পাতা:প্রবাসী (অষ্টম ভাগ).pdf/২৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8Ꮌb~ WikitanvirBot (আলাপ) ১৪:২৫, ২৪ মার্চ ২০১৬ (ইউটিসি). তিনি ঈশ্বর, পরমাত্মা, পূর্ণশক্তি, আদি সত্তা, আদি দেব, আদি যজ্ঞ। এই ঈশ্বর কে ? ভগবান এই প্রশ্নের এইরূপ উত্তর দিতেছেনঃ-পরম যে অক্ষর তিনিই ব্ৰহ্ম ; স্বভাবই অধ্যাত্ম বলিয়া উক্ত হয় ; ভূত সকলের উৎপত্তি ও উদ্ভবের কারণ,—বিসর্গ ও কৰ্ম্ম শব্দবাচা। বিনশ্বর দেহাদি পদার্থ প্রাণিমাত্রকে অধিকার করিয়া অবস্থান করে এজন্য তাহা অধিভূত ; পুরুষ অর্থাৎ স্বর্যামওল মধ্যবৰ্ত্ত বিরাট পুরুষ বলিয়া অধিদৈবত এবং এই দেহে অন্তর্যামিরূপে অবস্থিত আমিই যজ্ঞের অধিষ্ঠাত্রী দেবতা বলিয়া অধিযজ্ঞ। অন্তকালে আমাকেই স্মরণ করিতে করিতে যিনি দেহ ত্যাগ করিয়া যান, তিনি আমারই ভাব প্রাপ্ত হন, ইহাতে সংশয় নাই। অব্যক্তরূপী আমি এই সমুদায় জগৎ ব্যাপিয়া আছি; চরাচর ভূত সমুদায় আমাতে অবস্থিত, আমি সে সকলে অবস্থিত নহি । আমি ভূত-ধারক ও ভূত-পালক, তথাপি ভূতগণে অবস্থিত নহি। আমিই এই জগতের গতি, ভৰ্ত্ত, প্রভূ, সাক্ষী, নিবাস, শরণ, স্বহৃৎ, প্রভব, अग१, शन, आश्हेि अचाग्न चौख्। अभि* अशृङ, आमिरै মৃত্যু, আমিই সৎ, श्रामिड़े श्रम९ । श्राभिई यक्ष, श्रमिहे স্বধ, আমিই ঔষধ, আমিই মন্ত্র, আমিই হোমের স্বত, আমিই অগ্নি, আমিই হোম । যিনি আমাকে ভক্তিসহকারে পত্রপুষ্প ফল ও জল প্রদান করেন, আমি সেই সংযতাত্ম ব্যক্তিকর্তৃক ভক্তিপূৰ্ব্বক প্রদত্ত পত্রপুষ্পাদি গ্রহণ করি।” অবশেষে কৃষ্ণ বলিতেছেন : —“দেবগণ আমার উৎপত্তি অবগত নহেন, মহর্ষিগণও অবগত নহেন, যেহেতু আমি দেবগণের ও মহর্ষিগণেরও সৰ্ব্বতোভাবে আদি। আমি সকলের প্রভব, এবং আমা হইতেই - সমস্ত প্রবর্তিত হয়।” ভগবদগীতায় ঈশ্বরের একত্ব যেরূপ তন্ন তন্ন করিয়া আলোচিত ও প্রতিপাদিত হইয়াছে, তাহ। অপেক্ষ বেশী করিয়া বলা অসম্ভব। ভগবদগীতার দর্শন, —আধ্যাত্মিকতত্ত্ব ও নীতিতত্বের উচ্চশিখরে আরোহণ করিয়াছে। বৈদিক ও ব্রাহ্মণিাক ভারতে যত কিছু দার্শনিক তত্ত্ব ও ধৰ্ম্মতত্ত্ব আলোচিত হইয়াছে, ভগবদগীত তাহার সংক্ষিপ্তসার,–এবং যেন সেই সকল তত্বের মাথার মুকুট । ভগবদগীতায়,জ্ঞানযোগ ও কৰ্ম্মযোগের মধ্যে কোন পার্থক্য নাই ; যে বিজ্ঞান, জড় ও চৈতন্য উভয়কেই প্রবাসী । SAASASASMSMSMMSMMSMMSMMSMMSMMSMSMSMSMSMSMS [ ৮ম ভাগ। SAMSMSMSMSMSMSMS এক আলিঙ্গনে আবদ্ধ করে তাহাই প্রকৃত বিজ্ঞান; কেননা, সমস্ত জড়পদার্থের মধ্যে জড়ের মূলতত্ত্বরূপী ৰে চৈতন্য বিদ্যমান সেই চৈতন্তই কৃষ্ণ –তিনিই ব্ৰহ্ম। —“মহাভূত সমূহ, অহঙ্কার বুদ্ধি, মূলপ্রকৃতি, দশ ইন্ত্রি, এক মন এবং পঞ্চ ইন্দ্রিয়গোচর বিষয়, ইচ্ছা, দ্বেষ, মুখ, দুঃখ প্রভৃতি মনোবৃত্তিরূপ চেতনা ও ধৈর্য্য—এই ইন্দ্রিয়াদি-বিকার-সহিত ক্ষেত্র সংক্ষেপে উক্ত হইল।” পরমাত্মার নিত্য ধ্যানই বিজ্ঞান, তাহ হইতেই সত্যের জ্ঞান জন্মে। ঈশ্বরকে জানা, আমাদের সহিত র্তাহার যে সম্বন্ধ তাহা জানা এবং জগতে যাহা কিছু আছে তাহার কারণ বলিয়া তাহাকে জানা—মানুষের ইহাই কর্তব্য। কৃষ্ণ বলেন,—“অনাদি পরব্রহ্ম, তিনি সৎও নহেন, অসংও নছেন , সৰ্ব্বেন্দ্রিয়ের গুণ র্তাহ কর্তৃক প্রকাশিত হয়, অথচ তিনি সৰ্ব্বেন্দ্রিয় বিবর্জিত, সঙ্গশুষ্ঠ অথচ সকলের আধারভূত, নিগুণ অথচ সকল গুণের ভোক্তা, তিনি অবিভক্ত হইয়াও ভূতগণের মধ্যে বিভক্তের স্তায় অবস্থিত; তিনি ভূতভৰ্ত্ত, গ্ৰসিষ্ণু ও প্রভাবষ্ণু, অর্থাৎ স্বষ্টি-স্থিতি প্রলয়কৰ্ত্তা। তিনি জ্যোতির জ্যোতি, অজ্ঞান-অন্ধকারের অতীত ; তিনিই জ্ঞান, তিনিই জ্ঞেয়, জ্ঞানগম্য, এবং তিনি সকলের হৃদয়ে অবস্থিত।” —“প্রকৃতি ও পুরুষ উভয়ই অনাদি ; দেহেন্দ্রিাদি বিকার এবং সত্ত্বরঞ্জস্তম এই তিন গুণ প্রকৃতি-জাত বলিয়া জানিবে। কাৰ্য্য ও কারণ ইহাদের কর্তৃত্ব বিষয়ে প্রকৃতিই হেতু বলিয়া উক্ত হন, আর পুরুষ সুখদুঃখাদির ভোক্তৃত্বের হেতু বলিয়া কথিত হন.হে ভারতর্ষভ, যে কিছু স্থাবর জঙ্গম সত্ব উৎপন্ন হয়, তৎসমুদায় ক্ষেত্র ও ক্ষেত্রজ্ঞের সংযোগ হইতে হয় জানিবে । একস্থ দৰ্শন এবং তাহা হইত ভূতগণের বিস্তার দর্শন করেন তখন তিনি ব্রহ্মকে প্রাপ্ত হয়েন। স্বর্য এই সমস্ত লোককে প্রকাশিত করেন সেইরূপ ক্ষেত্ৰী অর্থাৎ পরমাত্মা সমুদায় ক্ষেত্র অর্থাৎ সমস্ত জড়জগৎকে প্রকাশিত করেন।” বিশ্বব্রহ্মবাদের সমস্ত মতটি এই বচনগুলির মধ্যে বন্ধ ; কিন্তু যদিও সৰ্ব্বভূত সেই পরা : পুরুষ হইতেই উৎপন্ন হইয়াছে কিন্তু তথাপি উহার ७कई ७५करिब डेन्छूठ श्य नाहे ; oहे छछहे क्त কেহ যখন ভূতগণের পৃথক ভাবকে । যেমন একমাত্র | | —- ৯ম সংখ্যা । ] উপদেশের দ্বারা ইহাই প্রতিপন্ন করিতে চাহেন যে, মানুষ কেবল যোগের দ্বারাই স্বকীয় উৎপত্তির মূল কারণের অভিমুখে ক্রমশ অগ্রসর হইয়া অবশেষে তাহাতে পুন: প্রবেশ করিতে পারে। বস্তুত,—যেহেতু ঈশ্বর জ্ঞানস্বরূপ, অতএব মানুষ বুদ্ধি ও জ্ঞানে যতই উন্নত হইবে ততই তাহার নিকটবৰ্ত্তী হষ্টতে পারিবে। সে যাহাই হউক, কৃষ্ণ এ কথা স্বীকার করেন যে, যাহার যেরূপ প্রকৃতি তদমুসারে, বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করিয়া মানুষ অমৃতে উপনীত হইতে পারে । তিনি স্পষ্টই বলিয়াছেন :-—“কেহ বা ধানযোগে আত্মাকে আত্মার দ্বারা আত্মাতে দেখেন, কেহ বা সাংখ্যযোগে, কেহ বা কৰ্ম্মযোগে আত্মাকে দর্শন করেন। কিন্তু কেহ কেহ এই প্রকারে অর্থাৎ সাংখ্য যোগাদি দ্বারা আত্মাকে সাক্ষাৎ করিতে না জানিয়া আচাৰ্য্যাদির নিকট আত্মকৰ্ম্মের উপদেশ পাইয়া উপাসনা করেন ; তাছারাও শ্রুতিপরায়ণ হইয়া মৃত্যুকে অতিক্রম করেন।” তিনটি গুণ প্রকৃতি হইতে উৎপন্ন হয় এবং নিৰ্ব্বিকার দেহকে দেহের সহিত সংযুক্ত করিয়া দেয় – এই ত্রিগুণ—সত্ত্ব, রজঃ ও তম।—সত্ত্ব হইতে জ্ঞান, রজঃ হইতে অনুরাগ ও তম হইতে জড়তা, ভ্রম ও অজ্ঞান উৎপন্ন হয়।” যে যোগের দ্বারা পরম পুরুষের নিকবৰ্ত্তী হওয়া যায়, সেই জ্ঞানযোগ ভগবদগীতার একটি পরমোৎকৃষ্ট বিষয় ; কেন না, জগতের সহিত ব্রহ্মের কিরূপ সম্বন্ধ, উহার দ্বারা তাহা ব্যাখ্যাত হইয়াছে ; ইহাতে অবতারবাদের কথা আছে, এবং মানুষকে যিনি নিত্য ধামে লইয়া যান সেই ভ্ৰাণকৰ্ত্তার উল্লেখ আছে।–“জীবলোকে,আমারই অংশ এই যে জীবভূত সনাতন পদার্থ-ইহা প্রকৃতিতে অবস্থিত মন ও পঞ্চ ইন্দ্রিয়কে আকর্ষণ করে ৷ দেহী কৰ্ম্মবশে যে শরীর প্রাপ্ত হন এবং যে শরীর পরিত্যাগ করেন, পূৰ্ব্ব শরীর হইতে প্রাপ্ত শরীরে এই সকল ইন্দ্রিয়াদি লইয়া যান। যেমন বায়ু আশয় হইতে অর্থাৎ কুসুমাদি হইতে গদ্ধবিশিষ্ট সুগ্নাংশ সকল গ্রহণ করিয়া গমন করে সেইরূপ দেগন্তরগমনকারী অথবা সেই দেহেই অবস্থিত অথবা বিষয়ভোগকারী অথবা ইন্দ্রিয়াদিবিশিষ্ট দেহীকে মূঢ়ের দেখিতে পায় না; কিন্তু জ্ঞান-চক্ষু ব্যক্তিরা দেখিতে পান। আদিত্যে বে তেজ, চন্দ্রমাতে যে তেজ, অগ্নিতে যে তেজ অখিল জগৎকে কৃষ্ণধৰ্ম্ম । 8సిసి প্রকাশিত করিতেছে সেই তেজ আমারই জানিবে। আমি পৃথিবীতে প্রবেশ করিয়া ভূত সকলকে বলের দ্বারা ধারণ করি এবং রসময় চন্দ্র হইয়া সমুদয় ওষধি সম্বৰ্দ্ধিত করি। আমি সমুদায় প্রাণিগণের হৃদয়ে সন্নিবিষ্ট আছি—আমা হইতেই স্মৃতি জ্ঞান ও বুদ্ধি উৎপন্ন হইয়াছে। সমুদায় বেদের আমিই বেদ্য ; আমিই বেদান্তকৃৎ ও বেদার্থবেত্তা। ক্ষর ও অক্ষর এই দুইটি পুরুষ, লোকে প্রসিদ্ধ। তাছার মধ্যে সমুদায় ভূতগণ ক্ষর পুরুষ, আর কুটস্থ চৈতন্য অক্ষর পুরুষ বলিয়া উক্ত হন। এই ক্ষর ও অক্ষর হইতে অন্ত উত্তম পুরুষ-পরমাত্মা বলিয়া কথিত হন—যিনি অব্যয় ঈশ্বর এবং যিনি লোকত্রয়ে প্রবেশ করিয়া সমস্ত ধারণ করিয়া আছেন। যেহেতু আমি ক্ষরের অতীত এবং অক্ষর অপেক্ষাও উত্তম ; এই জন্য আমি লোকে এবং বেদে পুরুষোত্তম বলিয়া প্রসিদ্ধ হইয়াছি।” বৌদ্ধনতি হইতে যোগ-নীতির শ্রেষ্ঠত একটি বিষয়ে উপলব্ধি হয়। উভয় নীতিই ত্যাগ ও সন্ন্যাসের উপদেশ দিয়া থাকে, কেবল প্রভেদ এই, বৌদ্ধের ধ্যানে নিমগ্ন হইরা সম্পূর্ণ নিশ্চেষ্টতায় উপনীত হন ; পক্ষাস্তরে যোগীর কৰ্ম্মফলের বাসনা পরিত্যাগ করিয়া কৰ্ম্ম করেন। এই জষ্ঠই বৌদ্ধ ধৰ্ম্ম প্রাচ্যখণ্ডের অধিকাংশ স্থানের উপর জন্ম লাভ করিয়াও, একস্থানেই দাড়াইয়া আছে। বৌদ্ধ ধৰ্ম্মের অধ্যায়ে আমি তাহ বিশেষ করিয়া ব্যাখ্যা করিব। কিন্তু এই ভগবদগীতা একটি অপূৰ্ব্ব অনন্তসাধারণ গ্রন্থ। ইহাতে যে উপদেশ আছে তাহা—কি পণ্ডিত কি যোগী, কি ক্ষুদ্রবুদ্ধি সামান্ত ব্যক্তি, সকলকেই পরিতৃপ্ত করে। যোগীর যে ত্যাগ তাহা কৰ্ম্মত্যাগনহে—তাহা কৰ্ম্মফলের কামনা ত্যাগ। কৃষ্ণ বলিতেছেন :–“ষজ্ঞ দান ও তপস্তারূপ কৰ্ম্ম পরিত্যাজ্য নহে, নিশ্চয়ই কৰ্ত্তব্য ; যজ্ঞ দান ও তপস্তা বিবেকিগণের . চিত্তশুদ্ধিকর। কিন্তু এই সকল কৰ্ম্মেও আসক্তি ও ফল ত্যাগ করা কৰ্ত্তব্য ; ইহা অামার নিশ্চিত উত্তম মত... দেই নিঃশেষরূপে কৰ্ম্ম সকল ত্যাগ করিতে পারে না। কিন্তু যিনি কৰ্ম্মফলত্যাগী তিনিই ত্যাগী বলিয়া অভিহিত হয়েন।” “বিভক্ত সৰ্ব্বভূতের মধ্যে যাহার দ্বারা এক অব্যয় অবিভক্ত সত্তা অবলোকিত হয়, সেই জ্ঞানই সাত্বিক জ্ঞান। যে জ্ঞানের দ্বারা পৃথক্বিধ নানা সত্তাকে পৃথকরূপে অবগত । হওয়া যায়, তাহ রাজসিক জ্ঞান ; যে জ্ঞান, সমস্ত মনে