পাতা:প্রবাসী (অষ্টম ভাগ).pdf/২৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- কলেজে তিনটী শ্রেণী আছে; সাহিত্যশ্রেণী, বিজ্ঞানশ্রেণী এবং শিল্পশ্রেণী। প্রথম শ্রেণীতে নিম্নলিখিত বিষয় শিক্ষা করিতে হয় ; —নীতি-শাস্ত্ৰ (Ethics), শিক্ষাদানবিদ্যা, জাপানী সাহিত্য, চীনভাষা, ইংরেজি, ইতিহাস, ভূগোল, সংগীত এবং ব্যায়াম। দ্বিতীয় বিভাগে, জাপানী ও চীন সাহিত্য এবং ইতিহাস ও ভূগোল শিক্ষা করিতে হয় না। তৎপরিবর্তে অঙ্কশাস্ত্র, পদার্থ-বিজ্ঞান, রসায়ন, এবং জীব-বিদ্যা প্রভৃতি অধ্যয়ন করিতে হয়। তৃতীয় শ্রেণীতে অঙ্কশাস্ত্র এবং জীব-বিজ্ঞান ব্যতীত দ্বিতীয় শ্রেণীর সকল বিষয়ই শিক্ষা করিতে হয়, অধিকন্তু দুইটার পরিবর্তে সাতটা নূতন বিষয়ে ব্যুৎপত্তি লাভ আবশ্বক হয়, যথা,—গৃহস্থালীর স্ববন্দোবস্তপ্রণালী, কাপড় কাটা ও সেলাই, হস্ত দ্বারা ছোট ছোট শিল্পকৰ্ম্ম, চিত্র অঙ্কন ও Šsta (drawings to designs) 21:fff; | জাপানী-ভাষার সহিত চীন-সাহিত্য শিক্ষার উদ্দেশ্য—লিপিচাতুর্য্য লাভ করা । গৃহস্থালীর স্ববন্দোবস্ত প্রণালী দুই বিভাগে বিভক্ত ;—এক বিভাগে শুদ্ধ গৃহস্থালীর কাজকৰ্ম্ম বিষয়ে উপদেশ দেওয়া হয় এবং অপর বিভাগে "পারিবারিকশিক্ষা-দানের বিষয় উপদিষ্ট হইয়া থাকে। পূৰ্ব্বোক্ত কলেজে আরো কতিপয় স্বতন্ত্র বিভাগ আছে ;—যথা পোষ্টগ্রাজুয়েট শ্রেণী ; ইহাতে দুই বৎসর অধ্যয়ন করিতে হয়। স্বমনোনীত পাঠ্যশ্রেণী ;–উচ্চ বিদ্যালয়ের নিরূপিত পাঠ্য শেষের পর প্রত্যেক ছাত্রীই স্ব স্ব ইচ্ছামত পাঠ্যশ্রেণী নিদিষ্ট করিয়া লইতে পারে। এই বিভাগে চারি বৎসরেরও অধিককাল অধ্যয়ন করিতে হয়। কিণ্ডারগার্টেন স্কুলের উপযোগী শিক্ষয়িত্রী তৈয়ারি শ্রেণী এবং বিশেষ শ্রেণী নামে অপর দুইটী বিভাগ আছে, ইহার প্রতিবিভাগে একবৎসর . কাল পাঠ করিতে হয়। কলেজের প্রত্যেক প্রধান তিন শ্রেণীর শিক্ষাদান কার্য্য সমাপ্ত করিতে চারি বৎসরেরও উৰ্দ্ধকাল করিয়া প্রয়োজন হয়। আলোচ্য বর্ষে উক্ত কলেজে ৩১১ট ছাত্রী এবং ৮৬ জন গ্রাজুয়েট ছিল। মিস ইয়াকুই এই কলেজের একজন উত্তীর্ণ শিক্ষয়িত্রী ; তিনি ইংলণ্ডে শিক্ষালাভ করিয়াছিলেন। অল্প দিন হইল শুাম দেশের রাণীর আহবানে তথাকার বালিকা বিদ্যালয়ের - শিক্ষত্রিীরূপে-ইয়াহই তামদেশে গমন করিয়াছেন। এই স্কুলের সহিত উচ্চ-বালিকা-বিদ্যালয়ও সংযুক্ত আছে এবং তথাকার শিক্ষার কাল অন্যান্ত বালিকা-বিদ্যালয় অপেক্ষা এক বৎসর বেশী অর্থাৎ পাচ বৎসর। পূৰ্ব্বোক্ত কলেজের অধীনে একটা উচ্চ বালিকা: বিদ্যালয়ও প্রতিষ্ঠিত আছে। স্ত্রী-শিক্ষার সাধারণপ্রণালী শিক্ষা এবং অপরাপর ব্যবহারিক শিক্ষাদানই এই বিদ্যালয়ের মুথ্য উদ্দেশ্য। আলোচ্য বর্ষে স্কুলে ৪১৬টী ছাত্রী ছিল। এতদ্ব্যতীত একট প্রাথমিকস্থলও কলেজের অন্তভূক্ত রছিয়াছে। ইহাও ঐ একই উদ্দেশ্রে পরিচালিত হইয়া থাকে। এই স্কুলে তিনটী বিভাগ আছে, এবং প্রত্যেক বিভাগে দুই হইতে চারি বৎসর অধ্যয়নকালরূপে নির্দিষ্ট আছে। প্রাথমিক স্কুলের ছাত্র ছাত্রীর সংখ্যা ৪৬২ট, তন্মধ্যে ১০৮ট ছাত্র এবং ৩৮২ট ছাত্রী । কলেজের অধীন অপর একটা কিণ্ডারগার্টেন স্কুলও দৃষ্টিগোচর হইয়া থাকে। জাপানের নানাস্থানে রমণী-শিক্ষয়িত্রী তৈয়ারীর নিমিত্ত বিশেষ নৰ্ম্ম্যাল স্কুলসমূহ বর্তমান আছে। বালকট্ৰিগের নিমিত্ত প্রতিষ্ঠিত নৰ্ম্মাল স্কুলেও বালিকাদিগের নিমিত্ত একটা স্বতন্ত্র বিভাগ থাকে। জাপ-সাম্রাজ্ঞীর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে একটা বালিকা-বিদ্যালয় আছে ; ইহা রাজপরিবারের মন্ত্রী কর্তৃক পরিচালিত হইয়া থাকে ; রাজ্যের শিক্ষাবিভাগের সাধারণ মন্ত্রীর এই বিদ্যালয়ে কোনরূপ ক্ষমতা পরিচালনের অধিকার নাই। এই স্কুলের নাম—পিয়ারেস স্কুল (Peeress School) ; অপরাপর সম্রাস্ত পরিবারের বালিকাদিগের প্রবেশাধিকার সঙ্কুচিত না হইলেও সৰ্ব্বপ্রথম উচ্চ পরিবারের বালিকাদিগকেই স্থান দান করা হয়। শেষোক্ত শ্রেণীর বালিকাদের স্থান সংকুলান হওয়ার পরও যদি অতিরিক্ত স্থান থাকে, তবেই প্রথমোক্ত শ্রেণীর বালিকার এই বিদ্যালয়ে প্রবেশ করিতে পারে। ইহার অধীনেও একটা কিণ্ডার গার্টের শ্রেণী আছে। শিক্ষা-বিভাগের মন্ত্রীর অধীনে টােকিওতে একটা *iffs (Music Academy) atts ot পাচটা শ্রেণী বিভাগ আছে ;–(১) প্রাথমিক, (২) মূল, (৩) পোষ্ট গ্রাজুয়েট, (৪) নৰ্মাল এবং (৫) মনোনীত। বালক বালিকা উভয় শ্রেণীর ছাত্রই ইহাতে প্রবেশের (noble family) ৮ম স্থা। | ৮ম সংখ্যা । ] | s NE + I ്സ്.-l. অনুমতি প্রাপ্ত হইয়া থাকে। জাপানী-শিক্ষক ব্যতীত সমিতিতে পাঁচটা বৈদেশিক শিক্ষক নিযুক্ত আছেন ; তাহার দুইজন জৰ্ম্মান দেশীয়, একজন আমেরিকা-বাসী, একজন রুশীয় এবং একজন ফরাসী । জাপানে বে-সরকারী ব্যক্তিদের স্থাপিত যত প্রকার বালিকা বিদ্যালয় আছে, তাহার সকল গুলির বিবরণ প্রদান করা অসম্ভব। তাহাদের সংখ্যাও যেমন বিপুল, প্রত্যেকের কার্য্যপ্রণালীও তেমনই স্বতন্ত্র । নিম্নে এই শ্রেণীর প্রধান কতিপয় বিদ্যালয়ের পরিচয় প্রদত্ত হইল। টোকিওর Jiogakkwan বিদ্যালয়ের কার্য্যকারিতা অতি প্রশংসনীয়। বৈদেশিক উদার ‘মিশন’ বিভাগের কতিপয় সদাশয় বৈদেশিকের চেষ্টায় এই বিদ্যালয় প্রথম উৎপত্তি লাভ করিলেও তথায় ধৰ্ম্ম শিক্ষা বিষয়ে কোন বিধিবদ্ধ নিয়ম ছিল না ; কেবল উচ্চশ্রেণীর জাপবালিকাগণের এগ্নে-স্তাক্সন শিক্ষা দীক্ষায় অভ্যস্ত করাই বিদ্যালয়ের মুথ্য উদ্দেশু বলিয়া স্থিরীকৃত হয়। প্রখ্যাতনামা বহুতর ব্যক্তি দ্বারা এই প্রণালী সমর্থিত হইয়াছে এবং দেশীয় ও বিদেশীয় অসংখ্য ব্যক্তি শিক্ষা-ফওে অর্থ সাহায্য করিয়া থাকেন। রাজপরিবার হইতেও বিশেষ সাহায্য প্রদত্ত হইয়া থাকে। ১৯০৩ অব্দের অক্টোবর মাসে এই বিদ্যালয়ে ছাত্রীর সংখ্যা ২৩০ জন ছিল। টোকিওনগরে ‘রমণী বিশ্ববিদ্যালয়’ নামে (Women's University) একটী রমণী কলেজও প্রতিষ্ঠিত আছে । পুরুষ বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় এই বিদ্যালয়ের নামকরণ অনুপযুক্ত হইলেও ইহাতে অসংখ্য রমণী শিক্ষার্থীর সমাবেশ ইষ্টা থাকে। বর্তমান সময়ে ইহার ছাত্রীর সংখ্যা এক সহস্ত্রেরও অধিক। এতদ্ব্যতীত জাপানের নানা স্থানে চিকিৎসা-শাস্ত্র অধ্যয়ন, চিত্র-শিক্ষা, শিল্প-শিক্ষা, এমন কি ব্যবসায়-বাণিজ্য ও কৃষিকাৰ্য্য শিক্ষার নিমিত্তও রমণীগণের পৃথক পৃথক্ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত আছে। জাপানে রমণীচিকিৎসকের—যাহারা সাধারণ ভাবে ডাক্তারী ব্যবসায় অবলম্বন করিয়াছে, সংখ্যা প্রচুর না হইলেও জাপানের সরকারী পরীক্ষাতেও রমণী উত্তীর্ণ হইয়া থাকেন। বৈদেশিক ‘মিশন' হইতে টােকিও, ইয়োকোহাম, SMSMSAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAA 85న নাগোয়, ওসাকা, কোবা, কিওটাে প্রভৃতি স্থানে বহুতর বে-সরকারী বালিকা বিদ্যালয় আছে, এবং উহাদের অনেকের দ্বারাই দেশের রমণীসমাজের প্রভূত উপকার সাধন হইয়া থাকে। এক টোকিও নগরে সর্বশ্রেণীর মোট ৭৩টা বালিকাবিদ্যালয় আছে। পূৰ্ব্বের উল্লিখিত স্কুলসমূহও এই গণনার অন্তভূক্ত এবং ধাত্রীবিদ্যা শিক্ষার ও ‘সেবিকা’ (nursing) তৈয়ারির স্কুলগুলিও এই তালিকার মধ্যে গণিত হইয়াছে। রমণীগণের কার্য্য সম্বন্ধে আরও দুই একটা কথা বলা প্রয়োজন। জাপানে স্ত্রী পুরুষের মধ্যে বিশেষ কোনো পার্থক্য নাই। জাপ-বালিকার বিবাহের পর স্বামী গৃহে প্রবিষ্ট হইয়া প্রধানতঃ গৃহকার্য্যেই মনোনিবেশ করে এবং সংস্ত্রী এবং জননী হইবার নিমিত্ত একান্ত চেষ্টা করিয়া থাকে। কিন্তু এতৎসত্ত্বেও তুলার কাপড়ের কল, রেশমী কাপড়ের কল, কাগজের কল, প্রভৃতি কারখানায় বহুতর জাপ-রমণী শ্রমসাধ্য কার্য্যে নিযুক্ত হইতে দেখিতে পাওয়া যায়। সরকারী কাৰ্য্যালয়সমূহে নিযুক্তা রমণীর সংখ্যা অধিক নহে। তবে তাহারা প্রভূত পরিমাণে বিদ্যালয়ে শিক্ষয়িত্রীর কার্য্যে নিযুক্ত হইয়া থাকে। যাহার কম সৌভাগ্যশালিনী এবং উচ্চশিক্ষা হইতে বঞ্চিত তাহার ডাক ও টেলিফোন বিভাগ এবং রেলওয়ের নানা বিভাগে নিযুক্ত হইয়া থাকে। নানা বেসরকারী কোম্পানীর কার্য্যালয়ে পরীক্ষাধ নভাবে রমণী কেরাণী নিযুক্ত করা হইতেছে; সুখের বিষয় তাহাদের দ্বারা কাষ উত্তমরূপেই নিৰ্ব্বাহিত হইতেছে। ইহা হইতে আশা করা যায়, জাপ-রমণীর নিজেদের ধী-শক্তির পরিচয় দিয়া ক্রমে ক্রমে প্রশস্ততর ক্ষেত্রে উপনীত হইবেন। এ স্থলে রমণীদের দ্বারা চালিত ও তাহাদের দ্বারাই প্রতিষ্ঠিত কতিপয় কার্য্যের উল্লেখ না করিয়া নিরস্ত হইতে পারিলাম না। টোকিওতে এরূপ কুড়িট সমিতি আছে। তথাকার দাতব্য হাসপাতাল জাপ-সাম্রাজ্ঞীর প্রত্যক্ষ যত্বাধীন এবং ato-afgŘxtù sfaxsitski (PrincessAřisugawa ) হাসপাতালকমিটীর প্রধান সভ্য ; ‘জাপান রমণী-শিক্ষা xfwfs*' (Japanese Ladies' Educational Society) সভাপতি জাপ-রাজকুমারী কানিন (Prieess Kanin);