পাতা:প্রবাসী (অষ্টম ভাগ).pdf/১৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

------------------------------------------ সন্দেহও হইয়াছিল। প্রথম পরীক্ষায় কৃতকাৰ্য ন হইয়া অনেক ব্যবসায়ই উৎসর গিয়াছে। এমন কি এই তাপিনের ব্যবসায়ই পঞ্জাব প্রদেশের কাংড়া জেলায় আশাজনক বলিয়া বোধ না হওয়ায় বন্ধ হইয়া যায়। এ সম্বন্ধে জনৈক বিশেষজ্ঞ -- ১৯১৬ অক্টের ১৪ই মে তারিখের পাইওনিয়র পত্রে লিথিয়াছিলেন :– “The Punjab Government has tried the distillation of turpentine on a small scale at Nurpur, in the o * Kangra District, as an experiment. The Forest report of the last year announces the closing of the small Nurpur factory without giving any explicit reason - " le same. Two reasons are assigned : (1) that the trade in the raw material is more profitable than the distillation of the turpentine oil, (2) that the tapping is injurious to the life of the trees. When t he consumption of turpentine is obviously so great, o Mere seems no reason why the manufacture of the last product out of a raw material in this case should be less paying than the trade in the raw material itself. Having devoted some time to this industry, - I am of positive opinion that the turpentine distillation cannot but be very profitable, especially when the Government itself takes the industry in hand because of the great pine forests at its disposal. In No France and America enormous quantities of this oil - are distilled and very little injury is done to the life of the 'tree. 型 Japan, I have seen, with my own eyes, the operations of such a distillery and their experience in tapping says nothing against the life of the trees, & 6 o' ভওয়ালীর কারখানার ভার ১৮৯৯ অব্দের নভেম্বর মাসে শ্ৰীযুক্ত তিনকড়ি লাহিড়ী ( Forest Ranger) মহাশয়ের হস্তে হস্ত হওয়ায় উহা স্থায়ী হইয়া যায়। তিনি ডেপুটী কনজারভেটর ত্রযুক্ত ক্যাম্বেল সাহেবের উৎসাহ পাইয়া ৬ বৎসরের শ্রম ও যত্নে ইহাকে একটা বিলক্ষণ লাভজনক ব্যবসায়ে পরিণত করেন। তাহার চেষ্টায় এই কারখানা হইতে বার্ষিক আট হাজার গ্যালন তাপিন ও डिन হাজার ছয় শত মণ রজন উৎপন্ন হইতে থাকে। o প্রথমে ইহাতে খরচ পড়িত ১২.৩ শত টাকা আর আয় হইত ১৪১৫ শত টাকা। স্বতরাং দুই শত বা আড়াই শত प्लेका बाल লাভ থাকিত। সেইস্থলে এক্ষণে ১৭১৮ হাজার টাকা খরচে ৩২৩৩ হাজার টাকা আয় হইতে - - o o কারখানা খুলিতে পারিলে. বিলক্ষণ লাভ হয়। অন্ত৷ প্রবাসী । ৮ম ভা রাজনগর । লাগিল। এখানকার উৎপন্ন তাপিন রেলওয়ে এক * { দুঃখ । নান্স তোপখানায় (arsenal) অধিক সরবরাহ - (ෆ যৎসামান্ত যাহা বাকি থাকিয়া যায় (প্রায় ২০ ? দুঃথ একাকী রোদে বরষায় তাহা খুচরা বিক্রয় হয়। এই উন্নতির কারণ তিন • চষিয়া প্রাণের ভূমি, বাবুর অভিজ্ঞতা। তিনি এই শিল্পবিজ্ঞানে স্বয়ং পরি R হাতে কলমে কাজ করিতে সমর্থ। তাহার জ্ঞানের সীি। ক্যাম্বেল সাহেব ও লভগ্ৰোভ সাহেবের উৎসাহ এই উন্নঞ্জি প্রেম বীজ। শেষে তুমি, ওরে সুখ, এসে চোরের মতন অন্যতম কারণ। এই তাপিন বিলাতী হাব্বকের তাধি ফসল লুটিবে পরে ? : হইতে কোন অংশে নিরেশ নহে অথচ মূল্যে গ্যালন શ গচ্ছিত আমি রাখিব এ ধন প্রায় ৭০ হইতে ১ সপ্তা পড়ে। এখানকার রজন মা 한 রাজাধিরাজের ঘরে । রজন হইতে কোন অংশে নিকৃষ্ট নহে। কানপুরে মঞ্জি ঐবিজয়চন্দ্র মজুমদার। রজনের আমদানি আছে । ইহার সহিত প্রতিযোগিों | - উহ! প্রায় বন্ধ হইয়া গিয়াছে। এখানকার রজন মণ ৫\ টাকা ও তাপিন এক গ্যালনে ( ৪০ সের ) পড়ে। পাইকারদিগকে ২• হইতে ২ টাকা হিসাবে দেওয়া হয়। রজন প্রায় সমস্তই ক এজেণ্টের নিকট প্রেরিত হয় এবং তথায় বাজার। বিক্রয় হয়। তথায় গড়ে মণ প্রতি ৫০ হইতে ৬ টা - পর্য্যস্ত পড়ে । নাইনিতাল হইতে কিছু দূরে ক্ষুরপাতাল স্থানে এবং আলমোড়া প্রভৃতির জঙ্গলে অতি উত্মা তাপিন গাছ জন্মে। এখনও এক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা অ৷ যদি চড়ি জঙ্গল জমা লওয়া সম্ভব হয় তাহ হইলে তাপন রাজনগর । ਾ তরঙ্গমালাসস্কুল বিভীষিকাময়ী পদ্মার দক্ষিণ উটে প্রায় পয়ত্রিশবৎসর পূৰ্ব্বে রাজনগর নামে এক শিলী গ্রাম বিদ্যমান ছিল। এই গ্রাম ইতিহাসবৈদ্যকুলোদ্ভব মহারাজ রাজবল্লভ নিৰ্ম্মাণ করাইয়ান। পূৰ্ব্বে ইহার নাম ছিল বিলদাওনিয়া, তখন বিলপরিপূর্ণ বিরল-বসতির একটা ক্ষুদ্রগ্রাম মাত্র বিক্রমপুরের গৌরব রামপাল নগরীর ধ্বংসাবসানে দ্বাদশ ভৌমিকের অন্যতম ভৌমিক চাদরায় কেদারবারের বড় সাধের ত্রপুর নগরী পদ্মার কুক্ষিগত হইলে পর, রাজনগরের দ্যায় সুন্দর ও সমৃদ্ধিশালী স্থান কেবল র কেন সমগ্র বঙ্গদেশেও তৎকালে অতি বিরল हिन। রাজনগর সে সময়ে সত্য সত্যই রাজনগর ছিল। उपन डेश “নবরত্ন”, “পঞ্চরত্ন” “সপ্তদশরত্ন” বা “শতরত্ন” ও একবিংশরত্ন” প্রভৃতি সুন্দর সুন্দর সোঁধাবলীর দ্বারা পরিশোভিত হইয়া সৌন্দর্য্যে ও স্থপতি-কৌশলের শ্রেষ্ঠতার জন্তে বঙ্গদেশে বিশেষ খ্যাতি লাভ করিয়াছিল। যিনি এথানকার কোন কোন স্থানের পাৰ্ব্বত্য ভূমি ক্রয় কtি কেলিতে পারবেন না! কিন্তু হায়! সে সমুদয় ক্ষুদ্র ও ংে নানা কারুকার্যখচিত মালিকাসমূহ চিরদিনের জন্ত ■ --WikitanvirBot (আলাপ) - পয়ার রাক্ষী উদরে অন্তৰ্হিত হইয়াছে আর সে সমুদয় । নয়নাভিরাম সোবলী কাহারও দৃষ্টপথে পতিত হইবে । না। পদ্মার তরঙ্গপ্রহারে বিক্রমপুরের যে কতদূর অনিষ্ট সাধিত হইয়াছে তাহা লেখনীদ্বারা ব্যক্ত করা অসম্ভব। বিক্রমপুরের যাহা কিছু দেখিবার এবং গৌরবের ছিল । সে সমুদয় গ্রাস করিয়া “কীৰ্ত্তিনাশা" এই অপনাম লাভ ৷ করিয়াও ক্ষুধিতা পদ্মার ভীষণ ক্ষুধার শেষ হয় নাই, এখন । বিক্রমপুরের অতীত গৌরবের শেষ কঙ্কাল-চিহ্ন, বঙ্গের শেষবীর চারায় কেদার রায়ের মাতার শ্মশানোপরি বিনিৰ্ম্মিত রাজাবাড়ীর স্ববিখ্যাত মঠটি গ্রাস করিবার | জন্য এই রাক্ষসী অত্যন্ত ব্যগ্রা ;-–পদ্মা বর্তমান সময়ে । এই মঠের দুই তিন থানা মাত্র ক্ষেত্ৰ অৱ দ্য । প্রবাহিত । - সপ্তদশ শতাব্দীর মধ্যভাগে বিক্রমপুর কেন, সমগ্র । বঙ্গভূমির মধ্যেই ইহার কীৰ্ত্তি-গরিম স্বপ্রতিষ্ঠিত ছিল। তখন এই স্থান ধনে, জনে, মানে, সন্ত্রমে, বিদ্যায় ও শিক্ষা । দেশের আদর্শ স্বরূপ বিবেচিত হইত। যখন রাজনগর - নিৰ্ম্মিত হয় তখন কি কেহ কল্পনা করিতে পারিয়াছিলেন । যে একদিন ইহার বক্ষোপরি পদ্মার চঞ্চল ত্ব ११ রোলে নৃষ্ঠা করিবে! শতাধিক বৎসরের মধ্যে বি ভৌগোলিক পরিবর্তন সম্বন্ধে আলোচনা - যুগপৎ বিক্ষিত ও স্তম্ভিত হইতে হয়। সপ্তদশ মধ্যভাগে পদ্মার এক অতি ক্ষুদ্র শাখা রাজনগরের বহু উত্তর দিক দিয়া কী কলেবরে পূর্ব পশ্চিম দিকে প্রবাহিত । হইত। সে সময়ে জনসাধারণে ইহাকে "রথখোলার" नौ । নামে অভিহিত করিত। ইহার উৎপত্তি সম্বন্ধে এইরূপ - জনপ্রবাদ প্রচলিত আছে যে এইক্ষুদ্র থালের অবস্থান . হইতে হইতে খালের আকার ধারণ করিয়া রথংে খাল নামে অভিহিত হয়। এই উক্তি কেবল স্ত্র འI། ཙ་ས་། বলিয়া প্রতীয়মান হয় না, কারণ ১৭৮১ সনে ঈষ্ট ইণ্ডিয়া । কোম্পানীর অধিকার সময়ে, বোর্ড অব ডাইরেক্টর o § - - - ਾ -