পাতা:প্রবাসী (অষ্টম ভাগ).pdf/৩৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রবন্ধ লেখক কেমব্রিজের মিঃ ঈষ্টল্যাণ্ডের এই বাড়িতে থাকেন ১১শ সংখ্যা । ] SSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSS


, , টকিট প্রভৃতি পোষ্টাপিস সংক্রান্ত দ্রব্যাদি সরবরাহ করিয়া আসে। চাষার গভর্ণমেণ্টের এই ব্যবস্থায় বিশেষ উপকৃত ও প্রীত হইয়াছে। এজষ্ঠ তাহাদিগকে কিছু দিতে হয় না। ठांशंद्र! শুধু একটা &rator (water poof) to as: জোগাড় করিয়া রাখে। তাহাতেই হরকরা চিঠিপত্র দিয়া যায়। এই গ্রাম্য থয়রাতি চিঠিবিলির ব্যবস্থা করিতে যুক্ত প্রদেশের শাসকসম্প্রদায়কে ১৯০৬ সাল হইতে এযাবত ৯ কোট ৭ লক্ষ টাকা ব্যয় করিতে হইয়াছে। প্রত্যেক বৎসরে ইহার জন্ত সরকারের ১০ কোটি পঞ্চাশ লক্ষ টাকা: থরচ হইতেছে এবং সে খরচ ক্রমশ বাড়িয়াই চলিয়াছে। কেমব্রিজ ডাকঘরে ছজন স্ত্রীহরকরা আছে। , এই সহরে একটা সাধারণ পাঠাগার আছে তাহার পুস্তক সংখ্যা কয়েক হাজার হইবে। সঙ্গীতসমাজ আছে। দুইটি চিত্রশালা আছে—সেখানে আড়াই আন পয়সা দিয়া শত শত হস্ত লম্বী চলন্ত ছবি দেখিতে ও একটি সচিত্র গান শুনিতে পাওয়া যায়। কেমব্রিজে একটি নাট্যশালাও আছে—পৰ্য্যটক নাট্যসম্প্রদায় সপ্তাহে একদিন বা বেশি, সেখানে অভিনয় করে। ইহা ছাড়া সহরের সঙ্গীত সম্প্রদায় সকল মাঝে মাঝে সহরের চারটি গির্জায় একতানবাদ্য করে। আর একটি গির্জা আছে সেখানে ইংলণ্ডের ধৰ্ম্মমতানুসারে উপাসন ইং-কিন্তু সব সময়ে এই গির্জার কাজ হয় না। একটি রমণী শ্ৰীমতী ইমেজিন এটন একটি বাদ্যদলের কত্রী। কেমব্রিজে মাদকতার জন্য মদ্য বিক্রয় নিষিদ্ধ বলিয়৷ সেখানে মদের দোকান নাই । সেখানে চারটি - मद्राहे, চারটি পানশালা, যেখানে লোকে সোডা, লেমনেড পান করে, কুলপি বরফ ও মিঠাই খায়, এবং দুইটি ভোজনাগার আছে। একটা রুটির দোকান, একটা কলে কাপড় ধোলাইয়ের কারখান, তিনটি নরসুন্দরের দোকান, একটা জুতার দোকান, তিনট ভূষিমালের আড়ত, তিনটা জামার দোকান, দুইটা দেয়ালে চিত্রকাগজের দোকান, গরিটা কাসারির দোকান, দুইটা মাংসের বাজার, তিনটা বিধান, তিনটা ধনাগার বা ব্যাঙ্ক, এবং ছয়জন আইন ব্যবসায়ী সারা বৎসর ধরিয়া খুব জোরে কারবার করে। হয়ে সাতজন ডাক্তার আছে--তন্মধ্যে দুইজন নারী ; আমেরিকার গ্রামে উন্নতির পরাকাষ্ঠ । - ○っ○ --- SS MSMSMSMSMSMMSMMSMMSMMSMMSMSMS


.

ছুইজন দস্তচিকিৎসক ; একজন পশুচিকিৎসক। ছজন পুরুষের দরজি ও ছয়জন স্ত্রীলোকের দরজি পোষাক করিতে ব্যতিব্যস্ত থাকে। একটি দরজির শিক্ষাশাল আছে সেখানে মেয়েদের সেলাই শেখানে হয় । দুজন জলের কল প্রভৃতির নল স্থাপক, তিনজন কামার, তিনজন বাড়ীর ঠিকাদার, দশজন চিত্রকর এবং ত্রিশজন ছুতার সহরে থাকা সত্ত্বেও লোকে নূতন বাড়ী তৈয়ার করিতে বা পুরাতন বাড়ী মেরামত করিতে ব্যতিবস্ত হইয় পড়ে। ছুটি ভাড়াটে আস্তাবল ও একটা মোটরগাড়ীর আড্ডা থাকাতে লোকের কাজে গতায়াত বা সখের ভ্রমণে খুব সুবিধা আছে। ছুটি হাতিয়ায়ের দোকান চতুঃপাশ্বের চাষাদের চাষবাসের হাতিয়ার জোগায়। তিনখানি সাপ্তাহিক খবরের কাগজ বাহির হয়, আর তাহাদের ছাপা খানায় খুচরা কাজও হইয়া থাকে। একজন দক্ষ ফটােগ্রাফ ওয়ালার দোকান সহরবাসীদিগের দ্বারা বেশ ভালো রূপেই সাহায্যপ্রাপ্ত হয়। প্রধান প্রধান রাস্তার মোড়ে নয়নরঞ্জক ফুলের কেয়ারি আছে, এখন একটি সাধারণভোগ্য উদ্ধান রচনার কল্পনা চলিতেছে । এই প্রবন্ধের সঙ্গে ষে সব ছপি ছাপা হইল তার দেখিলেই কেমব্রিজের মত ক্ষুদ্র আয়তনের ভারতীয় গ্রামের দুরবস্থা বুঝিতে পারা যাইবে। ভারতের বহু সহর হয় ত বহু প্রাচীন, শত শত বৎসর পূৰ্ব্বে তাছাদের উদ্ভব হইয়াছে ; কিন্তু অধিবাসিগণ এমন হীনভাবে থাকে ষে তাহাদের নিজেদের বা পারিপাশ্বিকের উন্নতি করিবার ইচ্ছা বা সাধ্য থাকার লক্ষণ মোটেই প্রকাশ পায় না । যে ভারতীয় গ্রামে চোদশতজন মাত্র অধিবাসী সেখানে খানকয়েক ঘনপুঞ্জীকৃত কুঁড়েঘর ও কাচা ইট পাথরের গোটাকত বাড়ী ছাড়া আর কিছু থাকে না। সেখানে খান পাচ ছয় জঘন্ত নোংরা, পুরাণে রকমের দোকান একসঙ্গে সকল আবশ্বকীয় দ্রব্যই বিক্রয় করে, রকমার জিনিষের বিভিন্ন দোকান প্রায়ই দেখিতে পাঞ্জয় ৰাম না। সহরের মানুষগুলাও কেমন নিজীব রকমের। তাহার দারিদ্র্যের প্রতিমূৰ্ত্তি, দুর্ভিক্ষের সাক্ষী। তাহাদের পক্ষে জীবনযাত্র ক্লেশকর, রসমাধুর্য্যহীন । তাহারা মেটেদেয়ালের থোড়োঘরে বাস করে, একই ঘরে রায় খাওয়া পোৰা