পাতা:প্রবাসী (অষ্টম ভাগ).pdf/২৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- 8이o --- --WikitanvirBot (আলাপ) ১৪:২৪, ২৪ মার্চ ২০১৬ (ইউটিসি) তুলিলে ভাল হয়। এ গ্রন্থের হাসির গানগুলি গ্রন্থ স্মৃষ্টির অনেক পূৰ্ব্বে রচিত। তাহাতেও ক্ষতি ছিল না ; কিন্তু সেগুলি স্বাভাবিক ডাল পালার মত বসে নাই। পড়িলে বরং মনে হয়, যে ভাল ভাল গোটা কতক হাসির গান যেন একসঙ্গে গাথিয় দিবার জন্যই একটা চলনসই গল্পের সুতাপাকানো হইয়াছে। হল্পীশে গল্পের ভাগের সামঞ্জস্ত অপেক্ষা, নাচ গান ও তামাসাই অধিক থাকে ; ইহাতেও उठांशठे श्रांzछ् । (৪) প্রায়শ্চিত্তখানিও খুব বহুৎ আচ্ছা হইয়াছে মনে হইল না। অলঙ্কার শাস্ত্রের নিয়মে এথানি দুৰ্ম্মল্লিকা । বিটক্রীড়াময়, কৌশিকীবৃত্তিযুক্ত ছন্মল্লিকা, একালের সমাজচিত্রের পক্ষে খুব উপযোগী। কয়েকটি চিত্র ফুটিয়াছে বেশ ; কিন্তু কবি ইচ্ছাপূৰ্ব্বক যেন ত্র্যহম্পর্শের মত এথানিও পূৰ্ব্বরচিত কতকগুলি গান জুড়িয়া প্রকাশ করিয়াছেন। আমাদের সমাজ এখন মৃতের সমাজ। দায়িত্বহীনতা, কৰ্ম্মশূন্ততা, এবং কৰ্ম্মের নামে কেবল নিজের জীবন ধারণের চেষ্টায় ক্ষুদ্রতা এবং স্বার্থপরতা ; এবং এই সকলের সমবেত ফলে দাড়াইয়াছে—একটা জড়ত। এ অবস্থায়, যাহারা জীবন্ত, কৰ্ম্মঠ এবং নিত্য উন্নতিশীল, তাহাদের সাহিত্য এবং সমাজের সহিত আমাদের পরিচয় হইলে প্রভূত উপকার হয় । ইউরোপ ভ্রমণে এই পরিচয় বেশি হয় বলিয়া এ কালে ইউরোপ ভ্ৰমণ আমাদের পক্ষে হিতকর। কিন্তু কেহ কেহ, ইউরোপ ভ্রমণের ফলে, নানা কারণে .তাহদের পবিত্রতা ও সংযম হারাইয়া ফেলিয়াছেন। যে বয়সে সাজান কাঠের পুতুল দেখিয়াও ভ্রাস্তি জন্মে, সে বয়সে যদি বিদেশ প্রবাসের সময়ে ত্বকের গৌরত মাত্রেই নীচ শ্রেণীর রমণী দেখিয়া মতি ভ্রাস্তি জন্মে, তবে আশ্চর্যের কথা নয়। ভাবিলেও কষ্ট হয় যে শিক্ষার অভাবে এদেশের রমণীরা যে অবস্থায় আছেন, তাহ নূতন শিক্ষিতদিগের কাছে “জড় ভরত" বলিয়া মনে হয়। তাই অনেক স্থলেই নাকি অনেক "রেবেকার” আমদানি হইতেছে। সকল চপলমতি বালক বুদ্ধিমান হইল না কেন, না ভাবিয়া, আমরাই কেন গৃহসংস্কার করিতেছি না ? এই সংসারটাকে সকলের বাসের উপযোগী করিয়া তোলাই ত বাহাদুরি ; নহলে “এক ঘরে” করিত্বে বসলে নিজেরই ক্ষীণত জন্মে। কবি বিদেশ প্রবাসী । [ ৮ম ভাগ। প্রবাসের মন্দ দিকটা দেখিতেও ভুলেন নাই। চপলের চাঞ্চলা যথেষ্ট দেখাইয়া দিয়াছেন। কিন্তু এ বিষয়ের পরিহাল ? তাহার ছ' তিনটি গানে যাহা ফুটিয়াছে, সমগ্র প্রায়শ্চিত্ত্বে তাহা ফুটে নাই । - সমষ্টি ভাবের চিত্রের বিচারেও যাহা কল্কি-অবতারে বিকশিত, এ গ্রন্থের চিত্রে তাহার উপর অধিক কিছুই নাই। রেবেকা যখন স্বামীর সঙ্গে ধূরা, ধরিয়া গান গায়, তখন , সৰ্বটা একেবারে হল্পীশে (farce) দাড়ায় ; উদ্দিষ্ট শিক্ষার পথে বাধা জন্মে। নাট্যরচনার হিসাবে যাহাই হউক, কিন্তু এই শেষোক্ত গ্রন্থ দুখানি পড়িলে বুঝিতে পারা যায়, যে সামাজিক সকল অবস্থার সহিত কবির যথেষ্ট পরিচ হইয়াছে ; এবং সকল প্রকার লোকচরিত্রই কবি সম্বন্থে পর্য্যবেক্ষণ করিয়াছেন। এই বহু বিস্তৃত অভিজ্ঞতার ফল, তাহার পরবর্তী নাটক গুলিতে দেখিব। (৫) পাষাণী। এই নাটক খানি প্রায়শ্চিত্তের পূর্কে লিখিত ; কিন্তু এই দৃশুকাব্যেই কবি একখানি যথার্থ নাটক রচনা করিবার প্রয়াস, সৰ্ব্বপ্রথমে করিয়াছেন। : পাষাণীর আখ্যানবস্তু অহল্যার বিবরণ, একটি প্রসিদ্ধ পৌরাণিক কথা। এ দেশের প্রায় সকল পৌরাণিক কথারই নানা সংস্করণ পাওয়া যায় ; কবি রামায়ণে বর্ণিত পুরাণ অনুসরণ করিয়া অহল্যাকে ‘স্বেচ্ছায় পাপিনী বলিয়া • বর্ণনা করিয়াছেন। ‘মন্দ্রের ভূমিকা পড়িয়া বুঝিলাম, নে । এইপ্রকার বর্ণনায় হিন্দুধৰ্ম্মের কোন কোন প্রহরী চট্য গিয়াছিলেন। কবির আক্ষেপ, তাহারা রামায়ণ পড়েন নাই ; আমার আক্ষেপ যে অহল্যাকে প্রাচীনেরা পাষাণী করিয়াছিলেন কেন, তাহার সার্থকতা উহার বুঝেন নাই। এ শ্রেণীর লোকের পক্ষে নাটক পড়া বিড়ম্বনা। জ্ঞানকৃত পাপভিন্ন নারী পাষাণী হয় না ; এবং পাষাণীর দেবীত্ব লাভের ইতিহাসই মানব চরিত্রে পুণ্য অর্জনের যথার্থ ইতিহাস। ভগবান বুদ্ধদেবের পবিত্র প্রসাদে কত পাষাণ ষে দেবী হইয়া প্রাতঃস্মরণীয়া হইয়াছেন, ভারতনা মাহায্যের জরামরণাতীত সাক্ষী থেরী-গাথায় তাহ পাই। যাহা পাপ, উহাই যে স্বর্গের সিড়ি, এ তত্ত্ব সকলের পক্ষে বুঝিয়া উঠা একটু শক্ত ; কারণ ধৰ্ম্মটা অনেকের কাছে? বাহ অনুষ্ঠান মাত্র। এই কাব্য থানিতে কবি, রূপ আরোগ ! ৮ম সংখ্যা । ] - ভাবে বুঝাইয়াছেন – Saint Augustine! well hast thou said That of our vices we can frame A ladder, if we will but tread Beneath our feet each deed of shame. তথাগত বুদ্ধ যজ্ঞের—ক্রিয়াকলাপ-ভ্রান্তদিগকে সৰ্ব্বপ্রথমে বুৰাইয়াছিলেন, যে যথার্থ মনুষ্যত্বের নামই ব্রাহ্মণত্ব। পরে অনেক পুরাণে অনেক স্মৃতিতে উহা প্রতিধ্বনিত হইয়াছিল। কবি এই মনুষ্যত্ব বা ব্রাহ্মণত্বের যে আদর্শ রচনা করিয়াছেন, লৈণ্ডের হালের কবি টেনিসনের আর্থারে তাহা নাই । মাংসপিণ্ডের ধ্বংসের পূৰ্ব্বে মাংস-বৰ্দ্ধিত পাপ যায় না বলিয়া গুইনিভিয়র পরিত্যক্তা। আমাদের যদি ভগবানের দিকে চাহিয়, একথা বলিবার অধিকার থাকে,--“আর একবার ভালবাস", তবে মানুষের দিকে চাহিয়া মানুষ তাহা বলিতে পারবে না কেন ? এ অধিকার গুইনিভিয়রের থাকিবে না কেন, পাষাণীর থাকিবে না কেন ? যে তাহার তীৰ যন্ত্রণায় কিয়ছে, যে “পাষাণী হইয়া গেছি অন্তরে অন্তরে,” সে যে দেী, তাহা গৌতমের মত ব্রাহ্মণেই বুঝিতে পারেন। গৌতমের মাহাত্ম্য, এবং পাষাণীর দেবীত্ব, শূদ্রতা পরিহার না করিলে হৃদয়ঙ্গম করা যায় না। সংসারে সাধুতা আছে, ইহার প্রত্যক্ষ জ্ঞানই পাপীর পুণ্যলাভের প্রথম সোপান। অনুতপ্ত পাষাণী রাম নামে একেবারে মুক্তি লাভ না করিয়া সাধুতার প্রত্যক্ষ অমুস্কৃতিতে নবজীবন লাভ করিতে আরম্ভ করিল। এ স্থানে কৰি ধৰ্ম্মতত্ত্ববিদের স্বক্ষ অনুভূতি ফুটাইয়া তুলিয়া পুরাণের উপর নূতনত্ব সৃষ্টি করিয়াছেন। পাষাণীর যথার্থ মুক্তি গৌতমের আহবানে। প্রিয়তমের আহবানের অনুভূতি ভিন্ন বে পাপীর মুক্তি নাই, এ কথা ধৰ্ম্মসাধকের গ্রন্থে পড়িয়াছি বটে ; কিন্তু কবির চিত্রে ইহা প্রত্যক্ষ হইয়াছে। কবি, ীেতমচরিত্রে যে দেবত্ব আরোপ করিয়াছেন, তাহারই ফলে ৰে পাপীর মুক্তি, কেবল রাম নামে নহে, এ কথা শেষ দৃতে জনকের কথায় মুস্পষ্ট করিয়া বলিয়া দেওয়া হইয়াছে। কবির এই নূতনত্ব, মনস্তত্বের বিচারে স্বসঙ্গত। পাপী যখন প্রিয়তমম্পশে নবজীবন লাভ করে, তখন যে সে নবজাত অসহায় শিশুর মত, অন্ধের মত, নবপ্রসারিত করুণা অবলম্বন বিদেশে বাঙ্গালী ছাত্র। 8ax --- করি, সাধু অগস্তিন অথবা লংফেলোর কথাই যেন প্রত্যক্ষ করিয়া থাকিতে চাহে, অহল্যার শেষ কথায় তাহাই পাই :– নাথ, তব পুণ্যতেজে আজি অন্ধ আমি, কোথা তুমি ? কতদূর ? সঙ্গে করে লও। জটিল মনস্তত্বের এমন সুন্দর ব্যাখ্যা, সহসা দেখা যায় না। গেটের ফষ্ট বড় উচ্চ দরের জিনিস, সমগ্র ইউরোপের কাব্যভাণ্ডারে অমন গ্রন্থ আর আছে কি না সন্দেহ। কিন্তু বঙ্গভাষায় গেটের মত মনস্তত্ত্ব ব্যাখ্যা করিয়া এমন নাটক রচিত হইতে দেখিলে বাঙ্গালী সমালোচক যদি আনন্দে অধীর হইয়া উহা গেটের অনুপযুক্ত নয় বলিয়া ঘোষণা করেন, তবে আমি সেই অত্যুক্তিটি দোষজনক মনে করি না। কাব্যশিল্পে পাষাণী বঙ্গভাষায় অতি নূতন সামগ্রী। ঐবিজয়চন্দ্র মজুমদার। বিদেশে বাঙ্গালী ছাত্র। ত্রযুক্ত অবনীমোহন ঘোষ আড়াই বৎসর পূৰ্ব্বে শিল্পবিজ্ঞানসমিতি কর্তৃক আমেরিকায় প্রেরিত হইয়াছিলেন। তিনি তথায় প্রাটু টেকনোলজিক্যাল কলেজ নামক স্ববিখ্যাত ব্যাবহারিক রসায়নের (applied chemistry) কলেজে ভৰ্ত্তি হন, এবং যশের সহিত তথাকার শেষ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। কলেজের প্রশংসাপত্ৰ পাইবামাত্রই তিনি কলগেই সোপ ওয়ার্কস নামক জগদ্বিখ্যাত সাবানের কারখানায় কার্য্যে নিযুক্ত হন। সাবান সম্বন্ধে তাহারা মৌলিক গবেষণায় ঐ কারখানার ডাক্তার রজারস, পিএইচ. ডি., এরূপ প্রীত হন, যে তাহার সুপারিসে ক্রমান অবনীমোহন শীঘ্রই *Info statifax affes (American Chemical society) সভ্য নিৰ্ব্বাচিত হন। ভারতবাসীদের মধ্যে তিনিই প্রথমে এই সন্মান প্রাপ্ত হইলেন। সম্ভবতঃ তিনি দেশে ফিরিলে ভারতে সাবান প্রস্তুতকরণ বিস্কায় তাহার সমকক্ষ কেহ থাকিবে না। তিনি জাপান হইয়া ভূপ্রদক্ষিণপূৰ্ব্বক বাড়ী ফিরিয়া আসিতেছেন। তাহার “Chemical Technology of Oils, Fats and Manufactured Products” নামক পুস্তক শীঘ্রই প্রকাশিত হইবে। প্রায় সাড়ে তিন বৎসর পূৰ্ব্বে সন্তোষের জমাৱ বৰুT প্রমথনাথ রায় চৌধুৰী কৃষিবিজ্ঞা শিখিবার জন্ত প্রমুক্ত