পাতা:প্রবাসী (অষ্টম ভাগ).pdf/২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

كك هيرو كد -- 鄒 - - - স্বৰ্গীয় অনারেবল গুরুপ্রসাদ সেন। - KUNTAI. IN E PREss, CAI cu TTA. ཤོག་། o ১ম সংখ্যা । ] উপহার দেওয়া আবশ্বক বিবেচিত হইত, কিন্তু কুকির ব্রিটিশ রাজ্যে বাস করিয়া সেই প্রথা ত্যাগ করাই সুবিধা মনে করিয়াছে । কুকিদিগের পাশাপাশি কপিলি নদীর তীর হইতে প্রায় ব্ৰহ্মপুত্র পর্য্যন্ত নওগাঁ জেলার পাৰ্ব্বত্য অংশ ব্যাপিয়া মিকির জাতির বাস। ইহারা ভাষাগত বৈষম্যে সকল জাতি হইতে পৃথক। ইহাদের আপনার ঐতিহে প্রকাশ যে কাছাড়ীর ইহাদিগকে নওগা ও কাছাড়ের মধ্যগত টােলারামের দেশ হইতে তাড়াইয়া দেয় এবং তাহারা জয়ন্তিয়াদিগের আশ্রয় প্রার্থনা করে ; কিন্তু তাহারা জয়স্তিয়াদিগের অভ্যর্থনায় সন্তুষ্ট না হইয়া অবশেষে আসামের রাজার শরণাপন্ন হয় এবং তদবধি তাহার নিৰ্ব্বিবাদে বাস করিতেছে। আসামের ব্রিটিশ গভর্ণমেণ্ট ইহাদিগকে নিরীহ নিৰ্ব্বিরোধী পাইয়া তাহাদিগকে নিরস্ত্র করিয়া ভালো প্রজা করিয়াছেন —কারণ দেখাইয়াছেন যে মিকির যুদ্ধ বিমুখ, ইহাদের অস্ত্র থাকিলেই অপর বিক্রান্ত জাতির দ্বারা আক্রান্ত হইবার সম্ভাবনা থাকে ! মিকিরদের পরিচ্ছদ খাসিয়াদের মত এবং অনেক বিষয়ে ইহারা খাসিয়াদেরই অনুরূপ। ইহাদের পরিচ্ছদ বেশ মজার ; লাল ডোরাটানা দুই খণ্ড এক ধারে ঝালরওলা কাপড় একত্র করিয়া মাথা ও হাত গলাইবার ফুট রাখিয়া সেলাই করিয়া জামা পরে—ঠিক মিশনীদের জামার মত। ইহাদের মুখস্ত্র খাসিয়ার মত, কিন্তু অবয়বে হীন। ইহারা উচু পোতার একটা বড় ঘরে সকলে মিলিয়া জটলা করিয়া থাকে ; " কখনো এককক্ষবিশিষ্ট এক গৃহে ত্রিশটি দম্পতিকে থাকিতে দেখা গিয়াছে। একটা কাঠের গায়ে খাজ কাটিয়া তাহাই উচু ঘরে উঠবার সিঁড়িরূপে ব্যবহার করে। মিকির গোরু ভিন্ন সকল পশুই আহার করে, গোরু পবিত্র বলিয়া গণ্য করে, কিন্তু দুধ খাইতে ভালবাসে না। বয়স্ক না হইলে বিবাহ হয় না ; বিবাহের কোন ক্রিয়ানুষ্ঠান নাই ; কেবল বিবাহ এবং পুত্ৰজন্ম উপলক্ষে । ভোজ দেওয়া হয়। বহুবিবাহ প্রচলিত নাই, বিধবা বিবাহ হইয়া থাকে। ভক্ত ও কবি । বেড়া দেওয়া হয়। পুরাকালে রাজার কবরের উপর নরমুণ্ড ৩৭* - ইহাদের ধৰ্ম্ম সংস্কার বিশেষ পরিস্কট বা মৌলিক নহে। ইহারা ‘হেম্পাটিম নামক পরমেশ্বরের আরাধনা করে। মিকিরদের জনসংখ্যা মাত্র পচিশ হাজার। মুদ্রা-রাক্ষস । ভক্ত ও কবি ।+ এই জগৎ সকলের জন্যই আছে। ীিন জগৎপতি তিনিও সকলের জন্ত আছেন। সকলেই চোখ মেলিয়া জগতের শোভা দেখিতে পারে। জীবনের রহস্ত ও ঈশ্বরের অনন্ত ভাব অনুভব করিবার অধিকারও সকলেরই আছে। অথচ বিশ্বের অনিৰ্ব্বচনীয় সৌন্দর্য্যের মধ্যে অতি অল্প লোকই প্রবেশ করিতে পারে ; জীবনের রহস্তদ্বার উদঘাটন করাও সকলের শক্তিতে কুলায় না এবং অধিকাংশ মনুষ্যকেই ভাবের বহিদ্বর্ণর হইতে ফিরিয়া আসিতে হয়। এজন্ত প্রকৃত ভক্তের সংখ্যাও অল্প ; প্রকৃত কবির সংখ্যাও বড় বেশী নহে। - একথা প্রায় প্রত্যেক চিন্তাশীল ও স্বক্ষদশী ব্যক্তিই অনুভব করিয়া থাকেন যে, বিশ্বের অনিৰ্ব্বচনীয় সৌন্দর্ঘ্যের মধ্যে প্রবেশ করিতে হইলে এবং মানবজীবনের রহস্তদ্বার উদঘাটন করিয়া অসীম ভাবের সঙ্গে পরিচিত ছুইতে হইলে, বহিরিঞ্জিয়ের অতীত কোন মানসিক বৃত্তির সাহাৰী চাই। সেই মানসিক বৃত্তির কার্য্যকে মনের মনন-ক্রিয় অথবা আত্মার ধ্যানদৃষ্টি বলা যাইতে পারে। মানবপ্রকৃতির মধ্যে এ কি যে এক মানসিক আলন্ত আছে, বুঝা যায় না – মানুষ দূর ও শারীরিক শ্রম করিতে রাজি হয়, তবু মনের মনন-ক্রিয়া দ্বারা কিম্বা ধ্যানস্থ হইয়া কোন অদৃপ্ত বস্তুর সত্তায় তন্ময় হইতে চাহে না। অনেকে ভাবিয়া দেখেন ন যে, শুধুই ইন্দ্রিয়ের শক্তি অতি সামান্ত। উহার উপর নির্ভর করিলে প্রতিদিন যাহা চোখে পড়ে, তাহাও ভাল করিয়া বুঝা যায় না। প্রতিদিনই পূৰ্ব্বকাশে রবি উদিত হইয় তাহার স্বর্ণ রশ্মিতে ধরণীকে শোভাময়ী করিয়া তোলে, প্রতিদিনই নীলাকাশ উজ্জ্বল নক্ষত্রমালায় শোভিত কম Cj Djīss isī Ethnology of Bengal os offs -- চট্টগ্রাম পাবলিক লাইব্রেরী গৃহে পঠিত।