পাতা:প্রবাসী (অষ্টম ভাগ).pdf/১৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রবাসী । [ ৮ম ভাগ। مہارا * ছয়াকাডো যেন হৃদয়ে একটু আঘাত পাইয়া বলিলেন– “না বাবু, সেটা কেমন কেমন নয়, বরং আমার কাছে ভালই বোধ হয়। র্যাকে ভাল বাসিলাম, তাকে আমি যা ভালবাসি তাই দিলে তবে নিজের মনটা খুগ্ৰী হয়। প্রিয়জনকে তাহার অভাঙ্গিত জিনিষ সকলেই দেয়, কিন্তু যেখানে অনুরাগের আধিক্য, সেখানে সুধু প্রাথিত জিনিষের সম্প্রদানেই মন শাস্তি লাভ করে না ; এটা তার ভাল লাগিবে, ওটা সে ভালবাসে, সেটা সে ভাল বলিয়াছিল, সেখানে সে ভাল থাকিবে, এইরূপ নানা প্রকার অযাচিত মুখ প্রদানের ইচ্ছা মনে অত্যন্ত বলবতী হয়। তখন হইতেই স্বার্থত্যাগ আরম্ভ হয়, নিজের মুখ ও প্রীতি বিসর্জন দিয়া হৃদয়েশ্বরের প্রতি অনুসন্ধান করিতে ইচ্ছা হয়। বলা বাহুল্য, ইহা ঈশ্বরপ্রেমের শৈশব অবস্থা মাত্র।” বলিতে বলিতে মা মিয়াই হঠাৎ সঙ্কুচিত হইলেন-বোধ হয় ভাবিলেন—“বড় একটা বস্তৃত৷ আরস্ত হইয়া গিয়াছে”—তাই সসঙ্কোচে পুনরায় বলিলেন— “বাবুজী, আপনার হিন্দু, আপনারা কি আর এ জানেন না ; আমাকে পরীক্ষা কচ্ছেন বই তো নয়।" “পরীক্ষা নয়, ছয়াকাডো, এ সম্বন্ধে আপনাদের মত সত্য সতাই চমৎকার।” আমি ভাবিলাম মা মিয়াই বুঝিব। মনে মনে একটু অসন্তুষ্ট হইলেন। কিন্তু তিনি “তা নয় বাবুজি তা’ নম্ব” বলিতে বলিতে হাসির ঝলকে রাস্ত প্লাবিত করিয়া মন্দিরাভিমুখে চলিয়া গেলেন। নিয়াণ্ডু মন্দির বর্ষ্যার অন্যান্ত মন্দিরের স্থায় ভারতবর্ষীয় বৌদ্ধ মন্দিরের ছাচে তৈয়ারী হইয়াছে। মন্দিরে একটা সিংদরজা ভিন্ন দরজা জানালা নাই, আবার সে সিংদরজাটাও একখানি ছোট খাট জানালাহীন কোঠা মাত্র। কাজেই মন্দিরের ভিতরে ঈষৎ অন্ধকার, বুদ্ধদেবের প্রস্তর মূৰ্ত্তি সেই প্রশান্ত অন্ধকারের মধ্যে ধ্যাননিমগ্ন। আজ পাৰ্ব্বণের দিন ; মন্দিরের অভ্যন্তরে কয়েকট কায়াউন ডাই জালিয়৷ দেওয়া হইয়াছিল ; তাদের মিষ্টি আলোতে বোধি বুদ্ধের সমাধি-মূৰ্ত্তি আরও গম্ভীর হইয়া উঠিয়াছে। উহার চতুপাশ্বে ভক্তগণ শিখে আসনে জপানরত ; তাহদের পরিধানে পীত চীনাংশুক, মস্তক মুণ্ডিত, হাতে জপমালা, নয়ন মুদ্রিত, মনে মনে জপিতেছেন “আনেইছা, ভুখা আনাট্টা" —“এ জড়জগতে সকলই নশ্বর, সবই অনাত্মা, এখানে কেবলই দুঃখ, কেবলই কষ্ট। এ মোহে a།ཝེ་ཝཾ་ཕཱ།, ། মজিওনা।” এসব দেখিয়া শুনিয়া মনটা যেন কেমন হইয়৷ •. - দাদার পায়ে বুট ছিল, তিনি ভিতরে আশিতে পারেন নাই; অন্য বন্ধটাও ভিতরে আসিতে ইচ্ছা করিলেন না, এক আমিই কৌতুহলের বশে ভিতরে আসিয়াছিলাম। আমার আর বাহিরে যাইতে ইচ্ছা করিলনা, একটী কোণায় ধীরে | ধীরে বসিয়া পড়িলাম। দেখিলাম বহিঃস্থ জনকোলাহল সে তপোগহবরে প্রবেশ করেন, জড়জগতের বিলাসভাণ্ডার সে অন্ধকার হইতে নয়নগোচর হয়না, ভিতরে গেলেই ইচ্ছ। করে সম্মুখস্থ প্রস্তরমূৰ্ত্তির ন্যায় সমাধি দ্বারা এজীবনী “নিৰ্ব্বাণে” মিশাইয়া দেই। মনটা যেন কেমন কেমন বো। হইতে লাগিল, আমি চুপ করিয়া একটা কোণে বসিয় রহিলাম। - যখন বাহির হইলাম তখন বেলা প্রায় তিনটা । দাদান্তে চটিয়াই লাল; বরং বলা উচিত গাঢ় কালো ; কেননা দা রঙে কৃষ্ণবর্ণ, রাগ করিলে তিনি আরো কাল হইয়া যান। তিনি বলিতে লাগিলেন—“এমন মানুষ নিয়ে কেউ কোথাও যায়, কোথায় গেল কি হলো ভেবে ভেবে অস্থির, ভিতরে গিয়ে চুপ করে বসে আছে, কিছু বলতে হয়না?" আদি শুধু দাদাকে বলিলাম—“দাদা ভিতরে তো যাও নাই, মজাটাও পাও নাই, সেখানে গেলে আর আসতে ইচ্ছ হয় না।” দাদা বিরক্তভাবে বলিলেন—“হয়েছে, এলো এখন বাড়ী যাই।” আমার ক্ষুধা পাইয়াছিল; আমি বলিলাম—“কিছু খাওয়া হবে না, দাদা?" আমাদের খাবার জিনিষ বাজারে কিছুই নাই। দাদা কয়েকট কলা কিনি একটা লেমনেডের দোকানে বসিলেন। কলা কয়েকী আমি একটা একটা করিয়া উদরসাৎ করিলাম। দ্বাদ এক গ্লাস লেমনেড পান করিলেন ; আমাকেও একগ্লাদ দিলেন। আমারও বড় তৃষ্ণ পাইয়াছিল, লেমনেড থাইল বড়ই তৃপ্ত হইলাম। মন্দিরের পাশ্বে একটা পটমওপের নীচে বহু ব্ৰহ্মরমণ উপবাসী অবস্থায় জপ করিতেছিলেন। কেউ বা বালিকা কেউ বা কিশোরী, কেউ বা যুবতী, আর অধিকাংশই গ্রেী ও বৃদ্ধা। সকলেই সুবেশ। হাতে অনতিদীর্ঘ জপমালা, ব্রহ্মদেশীয়া নারী—মন্দির পথে ।

  • Ku - , , , :,, 1 «s. O vi e 1 ***