পাতা:প্রবাসী (অষ্টম ভাগ).pdf/২৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বদেশসেবক কৰ্ম্মযোগী শ্ৰীযুক্ত কৃষ্ণকুমার মিত্র। “সত্যম শিবম্ সুন্দরম।” “ নায়মাত্মা বলহীনেন লভ্যঃ ” ৮ম ভাগ । | পৌষ, SNOS6 | | ৯ম সংখ্যা । গোরা । ՎԶԵ স্নচরিতার মাসী হরিমোহিনীকে লইয়া পরেশের পরিবারে একটা গুরুতর অশাস্তি উপস্থিত হইল। তাহা বিবৃত করিয়া বলিবার পূৰ্ব্বে, হরিমোহিনী স্বচরিতার কাছে নিজের যে পরিচয় দিয়াছিলেন তাহাই কিছু সংক্ষেপ করিয়া নীচে লেখা গেল। আমি তোমার মায়ের চেয়ে দুই বছরের বড় ছিলাম। বাপের বাড়িতে আমাদের দুই জনের আদরের সীমা ছিল না। কেননা, তখন আমাদের ঘরে কেবল আমরা দুই কন্যাই জন্মগ্রহণ করিয়াছিলাম—বাড়িতে আর শিশু কেহ ছিল না। কাকাদের অাদরে আমাদের মাটিতে পা ফেলি বার অবকাশ ঘটিত না। আমার বয়স যখন আট তখন পালসার বিখ্যাত রায়চৌধুরীদের ঘরে আমার বিবাহ হয়। তাহার কুলেও যেমন ধনেও তেমন। কিন্তু আমার ভাগ্যে মুখ ঘটিল না। বিবাহের সময় খরচপত্র লইয়া আমার শ্বশুরের সঙ্গে পিতার বিবাদ বাধিয়াছিল। আমার পিতৃগৃহের সেই অপরাধ আমার শ্বশুরবংশ অনেকদিন পর্য্যন্ত ক্ষমা করিতে পারেন নাই। সকলেই বলিত, আমাদের ছেলের আবার বিয়ে দেব, দেখি ও মেয়েটার কি দশা হয়। আমার দুর্দশ দেখিয়াই বাবা প্রতিজ্ঞা করিয়াছিলেন, কখনো ধনীর ঘরে মেয়ে দিবেন না। তাই তোমার মাকে গরীবের ঘরেই দিয়াছিলেন। বহু পরিবারের ঘর ছিল, আমাকে আট নয় বৎসর বয়সের সময়েই রান্না করিতে হইত। প্রায় পঞ্চাশ ষাট জন লোকে থাইভ। সকলের পরিবেষণের পরে কোনো দিন শুধু ভাত, কোনো নি বা ডাল ভাত খাইয়াই কাটাইতে হইত। কোনো দিন বেলা দুইটার সময় কোনো দিন বা একেবারে বেলা গেলে আহার করিতাম। আহার করিয়াই বৈকালের রান্না চড়াইতে যাইতে হইত। রাত এগারোটা বারোটার সময় খাইবার অবকাশ ঘটিত। শুইবার কোনো নির্দিষ্ট জায়গা ছিল না। অন্তঃপুরে যাহার সঙ্গে যেদিন মুবিধা হইত তাহার সঙ্গেই শুইয়া পড়িতাম। ८करना श्नि दा त्रिफ़ि शांडिब्रा निजा शिष्ठ श्हेठ । বাড়িতে আমার প্রতি সকলের যে অনান্নুর ছিল আমার স্বামীর মনও তাহাতে বিকৃত না হইয়া থাকিতে পারে नाहे । অনেক দিন পর্যন্ত তিনি আমাকে দূরে ৱেই_ রাখিয়াছিলেন। རིན་། .م