পাতা:প্রবাসী (অষ্টম ভাগ).pdf/১৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S88 তাহার পর একদিন ধূমপালিসভায় হকার প্রতিষ্ঠা হইল। চন্দনচর্চিত পুষ্পমালো মুশোভিত করিয়া হুকার সম্মুখে নতজান্ত হইয়া বসিয়া হকা-শাস্ত্র খুলিয়া সকল সভ্য হকাস্তোত্র পাঠ করিলেন—“হে ছক্কে ! হে ধূমপান্ত্রিসভাসভ্যজনদুঃখহারিণি ! হে কুণ্ডলীকৃত মরাশিসমুদগারিণি ! তোমাকে বারম্বার নমস্কার করি, তুমি আমাদিগের প্রতি সদা প্রসন্ন থাক। হে বিশ্বরমে ! তুমি বিশ্বজনশ্রমহরিণী, অলসজনপ্রতিপালিনী, ভাৰ্য্যাভৎসিঁতচিত্তবিকারবিনাশিনী ; মূঢ় আমরা তোমার মহিমা কেমনে বর্ণিব ? তুমি শোকপ্রাপ্ত জনকে প্রবোধ দাও, ভয়প্রাপ্ত জনকে ভরসা দাও, বুদ্ধিভ্রষ্ট জনকে বুদ্ধি দাও, কোপযুক্ত জনকে শাস্তি প্রদান কর। হে বরদে! হে সৰ্ব্বমুখপ্রদায়িনি! তুমি আমাদের ঘরে অক্ষয় হইয়া বিরাজ কর, তোমার যশ:সৌরভ স্বৰ্য্যকিরণের স্থায় ছড়াইয় পড়ক, তোমার গর্ভস্থ জলকল্লোল মেঘগর্জনবৎ ধ্বনিত হইতে থাকুক, তোমার মুখ ছিদ্রের সহিত আমাদের অধরেীষ্ঠের যেন তিলেক বিচ্ছেদ না হয়। স্বস্তি স্বস্তি স্বস্তি!” ইতি হুকার জন্ম-কথা সমাপ্ত * ফল-কথা । এই হুকার জন্মকথা যিনি নিত্য সাগ্রহে ও অবহিতচিত্তে শ্রবণ করেন তাহার অক্ষয় ধূম্রলোকবাস হয়। যিনি একবার মাত্র শ্রবণ করেন তাহার পুণ্যের ইয়ত্ত থাকে না। যিনি ধূমপান করেন দেবী ধূমাবতী ও অস্করশ্রেষ্ঠ ধূম্ৰলোচন সকল বিপদে তাহার সহায় হন ; তাহার বুদ্ধির জড়তা থাকে না, মাগা বেশ পরিষ্কার হইয়া উঠে, কল্পনা অতীব প্রতিভাশালী হয়,তিনি সম্ভব অসম্ভব গুলিখোরোচিত - নানা গল্প গুজবের স্বষ্টি করিতে পারেন, দেবাদিদেব মহাদেব তাহার প্রতি সদা প্রসন্ন থাকেন, দেহাস্তে র্তাহার কৈলাসবাস হয়। যিনি ছকার নিন্দ করেন তাহাকে জন্মান্তরে শৃগালদেহধারণ করিয়া কেবল “হুঙ্কা হুয়া” রব করিতে হয় । - শ্ৰীমণিলাল গঙ্গোপাধ্যায়। _ল হকার স্বল্প হওয়ার স্ত্ৰলোকে ধূমপান অত্যন্ত বৃদ্ধি পাইয়াছে, এইরূপ সংৰাজ পাওয়া গিয়াছে। সেই জন্ত তামাক সাজিবার নিমিত্ত, - একদল ভূত্যের প্রয়োজন হওয়ায় ধূম্রলোকবাসীর মর্ত্যলোকে সিগারেট ও ৰিড়ি পাঠাইয়াছেন —বালকের সিগারেট ও বিড়ি খাইয় অকালে মৰ্ত্তদেহ ত্যাগ করিয়৷ ধূম্রলোকে গিয়া তামাক সাজিবে, এই উদেহু। প্রবাসী। [ ৮ম ভাগ। শিল্প-সমিতির প্রবন্ধাবলী। তুলা । প্রাচীন ভারতে তুলার চাষ ও ব্যবহার সম্বন্ধে কিরূপ ব্যবস্থা ও অভিজ্ঞতা ছিল তাহা গত বৎসর ঢাকার মসলিন প্রবন্ধে বিস্তৃতভাবে আমরা দেখাইয়াছি। তথাপি আমরা বর্তমানে যে সকল প্রবন্ধ অবলম্বন করিয়া এই প্রবন্ধ সঙ্কলন করিতেছি, তাহাদের অন্যতম প্রবন্ধের লেখক গ্যাদি সাহেবের মত আমরা উদ্ধত করিয়া ভারতে তুলার প্রাচীন দেখাইব । মনুসংহিতায় তুলার প্রথম উল্লেথ দেখা গেলেও তৎ পূৰ্ব্বেও যে তুলা ভারতে ছিল না তাহা মনে করিবার কোনো কারণ নাই। হেরোডোটস ও থিয়োফ্রেষ্টাস ভারতে তুলার গাছ দেখিয়াছিলেন। খৃষ্টীয় প্রথম শতাব্দীতে প্রাচুর্ভত এরিয়ানের সময়ে তুলা বিদেশীয় বাণিজ্যের প্রধান পণ্য ছিল। আরবেরা ইহা আমদানি করিত। ভারত হইতে তুলার চাষ দক্ষিণ যুরোপে বিস্তৃত হয়। চীনদেশে ত্রয়োদশ শতাব্দীর পর খুব সম্ভব ভারত হইতেই তুলার চা প্ৰবৰ্ত্তিত হয়। ক্রমশ বস্ত্রবয়ন-প্রণালীও ভারত হইতে বিস্তৃত হইয়া সপ্তদশ শতাব্দীতে ইংলণ্ডে পরিজ্ঞাত হয়। গত শতাব্দীর প্রারম্ভে আমেরিক তুলা মৰ্য্যাদায় শ্রেষ্ঠ হইয়া উঠিলে ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানি ভারতীয় তুলার উৎকর্ষ সাধনের জন্ত পরীক্ষা আরম্ভ করেন। ভড়োঁচ অঞ্চলের ভালো তুলা প্রায় আমেরিকার তুলা সমান। কিন্তু ভারতের পরিবর্তনশীল আবহ-অবস্থায় তুলা বেশ পরিষ্কার করিয়া তুলা যায় না ; তুলা তুলিতে ভারতে । শতকরা ২২ হইতে ৭ ভাগ পৰ্য্যন্ত খারাপ হয় ; আর আমেরিকায় মাত্র ২ ভাগ নষ্ট যায়। ভারতীয় তুলার আঁশ বীজে দৃঢ় সন্নদ্ধ থাকে ; এজন্থ মিশরী বা মার্কিনী তুলা অপেক্ষ ভারতীয় তুলা ধুনিবার সময় অধিক নষ্ট হয়। ভারত-উৎপন্ন তুলা গুণানুক্রমে নিম্নে লিখিত হইল :হিঙ্গনঘাট (মধ্যপ্রদেশ, ) ভড়েীচ (গুজরাট, ) ধুলি, ভাওনগর (গুজরাট,) অমরাবতী, কামত, ধারওয়ার, সিন্ধু, | \ ৬ষ্ঠ সংখ্যা । ] শোলাপুর ও উত্তর মন্দ্রিাজ) সালেম, কোকনাদ, তিনেডিী প্রভৃতি। ভারতোৎপন্ন তুলার উৎকর্ষ সাধনের জন্য শ্রেষ্ঠ মিশরী ও মার্কিনী তুলা এ দেশে উৎপন্ন করিবার চেষ্টা যথেষ্ট সফলতা লাভ করে নাই। সযত্ন নির্বাচন দ্বারা উত্তম,তুলার রূপবৃদ্ধি এদেশে অসম্ভব নহে, তবে তৎপক্ষে চাষী ও शोभाशै डेउम्ब्रज्ञहे जउड ९ “ हे थाका श्रादथ्रक। নীরা ক্রমশ ভালো বীজের পক্ষপাতী হইয়া তল্লাভে সচেষ্ট হইতেছে। বিশেষজ্ঞেরা বলেন তুলা চাষের যন্ত্রাদি যাহা এখন ব্যবহৃত হইতেছে তাহ নিতান্তই অনুপযোগী নহে, কেবল তি প্রক্রিয়াই উত্তম তুলা উৎপাদনের অন্তরায়। তুলা উৎপাদনের পক্ষে কালো মাটি খুব উপযোগী। লালমাটি কদাচ ব্যবহৃত হয়। কালো মাটির স্তর গভীর ও খুব আঠালো হয়, এজন্ত তাহা অনেকক্ষণ ভিজা থাকিতে পারে। - গুজরাট, খাদেশ, বেরার ও দক্ষিণ মহারাষ্ট্র দেশে আমেরিক ধরণে সারি বাধিয়া সমান্তরে তুলার গাছ লাগানো হয়। মাম্রাজ প্রভৃতি অন্যান্ত প্রদেশে বীজ যথেচ্ছ ছড়াইয় ফেলা হয়। প্রথমোক্ত প্রথায় জমি নিড়ানো যথেষ্ট সুবিধায় ও সস্তায় হয়, চারাগুলিও বেশ ভালো হয় । তুলা ফসলের শেষ অবস্থায় ক্ষেত্রে জল লেচন ফসলের ক্ষতিজনক এবং তুলার আঁশ তাহাতে কম মজবুত হয়। জমির উৰ্ব্বরত রক্ষার জন্ত কাহার পর কি ফসল উৎপন্ন করা উচিত তাহ ভারতীয় চাষ খুব ভালোই জানে। এক্ষণে শ্রেষ্ঠতা নির্বাচন ও শাস্কর্য সাধন দ্বারা তুলার উৎকর্ষবিধান করিতে হইবে । বেরারের প্রাচীন নাম বিদর্ভ। ইহা চিরদিনই তুলার চাষের জন্য বিখ্যাত। মধ্যপ্রদেশ ও বেরারে ১৯০৭ সালে t৮২১০৪১ একর জমিতে তুলার চাষ হইয়াছিল। চালের চাষ অপেক্ষাও তুলার চাষ প্রসার লাভ করিয়াছে। বর্ষার স্বল্পত হেতু অন্যান্ত ফসল অপেক্ষা তুলা অধিক উৎপন্ন হয়; এই জন্য চাষার সকল ফসল ছাড়িয়া তুলাকে আশ্রয় कब्लिग्न मध्झण श्हेप्७८छ् । বাঙ্গাল (মধ্যভারত, পঞ্জাব, যুক্তপ্রদেশ) পশ্চিম বাঙ্গাল । ( যুক্তপ্রদেশ) | এই প্রদেশের কালো মাটির স্তর ২ হইতে ১২ ফুট তুলার চাষ। Sogo পর্যন্ত গভীর। বর্ষার অল্পতা তুলার পক্ষে উপকারী। किरु नरनषद्र मान श्हेरठहे छभि कॉप्लिष्ठ श्रीब्रड कप्त्र এবং বর্ষার জল সেই ফাটার চুকিয়া অনেক চারার শিকড় আলগা করিয়া দেয়। ইহা নিবারণের জন্ত চারাতে ফুল হওয়া পর্যন্ত জমিতে ঘন ঘন পাইট করিতে হয়। ইহাতে জমির উপরিতল সমান হইয়া আন্তরবঙ্গ রক্ষা করে, জমি আর ফাটে না। তুলা প্রায় পাচ মাসে পাকে। মধ্যপ্রদেশের প্রধান তুলা জরি ( কাটি বিলাতী ) ও বানী ( হিন্দনঘাট বা ঘাটকাপাস)। জরি তুলার আদর ইংলণ্ডে নাই। ইহার স্ত্রাশ মোট ও ছোট । ইহা জাপান ও জৰ্ম্মানীতে রপ্তানি হয়, এবং মোট পশমী বস্ত্ৰ তৈয়ারী করিতে পশমের সহিত ভেজাল দেওয়া হয়। ইহার আঁশ শক্ত বলিয়া আবহ পরিবর্তনে ইহার কোনো ক্ষতি হয় না। কিন্তু গত শতাব্দীতে যখন ইংলণ্ড আমেরিকা হইতে তুলা পাইত না, তখন এই তুলাই ইংলণ্ডকে রক্ষা করিত। বানী তুলার আঁশ লম্ব ও রেশম চিক্ষণ। জরির আঁশ ইঞ্চি, বানীর আঁশ ১ ইঞ্চি লম্বা হয়। বানী তুলায় বচিও কম থাকে। জরি হইতে ১০ নম্বর স্থতা ও বানী হইতে ৪ নম্বর স্বত হয়। কিন্তু তথাপি জরি ক্রমশঃ বানীকে বিতাড়িত করিতেছে। বানীর দাম জরি অপেক্ষা দুই তিন টাকা বেশি হইলেও জরি অধিক উৎপন্ন হয় ; এই জন্ত বানীর আদর ক্রমশই কমিয়া যাইতেছে। এতদ্ভিন্ন একজাতীয় মার্কিনী তুল উৎপন্ন হয়। তাহাও প্রায় বানীর মত। তাহা হইতে ৪০ নম্বর স্বতা তৈয়ারি হয়। অন্যান্ত বিদেশীয় তুলার ফসল এ দেশে ভালো হয় না। বুড়ি নামক একপ্রকার বিদেশী ভূল সাঁওতাল পরগণা হইতে লইয়া গিয়া পরীক্ষা করা হইতেছে। ইহা মধ্য- , প্রদেশের উপযোগী। যে ওজনের জরির দাম ৯-২, বানীর प्रांभ ১৩. সেই ওজনের বুড়ির দাম ১৫-২ টাকা। दृस्त्रि হইতে চল্লিশের স্থত হইতে পারে। তুলার উৎকর্ষ সাধনের জন্য নিম্নলিখিত কয়েকটি উপায় আমুক্ত হইতে পারে ;–(১) বীজ নির্বাচন, ইহার জন্ত মারোগ মুস্থ সবল শ্রেষ্ঠ চারার বীজ সংগ্রহ। (২) শাস্কৰ্য্যবিধান, এ সম্বন্ধে বিস্তৃত বিবরণের জন্ত গত বৎসরের প্রবাসী দ্রষ্টব্য। (৩) সার নির্বাচন। বর্তমানে গোবর