পাতা:প্রবাসী (অষ্টম ভাগ).pdf/৩২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

& ১০ম সংখ্যা । ] প্রবাসী বাঙ্গালীর কথা । - را به পাঠক অনুধাবন করুন এই শ্রেণীর লোকেরাই জনসাধারণের উন্নতি রুদ্ধ করিয়া রাথিয়াছেন, স্বার্থের দাস হইয়া ইহারাই স্বকীয় ভ্রাতৃগণের শোণিত পান করিতেছেন। পরস্তু ইহা নিশ্চিত যে কোন শ্রেণীর প্রভুত্ব চিরদিন সমভাবে চলিতে পারে না। অদূর ভবিষ্যতে যে ইহাদের আধিপত্য চূর্ণ ফুির্ণ হইবে, তাহার পূৰ্ব্বস্বচনা আরম্ভ হইয়াছে। এক্ষণেও যদি তাহারা সাবধান হন, অর্থাৎ উদারতা প্রদর্শন পূৰ্ব্বক সাধারণের হিতকর কার্য্যে ধনের উৎসর্গ করেন, তবে ৰিপৎপাতের সম্ভাবনা থাকে না। অন্যান্ত দেশের অপেক্ষা ভারতের আভিজাত্যপ্রথা উৎকৃষ্ট হইলেও যে, সাধারণের উন্নতির পরিপন্থী এই বিষয়ে কোন সন্দেহ নাই। ভূমি ও ধনের স্থায় ধৰ্ম্ম এবং বিস্তা যে বংশবিশেষেরই একচেটিয়া থাকিবে ইহাতে কি কোন যুক্তি আছে ? বিশ্বরূপ শ্ৰীভগবানের রাজ্যে সকল বিষয়েই মানব মাত্রের তুল্য অধিকার ; যিনি ইহার সঙ্কোচ করিতে যাইবেন, তাহাকে মহাপাপে লিপ্ত হইতে হইবে। সুতরাং আভিজাত্যের অভিমানকে এই যুগে বটপত্রে ভাসাইয়৷ দেওয়াই যুক্তি সঙ্গত। বিশেষ বিবেচ্য এই যে, যেরূপ সময় পড়িয়াছে তাহাতে যদি অভিজাতবৃন্দ স্বয়ং প্রবৃত্ত হইয়া অনভিজাতদিগের সহিত সাম্যমূলক ব্যবহার করেন, তবে তদীয় মহত্ত্বই প্রকাশ পাইবে। আর যদি দলননীতির অনুসরণ পূৰ্ব্বক অনভিজাতদিগের রুধির শোষণে ব্রতী থাকেন, তবে তাহারা অচিরেই অব্যক্ত অবস্থায় উপনীত হইবেন। বস্তুতঃ এই মরজগতে ঘটনা মাত্রেরই আদি ও অস্ত অব্যক্ত, কেবল মধ্য অবস্থাই অভিব্যক্ত দেখিতে পাওয়া বা। বিস্ময়ের কারণ এই যে, এইরূপ সমস্তাতেও অনেক বুদ্ধিমান ব্যক্তি দ্যায় পথে চলিতে চাহেন না, তাহার স্বার্থের মোহনবেশ দেখিয়া একবারে উহা ভুলিয়া যান ! এমন কি দিগ্বিদিক জ্ঞানশূন্ত হইয় পড়েন । আমরা অভিজাতদিগের মঙ্গল কামনা করিয়া আলোচ্য বিষয়ের উপসংহারে আবার বলিতেছি অনভিজাতদিগকে তাহার প্রাণের ভালবাসা অর্পণ করুন, অবিলম্বে সকল জঞ্জাল ঘুচিয়া যাইবে, পৃথিবীতে শাস্তির হিল্লোল বহিতে থাকিবে। "নান্তঃপন্থা বিস্তুতে অয়নায় ।” পরিব্রাজক l অমুপসহর । অচ্যুতানন্দ সরস্বতী। SSASAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSMSS প্রবাসী বাঙ্গালীর কথা । মন্মথনাথ ভট্টাচাৰ্য্য। গত ১১ই নভেম্বর পঞ্জাবের শ্মশান-চিতায় প্রবাসী বাঙ্গালী মন্মথনাথ ভট্টাচার্য্যের শবদেহ ভক্ষ্মীভূত হইয়াছে। মন্মথনাথ পরলোকগত মহামহোপাধ্যায় মহেশচন্দ্র দ্যায়রত্ন মহাশয়ের জ্যেষ্ঠ পুত্র ছিলেন এবং পিতার জ্ঞানপ্রিয়ত, অমায়িকতা, পরোপকারপ্রবৃত্তি প্রভৃতি বহুগুণের উত্তরাধিকারী হইয়াছিলেন। ১৮৬৩ খৃষ্টাব্দে মন্মথনাথ জন্মগ্রহণ করেন, সুতরাং মৃত্যুকালে তাহার বয়স ৪৫ বৎসর মাত্র হইয়াছিল। এই বয়সে তিনি যেরূপ ধ্যাতি অর্জন করিয়া গিয়াছেন তাহ সকলের পক্ষে সহজসাধ্য নহে। প্রবাসী বাঙ্গালীদিগের মধ্যে মন্মথনাথের নাম বিশেষভাবে স্মরণীয়। মন্মথনাথ কলিকাতা সংস্কৃত কলেজের ছাত্র। এই কলেজ হইতে তিনি বি,এ, পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইয়া পরে প্রেসিডেন্সি কলেজ হইতে এম,এ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইয়াছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল পরীক্ষাতেই তিনি উচ্চস্থান অধিকার করিয়াছিলেন। এতদ্ভিন্ন তিনি সংস্কৃত কলেজের উপাধি পরীক্ষায় “বিদ্যারত্ন” উপাধি লাভ করিয়াছিলেন। বিদ্যালয় পরিত্যাগের পর কার্য্যে প্রবৃত্ত হইয়া তিনি অত্যন্নকাল মধ্যে আপনার কার্য্যদক্ষতায় সকলকে মুগ্ধ করিয়াছিলেন। যাহারা তাহার কার্য্য লক্ষ্য করিয়াছেন, তাহারাই র্তাহার কার্য্যদক্ষতায় বিক্ষিত ও মুগ্ধ হইয়াছেন। মান্দ্রাজ, রেঙ্গুন, শিলং, কলিকাতা, নাগপুর—নানাস্থানে কাৰ্য্য করিবার পর মন্মথনাথ পঞ্জাবের একাউনটেন্ট জেনারল পদ লাভ করেন ও লাহোরে বাইয়া ৩রা নভেম্বর কার্য্যভার গ্রহণ করেন। বলা বাহুল্য ইতঃপূর্বে আর কোন ভারতবাসী এই পদ লাভ করেন নাই। পরদিন তিনি অসুস্থ হইয় পড়েন, এবং আট দিনে পীড়া সাংঘাতিক হইয়া তাহার জীবন নষ্ট করে। ইংরাজাধিকৃত ভারতে মন্মথনাথ প্রথম ভারতবাসী একাউন্‌টেন্ট-জেনারল । * কিন্তু মন্মথনাথের গৌরব বিস্কার বা উচ্চ রাজকৰ্ম্মচারীর পদে নহে; পরস্তু সরল ও সবল মনুষ্যত্বের বিকাশে। তাহার মত সরল ও অমায়িক লোক হৰ্লভ। তিনি লোকের