পাতা:প্রবাসী (অষ্টম ভাগ).pdf/২৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8৩২ সমস্ত নিঃস্থত হয় এবং যাহাতে সমস্ত পুনৰ্ব্বার প্রবেশ করে ; তিনি সেই জ্ঞান স্বরূপ, যাহার কণামাত্র জ্ঞান জ্ঞানবিশিষ্ট জীবের “আমি” কিংবা অহঙ্কার। সেই জ্ঞান হইতেই, জীবের নিজত্ব, জীবের আমিত্ব ; সুতরাং এই আমিত্ব হইতেই জীবশ্রেণীর উৎপত্তি হইয়াছে। ফলত, মায়ার দ্বারাই— মায়াময় জড়প্রকৃতির দ্বারাই–পুংলিঙ্গ ব্ৰহ্মা, অসীমসত্ত ক্লীবলিঙ্গ ব্ৰহ্ম হইতে উৎপন্ন হইয়াছেন। পরমাত্মা, ব্ৰহ্মা হইতে উৎপন্ন ; জ্ঞানতত্বের বিষয়ীভূত মনঃ পরমাত্মারই একটা বিশেষ আকার এবং এই মন হইতেই জ্ঞানবিশিষ্ট জীবের আমিত্ব উৎপন্ন ;---স্বতরাং সমস্ত জীব ব্রহ্মা হইতে উৎপন্ন। জীবে যে পরিমাণে জ্ঞানের বিকাশ হয়, জীব যে পরিমাণে স্বীয় বুদ্ধির প্রয়োগ করিতে পারে, সেই পরিমাণে জীব ব্রহ্মার নিকটবৰ্ত্তী হইয়া থাকে। এই জীব শ্রেণীর মতবাদ হইতেই জাতির উৎপত্তিবাদ প্রস্থত ; মমুর প্রথম অধ্যায়ে এই উৎপত্তিবাদের কথা আছে, ইহার অনেক পরে ডারুইন আবার সেই তত্বের আলোচনা করিয়াছেন। মনুতে আছে —“প্রত্যেক জীব পুৰ্ব্ববৰ্ত্তী জীব হইতে গুণ প্রাপ্ত হয় ; এবং জীব-পৰ্য্যায়ে যে জীব যে পরিমাণে পরবর্তী, সে তত অধিক গুণ প্রাপ্ত হইয়া থাকে।” বেদের ভাষ্য সমূহে যে সকল বচন আছে সেই সকলের সমন্বয় বিধান করা এবং তাঁহাদের প্রকৃত অর্থ নির্ণয় করা ইহাই পূৰ্ব্ব-মীমাংসার উদ্দেশু ছিল ; কিন্তু মীমাংসা প্রধানত, কতকগুলি ধৰ্ম্মোপদেশ ও ধৰ্ম্মানুষ্ঠানের সংগ্ৰহ মাত্র ; ইহাতে বিশুদ্ধ ও ব্যবহারিক যুক্তিশাস্ত্রের আলোচনা, ব্যাকরণ ও অলঙ্কারশাস্ত্রের আলোচনা, ভাষার উৎপত্তি ও চিন্তার সহিত তাহার সম্বন্ধ বিষয়ক আলোচনা থাকা সত্বেও, যে সকল ভ্ৰম কুটধৰ্ম্মবিচারের স্বাভাবিক সহচর, মীমাংসা সেইরূপ ভ্রমের ভূরি ভূরি অবতারণা করিয়া একটা কৃত্রিম শাস্ত্র গড়িয়া তুলিয়াছিল। ইহার ফলে একটা প্রচণ্ড প্রতিক্রিয়া উপস্থিত হয়। এই প্রতিক্রিয়া-কপিলের সাংখ্যে, অর্থাৎ যুক্তিবিচারমূলক ও জড়বাদমূলক দর্শনশাস্ত্রে প্রকটিত হইয়াছে। যাহাই হউক, বাণীর (logos) নিত্যতা অর্থাৎ চিন্তার ব্যঞ্জনার নিত্যতা প্রতিপাদন করিয়া মীমাংসা আপনাকে গৌরবাতি করিয়াছে। কপিল মুনি, বেদ ঈশ্বরের মুখ প্রবাসী । ৮ আগ । SMMMMSMSMSMSMMSMMSMMSMMSMMSMMSMMMMMMMMMS নিঃস্থত বাক্য এই সিদ্ধান্তটি যুক্তিসিদ্ধ নহে বলিয়া অগ্রাহ করিয়া, ব্যক্তিগত স্বাধীন চিন্তা হইতে यांजा श्रांद्रषु f করিয়াছেন। সাংখ্যের মতে, প্রকৃতি নিত্য ; এই আমি মূল-বস্তু হইতে জগৎ উৎপন্ন হইয়াছে ; এবং এই প্রকৃতির মধ্যে যে একটি অতীন্দ্রিয় মূলতত্ব আছে সেই মূলতত্ত্ব । হইতে আত্মার উৎপত্তি : সাংখ্য ঈশ্বরের অস্তিত্ব অস্বীকার করেন এবং অস্তিত্ববাদকে নিম্নলিখিত উভয়সঙ্কট-সমস্তার f মধ্যে আবদ্ধ করিয়াছেন ;--“ঈশ্বরের যদি বাসনা না থাকিত তাহা হইলে তিনি কখনই জগৎ সৃষ্টি করিতে পারিতেন না, সুতরাং জগৎ সৃষ্টি করিবার তাহার সামর্থ্য থাকিস্ত না ; পক্ষান্তরে যদি তাহার বাসনা ছিল এরূপ হয় তবে তাহার সামর্থ্য ছিল না ; আবার, যদি তাহার সামর্থ্য ছিল এরূপ হয়, তবে তাহার বাসনা ছিল না।” সাংখা বলেন,—যাহা নাস্তি তাহ অস্তি হইতে পারে না, এবং যাহা অস্তি তাহার অস্তিত্বের কখনই অবসান হইতে পারে না। অতএব, এমন একটি অপরিবর্তনীয় নিৰ্ব্বিকার মূলতত্ত্ব আছে যাহা হইতে সমুদয় পদার্থ উৎপন্ন হইছে । এবং যাহা স্বয়ং ইন্দ্রিয়ের অগ্রাহ । এই তত্ত্বটিই—সেই “মূলহীন মূল” প্রকৃতি। এই প্রকৃতিই সকল পদার্থে নিত্য কারণ, এবং এই প্রকৃতির মধ্যেই “সমস্ত পদার্থের সম্ভাবিত ও সমস্ত শক্তি” অবরুদ্ধ। ইহার প্রতিযোগীসজ্ঞান ও সচেতন মূলতত্ত্ব-পুরুষ। কপিলের মতে, পুরুষই বিজ্ঞানের প্রকৃত বিষয়; এবং জ্ঞানের দ্বারাই মানুষ আত্মজ্ঞানে উপনীত হইতে পারে ; এবং স্বকীয় উৎপত্তি ও নিয়তির বিষয় অবগত হইতে পারে। পুর্ণা অনুষ্ঠান ও বেদাধ্যয়নের দ্বারাই পুনর্জন্ম হইতে নিস্কৃতি এবং ব্রহ্মের মধ্যে প্রবেশ করিয়া চিরশাস্তি লাভ করা যাইতে পারে,—ইহাই বেদান্তের শিক্ষা। يشي ؟ v জানেন, যিনি আপনার উৎপত্তি ও নিয়তির বিষয় অবগত আছেন, একমাত্র তিনিই জ্ঞানী ও ধৰ্ম্মিষ্ঠ। পুরুষ ও প্রকৃতির সংযোগেই অশুভের উৎপত্তি, এবং পুরুষ জ্ঞানের দ্বারাই প্রকৃতির দাসত্ব হইতে মুক্তি লাভ করিতে সমর্থ হয়। পরীক্ষার দ্বারা জানা যায়—মানসিক ব্যাপার ”ཁ༠་ལྡང་བ་ཙམ་བཙོ་“ས་ཨ་ཝ་གཏཐ་༑ o, ইহার বিপরীতে কপিল বলেন,—যিনি আত্মাকে | > ৮ম সংখ্যা । ] এবং তাহা প্রত্যেক ব্যক্তির পক্ষে স্বতন্ত্র ও ভিন্ন ; অতএব, পুরুষ ও প্রকৃতি—দুইটি স্বতন্ত্র তত্ব একষ্ট অধিকার-স্বত্রে জগতে বিদ্যমান রহিয়াছে। সার কথা-কপিলের দর্শন, সমস্ত আপ্ত , বাক্য পরিত্যাগ করিয়া, প্রত্যক্ষ জ্ঞান ও ইন্দ্ৰিয়বোধের বিষয় সমূহ হইতে যাত্রা আরম্ভ করিয়াছে। যাহা নাস্তি তাহ অস্তি হইতে পারে না, এবং যাহা অস্তি তাহা কখনই নাস্তি হইতে পারে না— এই স্বতঃসিদ্ধ মূলস্বত্রটি হইতে সাংখ্যদর্শন এই সিদ্ধান্তে উপনীত হইয়াছে যে, প্রকৃতিও নিত্য, পুরুষও নিত্য ; এই পুরুষ হইতেই জীবাত্মা উৎপন্ন হইয়াছে, সুতরাং জীবাত্মা অমর। আমরা পরে দেখাইব,—সাংখ্য দর্শনের সহিত বৌদ্ধধৰ্ম্মের ঘনিষ্ঠ যোগ । এর মতে, কপিলের সাংখ্য হইতেই বৌদ্ধধৰ্ম্ম উৎপন্ন হইয়াছে ; কেবল প্রভেদ এই—কপিলের মতটি দার্শনিক Lassen S Burnouf সিদ্ধান্ত,—কেবল পণ্ডিতদিগেরই অধিগম্য ; পক্ষাস্তরে, শাক্যমুনির মতবাদটি সকল মনুষেরই বোধগম্য, এবং এই জন্যই উহা ধৰ্ম্মনামে অভিহিত হইয়াছে। কিন্তু আশ্চর্য্যের বিষয় এই, কপিলের পরবর্তী দার্শনিক পাতঞ্জল, কপিলের দর্শন অবলম্বন করিয়া তাহারই সিদ্ধাস্তকে আরও একটু বেশী দূর লইয়া গিয়া, যুক্তি পরম্পরাক্রমে, একজন অদ্বিতীয় নিত্য ক্লীবলিঙ্গ ঈশ্বরের অস্তিত্ব স্বীকার করিয়াছেন। ইহাই দ্বিতীয় সাংখ্য দর্শন। ফলত, যদি একটি বিশ্বজনীন মূল সত্তারূপ প্রকৃতিকে স্বীকার করা যায়, যাহা হইতে এই সমস্ত জড়জগৎ উৎপন্ন হইয়াছে, তাহা হইলে ইহাও স্বীকার করিতে হয়,—একটি বিশ্বজনীন আত্মাও আছে যাহা হইতে এই সমস্ত জীবাত্মা প্রস্থত হইয়াছে এবং এই সকল জীবাত্মা সেই পরমাত্মারই বিশেষ বিশেষ রূপ মাত্র। পুরুষ ও প্রকৃতির যোগেই জীবাত্মা উৎপন্ন হয়, এবং প্রকৃতি—সমস্ত সত্তার একটা স্বাক্ষ অবস্থা মাত্র। কেবল জীবাত্মাই জগতের সার উপাদান .এবং সেই জীবাত্মাতেই সত্য ও পূর্ণতা বিদ্যমান। পক্ষাস্তরে, জীবাত্মা,—পরমাত্মারই একটা বিশেষ রূপ মাত্র ; অতএব, সেই পরম-পুরুষ পরমাত্মার একটি সৰ্ব্বাদিম রূপ অবগুই আছে—যাহা ক্লীবলিঙ্গবাচক, যাহা নিত্য, যাহা ५कमांख ;-डिनिझे त्रेश्वत्र । মরণজয়ী প্রেম। ’ 8OL এই সাংখ্যদর্শনের সহিত যোগবাদ যুড়িয়া দেওয়া হইয়াছে। এই যোগবাদ-আধ্যাত্মিক ও গুহধৰ্ম্মাশ্রিত। এই যোগ-শস্বের দ্বারাই যোগবাদের তাৎপৰ্য্য স্পষ্টরূপে স্বচিত হইতেছে। ঈশ্বরের সহিত সন্মিলনই আধ্যাত্মিক যোগ। হিন্দু দর্শন ও হিন্দু নীতিবাদের ইহাই উচ্চতম অভিব্যক্তি। ভগবান শ্ৰীকৃষ্ণ, ভগবদগীতাতে এই দর্শনেরই শিক্ষা দিয়াছেন। ভগবদগীত,—মহাকাব্য মহাভারতেরই একটি অঙ্গ। ভারতবর্ষে ভগবদগীতার এতই আদর ও গৌরব—এই ভগবদগীতার মতবাদটি এক প্রকার ধৰ্ম্মমতে পরিণত হইয়াছে ; ইহাই কৃষ্ণধৰ্ম্ম। এই ধৰ্ম্মের শিষ্যেরা যোগী নামে খ্যাত । শ্ৰীজ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর। মরণজয়ী প্রেম। বৰ্ম্মা গল্প ) আমি আজ পাঠকদিগকে ব্ৰহ্মদেশের একটি গল্প উপহার দিব। গল্পটি অতিপ্রাকৃত হইলেও মূল্যহীন নহে। ব্রহ্মদেশে ইহা বড় প্রসিদ্ধি লাভ করিয়াছে। কোথাও ইহা কাষ্ঠফলকে খোদিত—কোথায়ও প্রস্তরে। ব্রহ্মের যে সৰ্ব্বপ্রধান তীর্থস্থান-রেজুনের কণ্ঠলগ্ন “সোয়ে ড গোন” বৌদ্ধমঠ, তাহাতেও ইহা রক্ষিত श्ब्रायझ । श्रादाद्र नाफेानांगाब्र७ झेश अडिनौठ श्हेब्र থাকে। আমি যতদূর জানি তাহাতে দেখিয়াছি গল্পটি সমস্ত ব্ৰহ্মবাসীই অবগত। তবে কোন কোন জেলায় ইহার আকারের কিছু পরিবর্তন আশ্চৰ্য্য নহে। গল্পটি ব্রহ্মকুমারীর ভাবী বিবাহিত জীবনের আদর্শ– তাই ইহার এত আদর। . ব্ৰহ্মবালিকা তাহার দশ বৎসর বয়সে কর্ণবধ উৎস সম্পন্ন করিয়া বসিয়াছে—মাথার চুল আর নিয়ম করিয়া কাটা হয় না—বাড়িতে দেওয়া হইয়াছে। অবশেষে যখন তাহার বয়স চৌদ্দ বৎসর, তখন হঠাৎ একদিন দেখা গেল । —তাহার সেই অনতিদীর্ঘ ঘনকৃষ্ণকুন্তলদাম বেণীবদ্ধ হইয়া কুণ্ডলাকারে শিরোপরি রক্ষিত!—বুঝিলাম তখন তাহার— - “শৈশব যৌবন দুই মিলি গেল।”.