পাতা:প্রবাসী (অষ্টম ভাগ).pdf/৩৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७8२ リトへ সেই জরাসন্ধবধ, অস্তৃত কৌশল,— কারামুক্তি, রাজমেধ যজ্ঞ নিবারণ ; রাজস্বয়ে পাওবের সাম্রাজ্য প্রবল বিনা যুদ্ধে কি কৌশলে হইল স্থাপিত ! সৰ্ব্বত্র নির্লিপ্ত কৃষ্ণ, সৰ্ব্বত্র নিষ্কাম, সৰ্ব্বত্রই দয়াধৰ্ম্ম আদর্শ মহান ।” নবীনচন্দ্রের কৃষ্ণ ভারতবর্ষকে— বাধি ধৰ্ম্ম নীতিপাশে মিলাইব অনায়াসে জননীর খণ্ড দেহ ; করিয়া চালিত জ্ঞানাঙ্কুশে, ভেদ জ্ঞান করিব রহিত। শিখাব একত্ব মৰ্ম্ম,— এক জাতি, এক ধৰ্ম্ম, এরূপে করিব এক সাম্রাজ্য স্থাপন, সমগ্র মানব প্রজা, রাজা নারায়ণ!” এইরূপ এক বিশাল মহাভারত, এক বিরাট ধৰ্ম্মসাম্রাজ্য গঠিবার প্রয়াস করিয়াছিলেন—ইহার ফল কুরুক্ষেত্র, ইহার ফল ‘ভূতলে অতুল ধৰ্ম্মশাস্ত্র গীত, ইহার ফল ব্রাহ্মণ্যের আবহমানকাল প্রতিষ্ঠিত একদেশিতা বিনাশ, ইহার ফল আৰ্য্য অনাৰ্য্যের যুগান্তর ব্যাপী সংঘর্ষের ধ্বংস ও ইহার চরম অমৃতময় ফল কুকক্ষেত্রের অষ্টাদশ অক্ষৌহিণী সেনার ভস্মস্ত,প হইতে এক মহা ধৰ্ম্মসাম্রাজ্যের অভু্যখান। নবীনচন্দ্র এই বিশাল চিত্রফলকে মহর্ষি ব্যাসের পুতপদাঙ্ক অনুসরণ করিয়া, যে সব বিশাল চরিত্র চিত্রিত করিয়াছেন, তাহাও ঐরূপ বিশাল, বিরাট, উচ্চ—‘যেন ম্পর্শে দিনমণি! শ্ৰীকৃষ্ণ, অর্জুন, স্বভদ্রা, শৈলজ, অভিমন্য, • উত্তর, জরুৎকারু,-প্রত্যেকটা উজ্জল সুস্পষ্ট, স্বব্যক্ত, প্রত্যেকটা নিজের স্বাতন্ত্র্যে পূর্ণ অভিব্যক্ত। বিশেষতঃ — শ্ৰীকৃষ্ণাৰ্জুন, সেই নরনারায়ণের বিশালোজ্জল চিত্রপট যেন চিত্রফলক ছাপাইয়া উঠিয়াছে, বর্ণ এতই উজ্জল ! নবীনচন্দ্রের শ্ৰীকৃষ্ণ স্বজাতিপ্রীতি ও দেশকালের সঙ্কীর্ণ গণ্ডী ছাড়াইল্পী বিশ্বসংসারকে এক ধৰ্ম্মসাম্রাজ্যে গড়িতে চাহিয়াছেন, সে সাম্রাজ্যে ব্রাহ্মণ শূদ্ৰ, আৰ্য্য অনাৰ্য্য, নীচ উচ্চের কোনো ভেদাভেদ নাই—জাতি ও দেশের সঙ্কীর্ণতা এক মহান সাৰ্ব্বজনীন সাৰ্ব্বভৌমিক ভাবে বিলীন হইয়া প্রবাসী । - [ ৮ম ভাগ। যে— “ফলাফল নারায়ণ পদে সমৰ্পিয়া এই কর্তৃব্যের স্রোতে যাইব ভাসিয়া । এক ধৰ্ম্ম, এক জাতি, এক রাজ্য, এক নীতি, সকলের এক ভিত্তি সৰ্ব্বভূতহিত ; সাধন নিষ্কাম ধৰ্ম্ম, লক্ষ্য সে পরম ব্রহ্ম, একমেবাদ্বিতীয়মৃ!—করিব নিশ্চিত ওষ্ট ধৰ্ম্মরাজ্য মহাভারত স্থাপিত।” দেখুন হেমচন্দ্র যাহার “একবার শুধু জাতিভেদ ভুলে" ইত্যাদি বাক্যে আভাস দিয়াছিলেন, বঙ্কিমচন্দ্র পুরাণেতিহাস সিদ্ধ মন্থন করিয়া যে অমূল্য কৌস্তভনিধি উদ্ধৃত করিয়াছিলেন নবীনচন্দ্রের অমৃতময়ী লেখনী সে কল্পনাকে অপূৰ্ব্ব জ্যোক্তি বিমণ্ডিত করিয়া বঙ্গীয় পাঠকের নেত্রসমীপে উপস্থিত | করিয়াছেন। ইহাই কবির শ্রেষ্ঠ-ইহাই কবির বিশেষ দান—এক্ষণ ভবিষ্যদ্বংশীয়েরা বিচার ཐ་ཐ་མ་-ཀ་གེTS་ན། ། স্থান কোথায় ? কত উচ্চে ! ইদানীন্তন কয়েক বৎসর ধরিয়া তিনি আর বঙ্গসাহিত্যের সহিত ঘনিষ্ট যোগ রাখেন নাই--শাস্তসমাহিতচিত্ত্বে জীবনের শান্তিময় পরিসমাপ্তির দিকে দৃষ্টিপাত করিা: ছিলেন। নিজ প্রিয় গ্রামে—প্রিয়তম পরিবারবর্গে পরি: বেষ্টিত হইয়া তিনি জীবনলীলা শেষ করবেন ইহা তাহার অনেক দিনের আশা ছিল। তাহার সম্প্রতি প্রকাশিত আত্মজীবনচরিতে তিনি এক স্থানে লিথিয়াছেন যে এই দুঃখময় জীবনমরুতে বাল্যে র্যহাদের হারাইয়াছিলেন, সেই জনকজননীর সহিত মিলনাকাঙ্ক্ষার জন্ত তিনি সতৃষ্ণ নয়নপাত করিয়া আছেন। কে আশা করিয়াছি যে তাহার সে প্রাণের আকাজা ভগবান এত শীঘ্রই পূর্ণ করিবেন! কে জানিত যে এত শীঘ্রই আমরা তাহাকে হারাইব । ভগবান শ্ৰীকৃষ্ণের অনন্ত মধুর লীলা বর্ণনে এ নাম কীৰ্ত্তনে, একবার হেলায় শ্রদ্ধায় যে নাম গ্রহণ করিলে ঋষি বলিয়ছিলেন যে আমরা এ স্তর ভবসাগর উত্তী N. ১১শ সংখ্যা । ] শ্ৰীহরির লীলা বর্ণনা করিয়া নিজের জীবন ভক্তিময় করিবেন, এটা তার শেষ জীবনের ঐকান্তিক আশা ছিল। তিনি সে কার্য্যে কতদূর সক্ষম হইয়াছেন ভবিষ্ণুদ্বংশয়ের তাহার বিচার করুন । কিন্তু এ কথা সাহস করিয়া বলা যাইতে পারে যে তিনি আমাদের দুঃখিনী বঙ্গভাষাকে যে অমূল্য রূহারে ভূষিত করিয়া গিয়াছেন—সে রয়ে সমৃদ্ধা বঙ্গভাষা সগৰ্ব্বে বিদেশীকে আপনার রত্নপেটিকা উন্মোচন করিয়া দেখাইতে পারিবেন, ও যত দিন বঙ্গসাহিত্য, বঙ্গভাষা ও বাঙ্গালী বাচিয়া, থাকিবে তত দিন নবীনচন্দ্রের নাম সুবর্ণ অক্ষরে অঙ্কিত থাকিবে ও কবি নবীনচন্দ্র “যশঃ স্বর্গে অম্লান বরমাল্য ধারণ করিয়া বঙ্গসাহিত্যের অমর গণের সহিত একাসনে বাস করিতে থাকিবেন।” শ্ৰীবীরেশ্বর গোস্বামী। উপেক্ষিত । প্রভাতে সাজায়ে পাত্রে ধূলিকণাহীন বহুদিন সাধনার পূজা উপচার লইয়া আসিমু যবে দেবতার পদে, ব্যাকুল বাসনাভরে দিতে উপহার, দেখিমু সহসা হ’ল মন্দিরের দ্বার রুদ্ধ, হায়! চাপি শ্বাস দাড়ামু কাতরে। উপহাসি তীব্রস্বরে যেন বার বার রুদ্ধদ্বার শব্দধবনি ধ্বনিল গম্ভীরে । উপেক্ষিত মত আমি রহিমু বাহিরে নীরব নিরাশাখানি সাথে লয়ে মম। গভীর স্তব্ধতারাশি শিল্পর উপরে জাগিয়া রহিল স্থির অভিশাপসম । শুনিমু অর্চনাবাণী মদির অধীর উঠিছে মন্দির মাঝে ভক্ত প্রাণ হতে। আমার প্রার্থনা ব্যর্থ দুরাশার মত কঁাদি উঠে প্রতিহত রুদ্ধ দ্বার পথে । দেখিয় আরতি দীপে উজ্জ্বল মদির, হইতে পারি\সেরূপি পলিগীতং হেলা শ্রদ্ধাৰ'-ীেl. আমার পূজার সেখ। নাহি শুধু স্থল। - - * / ওস্তাদ রামমূৰ্ত্তি । SSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS w80 আশষ বচন শত ধ্বনিছে গম্ভীর o নীরব বেদন খানি শুধু পেম্বু দ্বান। . প্রভাত-আলোক-হাসি ক্রমে গেল নিবে, সন্ধ্যার ছায়াটি নামি এলো ধীরে ধীরে ;– নিরর্থ তপস্তামত মন্দির বাহিরে, আমার অর্চনা খানি র’ল শুধু প’ড়ে। লজ্জাবতী বন্ধ । চিত্রপরিচয় । গত ডিসেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে মান্দ্রাজে ভারতবর্ষীয় সমাজসংস্কার সভার যে অধিবেশন হয়, মাননীয় বিচারপতি ঐযুক্ত শঙ্করন নায়ার তাহার সভাপতি নিৰ্ব্বাচিত হন। তাছার মূৰ্ত্তি বর্তমান সংখ্যায় মুদ্রিত হইল। নয়জন নিৰ্ব্বাসিত বাঙ্গালীর মধ্যে কয়েকজনের ছবি আমরা ইতিপূৰ্ব্বে দিয়াছি। বর্তমান সংখ্যার ত্রযুক্ত মনোরঞ্জন গুহ ঠাকুরতার ছবি দিলাম। ওস্তাদ রামমূৰ্ত্তি । আজকাল সকলের মুখেই রামমূৰ্ত্তি ওস্তাদের নাম ফিরিতেছে। রামমূৰ্ত্তি অশেষ বলশালী পুরুষ। তিনি বহু প্রদেশে আপনার বলের পরিচয় দিয়া সংপ্ৰতি ৰাংলা দেশে আসিয়াছেন । নিম্নে আমরা তাহার পরিচয় সঙ্কলন করিয়া দিলাম। ईशब भूत्वा नाम वैयूङ ब्रामष्ठं नाईष्ट्र। ईशब निडान्न नाम श्रृङ नाब्राञ्जल श्रागै नाडेङ्गु ब्राब्र बाशझब्र। ইনি বিজিয়ানাগ্রামের পুলিস ইন্সপেকটর ছিলেন। রাম-. মূৰ্ত্তির যখন মাত্র দুই বৎসর বয়স তখন তাহার মাতার মৃত্যু হয়। ৩৪ বৎসর হইল তাহার পিতারও ৪৫ বৎসর বয়সে মৃত্যু হইয়াছে। এই হিসাবে ওস্তা রামমূৰ্ত্তির বয়স বেশি নয়। তাহাকে দেখিলে ত্রিশ বৎসরের অধিক বয়স্ক বোধ হয় না। ইহাৱা মান্দ্রাজ প্রদেশের অধিবাসী। বাল্যকালে রামমূৰ্ত্তি রোগ ছিলেন। পাঁচ বৎসর বয়সে তার হাপানি রোগ হয়। চুরট ব্যবহার করিয়৷ সে রোগ সারিয়া গিয়াছে। সেই সময় তিনি প্রাথমিক -