্ষা করে না যে, মেধ, বুদ্ধি ও স্মরণ শক্তির সাহায্য ভিন্ন কেহ শাস্ত্রজ্ঞান লাভ করিতে পারে না। এই সকল শক্তি ভিন্ন ভিন্ন ব্যক্তি ও পরিবারে ভিন্ন ভিন্ন পরিমাণে দৃষ্ট হয়, ইহা অতি পুরাতন কথা। ব্ৰহ্মজ্ঞান লাভের উদ্দেশ্যেও শাস্ত্রনির্দিষ্ট উপায় অবলম্বন" করিয়া সকলে এক ফল পাইতে পারেন না। কারণ কাহারও কাহারও এ বিষয়ে বিশেষ বিশেষ শক্তি ও সুবিধা থাকে। যেমন মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের ন্যায় স্বস্থ ও সবলকায় ব্যক্তি হিমালয় শিখরে শুভ্রতুষাররাশির মধ্যে বিচরণ করিয়া যে ব্ৰহ্মানন্দ সম্ভোগ করিতে পারেন, চিরকল্প বা ভগ্নস্বাস্থ্য ব্যক্তি কখনও সে সৌভাগ্যের আশা করিতে পারেন না। যিনি পাঁচ মিনিট কাল শরীর উন্নত করিয়া বসিতে পারেন ন, তিনি তাহার স্তায় সমস্ত রজনী ধ্যানে অতিবাহিত করিবেন, ইহা বা কিরূপে যুস্তব হয় ? আর যে ব্যক্তি এমন চঞ্চল দেহ মন লইয়া জন্মগ্রহণ করিয়াছে যে মুহূৰ্ত্তকাল अभशीलत इंख्शिन শঙ্কর বলিতেছেন, প্রকৃতির অর্থ ক্ষত্রস্বভাব। -l.സ.------ করিবে ? রুগ্নদেহ লোকদিগের অপেক্ষ সচরাচর অধিক স্পষ্টবাদী। এরূপও দেখা গিয়াছে, কোনও কোনও পরিবারের বালক বালিকার শৈশবকাল হইতেই মিথ্যা কথা বলিতে আরম্ভ করে। গীতার মত। পশ্চিমদেশীয় সুধীগণ যাহাকে দেহসংগঠন ও বংশের ফল বলিয়া নির্দেশ করিয়াছেন, গীতার মতে তাহার নাম প্রকৃতি অথবা বর্তমান জন্মে অভিব্যক্ত পূৰ্ব্বজন্মার্জিত ধৰ্ম্মাধৰ্ম্মাদি সংস্কার। গীতার তৃতীয়াধ্যায়ে শ্ৰীকৃষ্ণ অৰ্জুনকে । বলিতেছেন— সদৃশং চেষ্টতে স্বস্তাঃ প্রকৃতেজ নিবনপি। প্রকৃতিং যান্তি ভূতানি নিগ্ৰহ: কিং করিষ্ণতি ॥ জ্ঞানবান ব্যক্তিও স্বীয় প্রকৃতির অনুরূপ কৰ্ম্ম-চেষ্টা করিয়া থাকে। ভূতমাত্রই প্রকৃতির অধীন, ( সুতরাং ) ইন্দ্রিয়নিগ্ৰহ করিলে কি হইবে ? পুনশ্চ অষ্টাদশাধ্যায়ে— - যদহঙ্কারমাশ্রিত্য ন যোৎস্ত ইতি মন্তসে। মিথ্যৈব ব্যবসায়স্তে প্রকৃতিস্থাং নিয়োক্ষ্যতি | হে অৰ্জুন, যদি অহঙ্কারের অধীন হইয়া তুমি নিশ্চয় কর, আমি যুদ্ধ করিব না, তবে তোমার সংকল্প মিথ্যা হইবে, (কারণ ) প্রকৃতিই তোমাকে (যুদ্ধে ) নিয়োগ করিবে। প্রথমোক্ত শ্লোকের ভাষে শঙ্কর প্রকৃতির অর্থ করিয়াছেন, বর্তমানজন্মাদেী অভিব্যক্ত পূৰ্ব্বকৃত ধৰ্ম্মাধৰ্ম্মাদি সংস্কার। অথবা শ্রীধর স্বামীর ভাষায়, প্রাচীন কৰ্ম্মসংস্কারাধীনস্বভাব। কিন্তু শেষোক্ত শ্লোকের ভাষ্যে

  • প্রকৃতির্মম পূৰ্ব্বকৃতধৰ্ম্মাধৰ্ম্মাদিসংস্কারে বর্তমানজন্মাদ্রাবভিব্যক্তং।

ـصك বাকি রহিল, সত্যপ্রিয়তা। সত্যের সহিত দেহের । সম্বন্ধ কি ? সম্বন্ধ আছে। দুৰ্ব্বলকায় ব্যক্তি অনেক সময়ে । ভয়ে মিথ্যা কথা বলে। এ জন্যই দেখা যায়, স্বাধীন দেশের । স্বস্থ সবল, উন্নতকায় ব্যক্তিরা পরাধীন দেশের খৰ্ব্ব, দুৰ্ব্বল । \ ১ম সংখ্যা । ] প্রাক্তনজন্মসংস্কার মানেন না, তাহারা বলিবেন, এই দ্বিতীয়



অর্থের সহিত পাশ্চাত্য পণ্ডিতগণের মত প্রায় এক। কারণ, শঙ্কর যাহাকে ক্ষত্রস্বভাব বলিতেছেন, তাহাদিগের মতে উহা দৈহিক সংগঠন ও বংশপ্রভাবের ফল ব্যতীত আর কিছুই নহে। গীতার সতের অধ্যায় জুড়িয়া যোগভক্তিকৰ্ম্মজ্ঞানের এত অমূল্য উপদেশ দিবার পরেও যদি শ্ৰীকৃষ্ণকে বলিতে হয়, “হে অৰ্জুন, তুমি যুদ্ধ করিতে চাও বা না চাও, তোমার প্রকৃতি বা ক্ষত্রস্বভাব তোমাকে ঘাড়ে ধরিয়া যুদ্ধ করাইবে, সুতরাং নিজ হইতে যুদ্ধ করাই শ্রেয় ;” তবে নব্যতন্ত্রিগণ অনায়াসেই বলিতে পারেন, এ স্থলে শাস্ত্রকার নিজমুখে বংশ বা heredityর অনতিক্রমণীয় প্রভাব স্বীকার করিতেছেন। ধৰ্ম্মসাধন দ্বারা দেহ ও বংশের প্রভাব অতিক্রম করা যায় কি না । তবে কি দেহ ও বংশের প্রভাব সত্য সত্যই অনতিক্রমণীয় ? এ কথার উত্তর দেওয়া কঠিন। অথবা ইহার উত্তরে বলিতে হয়, অনতিক্রমণীয় না হইলেও দুরতিক্রমণীয় বটে। যখন পুরাণে পাঠ করি, এক এক জন তপোনিষ্ঠ সাধক আজীবন কঠোর তপস্যা করিয়াও হঠাৎ এক দিন রিপুর চরণে আপনাকে আহুতি দিয়াছেন,—যখন দেখিতে পাই, কত সরলপ্রাণ, ব্যাকুলচিত্ত, ঈশ্বরবিশ্বাসী সাধক সহস্রবার কৃতাপরাধের জন্ত অনুতপ্ত ও গলদশ্রলোচন হইয়াও একটা দুৰ্ব্বলতার হস্ত হইতে নিস্কৃতি লাভ করিতে পারেন নাই, তখন যথার্থই বিশ্বাস করিতে ইচ্ছা হয়, আজন্ম সাধনভজন আর ভৰ্ম্মে ঘৃতাহুতি বুঝি একই কথা । কিন্তু তাই বলিয়া ধৰ্ম্ম-সাধন নিরর্থক বলা যায় না। লক্ষ লক্ষ সাধনশীল লোকের জীবন সাক্ষ্য দিতেছে, একাগ্র অধ্যবসায় কখনও সম্পূর্ণরূপে নিফল হয় না। দেহ ও বংশের প্রভাব সাধন বলে নিৰ্ম্মল না হউক, অন্ততঃ নিস্তেজ ও নিৰ্ব্বীৰ্য্য হয়, সে বিষয়ে সন্দেহ নাই। তবে কথা এই, সাধন এমন হওয়া প্রয়োজন, যাহাতে দেহ ও আত্মা উভয়ের প্রতি দৃষ্টি থাকে। কারণ, ধৰ্ম্ম-সাধন দৈহিক সংগঠন ও বংশপ্রভাবের অনুকুল না হইলে ব্যর্থ হইতে পারে। - ধৰ্ম্ম-সাধন বা চরিত্রের উন্নতি-সম্পাদন।

  • -

>> * পূৰ্ব্বে বলা হইয়াছে: ধৰ্ম্মসাধনের উদেহু যোগক্ষেম বা চরিত্রে যে সদ্‌গুণ আছে তাহাকে বিকশিত করা এবং যে সদগুণ নাই তাহা লাভ করা। কাহার মধ্যে কি শক্তি আছে, সাধন বা চর্চা ভিন্ন তাহ ধরিবার উপায় নাই। ঋষি ইমার্সন একস্থলে বলিয়াছেন, প্রত্যেক মানুষের মধ্যেই বিশেষত্ব আছে, ঐ বিশেষত্ব ধরিতে পারিলেই সে কীৰ্ত্তিমান হইতে পারে। এই ধরার কাজটা অবশু অত্যন্ত কঠিন। কঠিন বলিয়া একেবারে হাল ছাড়িয়া দিলেই বা চলিবে কেন ? আজন্মসিদ্ধ কিংবা আজন্মপাপিষ্ঠ ব্যক্তির কথা না তুলিয়া সাধারণ ভাবে বলা যাইতে পারে, চরিত্রের উন্নতিসাধন অথবা ধৰ্ম্মজীবন লাভের জন্য রীতিমত সাধন আবশ্যক। সে সাধন নিশ্চয়ই দেহ ও বংশপ্রভাবের অমুকুল হইবে, ও তদনুযায়ী ফল প্রসব করিবে, কিন্তু তাহ সৰ্ব্বথা নিষ্ফল হইবে না। ধৰ্ম্মসমাজের একটা গুরুতর ভুল, সকলকে এক ছাঁচে ঢালিবার চেষ্টা। যেখানে যেখানে সমাজগঠনে প্রত্যেকের স্বতন্ত্র দেহ ও বংশপ্রভাব অস্বীকৃত হইয়াছে, সেখানেই মহানর্থ সংঘটিত হইয়াছে। তিনিই যথার্থ নেতা, গুরু বা চালক, যিনি বিভিন্ন প্রকৃতি অনুসারে বিভিন্ন সাধন পন্থা নির্দেশ করিতে পারেন। এরূপ গুরু দুৰ্ল্লভ, সন্দেহ নাই, কিন্তু জগতের ইতিহাসে এমন কাহাঁকেও দেখা যায় নাই, ইহা স্বীকার করি না। ঈশা ও বুদ্ধদেবের সম্বন্ধে যে সকল আখ্যায়িকা প্রচলিত আছে, তাহার কোন কোনটা হইতে বুঝিতে পারা যায়, তাহদের নিকট এই তত্ত্বটা অপরিচিত ছিল না। স্রোতস্বিনী আপনার শক্তিতেই নিজের পথ করিয়া লয়, কিন্তু ভূমির প্রকৃতি দ্বারা তাহার গতি নির্দিষ্ট হয়। সেইরূপ, ধৰ্ম্মার্থী, পুরুষকার ও ব্রহ্মকুপার সাহায্যে চরিত্রের উন্নতি সম্পাদন করেন বটে, কিন্তুর্তাহার সাধন স্বীয় দৈহিক- * - সংগঠন ও বংশপ্রভাব দ্বারা নিয়মিত এবং অমুরঞ্জিত হয়। - ঐরজনীকান্ত গুহ।

  • এই প্রবন্ধে দৈহিকসংগঠনও বংশ চরিত্রের ভিত্তি বলিয়া স্বীকৃত হইয়াছে। এই দুইটা ছাড়া চরিত্র-বৈচিত্র্যের আরও অনেক কারণ ztrg: ста, чfraža (environment), ब्रांछऐनठिक बदश, श्ठाiक्।ि সে সকলের আলোচনা উপস্থিত কলি এবং কুন্তু ই ডাইভ।