পাতা:প্রবাসী (অষ্টম ভাগ).pdf/৩৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\ათ 8 &ৰাস । ঘর, দুই খেলার ঘর ও একটা কুস্তির আখুড়ার বড় ঘর । SMMMMSMSMMMM MM SMMMS SSSSSS -- বস প্রভৃতি ঘৱকরার সব কাজই চলে। সেই ঘরের পাশেই হয়ত গোয়ালঘর, তাহারই পাশে সারের জন্য গোবৰ পচিয়া বিষম দুৰ্গন্ধ প্রচার করিতেছে। স্ত্রীপুরবের পরিচ্ছদ নাই বলিলেও হয়। বাঙালী অপেক্ষা অন্য দেশীয় স্ত্রীলোকের পরিচ্ছদ কতকটা ভালো । ভারতের কৃষকেরা হাজার বৎসর পূৰ্ব্বে প্রচলিত চাষের পদ্ধতি এখনও অবলম্বন করিয়া আছে। তাহার লাঙল সেই আদিম কালেরই–ধীর মন্থর বলদে টানিয়া যতক্ষণে যতদূর যাহা করিতে পারে। কৃষক জলের জন্ত আকাশের দিকেই তাকাইয়া অপেক্ষা করে, কদাচিৎ কখনো সেচন করিয়া ক্ষেত্রে জল দেয়–কিন্তু সেই সেচন প্রণালীও এই বৈজ্ঞানিক যুগে ছেলেথেল বলিয়া মনে হয়। শিল্প বা কারুকরী কৰ্ম্মেও ভারতীয় কারিগরেরা এইরূপ। বাপ পিতামহের অনুস্থত পন্থা তাহারা কিছুতেই ত্যাগ করিতে চাহে না । এই পাশ্চাত্য গ্রাম কেমব্রিজে উন্নতির চরম পরিণতির বীজ প্রকটভাবে রহিয়াছে। এই সহরের মধ্যে ও চতুঃপাশ্বে সৰ্ব্বত্রই পরিবর্তন চলিতেছে, এবং সেই পরিবর্তন উন্নতির দিকেই। লোকেরা যেন উন্নতি-পাগল। তাহারা পরিশ্রমলঘুকর ও আরামপ্রদ সৰ্ব্ববিধ সাধন আপনাদের গৃহস্থালীর মধ্যে চায়—যাহাতে তাহারা উন্নতিশীলতার দাবী করিতে পারে। কেমব্রিজের অধিবাসীর গোশাল বা অশ্বশাল ভারতের অনেক আফিস আদালতের ঘরের চেয়েও ভালো। সেখানকার গোশাল অশ্বশালা বিদ্যুতালোকে উদ্ভাসিত, এবং সেই দিবালোকসদৃশ আলোক জলিয়া দুগ্ধ দোহন সম্পন্ন হয়। বিদ্যালয় মন্দিরটি সেখানকার গর্কের সামগ্রা। একটি জমকালো বাড়ী, ১২৭ ফুট লম্বা, ৭৬ ফুট চেড়া। উচু পোতার উপর তলা। ইহা ইট প্রস্তরে গ্রথিত, ছাদ শ্লেটপাথরের, ভিতরটায় ওককাঠের অস্তর দেওয়া । তাপ দিয়া বাড়ীকে গুরম করা, হাওয়া চলাচলের ব্যবস্থা, স্বাস্থ্যরক্ষার আয়োজন প্রভৃতি হাল নিয়মানুযায়ী সকল ব্যবস্থাই আছে । পোতার নীচে নর্দমার জলে রোগবীজাণুধ্বংস করিবার ব্যবস্থাঘর, চুল্লীঘর, চারিট টাটকা তাজা বাতাস ও তাপের ঘর, গৃহস্থালীবিজ্ঞান ও হাতে কাজ শিখানোর ৮ম ভাগ ।


আছে । দোতলায় ছয়টি পাঠাগার, একটা থাবার ঘর, একটা শিক্ষকদের বিশ্রামকক্ষ, এবং একটা ৭০ফুট লম্বা ও ১৭ ফুট চৌড় বারান্দা আছে। তেতলায় বিদ্যালয়ের সভা গৃহ, আবৃত্তি গৃহ, পৰ্য্যবেক্ষকের কার্যালয়, ভাণ্ডার-প্রভৃতি আছে। সকল ঘরের সঙ্গেই জামা কাপড় রাখার পৃথক কামরা আছে। তা ছাড়া পুস্তকালয় ও বড় বড় বারান প্রভৃতিরও ব্যবস্থা আছে। বিদ্যালয়ের যন্ত্রশালায় আধুনিকতম সকল উপকরণই আছে। বিজ্ঞানের বক্তৃতাগারে পার্থীর চমৎকার সংগ্ৰহ আছে। এগুলি একজন জনহিতৈষী নাগরিকের দান। সব ঘরেই প্রায় বিদ্যুতের আলোক আছে—সৰ্ব্বযুদ্ধ মোট ১৬০টা বৈদ্যুতবাতি আছে। সব ঘরেই ঘড়ী আছে। এই সকল ঘড়ী বৈদ্যুতবলে চলে এবং আপনাআপনি বিদ্যালয়ের কার্য্যের অনুযায়ী সময় নির্দেশ করিয়া যুগপৎ বাজে। প্রত্যেক ঘরের পাশেই সেহেতখানা ও প্রত্যেক তালার পানীয়জলের কল আছে । সকল জানালাতে থড় খড়ি আছে, তাছা প্লিঙের সাহায্যে গুটানো যায়। ছাত্রদের ডেস্ক ছাড়া আর সব আসবাবই ওককাঠের। সকল ঘরই ছবিদ্বারা ভূষিত। সকল ঘরেই বই রাখার তাক আছে। ঘর থেকে বারান্দায় যাইবার দরজায় কাচের কপাট আছে। খাবার ঘরও যথোপযুক্তরূপে সজ্জিত এবং তাহাতে একটি অগ্নিকুণ্ড আছে। শিক্ষকদের বিশ্রামাগারে ১৮০ টাকা মূল্যের বেতবোন আসবাব আছে-সেগুলি শিক্ষকের নিজের পয়সায় কিনিয়াছেন ; এবং ২১০ টাকা দামের কম্বল, ਅੰ, আয়না, ও প্রসাধন উপাদান কেমব্রিজের সদাশয় বণিকগণ দান করিয়াছেন। স্কুল ঘরের পশ্চাতে একটা বড় এক জাতীয় তালগাছ বেদীর উপরে আছে, এটি একজন নাগরিকের দান। এই তালগাছটির বেড় ১০ ফুট : ৫ ফুট বেদীর উপর প্রতিষ্ঠিত। ইহা বিদ্যালয়টিকে দুর্লভ সৌন্দৰ্য্য দান করিয়াছে। ১১৭ জন গলক ও ১৩৮ জন বালিক। এখানে বিদ্যাধী। ১০ জন শিক্ষক লেখাপড়া শেখান, একজন চিত্রাঙ্কন • | কেমব্রিজ গ্রাম্য পাঠশালার রাসায়নিক Eta *xt o পরীক্ষাগার । যস্থাগার নাই ।