পাতা:প্রবাসী (অষ্টম ভাগ).pdf/৩৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\ათ &


--> .-----------------

অধিক ব্যক্ত করিতে পারবে। এই প্রবন্ধের লেখক যে বাড়ীতে তিন সপ্তাহ ধরিয়া আছেন তাহার একটা বর্ণনা দিলে ভাড়াটে বাড়ীরও একটা ধারণা হইবে। ইহা ইটের পোতার উপর কাঠের চুতলা বাড়ী, বৈঠকখানার দেয়াল বড় বড় চিত্রভূষিত ; তাহার কয়েকখানি গৃহকত্রীর স্বহস্ত অঙ্কিত। এক কোণে স্বস্বর পিয়ানো। মেঝে শক্ত কাঠের, খুব পালিশ করা, কিয়দংশ স্বদ্বগু গালচেতে ঢাকা । অপর কোণে রমণীর লিখিবার ডেস্ক। কতকগুলি দোলন চেয়ার ও কেদারা ঘরখানিকে আরামের মূৰ্ত্তি দান করিয়াছে। বৈঠকখানার পাশে বসিবার ঘর। একখানি গদ্বিতাটা কোঁচ, দুএক খানি আরাম কেদার, ওক কাঠের টেবিল, বই ও সাময়িক পত্র ভরা তাক ও আলমারি ঘরটিকে আরাম ও মুখকর করিয়াছে। মেঝেটি গালিচায় ঢাকা, বসিবার ঘর হইতে খাবার ঘর, রান্নাঘর ও রঞ্জকাগারে যাওয়া যায়। রান্নাঘরে গ্যাসজালী উনন আছে। তিন প্রকার জিনিষ একসঙ্গে রান্না করা যায়। রুটি, পিটে প্রভৃতি লোকবার জন্ত তুন্দরও আছে। উননের কাছেই একটা সিন্দুক আছে, তাহাতে তরি তরকারি, মসলা পাতি, কাটা চামচে ছুরি প্রভৃতির নানা খোপ আছে। সেই সিন্দুকের হড়পি টান দেরাজ আছে, তাহাতে ময়দা ঠাসা, প্রভৃতি কাজ হয়। এই এক সিন্দুকে রন্ধনের সকল উপকরণই থাকে, রাধুনিকে এঘর সেখর ছুটাছুটি করিতে হয় না। রঞ্জকাগারে একটা কাপড় ধোয়৷ কল আছে, তাহ জলের তোড়ে চলে। এই কলের সঙ্গে একটা কাপড় ংড়োবার কল আছে, তাহাতে পাতলা মোট সকল কাপড়ই বেশ নিংড়ানো হয়। এই সব কল হাত দিয়াও চালানো যায়। সেই ঘরেই ধোবার গামলা, নীলের গামলা আছে। তাহাতে এক নল দিয়া জল আনা যায় ও আর এক নল দিয় তাহা হইতে জল বাহির করিয়া দেওয়া যায়। জলবহন প্রভৃতির হাঙ্গাম নাই। এই সব কলে কাপড় কাচা এত সহজ য়ে সহরের সকল পরিবারই প্রায় আপনারাই কাপড় ধুইয়া লয়। এই ঘরে ইন্ত্রির টেবিল থাকে। এক ঘরেই সকল আয়োজন সম্পূর্ণ থাকাতে কাহারো কাজ করিতে ছুটাছুটি করিয়া ক্লান্ত হইতে হয় না। ধোপাঘরের তাকটি সৰ্ব্বাপেক্ষ ভালো। তাছাতে কাপড়ের দাগ উঠাইবার প্রবাসী ।


--

o [ ৮ম ভাগ | দাগ উঠাইবার মসলা তৈয়ারি হয়। এক বোতল এমোনিয়া সাদা কাপড়ের দাগ উঠাইবার জন্ত থাকে। পশুর পিত্ত দিয়া রঙিন কাপড়ের রং বাচানো হয়। কাপড়ের মহিষা বা চিতি উঠাইবার জন্ত চুণের ক্লোরাইড ব্যবহৃত হয়, ফল । বা চা প্রভৃতির দাগ অক্সালিক এসিড দিয়া তোলা হয়, } নেবুর মুন লোহার দাগ দূর করে। শয়ন কক্ষ, সেহেতথান, সেলাই ঘর দ্বিতলে। প্রত্যেক । শয়নকক্ষে হাত ধুইবার গামলা ও জলের ব্যবস্থা আছে। খাট সব লোহার—তাহাতে প্রিং ও পালকের গদি আছে। স্নানাগারে গরম ও ঠাণ্ড জলের কল আছে। জলের পাইপের নীচে গ্যাস জালিয়া যে কোনো সময়ে তৎক্ষণাং । গরম জলে স্বান হইতে পারে। সেলাইকল পায়ে বা বিদ্যুতে চলে। সে ঘরে একটা বড় টেবিলও আছে--তাহার করা হয়। - WikitanvirBot (আলাপ) ১৪:২৭, ২৪ মার্চ ২০১৬ (ইউটিসি)------------------- মসলা থাকে। পটাশ, লবণ ও তরল এমোনিয়া দিয়া একরূপ : উপর পোষাকের কাট ছাট । ১১শ সংখ্যা । ] . কে জানে যে, আর দশ বৎসর পরে আম ও এখানে জন্মাইতে পরিবে না ! এদেশের যাহারা আম দেখিয়াছে তাহদের ত কথাই নাই ; যাহারা দেখে নাই—শতকরা নিরানব্বই জনই না দেখার দলে—তাহারাও আমের গুণে—অনেকেই শুনিয়া —এত মুগ্ধ যে আমের কথা যখনই তাছাদের সঙ্গে হইয়াছে তখনই লক্ষ্য- করিয়াছি যে যদি এখানে আম দেখাইবার একটি প্রদর্শনী খোলা হয় তবে অনেকেই এক ডলার (৩ টাকা ) দিয়া টিকিট কিনিয়া যাইতে রাজী আছে। যে ফলের উপর ইছাদের এত আগ্রহ তাহা যে ইহার না জন্মাইয়া ছাড়িবে তাহ মনে হয় না। । बाम বলিতে গেলে ভারতেরই একমাত্র একচেটিয়া সম্পত্তি, যদিও অন্যান্ত কোন কোন স্থানে জন্মে বটে কিন্তু তাহা অতি অল্প পারমাণে এবং গুণে ভারতীয় আমের তুলনায় অত্যন্ত নিকৃষ্ট। আমাদের দেশ হইতে যদি আম কোন রূপে ইউরোপ ও আমেরিকায় পাঠান যায় তবে যে প্রচুর লাভবান হওয়া যায় তাহাতে বিন্দুমাত্রও সন্দেহ নাই। একথা নিশ্চয় যে আমকে স্বাভাবিক অবস্থায় - সন্ত নিহাল সিংহ। . [এই প্রবন্ধের লেখক একজন আমেরিকাপ্রবাসী পঞ্জাবী। মূল প্রবন্ধ ইংরাজীতে লিখিত। আমরা তাহাব অমুৰাদ করিয়া দিলাম। আমাদের দেশেও জমী, জল ও বাতাস আছে। ভগবান আমা" দিগকেও সকল শক্তি দিয়া মানুষ করিয়া পাঠাইয়াছেন। অথচ আমাদের এত দুর্দশ কেন, তাহ পাঠক পাঠিকাগণ গভীর ভাবে চিস্ত করিলে আমাদের শ্রম সার্থক হইবে। ] ফল রক্ষণ । পৃথিবীর নানা দেশে যত প্রকারের ফল জন্মে, অনুসন্ধান করিলে বোধ হয় এক ভারতবর্ষেই প্রায় তার সকল প্রকারের নমুনা পাওয়া যায়। বৰ্ত্তমান সময়ে আমেরিকার কালিফৰ্ণিয়া নামক প্রদেশও ফলের জন্য বিখ্যাত হইয়াছে। এদেশবাসীরা বৈজ্ঞানিক উপায়ে এক ফলেরই নানা রকম শ্রেণী স্বষ্টি করিয়া উৎপাদন করাইতেছে। কিন্তু জগতের মধ্যে যাহা সৰ্ব্বশ্রেষ্ঠ ফল বলিয়া সমস্ত সভ্য জাতির নিকট পরিচিত সেই 'আম’ এখানে এখনও জন্মাইতে পারিতেছে না। অনেক চেষ্ট হইতেছে সত্য, কিন্তু এখনও জল বায়ুকে আমের উপযোগী করিয়া তুলিতে পারে নাই। ইহার কৃষি সম্বন্ধে দিন দিন যেরূপ উন্নতি করিতেছে কখনও ইউৰোপ ও আমেরিকায় পাঠান সহজ নয়, অনেক | অৰ্থ ব্যয় করিয়া যদিও কোন রূপে পাঠান যাইতে পারে | বাট কিন্তু ব্যবসার পক্ষে সে কথা উত্থাপন করাই বিড়ম্বন মাত্র। একমাত্র এবং উংকৃষ্টতম উপায় এই যে আমকে টিনে ভরিয়া প্রিজার্ভ অর্থাৎ রক্ষা করিয়া পাঠান যাইতে পারে এবং তাহাতে ব্যয়ও কম এবং প্রচুর লাভবান হওয়া যায়। আমাদের দেশের লোক প্রিজার্ভ অর্থাৎ রক্ষিত ফলের । ধার ধাৱে না বটে—অবশুই যদি কাৰ্ত্তিক অগ্রহায়ণ মাসে টাটুকা ছেড়ে প্রিজার্ভ ফলের দিকেই বেশী ঝোক । চল্লিশ বৎসর পূৰ্ব্বে এখানে একটিও ক্যানারা অর্থাৎ ফল রক্ষার কারখানা ( cannary ) ছিলনা বলিলেই চলে কিন্তু আজ মধু এই ইউনাইটেড ষ্টেটের মধ্যেই বিশ হাজার নান৷ - প্রকারের ক্যানার আছে এবং চল্লিশ লক্ষের উপর লোক এই সব ক্যানারীতে কাজ করিয়া নিজেদের জীবিকা नििर्लाइ করিতেছে। ফলের ক্যানারীতে ইহার কৰ্ম্ম । फ्रांप्री গকে প্রত্যহ গড়ে দুই ডলার অর্থাৎ ৬ টাকা ফল রক্ষণ । - - SMMSMMSMMSMMSMSMSMSMMSMMSMSMS SSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSS به e را |



করিয়া বেতন দিয়া ও ইহারা গড়ে শতকরা আশি টাকা লাভ করতেছে। আর আমাদের দেশে দৈনি- ३छ्री v০ আনা হইতে দ• আনাই যথেষ্ট। আর ক্যানার- যদি ফলেৰ বাগানের নিকট থেtলা যায়-যেমন মুরলিদাবাদ, পূর্ণিা, মালদহ ইত্যাদি স্থানে—তবে ফলের মূল্যও খুব সস্ত হইবে। আমি যে ক্যানারীতে কাজ করতাম ( এখানে ফলের ক্যানারী ছয় মাস খোলা থাকে। অন্ত ছয় মাস এখানে বিশেষ কোন ফল জন্মে না। তাই ও ছয় মাস ইহার ক্যানিংএর কাজ বন্ধ রাখে এবং ফলের টন ইত্যাদি নানা স্থানে পাঠাইতে বাস্ত থাকে। ), তাহার স্বপারিনটেনডেন্টের সহিত আম সম্বন্ধে আমার প্রায়ই কথা হইত। একদিন তিনি বলিলেন যে “আমি আশ্চৰ্য্য হইতেছি যে তোমাদের দেশে যখন এত আম জন্মে - এবং মজুর બર সস্তা তখন এতদিন তোমরা কেন আম প্রিজার্ভ করিবার ক্যানারী খোল নাই ! আমার ত মনে হয় যে আজ ভারতবর্ষে গিয়া যদি শুধু আম প্রিজার্ড করিবার জন্যই অনুন দুই শত ক্যানালী ও খোল তৰে ইউরোপ ত দূরের কথা এক আমেরিকার বাজারেই যোগান দিয়া কুলাইয়া উঠিতে পারিবে না, এদেশে আমের க কাটুতি হইবে। অবশ্যই যদি আমাদের দেশে আম জন্মিত তৰে তোমরা আমাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পারিয়া উঠিতে কিনা সন্দেহ। কেন না আমেরিকায় কোন জিনিষ পাঠাইতে | হইলেই তোমাদিগকে ডিউটি ( মাশুল ) দিতে হইবে। আমাদের সে ব্যয় নাই। তা যখন নয়, আম যখন ভারতবর্ষ । ছাড়া ক্যান করিবার মত প্রচুর পরিমাণে পৃথিবীর अछ। s | কোথাও জন্মেনা, তখন তোমাদের আর প্রতিযোগী কে হইবে ? ও ব্যবসায় তোমাদেরই একচেটিয়া, ইহাতে যে' তোমরা প্রচুর লাভ করিতে পারিবে তাহতে একটুকুও ক্যানিংএর সংক্ষিপ্ত ইতিহাস । - অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষ ভাগে ফরাস্ত্রী গভর্ণমেণ্ট এই মৰ্ম্মে ১২• • • হাজার ফ্রাঙ্ক পুরস্কার ঘোষণা করেন যে, অর্থাং রক্ষা করিবার উৎকৃষ্ট উপায় বাহির করিতে পারবে তাছাকে উক্ত পুরস্কার দেওয়া হইবে।” ১৭৯৫ খৃষ্টাব্দে এপাট

- সন্দেহ করিবার কিছু নাই।” । 'co co-ows (marines) stw foré (Preserve).