পাতা:প্রবাসী (অষ্টম ভাগ).pdf/২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

. " + প্রবাসী । مواره" - SMSMSMSMSMSMSMSMSMSMSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSS স্বহস্তে তাহার গেদ্য-আটালিকার এক একটি দ্বার উন্মুক্ত । প্রতি পূর্ণিমাতেই চন্দ্র তাহার শুভ্ৰ জ্যোৎস্নায় যামিনীকে হাস্যময়ী করিয়া, তোলে। শুধুই আমাদের চোখের দৃষ্টির উপর নির্ভর করিতে হইলে, চন্দ্রস্বর্যাকে সোণার থালা, নক্ষত্রসমূহকে এক একটি আলোকের পুষ্প বলিয়া মনে করিতাম। ভাগে আমাদের মনন-শক্তি ও ধ্যানদৃষ্টি ছিল, তাই ত চক্ষু উহাদিগকে ক্ষুদ্র দেখিলেও মন ঐ সকলকে বৃহৎ বলিয়া অনুভব করে। - যাহা হোক, অধিকাংশ লোকই মননশক্তি ও ধ্যানদৃষ্টির অভাবে এই স্মৃষ্টির অনিৰ্ব্বচনীয় সৌন্দর্য্যের মধ্যে প্রবেশ করিতে পারেন না ; জীবনের রহস্তদ্বার উদঘাটনেও তাহারা অক্ষম ; জগতের মহা ভাবের সঙ্গে যুক্ত হওয়াও র্তাহীদের পক্ষে অসম্ভব। তাই তাহারা প্রকৃত ভক্ত হইতে পারেন না, প্রকৃত কবি হইতেও পারেন না, কিন্তু যে অল্পসংখ্যক । মনস্বী ব্যক্তির মননশক্তি অত্যন্ত অধিক, ধ্যানদৃষ্টি অতিশয় প্রবল ;–র্তাহীদের মধ্যে কেহ কেহ বা জগৎপতির স্বরূপে নিমগ্ন হইয়া, তাহার সৌন্দর্য্য ও বিভূতি দর্শন করেন, তাহার প্রেমে আকৃষ্ট ও ভাবে বিমুগ্ধ হইয়া ভক্ত হইয়৷ উঠেন ; এবং ভক্তির প্লাবনে নরনারীর ধৰ্ম্মহীন শুদ্ধ চিত্তকেও অমৃতরসে পূর্ণ করিয়া তোলেন। কেহ কেহ বা জগতের অনন্ত রূপে, জীবনের অসীম রহস্তে নিমগ্ন হইয়া, সৌন্দর্য্যের ধুরতায় ও ভাবের মাদকতায় বিভোর হইয়। উঠেন ; এবং স্বরচিত কাব্যের মধ্যে সেই সৌন্দৰ্য্য পরিস্ফুট ও ভাবরস উচ্ছলিত করিয়া কবি আখ্যা প্রাপ্ত श्न । এখন আমরা কবিকে ভক্ত হইতে, ভক্তকে কবি হইতে “ স্বতন্ত্র করিয়া লইব ; এবং ইহাদের বিশেষত্ব সম্বন্ধে বিশেষ ভাবে আলোচনা করিব। প্রথমতঃ কবির কথাই আলোচনা করা যা’ক । ছেলেবেলায় উপকথায় অনেক আশ্চৰ্য্য কাহিনী শুনিয়াছি। শুনিয়াছি, রাজপুত্র এক অপূৰ্ব্ব পুরীতে উপনীত হইয়া নিরুপমা রাজকন্দ্রার দর্শন পাইতেন। রাজকন্যা তাহার বিচিত্র স্বর্ণ অট্টালিকার এক একটি দ্বার উন্মুক্ত করিয়া, রাজপুত্রকে অনেক আশ্চৰ্য্য দৃপ্ত দেখাইতেন। এই কথাটা কবির পক্ষেও পুটে। কবি যখন স্বল্প ধ্যানদৃষ্টির বলে বিশ্বের সৌন্দর্য্যপুরীতে গিয়া উপনীত হন, তখন প্রকৃতি


করিয়া কবিকে জগতের অনিৰ্ব্বচনীয় সৌন্দর্য্য দেখাইতে থাকেন। শুধু তাছাই নহে। কবি যখন আবার মানবের মহা ভাবের রাজা খুলিয়া যায় ; তিনি তন্মধ্যে মানবের সুখদুঃখ হৰ্ষবিষাদ স্নেহপ্রেম ও পাপপুণ্যের অভিনব মূৰ্ত্তি দেখিয়া বিস্ময়ে স্তম্ভিত হন। সুতরাং সৌন্দর্য্য ও ভাবের অনুভূতি সম্বন্ধে, পূৰ্ব্বে যে কবি ও সাধারণ মানুষের মধ্যে পার্থক্যের কথা বলিয়াছি, তাহ সম্পূর্ণ স্বাভাবিক। কয়েকটি দৃষ্টান্ত দ্বারা ইহা বুঝাইতে চেষ্টা করিব। প্রভাতকালে হরিৎবর্ণ তরুশাখায় যখন একটি সুন্দর ফুল ফুটয় উঠে ; তখন একজন সাধারণ লোক ফুলটির । কোমল মন্মণ দলগুলির রমণীয় বর্ণ দেখিয়া ও সুমিষ্ট গন্ধ । পাইয়াই পুলকিত হন; তাহার বেশ আর কিছুই নহে। কিছু আশা করাই যায় না। কিন্তু একজন কবি ফুলটির বর্ণ, গন্ধ ও সুষমার অন্তরালে একটি প্রাণ দেখিতে পান ; একটি প্রেমের স্পর্শ অনুভব করেন। তাই প্রীতিরসে আৰ্দ্ৰ হইয়া ফুলের সঙ্গে এমন করিয়া আপনার প্রাণের ভৰি৷ মিশাইয়া ফেলেন যে, তিনি ফুলের ভাষা শুনিতে পান, ফুলের মুখদুঃখের কাহিনী অবগত হন ; এমন কি, ফুলটির কথা ভাবিতে ভাবিতে তাহাকেই আপনার সর্থী বলিয়া মনে করেন । এমন ঘটনাও ঘটয়াছে যে, হিমালয়ের একটি মনোরম নির্ঝরিণীর কুলে দুই বন্ধু গিয়া বসিয়াছেন। কিন্তু তাহার মধ্যে এক বন্ধু কবি নহেন ; আর এক বন্ধু কবি। যিনি কবি নহেন, তিনি অল্প সময় মাত্র নির্ঝরিণীটি দেখিয়া “বাঃ বেশ ত?" বলিয়াই চলিয়া গেলেন। যিনি কবি, তিনি নিঝরিণীটি দেখিতে দেখিতে উহার অনুপম দৃশ্বের মধ্যে আত্মহারা হইয়া গেলেন। তখন নিঝরিণী তাহার নিকট আর একটি নিম্নগামিনী জলধারা মাত্র রহিল না। ঐ নিঝরিণী বিরহিণীনারী-মূৰ্ত্তিতে দেখা দিল। কবি দেখিলেন, এক মুন্দরী তরুণী প্রেমাম্পদের বিরহে কাতর হইয়া, করুণ সঙ্গীতে শৈলবক্ষ পূর্ণ করিয়া, প্রিয়তমের সন্ধানে ছুটিয়া চলিয়াছে। কবি এই যে দৃশু দর্শন করিলেন, ইহাই মধুৰ ছন্দে ও মিষ্ট ভাষায় বর্ণনা করিলেন ; তাহার বর্ণনাই একটি মৰ্ম্মস্পর্শী ৮ম ভাগ। । হয় ত এইরূপেই রচিত হইয়াছে। উক্তরূপ এক একটি দৃশু, এক একটি ঘটনা কবির জীবনরহস্তের মধ্যে তন্ময় হইয় পড়েন, তখন তাহার সম্মুখে | মনকে যে কোথায় লইয়া যায়, কবির সম্মুখের দৃশুপটে কত ছবি যে অঙ্কিত করিয়া দেয়, তাহ রবীন্দ্র বাবুর কাব্যগ্রন্থাবলী পাঠ করিলে বুঝিতে পারা যায়। রবীন্দ্র বাবুর নব প্রকাশিত গ্রন্থাবলীর মধ্যে “প্রকৃতিগাথা” ও “সোনার তরী" শীর্ষক দুখানি চমৎকার কাব্য আছে। “প্রকৃতিগাথা”র এক একটি কবিতা পাঠককেও এক অভিনব সৌন্দর্যের দেশে লইয়া যায় ; “সোনার তরী"র এক একটি কবিতা এক অজ্ঞাত অথচ চিরবাঞ্ছিত রাজ্যের সংবাদ ও চিত্ৰ আনিয়া পাঠকের সম্মুখে উপস্থিত করে। আমরা এই দুখানি কাব্য হইতে কিঞ্চিৎ উদ্ধৃত করিব। তাহা হইলে আমাদের মনের ভাব পরিস্ফুট হইয়া উঠবে। নব বর্ষা সমাগমে বঙ্গভূমি শ্ৰীশালিনী হইয়া উঠে;—তাহ আমরা সকলেই দেখিয়া থাকি। কিন্তু সেই দৃপ্ত কবি

  • রবীন্দ্রনাথের ধান দৃষ্টর সম্মুখে কি অপরূপ মূৰ্ত্তি ধারণ

করিয়া প্রকাশিত হয়, তাহ ভাবিলে অবাক হইতে হয়। কবি নববর্ষীয় বঙ্গভূমির দৃশু দেখিয়া লিখিতেছেন -- “নয়নে আমার সজল মেঘের নীল অঞ্জন লেগেছে নয়নে লেগেছে। নব তৃণদলে ঘন বন ছায়ে হরফ আমার দিয়েছি বিছায়ে, পুলকিত নীল নিকুঞ্জে আজি বিকশিত প্রাণ জেগেছে। নয়নে সজল স্নিগ্ধ মেঘের -- নীল অঞ্জন লেগেছে। + o: + - ওগো নদীকূলে তাঁর তৃণতলে কে বসে অমল বসনে হামল বসনে ? হদুর গগনে কাহারে সে চায় ? ঘাট ছেড়ে ঘটে কোথা ভেসে যায় ? o: × 4: বিকচ কেতকী তটভূমি পরে কে বেঁধেছে তার তরণী তরুণ তরণী ?” এই মনোহর কবিতাটি দীর্ঘ বলিয়া উহার এক একটি স্থান হইতে উদ্ধত করিতেছি। ইহাতে কবিতাটির সৌন্দৰ্য্যই - - - - - - - - o க i. - ১ম সংখ্যা। | उद्ध ७ कवि । ৩৯ কবিতা হইয়া দাড়াইল। কাব্যের অনেক উৎকৃষ্ট কবিতা নষ্ট হইতেছে। আমরা এখন কবিতাটির শেষের কয়েক - ছত্র মাত্র উদ্ধত করিব।— "ঝরে ঘনধারা নব পল্লৰে কঁাপিছে কানন ঝিল্লির রবে, । তীর ছাপি নদী কল-কলোলে । এল পল্লীর কাছেরে । হৃদয় আমার নাচেরে আজিকে ময়ূরের মত নাচেরে।” যাত্রীর নৌকা গ্রাম্য নদীর ঘাটে ঘাটে নাদি, মাত্র লইয়া যায়। এ দৃশু আমরা অনেকেই দেখিয়াছি। কিন্তু “সোনার তরী"র কবি এই দৃত দেখিতে দেখিতে কোন ৷ - রাজ্যে গিয়া পৌছিয়াছেন, এবং কোন রাজ্যের নেয়ে ও - যাত্রীর কথাবার্তা শুনিতে পাইয়াছেন, তাহ “যাত্ৰী” শীর্ষক । o কবিতাটি পড়িলেই বুঝিতে পারা যায়। এই বিচিত্র - কবিতাটির কোনরূপ ব্যাখ্যা বা বিশ্লেষণ করা যায় না। শুধু পড়িয়া ইহার মৰ্ম্ম কথাটি হৃদয়ের দ্বারা অনুভব করিতে । হয় - যাত্রী কবিতার নেয়ে যাত্রীভরা নৌকায় ༢f་ཨ། ། নদীতীরের একজন যাত্রীকে বলিতৃেছে— “আছে, আছে স্থান এক তুমি, তোমার শুধু একটি আঁটি ধান।

  • + +

এস, এস নায়ে - - ধূলা যদি থাকে কিছু । থাক্‌ না ধূলা পারে। + # - যাত্রী আছে নান, - নানা ঘাটে যাবে তার - কেউ কারে নয় জানা। তুমিও গো ক্ষণের তরে বস্বে আমার তরী পরে, যাত্রা যখন ফুরিয়ে যাবে - মানবে না মোর মানা! এলে যদি তুমিও এস যাত্রী আছে নানা । কোথা তোমার স্থান ? । কোন গোলাতে রাতে যাবে একটি আঁটি ধান? - বলতে যদি না চাও তবে । শুনে আমার কি ফল হবে , । ভাবব বসে থেয় যখন করব অবসান— কোন পাড়াতে যাবে তুমি কোথা তোমার স্থান ?" - - - - - - - -