পাতা:প্রবাসী (অষ্টম ভাগ).pdf/২৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8○& মধ্যে যখন জাপান দেশে চীন ভাষা পঠিত এবং জনসাধারণে প্রচারিত হইত, তখন জাপানের জাতীয় নবীন সাহিত্য প্রকৃত পক্ষে নারীহস্তেই সীমাবদ্ধ ছিল। সেই সময়েই “GsĩRf* NGRt?fstfā” (Genji monogatari)-3ịg## Hatif ffrą (Murasaki Shikibu), “মাকুরাGil-“if” (Makura-no-soshi)-R5fHỆt fotgif=f&srt= প্রভৃতি লেখিকা দেশীয় সাহিত্যক্ষেত্রে সুপরিচিত হইয়াছিলেন। টোকুগাওয়া— (Tokugawa)—শাসন কালের শেষভাগে কামাই সোকিন, হারা সাইহিন্‌, ইয়েম সাইবেন, চে কোরান প্রভৃতি বহুতর জাপানী রমণী চীন ভাষায় ব্যুৎপত্তি লাভ করতঃ সুপ্রসিদ্ধ হইয় উঠেন। এই সময়ে রেনজেতমু, সিও, ৰোটানি প্রভৃতি স্ত্রী-কবিরও আবির্ভাব হইয়াছিল, এবং এই সময় হইতে জাপ-সম্রাটের হস্তে দেশের শাসন.ক্ষমতা পুনঃ ন্যস্ত হওয়ায় পুৰ্ব্ব সময় মধ্যে অনেকানেক জাপানীরমণী স্বদেশপ্রেমের জলন্ত দৃষ্টান্ত প্রদর্শন করিয়া গিয়াছেন। পাশ্চাত্য জাতিসমূহের রমণীগণের অনুরূপ স্বাধীনতা (Shishonagon) না থাকিলেও জাপ-রমণীগণ সামাজিক নানা স্বাধীনতা উপভোগ করিয়া আসিতেছেন। এবং তন্ধেতু জাপানের ইতিহাসে সময় সময় সৰ্ব্বগুণসম্পন্ন রমণীমূৰ্ত্তির আবির্ভাব দৃষ্টিগোচর হইয় থাকে ; বর্তমান সময়েও এরূপ দৃপ্ত একেবারে বিরল নহে। চীন ও হ্যাম দেশের বিদ্যালয় সমূহে জাপরমণী শিক্ষয়িত্রী নিযুক্ত হইয়া থাকেন এবং অপর একজন জাপানী বিদুষী মঙ্গোলিয়ার জনৈক দেশীয় সরদার কর্তৃক গৃহ-শিক্ষয়িত্রীরূপে অভ্যর্থত হইয়াছেন। যাহা হোক জাপানে স্ত্রী-শিক্ষা সৰ্ব্বদাই এক কঠিন সমস্তারূপে বিবেচিত হয়। স্বভাবতই বিষয়টি অতি গুরুতর এবং সহসা কোনরূপ সন্তোষ-জনক মীমাংসায় উপনীত হওয়া মুদুষ্কর। তথাপি ইয়ুরোপীয়দিগের দ্যায় জাপানীরাও বিষয়টিকে অত্যধিক প্রাধান্ত দিয়া থাকেন এবং বর্তমান শাসনপ্রথার প্রারম্ভ সময় হইতে একাল পৰ্য্যন্ত তাহারা এবিষয়ের উৎকৃষ্টতর সাধন-প্রণালী উদ্ভাবনের চেষ্টা করিয়া আসিতেছেন। ১৮৭১ খৃষ্টাব্দে কতিপয় জাপ-বালিকা বিদ্যাশিক্ষার্থে আমেরিকায় প্রেরিত প্রবাসী। [ ৮ম ভাগ। হন; তাহাদের একজন এক্ষণে য়্যাডমিরাল উরিউর (Admiral Uriu) পত্নী। ইহঁার নাম বিগত রুষ-জাপান যুদ্ধের সহিত সংযুক্ত রহিয়াছে। পূৰ্ব্বোক্ত প্রেরিত বালিকাদের আর একজন–বর্তমান মারশিয়নেস্ ওয়্যাম;– জাপানের সাধারণ বিভাগের সৰ্ব্বে সৰ্ব্ব মার্শাল মারকুইস ওয়ামার ভার্য্যা। যাহা হোক আমরা এক্ষণে জাপানের সরকারী বিবরণ অবলম্বনে তথাকার স্ত্রী-শিক্ষার বর্তমান অবস্থার বিষয় আলোচনা করিতেছি। জাপানে প্রাথমিক শিক্ষা বহুবিস্তৃত ; এমন একটা পল্লীও দেখা যায় না, যথায় সরকারী ব্যয়ে চালিত অন্ততঃ একটী বিদ্যালয় নাই। কারণাধীনে কথঞ্চিৎ অব্যাহতি পাইলেও প্রধানতঃ প্রত্যেক শিশুই নির্দিষ্টকাল পর্যন্ত বিদ্যালয়ে যাইতে বাধ্য। প্রাথমিক বিদ্যালয় সমূহ দুইভাগে বিভক্ত ;–সাধারণ বা নিম্নপ্রাথমিক এবং উচ্চপ্রাথমিক স্কুল। চারি বৎসর ও তদূৰ্দ্ধকালের শিশুকে নিম্ন প্রাথমিক স্কুলে চারি বৎসর এবং নয় বৎসরের বালিকাদিগকে উচ্চ প্রাথমিক স্কুলে অধ্যয়ন করিতে হয়। শেষোক্ত বিদ্যালয়ে অধ্যয়নের কাল নির্দিষ্ট নাই ; কারণ তথায় কএক বৎসর অধ্যয়ন করার পর বালিকাগণ বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চতর বিভাগে প্রবেশের অধিকারিণী হইতে পারে। কিন্তু নিম্নপ্রাথমিক স্কুলে শিশু বালক বালিকার চারি বৎসর অধ্যয়ন করাই রাজ-বিধি-নির্দিষ্ট । এই সকল প্রাথমিক স্কুলসমূহে প্রবেশ সময়ে বিভিন্ন বালকবালিকাদের মধ্যে কোনরূপ পার্থক্য আচরিত না হইলেও শিক্ষাবিতরণের সৌকর্য্যার্থে তাহাদিগকে নানা শ্রেণীতে বিভক্ত করা হয়। ১৯০১-০২ অব্দে কেবল জাপানী সহরের প্রাথমিক স্কুলসমূহে ৩,৮৭৬,৪৯৫টা বালক ; ৩, ৫৯০, ৩৯১ট বালিকা, মোট ৭,৪৬৬, ৮৮৬টা শিশু অধ্যয়ন করে । এতন্মধ্যে নিম্নপ্রাথমিক শ্রেণীতে ১,৭১৪,৫০৯টা বালক এবং ১,৬৩২,০১৮টা বালিক, মোট ৩,৩৪৬,৫২৭ট ছিল ; এবং ১,৪৬২,৯৭৭টি বালক ও ৯১১, ৪২২ট বালিকা, মোট ২,৩৭৪,৩৯৯টা বালকবালিকা এই শ্রেণীর শিক্ষা সমাপ্ত করে। পক্ষান্তরে সরকারী উচ্চ প্রাথমিক স্কুলসমূহে ৭০৫,২৩৮ট বালক ; ২৩,৯৫৫টী রালিকা, মোট ৯৩৬,১৯৩ট এবং বে-সরকারী বিদ্যালয় |

  1. !

| ৮ম সংখ্যা । ] জাপানে স্ত্রী-শিক্ষণ । 89.3 সমুহে ৪,২৬৮ট বালক বালিকা, মোট ੋ ੇ, আরো ੋ ছাত্র বর্তমান ছিল। সুতরাং উচ্চশ্রেণীতে সৰ্ব্বস্তুদ্ধ কাল শিক্ষার্থিনীর প্রবৃত্তি অনুযায়ী কোন বিশেষ শিল্প ৭৪৯,৫৭৬টী বালক এবং ২৩৪,৩৯২ট বালিক, মোট ৯৪৩৮৯৮ট ছাত্র শিক্ষা প্রাপ্ত হইয়াছে। এতদ্ব্যতীত বড় বড় সহরে কিণ্ডার গার্টেন ধরণের বহুতর বিদ্যালয় আছে ; এরং দেশের জনসাধারণ উহার প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করায় দিন দিনই উহাদের সংখ্যা বৃদ্ধি প্রাপ্ত হইতেছে। এই সকল বিদ্যালয়ে নিম্ন প্রাথমিক স্কুলের অনুরূপ তিনবৎসর বয়সের বালক বালিকা হইতে বেশি বয়সের ছাত্র ছাত্রী গৃহীত হয় এবং অন্যান্ত বিষয়ের সহিত ব্যায়াম, সংগীত, কথোপকথন এবং ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র হস্ত-শিল্প বিষয়ের শিক্ষা দেওয়া হইয়া থাকে। আলোচ্য বর্ষে জাপানে ১৮২ট সরকারী এবং ৭২টা বেসরকারী কিণ্ডারগার্টেন বিদ্যালয় ছিল ; সরকারী স্কুল সমূহে ১০,৩২৭ট বালক ও ৮,৯৭২টা বালিকা মোট ১৯২৯৯ জন এবং বে-সরকারী বিদ্যালয় সমূহে ২,২৩৫টা বালক, ২,১৩৭ট বালিকা মোট ৪,৩৭২ জন ছাত্র ছাত্রী भिक 2ांश्धुं ट्ठेब्रांप्छ । প্রাথমিক শিক্ষা সমাপ্তির পর বালকবালিকাদের বিভিন্নতর শিক্ষাকার্য্য আরব্ধ হয়। বালিকাদিগের নিমিত্ত পৃথক উচ্চ বিদ্যালয় এবং উচ্চ নর্মাল স্কুলসমূহ বিদ্যমান আছে। এই সকল বিদ্যালয়ে পাঠার্থী বালিকাদিগের সংখ্যা বালকদিগের তুলনায় কম বটে, কিন্তু তাহার প্রথম কারণ রমণীগণের স্বাভাবিক প্রকৃতি ও সামাজিক অবস্থা এবং দ্বিতীয় কারণ বিদ্যালয়সমূহে অধিকতর পাঠার্থিনীর স্থানাভাব। বালক বালিকাদের পাঠ্য এবং শিক্ষাদানপ্রণালীও এক নহে। এতং বিষয়ের প্রতোক বিবরণ প্রদান করিতে হইলে পাঠকবৃন্দের ধৈর্যাচুতির সম্ভাবনা বিধায় সাধারণতঃ জাপানে কি ভাবে রমণীদিগের শিক্ষাব্যাপার নিম্পন্ন হইয়া থাকে, তাহারই স্থল বিবরণ প্রদান । করিতে চেষ্টা পাইব। জাপানের শিক্ষা-বিভাগের মন্ত্রী স্বায় রিপোর্টে লিথিয়াছেন,— “রমণীগণের উচ্চ বিদ্যালয়ে অধ্যয়নের পূর্ণকাল চারি বৎসর, কিন্তু স্থানীয় অবস্থানুসারে ইহার এক বৎসর কমানোও যাইতে পারে, আবার স্থলবিশেষে বাড়ানোও 8 কাৰ্য্য শিক্ষার নিমিত্ত নির্দিষ্ট হইতে পারে ; সাধারণ শ্রেণী ব্যতীত বিশেষ শিল্পশ্রেণী প্রতিষ্ঠিত করা যাইতে পারে। এই শ্রেণীতে দুই বৎসর ৯ইতে চারি বৎসর কাল শিক্ষা করিতে হইবে। যে সকল গ্রাজুয়েট কোনো বিশেষ বিভাগে ব্যুৎপন্ন হইতে ইচ্ছা করেন, তাহদের উপকারের নিমিত্ত দুই তিন বৎসরের বিশেষ বিভাগও থোলা যাইতে পারে।” উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রবেশ করিতে হইলে,-বয়স অনুনি দ্বাদশবর্ষ এবং তৎপূৰ্ব্বে প্রাথমিক স্কুলের উচ্চ বিভাগের দ্বিতীয় বার্ষিক শ্রেণীর শিক্ষা শেষ করা চাই। ১৯০১-২ অব্দে জাপানে রমণীগণের নিমিত্ত ৬১ট সরকারী এবং ৮টা বে-সরকারী মোট ৬৯টী উচ্চ বিদ্যালয় ছিল ; সরকারী স্কুলে ১৪,৯৭৫ জন, বে-সরকারী স্কুলে ২,২৪০ জন, মোট ১৭,২১৫ জন রমণী শিক্ষাপ্রাপ্ত হইত। ঐ বৎসর রমণীগ্রাজুয়েটের সংখ্যা –সরকারী স্কুলের ২,৭৭৮টা, বে-সরকারী বিদ্যালয় সমূহের ৮১২ট, মোট ৩,৫৯১ট ছিল। রমণী-উচ্চ-বিদ্যালয়ের পাঠ্যতালিকা এই –নীতি শিক্ষ, জাপানী-ভাষা শিক্ষা, বৈদেশিক ভাষা শিক্ষা , ইতিহাস ভূগোল, অঙ্কশাস্ত্র, বিজ্ঞান, চিত্রাঙ্কণ, গৃহস্থালীর কার্য্যশিক্ষা, দরজির কার্য্য-শিক্ষা ; সংগীত এবং ব্যায়ামচৰ্চা করিতে হয়। যে স্থলে পাঠের নির্দিষ্টকাল কথঞ্চিৎ কম করা হয়, সে স্থলে বৈদেশিক ভাষা শিক্ষা পরিত্যক্ত হয়। বৈদেশিক ভাষা শিক্ষা অর্থে জাপানে কেবল ইংরেজি বা ফরাসী ভাষা শিক্ষাই বুঝায়। প্রত্যেক স্থলেই বৈদেশিক *R-fol—#&tion aty (optional course) of বিবেচিত হইয়া থাকে এবং যে সকল রমণীর স্বভাব কলাশিক্ষার অনুপযোগী বোধ হইবে, তাহাদিগের পক্ষে সংগীত-শাস্ত্রের আলোচনাও নিষিদ্ধ। এতদ্ব্যতীত পণ্ডিতী এবং ‘শিল্পী শ্রেণী আছে ;–তাহাও ইচ্ছাধীন রূপে পরিগণিত। - টােকিও সহরে বালিকাদের নিমিত্ত একটা (Higher Normal School for women) কলেজ স্থাপিত হইয়াছে I এই কলেজে উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় এবং প্রাদেশিক নর্মাল