পাতা:প্রবাসী (অষ্টম ভাগ).pdf/৩৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

سونی را -l.--്.---------- Instead of them we have during this period temples excavated or constructed on a more magnificent scale and dedicated to the worship of Siva and Vishnu, Several of the grants of this Rashtrakuta princes praise their bounty and mention their having constructed temples, - ইহার পর হইতে ব্রাহ্মণ প্রাধান্ত মূলক হিন্দুধৰ্ম্মের ক্রমোৎ কর্ষ ঘটিতে থাকে। এবং তাছারই শেষ অবস্থায় ভাস্করাচার্য্যের शाग्र भनौषोश खना श्। खेल्लिशिङ ठूखास्त्र श्झेउ झूठे झ्डेप्न ষে খ্ৰীষ্টীয় দ্বিতীয় শতাব্দীর প্রারম্ভেও মহারাষ্ট্রদেশে ব্রাহ্মণ-প্রাধান্ত-মূলক হিন্দুধৰ্ম্মের প্রতিপত্তি বৌদ্ধধৰ্ম্ম অপেক্ষা কোন অংশেই নূ্যন ছিল না। সেকালের রাজার বৌদ্ধধৰ্ম্মের প্রতি সমধিক পক্ষপাত বা বিরাগ প্রকাশ করিতেন না। খ্ৰীষ্টীয় চতুর্থ শতাব্দী হইতেই বৌদ্ধধর্মের প্রভাব হ্রাস পাষ্টতে থাকে। ঐ সময় হষ্টতে ভাস্করাচার্যের সময় পৰ্য্যস্ত প্রায় ৭ শত বৎসর কাল হিন্দুধৰ্ম্মের প্রবলতা বৃদ্ধি পাষ্টতে থাকে। এই সময়ের মধ্যে ভবভূতির ন্তায় মহাকবি হষ্টতে আরম্ভ করিয়া ভাস্করাচার্য্যের ন্যায় জ্যোতিৰ্ব্বিদ পর্যন্ত নানা শ্রেণীর স্বাধীনচিত্ত প্রতিভাশালী ব্যক্তি ঐ দেশে জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন । বরাহ-মিহিরের জন্ম যে দেশেই হইয়া থাকুক তিনি পূৰ্ব্বোক্ত নবীন ব্রাহ্মণ্য ধৰ্ম্মের প্রান্তর্ভাব-কালে আবির্ভূত হইয়াছিলেন। আর্যভট্ট খ্ৰীষ্টীয় ষষ্ঠ শতাব্দীর প্রারম্ভে { অর্থাৎ বৌদ্ধধৰ্ম্মের অধঃপতন ও পৌরাণিক ধৰ্ম্মের অভু্যদয় আরম্ভ হইবার শতাধিক বর্ষ পরে ) পৃথিবীর দৈনন্দিন গতির আবিষ্কার করিয়া অমরত্ব-লাভ করেন। কালিদাস যদি খ্ৰীষ্টীয় ষষ্ঠ শতাব্দীর লোক হন, তাহা হইলে তাহাকেও নব ব্রাহ্মণ্যধৰ্ম্মের অভ্যুদয়-কালে আবিভূত বলিয়া নির্দেশ করিতে পারি। বাণভট্ট, স্ববন্ধু, দণ্ডী প্রভৃতি সংস্কৃত কাব্য ও অলঙ্কার শাস্ত্রের অধিকাংশ প্রসিদ্ধ লেখক এই ব্রাহ্মণ্যধৰ্ম্মের অভু্যদয়. Tকালেই জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন। শঙ্করাচার্য্যের অদ্বৈতবাদ বর্তমান কালের ও মধ্যযুগের মধ্বাচার্যোর নিকট অযৌক্তিক বলিয়া বিবেচিত হইতে পারে ; কিন্তু তাহাৰ প্রতিভার শ্রেষ্ঠত সম্বন্ধে অতি অল্প লোকেই অষ্টমত প্রকাশ করিবেন। শঙ্করাচার্য্যের প্রবর্তিত অদ্বৈতবাদ মহারাষ্ট্রদেশে প্রচারিত না হইলে ছত্রপতি মহাত্মা শিবাজীর চেষ্টা সফল হইত কিনা সন্দেহ । সেই শঙ্করাচার্য্য নব ব্রাহ্মণ্যধৰ্ম্মের অভু্যদয় আরম্ভ প্রবাসী । " [ ৮ম ভাগ। হইবার প্রায় ৪ শত বৎসর পরে প্রাপ্তভূত হইয়াছিলেন। এরূপ অবস্থায় বৌদ্ধধৰ্ম্মের অবনতির সহিত ভারতবাসীর স্বাধীন প্রতিভা-অবনতি-কল্পনা কতদূর স্বসঙ্গত ? বিশেষত: ভাস্করাচার্য্যের স্থায় ব্যক্তির অভূদিয়কে বৌদ্ধপ্রভাবের ফল বলিয়া বর্ণনা করা কতদূর যুক্তিসিদ্ধ ? আশাকরি শ্রদ্ধাস্পদ দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর মহাশয় এবিষয়ে আমার সংশয় নিবৃত্তি করিয়া বাধিত করিবেন। শ্ৰীসখারাম গণেশ দেউস্কর। কবিবর নবীনচন্দ্র সেন । বঙ্গসাহিত্যের আর একটি উজ্জল জ্যোতিষ্ক সাহিত্যগগন অন্ধকার করিয়া অনন্তে বিলীন হইয়াছে। সংবাদ পত্রে প্রকাশ যে নবীনচন্দ্র আর নাই । | সে আজ ৩৫ বৎসরের কথা। তখন বাঙ্গালাসাহিত্যের রেনাশাসের ( Renaissance ) অর্থাৎ পুনর্জন্মের সময়। বঙ্গসাহিত্যের কালাহল রাজনারায়ণ বসু ইহাকে বঙ্কিমের কাল বা বঙ্গদর্শনের যুগ বলিয়াছেন। তখন বাঙ্গালীর চক্ষে | এক অদ্ভুত বিস্ময় জন্মাইয়া ও যেন কোন নূতন বিশ্বের বিচিত্র সংবাদ লষ্টয়া বাঙ্গালীর মুমূধু প্রাণে এক নূতন আশার সংবাদ বহন করিয়া বঙ্গদর্শন আবিভূত হইয়াছে। বঙ্গদর্শনের সঙ্গে সঙ্গে বঙ্গদর্শনের মহারথীরা একে একে উজ্জ্বল জ্যোতিবিমণ্ডিত গ্রহরাঞ্জর মত ফুটিয়া উঠিয়াছেন। একে বঙ্গদর্শনের অদ্ভুতকৰ্ম্ম সম্পাদকই স্বয়ং মহারথী—এক এক সহস্ৰরবীন্দ্রনাথের কথায় “আৰ্ত্ত বঙ্গভাষা” যখন যেখানে ডাকিয়াছে, তখন সেখানেই তিনি প্রসন্ন চতুভূজ মূৰ্ত্তিতে আবির্ভূত হইয়াছেন। তাহার সহকারীরাও যেরূপ বুদ্ধিকুমলী—বিধি বিড়ম্বিত এ হতভাগ্য দেশে কেন,-কোন স্বাধীন প্রতীচা সাহিত্যের কোনো গৌরবময় যুগেও এরূপ অদ্ভুতকৰ্ম্ম সাহিত্যরথীদের একত্রে একাধারে সমাবেশ বিরল। প্রাচ্যশাস্ত্রকোবিদ ডাক্তার রামদাস সেন, রাজকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায়, গ্ৰীক ও হিন্দু প্রণেতা প্রফুল্ল বাবু, কবিবর হেমচন্দ্র, পদ্মিনী কাব্যের রচয়িত রঙ্গলাল বনো, সম্পাদকের অগ্রজ, যাহার সহজ\"স্পর্শী বর্ণনা ও ভায়া বাঙ্গলার রচনা आक्र्न श्हेब्र बै "এডিনবরার” - কাবা তাহার প্রক্লষ্ট উ স্থাছে সেই কলাকুশলী সঞ্জীৰ বাৰু হার প্রকৃষ্ট উদাহরণ। ১১শ সংখ্যা । ] --WikitanvirBot (আলাপ) সম্প্রতি বিখ্যাত ইষ্টয়াছিলেন, উদভ্ৰান্ত প্রেম রচয়িতা চন্দ্রশেখর, “শক্তিকানন” রচয়িত ও বঙ্গদর্শনের সহকারীসম্পাদক শ্রীশ বাৰু, ইত্যাদি কত রথীরই আর নাম করিব—তখনকার বঙ্গসাহিত্যের রথীদের অভু্যদয়ের তুলনায় হেমচন্দ্রের কথায় বলিলে বলিতে হয় “পৰ্ব্বতের চূড়া যেন সহসা প্রকাশ!" তখন উদীয়মান বঙ্গসাহিত্যের সেই মহারথীদের রচনা বক্ষে করিয়া সেই প্রতীচ্য ভাষা ও সাহিত্যের আলোচনা-প্লাবিত বঙ্গীয় যুবকের অনেক বৈঠকখানা গৃহের আন্দোলন স্রোত সম্পূর্ণ বিভিন্নথাতে অল্পে অল্পে পরিবর্তন করিতেছিল— দুর্গেশনন্দিনী তখন কিছুদিন আগেই প্রকাশ হইয়া বঙ্গীয় উপন্যাস জগতে এক বিস্ময়কর যুগান্তর উপস্থিত করিয়াছে। চন্দ্রশেখর সেই বৎসরেই বঙ্গদর্শনে বাহির হইতেছে। সেই সময় আয়তনে ডবল ক্রাউন ১৬ পেঞ্জী আকারে, গ্রন্থকারের নাম নাই, কলিকাত পার্থিব যন্ত্রে মুদ্রিত ‘অবকাশরঞ্জিনী’ নামধেয় একখানি ক্ষুদ্র গীতিকাব্য বঙ্গদর্শনের সম্পাদকের হন্তে সমালোচনার জন্য পৌছিল। বলা বাহুল্য, কবি ইতিপূৰ্ব্বেই বঙ্কিমের সহিত পরিচিত হইয়াছিলেন। প্রতিভার বিকাশে ভাবী কালে র্যাহারা বঙ্গীয় সাহিত্যে অক্ষয়ক,ৰ্ত্তি স্থাপন করিয়াছেন তাহদের গুণগ্রহণে বঙ্গদর্শন কখনই উদাসীন ছিল না। বঙ্গদর্শনে বঙ্কিমী সার্টিফিকেট র্যাহারা পাইলেন তাহারা বঙ্গসাহিত্যে সেদিন হইতেই যশস্বী চইলেন -এ অনন্তৰ্ভুলভ সৌভাগ্য ও ক্ষমতা আর কোনো বঙ্গীয় মাসিক পত্রের ভাগ্যে ঘটে নাই। শুনা আছে যে "এডিনবরা রিভিউ” যখন প্রথম প্রকাশিত হয় তখন সম্পাদক জেফ্রি, মেকলে, লকহার্ট, সিডনি স্মিথ, নিউম্যান প্রভৃতি রচনারসিকদের (Stylist ) লেখার গুণে তদানীন্তন লেখকেরা নিজ নিজ ক্ষমতানুসারে পুরস্কার বা তিৰস্কার লাভ করিতেন—উক্ত রিভিউয়ের সম্পাদক ও লেখকেরাই যেন তদানীন্তন ইংরাজী সাহিত্যের রাজদণ্ড পরিচালনা করিতেন। অতিমাত্র লোকপ্রিয় গ্রন্থও লেখকদের সম্মার্জনীর পর একেবারে অধঃপাতে গিয়াছে এরূপও দেখা গিয়াছে- দ্বাদশ সংস্করণ অতীত মণ্ট গমারির ( জেম্স নহে রবার্ট } “Satan" সব সম/েষে রিভিউয়ের কবিবর নবীনচন্দ্র সেন । Vరిన কশাঘাত উপযুক্ত স্থলে প্রযুক্ত হইত তাহা নহে ; অভিজ্ঞ "itstral Keatsan Hyperiona* ** *** রাখিবেন । কিন্তু বঙ্গদর্শনের কীৰ্ত্তিউদ্ভাসিত ললাটে এরূপ দুরপনেয় কলঙ্ককালিমা কখনও কেহই অর্পণ করিতে পারে নাই । - সে যাহা হউক, নবীনচন্দ্রের অবকাশরঞ্জিনী ১২৮০ সাল অর্থাৎ ২য় বৎসবের বঙ্গদ ধনে বৈশাখ সংখ্যায় সমালোচিত হয়। উক্ত অনুকূল সমালোচনায় কবি একেবারে সাধারণ্যে পরিচিত হইলেন। সে অবধি বঙ্গদর্শনেও ত্রন—” স্বাক্ষর বিশিষ্ট কবিতার রচনা নৈপুণ্যে বঙ্গীয় পাঠকের বিস্ময়চমকিত হইতেন। তাহার পর বর্ষে পলাশীর যুদ্ধ সমালোচিত হইয়া নবীনচন্দ্রকে বঙ্গসাহিত্যের অতি উচ্চস্থানে স্থাপন করিয়াছিল। তাহার পর তাহার পরবর্তী রচনাগুলি এ ত্রিশ বৎসরে তাহার যৌবনে অর্জিত যশঃ ক্রমশঃ অধিকতর উজ্জ্বল করিয়াছে মাত্র। বঙ্গসাহিত্যে নবীনচন্দ্রের স্থান কোথায় ? বঙ্গীয় সাহিত্য ভাণ্ডারে তিনি কোন কোন অমূল্য রত্বরাজি প্রদান করিয়াছেন, উহারা কি কি গুণে অমূল্য তাহার পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে আলোচনার এস্থান ও সময় নহে। ভবিষ্যদ্বংশীয়েরা তাহার যথাযথ বিচার করিবেন—এরূপ বিচার করিতে আমরা সম্যক্ কৃতকাৰ্য্যও হইব না। মহাকবির প্রতিভা অভ্রংলিছ গগনচুম্ব শৈলশিখরের তুল্য। উত্তঙ্গশূঙ্গবিহারী চমরী ও মৃগযুখের অমুসরণকারী কিরাতের শৃঙ্গের উচ্চত৷ নিরূপণে সমর্থ, কিন্তু গিরির তলভাগে যাহার, মেঘস্পশী . শিখরদেশের অসুমণ্ডিত রহস্তকুহেলিকা, তাহার অস্তমান রবিময়ুখের ঐন্দ্রজালিক বর্ণচ্ছট, তাহার উষার মুকুটজ্যোতিঃ • ও প্রান্তলীন বর্ণরাগের প্রতি প্রলুব্ধ প্রশংসমান নেত্রে চাহিয়া থাকেন মাত্র, সেই দূঃারোহ শৈলরাজির মহিমা নিরূপণে তাহারা সম্পূর্ণ অসমর্থ। কবিবরের সমকালবৰ্ত্তী আমাদের অনেকটা সেই দশা। তথাপি এক্ষেত্রে অক্ষম হইলেও তাছার অমর কার্য্যের একটী সংক্ষিপ্ত আভাস দেওয়া আশা করি আপ্রাসঙ্গিক হইবে না। - অবকাশরঞ্জিনী তাহার প্রথম ও শেষ গীতিকাব্য। বিস্কাপতি চণ্ডীদাস প্রভৃতি বৈষ্ণব কবিদের রচনা হইতে