পাতা:প্রবাসী (অষ্টম ভাগ).pdf/২৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8२७ (৮)—“শাস্ত্রোক্ত বিধানানুসারে বৎসরান্তে রাজা প্রজাবর্গের নিকট হইতে বিশ্বস্ত কৰ্ম্মচারী দ্বারা কর সংগ্ৰহ করিবেন। অধীনস্থ সমস্ত প্রজাবর্গের উপর পিতৃবং ব্যবহার করিবেন।” যে যুগে, রাজা ও ক্ষত্রিয়বর্গকে এই সকল উপদেশ প্রদত্ত হইয়াছে, পণ্ডিতবর Deguigne সেই যুগকে, “বৰ্ব্বর ও দস্থ্যর যুগ” বলিয়া কি না অভিহিত করিয়াছেন। (৯)— “পরস্পর যুদ্ধকালে কুটাক্স অর্থাৎ গুপ্ত বিষাক্ত বাণ, কর্ণ্যাকার ফলকযুক্ত বাণ অগ্নিপ্রদীপ্তাস্ত কাহাকেও প্রহার করা বিধেয় নহে।” (৯১)—“রথ পরিত্যাগ পূর্বক স্থলারূঢ়, নপুংসক, প্রাণভয়ে কৃতাঞ্জলি, মুক্তকেশে পলায়মান, যুদ্ধে নিবৃত্ত হইয়া আসনোপবিষ্ট, অথবা যে "আমি তোমার’ এই কথা বলে—এরূপ শক্ৰ কদাপি বধ্য নহে।” (৯২–“বৰ্ম্মহীন, নিরস্ত্র, নিদ্রিত, উলঙ্গ, যুদ্ধবিমুখ, কেবলমাত্র দর্শনার্থ সমাগত এবং অন্যের সহিত যুদ্ধে আসক্ত— এ কয়েক ব্যক্তিও যোদ্ধার অবধ্য।” (৯৩১–“ভগ্নাক্স, পুত্ৰশোকে কাতর, শক্রবাণে জর্জর কলেবর, যুদ্ধভয়ে ভৗত এবং রণপরায়ুথ-ইহারা সদাশয় রাজার নিতান্ত अंयथा ।” আমরা বিশ্বমানবের উচ্ছেদকল্পে যতপ্রকার ভীষণ সাংঘাতিক উপায় আবিষ্কার করিতে পারি, আমাদের বিস্তাবুদ্ধির সমস্ত উপ্তম সেইদিকেই উন্মুখ হইয় আছে,--সেই আমরা কি সরল-অন্ত:করণে বলিতে পারি, আমাদের যুগের সভ্যতা, পুরাতন সভ্যতা অপেক্ষ উৎকৃষ্ট ? শেষাশেষি যে সব যুরোপীয় যুদ্ধ হইয়াছিল সেই সব যুদ্ধ— রুসসৈন্ত ধ্বংস করিবার জন্য প্রথম নেপোলিয়ান যখন বরফের উপর দিয়া কামান টানিয়া লইয়া যান সেই সময়ের যুদ্ধ, স্পেনের ‘গেরিলা’-যুদ্ধ, তুর্ক-রুসের যুদ্ধ, আলেক্‌জান্ত্রির নগরের উপর গোলাবর্ষণ,—এইরূপ অনেক দৃষ্টান্ত প্রদর্শন করা যাইতে পারে, যাহার দ্বারা ইহা সপ্রমাণ হয় যে আমরা আবার বর্বর-অবস্থায় ফিরিয়া আসিয়াছি। নিম্নলিখিত স্বতঃসিদ্ধ নীতিস্থত্রটি সৰ্ব্বকালের জন্য সত্য। (১২৩)--“রক্ষণার্থ নিয়োজিত রাজভৃত্যগণ প্রায় অধিকাংশই পরস্বাপহার এবং প্রবঞ্চক হইয়া থাকে ; অতএব সবিশেষ যত্নসহকারে তাহদের উপদ্রব হইতে প্রজাগণকে রক্ষা করা রাজার কর্তব্য কৰ্ম্ম।” প্রবাসী । [ ৮ম ভাগ। (১৩৭)--সামান্ত বস্তু ক্রয় বিক্র দ্বার बोक्किा-निर्भीर কারী, অতি সামান্তাবস্থ প্রজাদের নিকট হইতেও বাৎসরিক কর-স্বরূপ যৎকিঞ্চিং রাজার গ্রহণ করা কর্তব্য।” (১৩৮)—“কারু-কৰ্ম্মকারী, শিল্পকর, দাম, দাসী, অথবা যাহারা কেবলমাত্র শারীরিক পরিশ্রম দ্বারা জীবিকা নিৰ্ব্বাহ । করে, তাহাদিগের দ্বারা রাজা মাসিক একদিন করিয়া নিজ কাৰ্য্য করাইয়া লইবেন।” ইহাই দ্রব্যবিনিময় পদ্ধতির গোড়া—আজিকার দিনেও যাহার প্রয়োগ দেথা যায়। (১৪৪)—“সৰ্ব্বধৰ্ম্মাপেক্ষা প্রজাপালনই ক্ষত্রিয়ের শ্রেষ্ঠ ধৰ্ম্ম । শাস্ত্রোক্ত-করাদিভোক্তা রাজা সৰ্ব্বতোভাবে তৎপ্রতিপালনে বাধ্য।” (২০৩)—“বিজিত-রাজ্যবাসীদিগের দেশাচার ও গুরুপরম্পরাগত শাসনপ্রণালী, নিজদেশাচার বিরুদ্ধ হইলেও যদি ধৰ্ম্মসঙ্গত হয়, তবে তাহাই তথায় প্রচলিত ताश्वा श्रांदथक ५ीद१ झङ्गाग्नि छे९ढ़ठे झदा प्रान श्रांज्ञ| उज्जठा অভিষিক্ত রাজা ও তদমাত্যবর্গের পরিতোষ সাধন কয়৷ রাজার কৰ্ত্তব্য।” (২১১)—“আৰ্য্যতা, পুরুষজ্ঞান, শৌর্য্য, করুণবেদিতা, দানশোঁওতা—এই সকল ধৰ্ম্ম রাজাদের অলঙ্কার ।” অষ্টম অধ্যায়টি বিচারকর্তাদিগের জন্য। নিম্নলিখিত সুন্দর নীতিস্বত্রটি এই অধ্যায়ের আরম্ভ ভাগেই আছে। (১৭)—“ধৰ্ম্মই জীবের একমাত্র স্বহৃৎ—মৃত্যুর পরেও ধৰ্ম্ম আমাদের অনুগামী হয়, আর সমস্তই দেহের সহিত বিনাশপ্রাপ্ত হয়।” ইহাতে যে সকল অসংখ্য স্বত্বাধিকারের মূলস্বত্র আছে, তাহার মধ্যে কতকগুলি এখনও আমাদের ব্যবস্থাসংহিতার মধ্যে বলবৎ রহিয়াছে। (২৭)—“পিতৃমাতৃবিহীন অনাথ বালকের ধন, রাজা নিজে তাবৎকালের জন্য রক্ষা করিবেন, যাবৎ বালক গুরুকুল হইতে গৃহস্থাশ্রমে সমাবৃত না হয়, অথবা যে পৰ্য্যস্ত না সে অতীতশৈশব হয়।” (২৮)—“বন্ধ্যা স্ত্রী, যাহার স্বামী দারাস্তর পরিগ্রহ করিয়া গ্রাসাচ্ছাদন-নিৰ্ব্বাহোপযোগী ধন দিয়া তাহাকে ক্ষান্ত করিয়াছে ; পুত্ররহিত প্রোষিত ভর্তৃকা ; যে স্ত্রীর সপিণ্ডাদি অভিভাবক কেহ নাই এবং সাধ্বী ; বিধবা ও রোগিণী স্ত্রী—ইহাদের ধন, অনাথবালকের ধনের স্তায় রাজা রক্ষা করিবেন।”(৩•)—“অজ্ঞাত | WikitanvirBot (আলাপ) ১৪:২৩, ২৪ মার্চ ২০১৬ (ইউটিসি) | ”།་་་་་་་ |ين } ৮ম সংখ্যা । ] করিয়া তিন বৎসর পর্য্যন্ত আত্মকোষে স্থাপিত রাখিবেন। তিন বৎসরের মধ্যে ধনস্বামী আগত হইলে ঐ ধন সে পাইবে। ঐ সময় অতীত হইলে, রাজা নিজ কার্য্যে ঐধনের নিয়োগ, করিবেন।” (৬৪)-—“যাহাদের সহিত অর্থসম্বন্ধ আছে, যাহারা মিত্র, যাহার সাহায্যকারী ভৃত্যাদি, যাহারা শত্র, যাহাদের কুটসাক্ষিত্ব পূৰ্ব্বে জানা গিয়াছে এবং যাহারা বাধিগ্রস্ত বা মহাপাতকাদি দোষে দূষিত —ইহাদের সাক্ষ্য গ্রাহ নয়।” (৬৫)—“রাজাকে সাক্ষী করিবে না । (৬৬)–“একমাত্র ব্যক্তিকে সাক্ষী করিবে না।” মিথ্য সাক্ষ্য, মহাপাতকের সামিল । (৯০)—“হে ভদ্র! জন্মাবধি তুমি যে কিছু পুণ্য অর্জন করিয়াছ, সে সমুদয় পুণ্য কুকুরে গমন করিবে—যদি তুমি সাক্ষ্যস্থলে মিথ্যা বল। (৯১)—“তুমি মনে করিতেছ যে, তুমি একাকী আছ, কিন্তু তাহা নহে—পাপপুণ্যের দ্রষ্টা সৰ্ব্বজ্ঞ মুনি এই পরমাত্মা নিত্য তোমার হৃদয়ে অবস্থান করিতেছেন।” (৯২)—“এই বৈবস্বত দেব তোমার হৃদয়ে অবস্থান করিতেছেন, তুমি সত্য করিলে তাহার সহিত তোমার কোন বিবাদ থাকিবে না এবং তাহার সহিত নিৰ্ব্বিবাদে অবস্থান করিলে গঙ্গা বা কুরুক্ষেত্রগমনে কোন প্রয়োজন श्न न। ।" (৮৪)—“আত্মাই আত্মার সাক্ষী এবং আত্মাই আত্মার গতি, মনুষ্যদিগের এমন যে উত্তম সাক্ষী স্বকীয় আত্মা, তাহাকে অবমাননা করিবে না।” (১৫২)—“শাস্ত্রানুসারে অধিক হারে সুদ লওয়া সিদ্ধ নহে ; এরূপ অধিক হারে মুদ গ্রহণকে পণ্ডিতেরা কুসীদপথ বলিয়া নিন্দ করেন। উত্তমর্শ এরূপ সুদ শতকরা পাচের উদ্ধ লইতে পারে না।” (১৬৮)—“বলপূৰ্ব্বক যাহা কিছু দত্ত হয়, বলপূৰ্ব্বক যাহা কিছু ভুক্ত হয়, বলপূৰ্ব্বক যাহা কিছু লেখিত হয়, বলপূৰ্ব্বক যাহা কিছু কৃত হয়, সকলই অকৃত বা অসিদ্ধ, এই কথা মনু বলিয়াছেন।” . (২২৬ )—“বিবাহ বিষয়ে যে সকল মন্ত্র আছে, উহ। কেবল কন্যার প্রতিই প্রযুক্ত হইয়া থাকে—কুত্রাপি অকন্ত। স্ত্রীলোকের প্রতি বিহিত নহে –কারণ তাহারা ধৰ্ম্মক্রিয়ার বহির্ভূত।” ( ২২৭ )–“বৈবাহিক মন্ত্র সকলই স্বামীক ধন পাইলে, রাজা সৰ্ব্বত্র উহা প্রকাশু ঘোষণা | ভাৰ্য্যাম্বের নিশ্চয় কারণ এবং ঐ সকল মন্ত্র দ্বারা কস্তার ব্রাহ্মণ্য ধৰ্ম্ম । 8ՀԳ সপ্তপদী গমন হইলে ভাৰ্য্যাম্বের সমাপ্তি হয় বলিয়া পণ্ডিতেরা জানেন।” (৩১২ )—“যিনি আত্মছিত কামনা করেন সেই রাজা অর্থপ্রতাৰ্থদ্বিগের এবং বালক, বৃদ্ধ ও আতুরদিগের আক্ষেপেক্তি কটুক্তি ক্ষমা করিবেন।” (৩১৩ )—“পীড়িত অবস্থায়, লোকে যে সকল বাক্য প্রয়োগ করে যে রাজা অম্লান ভাবে তাহ সহ করেন, তিনি স্বর্গেও পূজা প্রাপ্ত হন ; পরস্তু যিনি ঐশ্বৰ্য্যমদে মত্ত হইয়া ক্লিষ্টের কটুক্তি ক্ষমা না করেন, তিনি নরকগামী হন।” নিম্নলিখিত নীতিস্বত্রটির দ্বারা ইহাই স্বচিত হইতেছে যে, কোন অপরাধী, সামাজিক সোপানে যত উন্নত স্থান অধিকার করে, ততই কঠোররূপে সে দওনীয়। (৩৩৭ )—“চেৰ্য্যের গুণদোষজ্ঞ শূদ্র চুরি করিলে সে বিহিত দণ্ডের অষ্টগুণ দওনীয়, তাদৃশ বৈশ্ব চোর ষোড়শগুণ দ্বগুনীয় এবং ঐক্কপ ক্ষত্রিয় চোরের বত্রিশগুণ দ্বও হইবে।” (৩৩৬ )—“যে অপরাধে অন্ত প্রাকৃত জনের একপণ দ্বগু হইবে, রাজা স্বয়ং যদি সেই অপরাধ করেন, তবে তাহার সহস্রপণ ও হইৰে— ইহাই ধৰ্ম্ম ব্যবস্থা ।” নিম্নলিখিত বচনে, আত্মরক্ষার অধিকার সমর্থিত হইয়াছে (৩৫• )—“গুরু, বালক, বৃদ্ধ বা বহুশ্রুত ব্ৰাহ্মণ— যে কেহ হউক না কেন, বধ করিবার জন্ত আগত হইলে এবং অন্ত কোন আত্মরক্ষার উপায় না থাকিলে, কোন বিচার না করিয়াই উহাদিগকে বধ করিতে পারে।” ( ৩৪৯ )—“আত্মরক্ষার্থে, দ্যায়যুদ্ধে, স্ত্রীলোক ও ব্রাহ্মণের রক্ষার্থে, ধৰ্ম্মত লোকহিংসা করিলে দোষভাগী হইতে হয় না।” (৩৫১ )—“প্রকাগু বা অপ্রকাশুভাবেই হউক आउठाङ्गो-तप्क्ष श्खाश क्लिड़े ८नाद रुद्र मा; बश बशरङहे গমন করে।” (৩৫২ )—“পরদার-সম্ভোগে প্রবৃত্ত মনুষ্য- - দিগকে রাজা নানাবিধ উদ্বেগজনক নাসাকর্ণচ্ছেদ্বাধি দও দ্বারা চিহ্নিত করিয়া দেশ হইতে বহিষ্কৃত করিবেন। (৩৫৩)—“পরদার-সম্ভোগে লোকমধ্যে বর্ণসঙ্কর উপস্থিত হয় এবং তাহা হইতে অধৰ্ম্ম ও তাহা ইইতে সৰ্ব্বনাশ ঘটে।” (৩৯৪)–“অঙ্ক, জড়, ভগ্নপীঠ, সপ্তক্তিবর্ষ ৰন্ধ বুদ্ধ এবং ধনধান্তাদি দ্বারা যে ব্যক্তি শ্রেীত্রিয়ের সর্বদা উপকার