পাতা:প্রবাসী (অষ্টম ভাগ).pdf/২৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8Հ5 প্রবাসী। [ ৮ম ভাগ। --WikitanvirBot (আলাপ) ১৪:২৩, ২৪ মার্চ ২০১৬ (ইউটিসি)---------> SSASASMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSS করেন-ইহাদের নিকট হইতে রাজা কোন কর লইবেন না। (৩৯ )—“বিদ্যাচারসম্পন্ন, ব্যাধিত, আৰ্ত্ত, বালক, বৃদ্ধ, অকিঞ্চন, মহাকুলীন, আর্য্য-ইহাদিগকে রাজা দানমানাদি সম্মাননা করিবেন।”—দেওয়ানী ও ফৌজদারী আইন, বৈশু ও শূদ্ৰজাতির ধৰ্ম্মাদি নবম অধ্যায়ের বিষয়। ইহার মধ্যে অনেকগুলি নীতিসূত্র স্ত্রীলোকের প্রতি প্ৰযুজ্য এবং ইহার দ্বারা সপ্রমাণ হয় যে, হিন্দুরা স্ত্রীলোককে সম্মান করিত, নিষ্ঠুরাচরণ হইতে স্ত্রীলোককে রক্ষা করিত, এবং যাবৎ সাধ্বী ও শুদ্ধচরিত্রা থাকিত, তাবৎ তাহাদিগকে শ্রদ্ধাভক্তি করিত। তা ছাড়া, পরে আমরা দেখাইব, বুদ্ধদেবের আবির্ভাবকালে, স্ত্রীলোক নিজে প্রকাশুভাবে কাজকৰ্ম্মে প্রবৃত্ত হইত, ধৰ্ম্মসঙ্ঘ গঠন করিত, প্রতিজ্ঞ উচ্চারণ করিয়া ব্রহ্মচৰ্য্য গ্রহণ করিত, দরিদ্র ও আর্বদিগের সেবা করিত। (১০ শ্লোক )—“কেহ কথন বলপূৰ্ব্বক কোন স্ত্রীকে সৎপথে রক্ষা করিতে পারে না।” এবং ইহার পরেই মনু ইহার সহিত একটি তাত্ত্বিক ভাষ্য যোগ করিয়া দিয়াছেন (১২) “আগু পুরুষদিগের দ্বারা গৃহে রুদ্ধা হইলেও রমণীরা অরক্ষিতা। যে আপনাকে আপনি রক্ষা করে সেই সুরক্ষিতা।” ( ২৬ )—“গৃহদীপ্তিকারিণী নারীগণ, সস্তান উৎপাদনার্থ বহুকল্যাণভাজন ও পূজাহঁ ; একারণ, গৃহমধ্যে স্ত্রীতে ও শ্ৰীতে কোন বিশেষ নাই।” (৪৫ –“মমুন্য, পুত্ৰকলত্রসহযোগে সম্পূর্ণাবস্থা প্রাপ্ত হয়। বিপ্রেরা বলেন, যে ভৰ্ত্ত সেই ভাৰ্য্যা ; তাহদের মধ্যে কোন পার্থক্য নাই।” (৮৯ )—“ঝতুবতী হইয়াও কল্প বরং যাবজ্জীবন গৃহে থাকিবে—ইহাও শ্রেয় তথাপি তাহাকে নিগুণ পাত্রে সমর্পণ করিবে না।” (১-১)—“সংক্ষেপতঃ, মরণাবধি পরস্পর অব্যভিচারাবস্থায় অবস্থান করাই স্ত্রীপুরুষের পরম ধৰ্ম্ম।” ( ১০২ ) “বিবাহিত স্ত্রী ও পুরুষ পরস্পর কোন মতে বিযুক্ত না হইয়া যাহাতে কোনরূপে ব্যভিচার না করেন, তদ্বিষয়ে সতত সাবধান থাকা কৰ্ত্তব্য ।” সাধারণত, উত্তরাধিকারের নিয়ম অনুসারে, পরিবারের অন্তভূর্ত সকল সস্তানের মধ্যেই ধনসম্পত্তি সমানরূপে বিভাগ করা বিধেয়। কিন্তু (২০১)-“ক্লাব, পতিত, জন্মান্ধ, জন্মবধির, উন্মত্ত, জড়, মুক এবং কাণ প্রভৃতি ইঞ্জিয়শূন্ত ব্যক্তিগণ পিত্রাদি ধনে অধিকারী নহে।" ( ২০২ )–“ধনাধিকারীরা ঐ সকল ক্লীর প্রভৃতিকে স্থায্য গ্রাসাচ্ছাদন দিবে ; যদি না দেয়, তবে তাহারা পাপী হইবে।” (২১৩ )--“যে জ্যেষ্ঠ লোভ বশতঃ কনিষ্ঠ ভ্রাতাদিগকে বঞ্চনা করে, সে জ্যেষ্ঠোচিত মানাহঁ নহে-পরন্তু রাজগণ কর্তৃক সে দণ্ডনীয়।" (২০০ )–“ভৰ্ত্তার জীব দশায় স্ত্রীলোক যে অলঙ্কার ধারণ করে, ভৰ্ত্তার মরণোত্তর পুত্রাদি দায়াদের স্ত্রীলোক জীবিত থাকিতে তাহা ভাগ করিতে পারবে না ; যদি করে, তবে পাপী হয়।” এই দেখ, দূতক্রীড়া সম্বন্ধে কিরূপ ব্যবস্থা আছে। পাশা, বাজির খেলা, বাজি রাখিয়া মেষ কুকুটাদির লড়াই, এই সমস্ত নিষিদ্ধ। কি প্রকাশ্যে, কি গোপনে যাহার জুয়া খেলে, তাহাদিগের প্রতি শারীরিক দণ্ড বিধান করা হয় ; যে হেতু জুয়াখেলায় দ্বেষ, ক্রোধাদি উত্তেজিত হয়, অতএব ঐ সকল খেলা আমোদ করিয়াও থেলিতে নাই। ( ২২১ )—“রাজা, রাজ্য হইতে দূতক্রীড়া ও সমাঙ্ক নিবারণ করিবেন। এই দুই দোষ রাজাদিগের রাজ্যনাশক। ( ২২২ )—“দ্যুত ও সমাহবয় প্রকাগু চৌর্য্যমাত্র। এজন্য ইহাদের নিবারণে রাজা নিত্য যত্নবান থাকিবেন।" (২২৫ )–“কিতব অর্থাৎ দৃতি-সমাহবয় কৰ্ত্তা, নটবৃত্তিজীবী ক্ররচেষ্ট, চৌরাদি, বেদবিদ্বেষী, পরধৰ্ম্মরত এবং শোণ্ডিকা দিকে পুরের ভিতর বাস করিতে দিবে না।” যে সকল আধুনিক সভাদেশ পুরাতন সভ্যদেশের আইনাদি সম্বন্ধে অনভিজ্ঞ কিংবা অবজ্ঞাকারী, সেই সকল আধুনিক সভা দেশের আইনাদির সহিত পুরাতন সভ্যদেশের আইনারি যদি তুলনা করি এবং তাহ হইতে একটা সিদ্ধান্ত নির্ণ করি, তাহা হইলে সে সিদ্ধান্তটি আধুনিক সভ্যদেশ সমূহের পক্ষে একটু মৰ্ম্মভেদী হইবে সন্দেহ নাই। নিম্নলিথিত কতকগুলি বিধিব্যবস্থা যেন বর্তমান কালের বিধিব্যবস্থা বলিয়া মনে হয়। ( ২৩১ )—“প্রাড় বিবা কাদি রাজনিযুক্ত পুরুষেরা ধনলোভে বিকৃত হইয়া উৎকোচ গ্রহণ পূৰ্ব্বক যদি অর্থ-প্রত্যর্থর কার্য নষ্ট করে, তবে ৮ম সংখ্যা । ] SSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSMMMMSS o - বশীকরণাদি কার্যানিপুণ এবং পশু-চিকিৎসা সম্বন্ধে তাহাদের প্রথম সাহস দণ্ড এবং মানুষ-চিকিৎসা সম্বন্ধে মধ্যম সাহস .দও হইবে।” (৩২৪)—“রাজা এইরূপে সদা রাজধৰ্ম্মে যুক্ত হইয়৷ I সমুদয় ভৃত্যদিগকে লোকের হিতার্থে নিয়োগ করিবেন।” ১ ইং দুর্দশার সময়ে প্রত্যেক বর্ণের কিরূপ কৰ্ত্তব্য তাহ দশম অধ্যায়ে আলোচিত হইয়াছে। যে দুর্ভিক্ষে ভারত উৎসর হইতেছে সেই দুর্ভিক্ষের কথা ভাবিলে, এই সকল কৰ্ত্তব্যের গুরুত্ব উপলব্ধি হয়। বর্ণসঙ্কর-জাত সন্তানের অবস্থা সম্বন্ধেও এই অধ্যায়ে আলোচিত হইয়াছে। (৬২ ) বালক-ইহাদের মধ্যে কাহারও বিপৎ পরিত্রাণের নিমিত্ত প্রাণত্যাগ করা, প্রতিলোমজ জাতির স্বর্গপ্রাপ্তির কারণ e o | ="পুরস্কার প্রত্যাশা না করিয়া গো, ব্রাহ্মণ, স্ত্রী এবং ব্রাহ্মণ্য ধৰ্ম্ম । রাজা উহাদিগকে একেবারে সর্বস্বাস্ত করিবেন।” এই * কাটতে বিচাৰ্য বিষয় সম্বন্ধে ব্যক্ত श्ग्रांप्छ :-(२७७)-- "ব্যবহার সম্বন্ধে কোন পক্ষকে সৎ বা অসৎ বলিয়া সভ্যের বাছাকে একবার ধার্য্য করিয়াছেন, অথবা যে দণ্ড ধাৰ্য্য হইয়াছে তাহা ধৰ্ম্মতই করা হইয়াছে—এই বোধে তদ্বিষয়ের ! আর পুনৰ্ব্বার আলোচনা করিবে না।” (২৪৩)–“সাধু ৯ রাজা, মহাপাতকীর ধন কদাচ গ্রহণ করিবেন না ; লোভ বশতঃ এইরূপ করিলে, ঐ মহাপাতক সংযুক্ত হইতে হয়।” ( ২৫৬ )—“রাজা চার-পুরুষ দ্বারা প্রকাশ এবং অপ্রকাশ– পরদ্রব্যাপহারক দুই প্রকার চোর অবগত হইবেন।” (২৫৮-৬০ )—"উৎকোচগ্রহণকারী, মিথ্যা ভয় প্রদর্শন করাইয়। পরধনহারী, বঞ্চনাকারী, দূতক্রীড়াকারী কিতব, · তোমার ধনপুত্র লক্ষ্মীলাভ হইবে”—এইরূপ মিথ্যাবাক্যে তোষামোদকারী—মঙ্গলাদেশবৃত্ত, ভিতরে পাপ গোপন করিয়া বাহে ভদ্রবেশে পরধনহারী, যাহারা ঈক্ষণিক অর্থাং হস্তের রেখা দেখিয়া শুভাশুভ ফল বলিয়া জীবিকা নিৰ্বাহ করে, অশিক্ষিত মহামাত্র অর্থাৎ মাহুত ও চিকিৎসক, যাহারা শিরোপায়ে উৎসাহ দিয়া লোকের ধন হরণ করে, বেতা-স্ত্রীলোক—ইহার প্রকাগু লোককণ্টক জানিবে ; ইহাদিগের এবং দ্বিজবেশধারী শূদ্র প্রভৃতির বিষয় রাজা চার দ্বারা অবগত হইবেন।” নিম্নলিখিত বচনটি একটি বিবেচা বিষয় –(২৮৪ )— “চিকিৎসকেরা যদি মিথ্যা চিকিৎসা করে, তবে গবাদি 8Հs হইয়া থাকে।” (৬৩)–“অহিংসা, সত্যবাক্যকথন, শুচিত্ব এবং ইন্দ্রিয়সংযম—এই কয়েকটি ধৰ্ম্ম সৰ্ব্বসাধারণের -চাতুৰ্ব্বর্ণের ও সংকীর্ণজাতির অমৃষ্ঠেয় বলিয়া মহাত্মা মনু নির্দেশ করিয়াছেন।” ( ১১৭ )–“ব্ৰাহ্মণ বা ক্ষঞ্জিয়ের কদাচিৎ সুদ গ্রহণ পূর্বক ঋণদান কৰ্ত্তব্য নহে।” ইহার টীকা করা বাহুল্য । একাদশ অধ্যায়ে প্রায়শ্চিত্তাদির কথা আছে। (৯)—“নিজের পিতা মাতা প্রভৃতি স্বজনবর্গ গ্রাসাচ্ছাদনের কষ্ট পাইতেছে, অথচ পরকে দ্বান করিবার বেলা যাহার শক্তির ক্রটি নাই,—র্তাহার সেই দানধৰ্ম্ম ধৰ্ম্মের ছায়ামাত্র, উহা আপাতত মধুর বটে, কিন্তু উছার পরিণাম বিষময়।” (১০)—“ভরণীয়গণকে বঞ্চিত করিয়া যিনি পারলৌকিক ধৰ্ম্মবুদ্ধিতে বে দান করেন, তাহার অসুখকর পরিণাম তিনি জীবিতাবস্থায় এবং মৃত্যুর পরেও ভোগ করেন ।” কতকগুলি পাপকে মনু মহাপাপ বলিয়া অভিহিত করিয়াছেন। সকলের উপর-ব্ৰহ্মহত্য, মদ্যপান, ব্রাহ্মণের ধনাপহরণ মহাপাপ। গুরুপত্নী প্রভৃতির সহিত ব্যভিচারও মহাপাপ। অন্যায় পূৰ্ব্বক গুরুর অপবাদ করা, বেদের অবমাননা, মিথ্যাসাক্ষী দেওয়া, মিত্রকে বধ করা, সহোদরা গমন, অসবর্ণ স্ত্রীতে গমন, মিত্রপত্নী গমন—এই সকলও মহাপাপ। গোহত্যা, আত্মবিক্রয়, ব্যভিচার, গুরু পরিত্যাগ, পিতৃমাতৃ পরিত্যাগ, পুত্রের প্রতি অবহেলা, বালিকার ধৰ্ম্মনাশ, কুসীদগ্রহণ, বেতন লইয়া বেদাধ্যাপন, স্বজন পরিত্যাগ, ঋণ পরিশোধ না করা, অধৰ্ম্মজনক গ্রন্থাদি পাঠ করা, পরকালে অবিশ্বাস, মৃত্যুর পর দণ্ড পুরস্কারে অবিশ্বাস –এই সকল মধ্যম শ্রেণীর মহাপাপ। গর্দভ, অশ্ব, উঃ, হরিণ, হস্তী, ছাগ, মেষ, মৎস্ত, সপ ও মহিষ হত্যা করিলে অসবর্ণজাত লোকের ছায় পতিত হইতে হয়। কীট, পতঙ্গ, পক্ষী হত্যা করিলে, বনের ফল অপহরণ করিলে, ভীরুতা প্রদর্শন করিলে অশুচি হইতে হয়। - স্বরাপায়ী ব্রাহ্মণ জাতিচু্যতি দণ্ডে দণ্ডনীয়। (৯৭)– “ব্রাহ্মণ মদ্যপানে মত্ত হইয়া অশুচি স্থানেই পড়ে-গোপনীয় বেদবাকাই বলির ফেলে, অথবা অপরাপর অকাৰ্য্যই বা