পাতা:প্রবাসী (অষ্টম ভাগ).pdf/২১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- "לף (א প্রবাসী । * - [ ৮ম ভাগ । MMMMMMMMMS MMMMMM MMMMMMMMMMeMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMeeeMMM MMMMMMMM MMMMMMM MMMMMMMMAMMMBS provinces; and thereby, with having wasted the country, ruined the landed interest, cruelly harassed the peasants, burnt their houses, seized their crops, tortured and degraded their persons, and destroyed the honour of the whole female race of that country. —E. Burke. দেৰী সিংহের ইজারা লইবার পূৰ্ব্ব হইতেই দিনাজপুর, রঙ্গপুর প্রভৃতির আর সে পূৰ্ব্ব সমৃদ্ধি ছিল না। জমীদারগণ সেই সময়েই সরকারী রাজস্ব সম্পূর্ণরূপে পরিশোধ করিতে পারে নাই। দেবী সিংহ আসিয়াই তাহাদিগের নিকট বুদ্ধি জমা চাহিলেন । একে ছিয়াত্তরের মন্বন্তরে লোকক্ষয়ের সঙ্গে সঙ্গে অায়ক্ষয়, তাহার পর আবার পাচশালা বন্দোবস্ত কালে বৃদ্ধি জমায় জমী গ্রহণ! জমীদারগণ দেবী সিংহের আদেশ প্রতিপালন করিতে পারিলেন না। দেবী কালবিলম্ব না করিয়া তাহাদিগকে কারাগারে নিক্ষিপ্ত করিলেন। নিরপরাধ জমীদারগণ লৌহশৃঙ্খলে আবদ্ধ হইয়া সে কালের ছাদহীন কারাগৃহে অতি কষ্টে কালযাপন করিতে লাগিলেন। যাহারা ইস্তফা দিতে চাহিলেন, বাকি রাজস্বের জন্য র্তাহাদিগকেও কারারুদ্ধ হইতে হইল। যখন যন্ত্রণা অসহ্য হইল, তখন তাহারা নিরূপায় হইয়া বৃদ্ধি হারে কবুলিয়ত দিতে সন্মত হইলেন—কোন প্রকারে জীবন রক্ষা হইল ! জমীদারদিগকে একবার আত্মবশে লষ্টয়াই রাজা দেবী সিংহ নূতন নূতন কর ধাৰ্য্য করিতে লাগিলেন। ভূস্বামীদিগের যথা সৰ্ব্বস্ব সেই দায়ে বিকাইতে লাগিল! দেবী সিংহ সেই সকল সম্পত্তির মূল্য হ্রাস করিয়া দিয়া নিজেই সমুদয় ক্রয় করিয়া লইলেন ! ইহাতেও জমাদারদিগের ঋণ শোধ গেল না। সুতরাং স্থাবরের সঙ্গে সঙ্গে অস্থাবর দ্রব্যাদিও “বিক্রীত হইয়া গেল। রমণী ভূস্বামিনীদিগের গৃহের চতুর্দিকে সশস্ত্র সৈনিক প্রভুরা প্রহরীকার্য্যে নিযুক্ত হইয়া পলায়নের পথ রুদ্ধ করিয়া দিল। তখন নারী পেয়াদাগণ অন্তঃপুর মধ্যে প্রবেশ করিয়া যাহা পাইল তাহাই লষ্টতে লাগিল। তখন পর্য্যন্তও দেবী সিংহ রমণীর সন্মান রক্ষা করিয়াছিলেন। দেবী সিংহ কৰ্ম্মোপলক্ষে দিনাজপুরেই থাকিতেন। . তাহার কৰ্ম্মচারী কৃষ্ণপ্রসাদ রাজস্ব আদায়ের জন্ত রঙ্গপুরে যাইর উপস্থিত হইলেন। কোন কোন জমাদার দেবী সিংহের নিকট আবেদন জানাইবার মানসে দিনাজপুর বাজ৷ করিয়াছিলেন। দেবী সিংহ সেই কথা শুনিয়া কৃষ্ণ প্রসাদের অক্ষমতা দর্শনে তাহার স্থানে হররামকে প্রেরণ করিলেন ও সেই সঙ্গে আবেদনকার করুণাপ্রাণী ভূস্বামি গণও বন্দিরূপে রঙ্গপুরে প্রেরিত হইলেন! শৃঙ্খলাবদ্ধ জমীদারগণ তখন হররামের বেত্রাঘাতে জর্জরিত হইতে লাগিলেন । দেশের জমাদারদিগেরই যখন এইরূপ অবস্থা হইয়াছিল, তখন রামধন, মবারক ও জবান অস্কন্দের অবস্থা সহজেই অনুমেয়। দেবী সিংহ নিজেই একবার বলিয়াছিলেন"এ দেশের সকল স্থান অপেক্ষ রঙ্গপুরের কৃষকগণই নিতান্ত দরিদ্র। ফসলের সময় ভিন্ন অন্ত সময়ে তাহাদিগের কপর্দকও থাকে না। কয়েক খানি মৃন্ময় তৈজস ও খড়ের ভগ্ন জী{ কুটার ভিন্ন কৃষকদিগের আর কিছুই নাই!” অথচ দেখিতে পাওয়া যায়, এই প্রকার ধনাঢ্যদিগের নিকট হইতেই ইজারাদারের নিজ লুভ্যাংশ এবং বৃদ্ধি জমা ছাড়াও হেক্ট" সাহেবের চারি লক্ষ মুদ্রা উৎকোচ আদায় করা হইয়াছিল! যতই অর্থের অভাব হইতে লাগিল দেবী সিংহের ੇ - ততই চতুর্দিকে রাক্ষসের মত ছুটয়া দরিদ্র নির হতভাগ কৃষকদিগকে বন্ধন করতঃ ছলে, বলে ও কৌশলে বৃদ্ধি জমা কবুলিয়ত আদায় করিয়া লইতে লাগিল। তাহারা তখন ঋণগ্রহণ করিতে আরম্ভ করিল। উত্তমণগণ এই সুযোগ কৃষকদিগের সৰ্ব্বনাশ করিয়া নিজেদের অর্থলালসা পূর্ণ করিতে আরম্ভ করিল। হেষ্টিংস সাহেবের প্রাপ্য উৎকোচ এবং পেষকস্ পরিশোধ করিবার জন্য হতভাগ্য অন্নহীন দীন দরিদ্রগণ শতকরা কত হারে মুদ দিয়া ঋণ গ্রহণ করিয়া ল ? পাচ, দশ, কুড়ি, চল্লিশ মুদ্রা ? ইহার অধিক আর ল্পনায় আইসে না। কিন্তু দেবী সিংহের কালে কল্পনা। রাজিত হইয়া পলায়ন করিয়াছিল। শতকরা ছয় শস্ত মুদ্রা মুদে যে দেশের কৃষকগণ ঋণ গ্রহণ পুৰ্ব্বক কোম্পানী রাজস্ব পরিশোধ করিতে বাধ্য হইয়াছিল, সে দেশ বিধাতার অভিসম্পাতে ভস্মসাৎ হয় নাই কেন তাহাই বিস্ময়ের বিষয়।

  • And what were the terms these poor people were obliged to consent to to answer the bribes and peshkush

t | রামধন ও মবারক কারাগারে গেল-দেবী সিংহের দূতেরা তাহাদিগের যথাসৰ্ব্বস্ব বিক্রয় করিয়া ফেলিল— দুৰ্ব্বংসরের জন্য সঞ্চিত ধান্ত পর্য্যন্তও রাখিল না! এত করিয়াও দেবী সিংহের আশা মিটিল না। তিনি প্রতিদিন যতই বিফল মনোরথ হইতে লাগিলেন ততই তাহার ক্রোধ বৃদ্ধি পাইতে লাগিল। তিনি মনে করিলেন গৃহস্থগণ কোন গুপ্ত স্থানে অর্থ লুকাইয়া রাখিয়া তাহাকে ফাকি দিতেছে। তাই তাহার আদেশে গৃহস্থদিগের শূন্ত গুহ পৰ্য্যন্ত পুড়িয়া ছাই হইয়া গেল। তাহারা তখন কারাগারে। গৃহ গেল, তৈজসাদি গেল, শস্ত গেল, পখাদি গেল—যখন সমস্তই গেল তখন রহিল শুধু তাহাদিগের শক্তিহীন দেহ ও অন্নহীন পরিবার-পরিজন । রাজকর দিতেই হইবে—তাহাতে ক্ষমা নাই, কৃপা নাই, মুক্তি নাই ! অবশেষে পিতা পুত্রকে বিক্রয় করিয়া—স্বামী স্ত্রীকে বিক্রয় করিয়া সেই অর্থে রাজস্ব এবং উৎকোচ পরিশোধ করিতে গল! হেষ্টিংস সাহেবের অত্যাচারে পিতা-পুত্র, ভ্রাতাগনী, পতি-পত্নী প্রভৃতি স্নেহের সম্বন্ধগুলি লুপ্ত হইয়া গেল-রঙ্গপুরে আর স্নেহ মমতা কিছুষ্ট রহিল ন!• দেবী সিংহ মনে করিলেন এখনো হয় নাই—আর একটু অধিক শাস্তি না দিলে অর্থ আদায় হইবে না, গুপ্ত শস্ত্যাদিও পাওয়া যাইবে না।” কিন্তু তখন কেবল অবশিষ্ট ছিল বেত্ৰাঘাত-বিক্ষত কারাক্লিষ্ট অৰ্দ্ধজীবিত দেহ। হতভাগ্য ৭ম সংখ্যা । ] ാ | ধন ও মবারক সেই দেহ রক্ষার জন্যই গ্রাম পরিত্যাগ পূৰ্ব্বক পলায়ন করিতে চাহিল—কিন্তু তাহার উপায় ছিল না, পথে পথে সৈনিকের ঘাট বসিয়াছিল। দেবী সিংহ সেই সকল সৈনিকদিগের বেতন দিতেন না—রামধন ও মবারক নিজেদের চরণশৃঙ্খলের মূল্য প্রদান করিতে বাধ্য লৈ—সেই নবীন আবওয়াব "চৌকীবল্লী” নামে পরিচিত থাকিয়া আজিও দেবী সিংহের অত্যাচার কাহিনী কহিতে ছে! কারাগার, গৃহদাহ, ভয়প্রদর্শন প্রভৃতি যখন ব্যর্থ SSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSS päid to Mr. Hastings five, ten, twenty, forty per cent? No! at an interest of six hundred per cent per annum, payable by the day !—E. Burke.

  • The tyranny of Mr. Hastings extinguished every sentiment of father, son, brother and husband

—E. Burke. রাজা দেবী সিংহ। ՏԳՏ વિશે সিংহের ੱਚ ੋ হইয়া গেল—তখন চাহিল-দরিদ্র, নিরন্ন, সহায়-সম্বলবিহীন কাঙ্গালের রক্ত চাহিল! তিনি জানিতেন যে হেষ্টিংসের প্রাপ্য কড়ায়-গণ্ডায় পরিশোধ করিতেই হইবে-হেষ্টিংস বিলম্ব মানিবেন না, কপর্দক কমও লইবেন না। দেী-দূত তখন রামধন, মবারক ও জবান অস্কন্দদিগকে ধৃত করিয়া তাহাদিগের হস্তের অঙ্গুলীগুলি কঠিন পেষণে বন্ধন করিল। সে বজ্রবন্ধনে একটা অঙ্গুলী অপরটর সহিত যেন মিলিয়া মিশিয় এক হইয়া গেল। দুৰ্ব্বত্তগণ তখন সেই নিস্পিষ্ট অজুলীগুলির মধ্যে সুতীক্ষু লৌহশলাকা প্রবিষ্ট করাইবার জন্য শলাকাশিরে মুদগর প্রহার করিতে লাগিল ! হৃদয়বিদারক করুণ আৰ্ত্তনাদে দিল্পগুল পরিপূর্ণ হইয়া উঠিল। হায়, দুরন্ত দেবী সিংহের হৃদয় তাহাতে গলিল না। আঘাতের পর আঘাতে সেই লৌহ শলাকা দৃঢ়বদ্ধ অঙ্গুলীগুলি ভাঙ্গিয়া ছিড়িয়া প্রবেশ করিতে লাগিল—রামধন ও মবারকের হস্ত চূর্ণ বিচূর্ণ হইয় অত্যাচারকারীদিগের পদতলে পতিত হইল। যে ক্ষীণ হস্ত হয়ত একবেল ভিন্ন অনেক দিন দুই বেলা অন্ন তুলিয়া মুখে দিতে পারে নাই—যে বাহুর বলে ধরণীবক্ষ হইতে স্বর্ণরাশি উত্থিত হইয়া পঞ্চদশ বর্ষ পৰ্য্যন্ত কোম্পানী বাহাদুরের চীন বাণিজ্যের অর্থ যোগাইয়াছিল—যে অর্থ প্রতি বৎসর বিলাতে যাইয়া লর্ড দিগের “ডিনার” সজ্জিত করিত, লণ্ডনের শোভা বৰ্দ্ধন করিত— । সেই বাহু এখন চূর্ণ-বিচূর্ণ হইয় গেল। সম্পন্ন এবং প্রধান গৃহস্থগণ, গ্রামের দলপতিগণ কৃষকগণ তখন পদে পদে সম্বদ্ধ হইয়া যুগলে যুগলে আনীত হইতে লাগিল। একখানি কাষ্ঠের উপর তাহাদিগকে অবনত শিরে স্থাপন করিয়া নৃশংসগণ পদতলে বেত্ৰাঘাত করিতে আরম্ভ করিল। সেই নিদারুণ আঘাতে যতক্ষণ পাদাঙ্গুলী হইতে নখ খসিয়া না পড়িল, ততক্ষণ সে আঘাতের বিরাম ছিল না। যখন নথ খসিয়া গেল—যখন রুধির স্রোতঃ ছুটিল, তখন সেই যমদণ্ড আবার ভীমবেগে তাহাদিগের অবনত-শিরে পতিত হইতে লাগিল! দেখিতে দেখিতে নয়নে, বদনে, নাসিকায় রক্ত-নদী বহিল। সেই সুতপ্ত-তরল শোণিতে আপন আপন পাদমূল রঞ্জিত করিয়া সয়তানের অনুচরগণহতভাগ্যদিগকে কারামধ্যে নিক্ষেপ করিল !