পাতা:প্রবাসী (অষ্টম ভাগ).pdf/১৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩২৬ ১৫৯৩ খৃষ্টাব্দে সুলতান তৃতীয় মুহম্মদকে উপহার দেন। তুর্কী রাজবাড়ী হইতে বইখানি চুরী হইয়া শাহ জাহানের রাজত্বকালে ভারতে আসে। পৃথিবীতে ইহার আর দ্বিতীয় নাই। এর একখানি যুদ্ধের ছবি প্রবাসীতে দিব। ফার্স লেখায় নুর আলী ভারতে সব চেয়ে বিখাত ছিলেন। তাহার নকল করা জামির কাব্য "ইউসুফ ও জুলেখা" বাদশাহ জাহাঙ্গীর হাজার মোহর দামে কেনেন। এখানি এখন খুদ্রাবক্স লাইব্রেরীতে স্থান পাইয়াছে। শাহ জাহানের সহ করা দুইখানি বহি আছে, একথানির লেখা তাহার ১৪ বৎসর বয়সের । দারাশিকোর স্বহস্তে লিখিত “সাধুচরিত” (সফিনৎ-উল-আওলিয়া ),–গোলকুণ্ডার মুলতানের দিউয়ান-ই-হাফিজ,—আমীর খস্রূর “মসনবী" যাহা বুখারার মুলতান মীর আলীকে তিন বৎসর জেলে পুরিয়া রাথিয়া লেখাইয়া লন!—রণজিৎ সিংহের সৈনিক বিভাগের হিসাবের বহি ( ফাসী ও গুরুমুণী অক্ষরে লেখা ), আলী মর্দান খ শাহ জাহানের সঙ্গে প্রথম সাক্ষাতের সময় যে সচিত্র ফির্দৌসীর “শাহনামা” বাদশাহকে উপহার দেন, সেখানি,-আমীর খসরুর গ্রন্থাবলী, আকবরের মাতা হামিদাবানুর মোহরযুক্ত,-হাতিফির কাব্য “শীরীন ও খস্রূ" বিজাপুর রাজ্যের জন্য অতি স্বগ্ন অক্ষরে লেখা,—জাহাঙ্গীরের আত্মজীবনী, যাহা তাহার আজ্ঞায় গোলকুণ্ডার রাজাকে উপহার দেওয়া হয় এবং পরে আওরংজীব ঐ দেশ জয় করিয়া কাড়িয়া লইয়া আসেন, একথান অনেক চিত্র-পূর্ণ তাইমুর বংশের ইতিহাস, ভারতীয় সৰ্ব্বশ্রেষ্ঠ ছবির আদর্শ সহিত শাহ জাহানের ইতিহাস,— এ সমস্ত খুদ্রাবক্স সংগ্রহ করেন। শেষোক্ত দুইখানির অনেক ছবি প্রবাসীর জন্য ফটাে লইয়াছি। আর কত বর্ণনা করিব ? সবগুলির নাম করিতে গেলে প্রবন্ধ শেষ হইবে না। আরবী বিভাগে তফসির-ই-কবীর নামক কোরানের এক টীকা আছে, তিন প্রকাও বালুমে, অতি ক্ষুদ্র অথচ পরিষ্কার ও আগাগোড়া এক রকমের অক্ষরে লিখিত । একজন লোক এত পরিশ্রম করিয়াছিল ভাবিলে আশ্চৰ্য্য হইতে হয়। মুসলমান জগতের অনেক পণ্ডিত আন্দলুস্ প্রবাসী । SAASA SAASAASSMMSMMSMMSMMSMMSMSMSMSMSMSMSMSMMS অর্থাৎ দক্ষিণ স্পেনে জন্মগ্রহণ করেন। যখন অন্যান্ত ইউরোপীয় দেশ অন্ধকারে আবৃত তখন এই মুর রাজত্বেই জ্ঞানের দীপ জলিয়াছিল। আৰব বৈজ্ঞানিক জোহরাবীর লেখা অস্ত্রচিকিৎসার এক পুথি আছে, ণ্ডাহাতে সব অঙ্গর ছবি দেওয়া । বিখ্যাত খলিফা হারুনের- পুত্র মামুনের রাজত্বকালে ডিয়সকোরাইডেস রচিত উদ্ভিদতত্বের এক গ্রীক বহির আরবীতে অনুবাদ হয়, নাম “কিতাব-উলহাশয়েশ” । ইহার এক অতি পুরাতন হস্তলিপি আছে, সমস্ত উদ্ভিদের রঞ্জিত ছবিযুক্ত, শিকড়ট পর্যন্ত আঁকা। একথও ভেড়ার চামের কাগজে ( পার্চমেণ্টে ) কতকগুলি কুফিক অক্ষর আছে, প্রবাদ যে সেগুলি মুহম্মদের জামাতা আলীর হস্তাক্ষর ! যে সময়ে আরবীতে আকার ইকার উকারের চিহ্ন (জের, জবর, পেস্থ) ব্যবহারে আসে নাই, সেই পুরাকালের লিখিত এক কোরান আছে ; ( মুর্শিদাবাদে নিজামং লাইব্রেরীতেও এরূপ আর একথান দেখিয়াছি । ) রেসমের মত পাতল একথান সরু অথচ অতি দীর্ঘ পাচমেণ্টে অতি ক্ষুদ্র অক্ষরে সমগ্র কোরান লেখা ; অথচ সাধারণ চক্ষে পড়া যায় ! আর দুই থানি ঐতিহাসিক গ্রন্থ আকবর বাদশাহের আরবী প্রার্থনা-পুস্তক, এবং ফারসীতে লিখিত “ীশূর কাহিনী” ( দাস্তান-ই-মসিহ ) শেষ পুথি খানির ভূমিকায় লেখা আছে যে বাদশাহ খৃষ্টধর্মের সারমর্ম জানিতে ইচ্ছা প্রকাশ করায় ক্যাথলিক পাদ্রী জেরো (অথবা জব্ধ) এবং হম্মু শুটর খৃষ্টান, এই দুই জন বাইবেল হইতে সংক্ষিপ্ত অনুবাদ করিয়া এই ফার্সী বহি রচিয়া বাদশাহকে উপহার দেন ; গ্ৰন্থখানি আকবরের মৃত্যুর একবৎসর পূৰ্ব্বে, ১৬• ৪ খৃষ্টাব্দে, লেখা । - গত দিল্লী দরবার হইতে ফিরিয়া লর্ড কার্জন প্রথমেই বঁকিপুরে আসেন। তখনও তাহার মনে মোঘল বাদশাহগণের গৌরবচিহ্ন জাগিয়া ছিল। খুদ্রাবক্স লাইব্রেরীতে প্রবেশ করিয়া তিনি দিল্লীর দিউয়ান-ই-খাসের সোণায় লিখিত পদ্যটি আবৃত্তি করিলেন – আগর ফির্দেীস বররু-এ-জমীনস্ত। হমিনস্ত ও হমিনস্ত ও হমিনস্ত ॥ 8 ತ] . →E=মুখী করিয়া থাকিতে পারি, পরলোকেও তিনি শুধু অন্তরের ম৷ ৷ ৩২৭ ......-- പ്-- দয়াঠাকুরাণীর নিন্দ প্রত্যেক চণ্ডীমণ্ডপে স্বানের স্বাটে বিঘোষিত হইতে লাগিল। দয়াঠাকুরাণী শুনিতে লাগিলেন কিন্তু কিঞ্চিত্মাত্রও দমিলেন না। নিন্দ কুৎসা গায়ে ন। মাধিবার মত তাহার চরিত্র স্বাধীন ও বলশালী ছিল। গ্রামে তাহার আত্মীরেরও অভাব ছিল না। যাহার সকলের নগণ্য, যাহারা সকলের হেয়, যাহারা উপেক্ষিত, তাহারাই ছিল দয়া দেবীর আপনার জন। তিনি হাড়ি ডোম ছলে বাগদি প্রভৃতি অস্পৃশু জাতির বাড়ী মাঝে মাঝে বেড়াইতে যাইতেন। তাহদের নোংরা ছেলে মেয়েদের ছুইয়া আদর করিতেন, কাহারে পীড়া इंद्र उtश्tत्र প্তাহার বহু মলিন শয্যার এক পার্থে বসিয়া তাহার সেবা করিতেন, লইয়া বাড়ী ফিরিয়া স্নান করিতেন না, অবস্থা বিশেষে শুধু হাত পা ধুইয়া, খুব বেশি, ত কাপড়খান ছাড়িয়াই তিনি আপনাকে শুচি বোধ করিতেন, একটু গঙ্গাজল পৰ্যন্ত অকস্মাৎ আপনার গৃহের গৃহিণী ও বিষয় আশয়ের কী স্পর্শ করা আবশ্যক বোধ না । 蠶 * স্ট্র কিছু স্বাধীন হইয়া পড়িলেন। তাহার জ্ঞাতি ভাস্কর পক্ষে একটু গঙ্গাজল স্পর্শ করিতে বলিলে ... রামরাম চক্ৰবৰ্ত্তী যখন অকস্মাৎ ভ্রাতৃবিয়োগে ব্যথিত হইয়া করিতেন, “এক বড় পুকুর জলে नि बोबि ७ হয়ে .--~~ भ४९ ধরাতলে যদি কোথা স্বর্গলোক থাকে। এই তাহ, এই তাহ, এই তাহ বটে। স্থা খুদ্রাবক্স-পুস্তকালয়ের প্রকৃত বর্ণনা। ঐযদুনাথ সরকার, পাটনা কলেজের অধ্যাপক । মা । > যুৎচরের চক্রবর্তীদের বধু দয়াঠাকুরাণী যখন মনত ও ব্রতসাধনার ফল একমাত্র পুত্র ষষ্ঠীচরণকে বিধবা হইলেন, তখন ষষ্ঠীচরণের বয়স মাত্র তিন বৎসর, দয়া}রাণীর বয়স তখন ত্রিশ উত্তীর্ণ হইয়া গিয়াছে। তিনি

  • তার বিষয় তত্ত্বাবধানের ভার স্বতঃপ্রবৃত্ত হইয়া থাকি, এক ফোটা গঙ্গাজলে আর আমায় বেশি . শুচি

বহন করিতে স্বীকৃত হইলেন, তখন দয়tঠাকুরাণী তাহার করবে ?” .. পল্লী-বিধবাগণ অবাক হইয়া শুধু রব্রতে কিছুমাত্র উৎসাহ না দিয়া বলিলেন, মুখ চাওয়াচাওীয় কারত । ... ... হবে না, ষষ্ঠীচরণ যতদিন দয়া দেবীর অনাচারের জন্ত যখন . . না মানুষ হয়, ততদিন আমিই কোনো মতে চালিয়ে যেতে সমাজের নরনারী বিমুখ হইয় তাহার ম্লেচ্ছ-সংস পনাকে পারব।” রামরাম চক্রবর্তী নাসিক কুঞ্চিত করিয়া সাহ- করিল তখনো তিনি ভীত হইলেন না, অথবা ವ್ಲಿ সিকা রমণীর নিন্দ প্রচারে বদ্ধপরিকর হইয় গেলেন। নিঃসঙ্গ বোধ করিলেন ཤ། । সকল দরিদ্র, T . কুলপুরোহিত সৰ্ব্বেশ্বর ভট্টাচাৰ্য্য আসিয়া বছিলেন, “বোম, সকল উপেক্ষিত নরনারী তথন তাহার , এবং ভগবানের আশীৰ্ব্বাদে তোমার তা কিছুরই অপ্রতুল নাই, তাহার প্রেমবদ্ধ অনুচর সেবক অগণ্য। ভূমি স্বামীর প্রত্যর্থে সাবিত্রীব্রত ও পুত্রের কল্যাণার্থে দুলে বাগদির ছেলের পর কোনো s. - | কুকুটৰত অনুষ্ঠান কর।” দাঠাকুরাণী বিনম্ৰ বচনে রমণীকে দেখিয়া "ওরে বামনী আসছে, পথ ছেড়ে দাড়া বলিয়া স্নান কুষ্ঠিত মুখে অপথে গিয়া দাড়ায় ; স্নানের সময় পাছে গায়ে জলের ছিটা লাগে বলিয়া নিতান্ত সঙ্কোচভরে ভক্তি পাইয়াই তৃপ্ত হইবেন, প্রেমের নিষ্ঠাই আমার শ্ৰেষ্ঠ স্নান করে ༔ སྨ། ། দয়া দেবীকে দেখিয়া . . 驚 | ব্ৰত। আর পুত্রের মঙ্গলের জন্ত মার ব্যগ্র প্রাণ মাছ হাসিয়া নাচিয়া উৎফুল্ল : ; শিশুহৃদয় স ধীনতার * করিবে তাহ শাস্ত্রাচার অপেক্ষ ঢের শ্রেষ্ঠ !” ভট্টাচাৰ্য্য মধ্যে কেবল একজনের কাছে নে পরিচয়, স্বাধ རྒན་ মহাশয় বার্থমনোরথ হইয়া ক্ষুঃমনে চলিয়া গেলেন। রূপণ সংবাদ পাইয়া কৃতাৰ্থ হয়। অস্ত্যন্থ পুরুষের স্বয়া দেব i" নিকট প্তাহার প্রাপ্তির আশা আর রছিল না। অভিলাষমাত্র তাহার কৰ্ম্ম সম্পাদন করিয়া আপনাদিগকে লিলেন, “স্বামীকে বদি র্তাহার জীবদ্দশায় শুধু প্রতি দিয়া