পাতা:প্রবাসী (অষ্টম ভাগ).pdf/৩৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* - প্রবাসী । - দিগকে জীবের পুরাতত্ত্ব লিখিতে হইয়াছে। . আধুনিক , . V28や মন্ত্রগ্রন্থটির আরম্ভ। কত বৎসর পূৰ্ব্বে এই প্রকারে জীবের অন্ধুর উৎপন্ন হইয়াছিল তাহ স্থির করা কঠিন বটে, কিন্তু পৃথিবীর শৈশব জীবনেরই কোন এক শুভ মুহূর্তে প্রাথমিক জীবের স্বেচ্ছা-সঞ্চলনে যে ধরাবক্ষ ক্ষুব্ধ হইয়াছিল তাহ সুনিশ্চিত। আধুনিক জীবতত্ত্ববিদগণ এই প্রাথমিক জীবকেই মঙ্গুষ্যের অতি প্রাচীন পূৰ্ব্বপুরুষ বলিয়। স্থির করিয়াছেন, এবং সেই জড়বৎ জীব কোন ধারায় ক্রমবিকাশ লাভ করিয়া বৃক্ষলতা পশুপক্ষী এবং মরবানর ইত্যাদিতে পরিণত হইয়াছে, তাহীও নির্দেশ করিয়াছেন। সুতরাং প্রাথমিক জীবের স্বষ্টিকে মনুষ্যসৃষ্টির প্রারম্ভ বলা অসঙ্গত নয়। জীবের লক্ষণ নির্দেশ করিতে গেলে বৈজ্ঞানিকগণ বলিয়া থাকেন, বাহিরের নানা প্রাকৃতিক শক্তির সহিত সামঞ্জস্ত রক্ষা করিয়া নিজেকে ঠিক রাখাই জীবের প্রধান ধৰ্ম্ম । তাপ, আলোক, বায়ুর চাপ, এবং ভূমধ্যাকর্ষণ প্রভৃতি নানা প্রবল প্রাকৃতিক শক্তি পদার্থের উপর যে প্রভাব বিস্তার করিতেছে, তাছা উপেক্ষার বিষয় নয়। গোড়ার খবর লইলে বলিতে হয় ইহারাই নানা আকারে কাজ করিয়া পৃথিবীকে গড়িয়া তুলিয়াছে। সপ্তস্থঃ জীবটির উপর যখন এই সকল প্রাকৃতিক শক্তি প্রবলভাবে কাজ করিতে আরম্ভ করিয়াছিল, তখন টি কিয়া থাকিবার জন্য ষে জীবাস্থরটিকে বহু চেষ্টা করিতে হইয়াছিল তাহ আমরা অনুমান করিতে পারি। কিন্তু সেই জড়যুগে আত্মরক্ষার আকাজ ক্ষুদ্র জীবগুলির হাতে কোন অস্ত্র নির নিজের পথ নিজে কাটিয়া লইবার পরামর্শ দিয়াছিল তাহ এখন আর জানিবার উপায় নাই। এই সময়ের সন্ধি বিগ্রহের ইতিহাস চিরদিনই আমাদের নিকট অজ্ঞাত থাকিবে। sWikitanvirBot (আলাপ) ... দেশের প্রাচীন ইতিহাস যখন লোপ পাইয়া যায়, চতুর ঐতিহাসিক পণ্ডিত অস্পষ্ট শিলালিপি এবং জীর্ণ মন্দিরের স্থাপত্যনৈপুণ্য পরীক্ষা করিয়া ইতিহাসহীন যুগের অনেক তত্বের উদ্ধার করিয়া থাকেন। জীবতত্ত্ববিদগণও এই উপায়ে তমসাচ্ছন্ন জড়যুগের এক ইতিহাস দাড় করাইয়াছেন। তখনকার প্রাকৃতিক অবস্থার কথা মনে রাখয়। এবং ভূপ্রোথিত শিলাময় জীবকঙ্কাল পরীক্ষা করিয়া ইহা [ ৮ম ভাগ । মানুষ প্রাকৃতিক উপদ্রবকে কৃত্রিম উপায়ে দমন করিয়া চারিদিকটাকে তাছার জীবনের এত অমুকুল করিয়া রাথিয়াছে যে, এখন একবার মানুষ হইয়া জন্মগ্রহণ করিতে পরিলে জীবনটা শেষ পর্য্যন্ত বেশ সহজেই কাটিয়া যায়। ইতর জীবগণ জীবনরক্ষার এই সুবিধাটুকু হইতে বঞ্চিত। তাই ইহুদিগের বিরুদ্ধ প্রকৃতির সহিত সংগ্রাম করিতেই জীবনের অনেকটা সময় ব্যস্থিত হইয়া যায়। প্রাথমিক জীবগণ আধুনিক ইতর জীবের তুলনায় অনেক निक्लठे छ्णि, সুতরাং ইহাদিগকেও যে, বাহিরের শক্তির সহিত সংগ্রাম করিয়া জীবন রক্ষা করিতে হইয়াছিল তাহ নিশ্চিত। এই অবস্থায় অনুকূল শক্তিকে আশ্রয় করিয়া নিষ্ঠুর প্রতিকূল শক্তির সহিত সংগ্রাম করা ব্যতীত আর উপায় থাকে না। প্রাথমিক জীবের জীবনের অনেক সময় এই প্রকার সংগ্রামেই কাটিয়া গিয়াছিল। তারপরও শত্রুর কবল হইতে উদ্ধার নাই দেখিয় তাহাদিগকে আত্মরক্ষার কোন স্থায়ী উপায় উদ্ভাবনের জন্ত চিন্তা করিতে হইয়াছিল। প্রবল শক্রপক্ষের বাণবৰ্ষণে যখন যোদ্ধার ধন্থ ভগ্ন হই। যায় এবং আত্মরক্ষার চেষ্টায় তুণীর শূন্ত হইয়া পড়ে, তখন নিজের দেহ প্রাণ অক্ষত রাখিবার জন্ত তাহাক উপায়ান্তর অবলম্বন করিতে হয়। পাশ্বচর শরীররক্ষকের স্বন্ধে যে কঠিন বৰ্ম্ম সঙ্কটকালের জন্ত রাপা হইয়াছিল, তাহার প্রতি তখন যোদ্ধ বরের দৃষ্টি পড়ে। সেই কঠিন বৰ্ম্মে আচ্ছাদিত হইয়া দাড়াইলে বিপক্ষের বাণ বৰ্ম্মে ঠেকি শতধা হইয় পড়িয়া যায়। প্রতিকুল প্রাকৃতিকশক্তির নিষ্ঠুরতার হাত হইতে উদ্ধার পাইবার জন্ত জীবকে द्ि পূৰ্ব্বোক্ত প্রকারেই সংগ্রাম করিতে হইয়াছিল। বৰ্ম্ম প্রস্তুত ছিল না, নিজের শরীরকে রূপান্তরিত করিয়া ইহার বিরুদ্ধ শক্তির আক্রমণ হইতে ত্রাণ পাইত। এক কোষময় প্রাথমিক জীব দ্বিধা খণ্ডিত হইতে হইতে যে অসংখ্য সস্তানসন্ততি উৎপন্ন করিত তাহাদের মধ্যে সকল গুলিই মূলজীবের ছাচে না জন্মিয় নানাকারণে বিকলাঙ্গ হইয়া জন্মিত। এই বিকলতা মহাভারতের বীর কর্ণের সহজ কৰচেরস্থা কাৰ্য্য করলে প্রাকৃতিক উপদ্রব তা দিগকে স্পর্শ ক3 পারিত না। জীবন সংগ্রামে জয়যুক্ত। | 1ן וזאאה וילל হইয়া যে সকল জীব নানাযুগে পৃথিবীতে বিচরণ করিয়াছিল, তাহাদিগকে মহাবীর কর্ণের ন্যায় সহজ কবচধারী হইয়া জন্মিতে হইয়াছিল। - জীবের এই ক্রম পরিবর্তন পৃথিবীর কেবল শৈশবজীবনেরই ঘটনা নয়, বাহিরের প্রাকৃতিক শক্তি যেমন ধীরে ধীরে পরিবর্তিত হইয়া আসিতেছে, জীবও সেইপ্রকার নানা আকার পরিগ্রহ করিয়া জাতির পর জাতি স্বষ্টি করিতে করিতে চলিয়াছে। বর্তমান যুগেও এই পরিবর্তনের ধারার বিরাম নাই। ইহার অন্ত কোথায়, এবং কোন দিক লক্ষ্য করিয়াই বা ইহা চলিয়াছে, তাহ নিশ্চয় করিয়া বলা আমাদের জ্ঞানবুদ্ধির অতীত। ইচ্ছাশক্তির সঞ্চার হওয়ার পর শক্ৰকবল হইতে রক্ষা পাইবার জন্য জীবকে প্রকৃতির মুখাপেক্ষী হইয়া থাকিতে হয় নাই। এই স্বাভাবিক ইচ্ছাশক্তির ইঙ্গিতেই মনুষ্য প্রভৃতি উন্নত প্রাণী কৃত্রিম উপায় উদ্ভাবন করিয়া এখন সহস্ৰ প্রাকৃতিক প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে দাড়াইয়া সংগ্রাম করিতেছে। প্রাচীন জীবের এই ইচ্ছাশক্তির লেশ মাত্র ছিল না। বাহিরের উদাম প্রকৃতির চালনায় শরতের মেঘের দ্যায় তাহাকে নানা আকার পরিগ্রহ করিতে করিতে লক্ষ্যহীন অবস্থায় চলিতে হইয়াছিল। ইহাদের মধ্যে যাহারা ঘটনা বৈচিত্রে কুপথ অবলম্বন করিয়াছিল মৃত্যুর গ্রাস হইতে তাহার রক্ষা পায় নাই। ভাগাক্রমে যাহার স্বপথের পথিক হইয়াছিল, কেবল তাহারাই ক্রমোন্নতি লাভ করিতে পারিয়াছিল। আধুনিক মানবজাতি সেই আদিম জীবের কোন এক সুপথগামী বংশধর হইতেই জন্মিয়াছে। যে পথ অবলম্বন করিয়া জড়বৎ অপক্লষ্ট জীব শেষে মানবের স্থায় উন্নত প্রাণীতে পরিণত হইয়াছে, আমরা বর্তমান প্রবন্ধে তাহরই কিঞ্চিৎ আভাস দিব মাত্র। আদিম জীবের উৎপত্তির পর তাহার বংশধরগণ দুইটি পৃথকজাতিতে বিভক্ত হইয়া পড়িয়াছিল। প্রাচীন যুগের আকাশ এখনকার মত পরিষ্কার ছিল না। তখন এখনকার তুলনায় আকাশে অঙ্গারক বাষ্প অত্যন্ত অধিক পরিমাণে মিশ্রিত থাকিত। একজাতি কেবল অঙ্গারক বাষ্প দেহস্থ করিয়া শরীর পোষণ করিত, এবং অপরটি অক্সিজেন বায়ু গ্রহণ করিয়া জীবিত থাকিত *, অঙ্গারক বাম্পে অঙ্গার ও / -ناسی

  • ~

স্বষ্টি। ৷ - অক্সিজেন যুক্তাবস্থায় থাকে। উভয়ই জীবদেহ গঠনের খুব উপযোগী হইলেও, মুক্ত অক্সিজেন জীবকে ফের্মকৰ্ম্মকুশল করে অঙ্গারক বাষ্প সে প্রকার করে ল। অঙ্গারক বাপগ্রাহী জীবের এইখানেই উন্নতির পথ রোধ হইয়া পড়িয়াছিল। অক্সিজেনগ্রাহী জীব যখন উন্নতির পথে চলিবার জন্য চঞ্চল হইয়া দাড়াইয়াছিল, তাহাদেরি অঙ্গারবায়ুভোজী সহোদরগণ ঠিক একস্থানে দাড়াইয়া কিপ্রকারে বহু অঙ্গারক বাষ্প দেহস্থ করিতে হইবে, তাহার উপায় উদ্ভাবনে ব্যস্ত ছিল। অক্সিজেনৃভূক জীব বহুকাল একই আকারে থাকিতে পারে নাই। বহিঃপ্রকৃতির সহিত সামঞ্জস্ত রাখিতে গিয়া ইহারা সমেরুদণ্ড ও অমেরুদণ্ড (Vertebrate and invertebrate) * * *** wifsts foss झझेब्र পড়িয়াছিল। এক যুগে এই দুই জাতির মধ্যে অমেরুদণ্ড জীব পৃথিবীতে খুব প্রাধান্ত লাভ করিয়াছিল। মাকড়সা মধুমক্ষিকা ও পিপীলিকা প্রভৃতি জীব তাহাদেরি বংশধর। ইহারা বহিঃপ্রকৃতির সহিত নিজেদের মিলাইয়া যেমন অনায়াসে চলাফেরা করে অপর কোন জীবই সে প্রকার পারে না। সমাজবন্ধনের কৌশলে ইহারা সমগ্র ইতর জীবের শীর্ষস্থানীয়। এই সকল আলোচনা করিলে বলিতে হয়, যে, যে সমেরুদণ্ড জাতি হইতে মনুষ্যের উৎপত্তি হইয়াছে, তাহা এককালে উন্নতির পর্য্যায়ে অমেরুদওজাতির অনেক নীচে ছিল। ভূতত্ত্ববিদ্বগণও আজকাল এই সিদ্ধান্তের অনুমোদন করিতেছেন। অমেরুদওজাতি প্রথমে দ্রুতগতিতে উন্নতির দিকে চলিয়া শেষে তাহাদের সমেরুদণ্ড ভ্রাতৃগণের সহিত প্রতিযোগিতায় জয়ী হইতে পারে নাই। মেরুদণ্ডের অভাবে দেহের চৰ্ম্মকে ইহারা ইন্দ্রিয়াদিরক্ষার প্রধান অবলম্বন করিয়া তুলিয়া একটা মহাভুল করিয়াছিল, এবং এই ভুলই তাহাদের ভবিষ্যৎ উন্নতিপথের কণ্টক হইয়া দাড়াইয়াছিল। স্থলচৰ্ম্ম দ্বারা সৰ্ব্বাঙ্গ আবৃত থাকায় আকারে বৃহত্তর হইবার চেষ্টা করিতে হইলে, ইহাদিগকে সেই আবরণুকে বিদীর্ণ করিতে হইত। অস্থাপি কঁাকড়া ও চিংড়ি মাছ প্রভৃতি অমেরুদণ্ড জীৰ এই প্রকারে চৰ্ম্মবিদীর্ণ করিয়াই বাড়ির থাকে। সমেরুদণ্ড জীবের দেহস্থ অস্থি যে কাজ করে, w84