r ৫ম চিত্র। স্বয়ংবহ জলঘড়ী। ধাবিত হইবে। শেষোক্ত দিকের পারদের আকর্ষণে চক্র স্বয়ং ভ্রমণ করিবে ।” ৬ষ্ঠ চিত্রে ঐরূপ চক্র প্রদর্শিত হইল। কিন্তু ব্যাপারটা কি ? ইহা কি আধুনিক বিজ্ঞানে নিন্দিত সদাবহ যন্ত্র ? ংবা আরও কিছু ছিল, যাহা গুপ্ত রহিয়া গিয়াছে ? এরূপ যন্ত্রদ্বারা লঙ্ক ভগোলযন্ত্র ভ্রমণের কথা বলিয়াছেন। স্বয়ংবহ যন্ত্রের রহস্ত পাছে প্রকাশিত হইয়া পড়ে, এই আশঙ্কার (বর্তমান ) স্বর্যসিদ্ধান্তু রহস্ত গুপ্ত রাখতে শিয়াকে পুনঃ পুনঃ উপদেশ করিয়াছেন। শিল্পকৌশল প্রকাশে ধিনি এত শঙ্কিত, অবশু তিনি কোন কথা বলিতে পারেন না।. এজন্য তিনি পারঙ্গ জল তৈলাদির প্রয়োগ দুর্লভ ঋলয়া সারিয়াছেন। তাছার টীকাকার রঙ্গনাথ - (配》* শতাব্দী) বলেন, ‘স্বয়ংবহ যন্ত্র অসাধারণ, মনুষ্যের অগাধ - এই হেতু উহা স্থলভ ; অন্যথা প্রতিগুহে প্রচুর ব্যবহ থাকিত। সমুদ্রের অন্ত প্রাস্তবাসী ফিরঙ্গের স্বয়ংবছ বিয়া সম্যক্ অভ্যন্ত। ইহা কুহক বিস্তার অন্তর্গত। প্রবাসী । * এ আব তবে কি কুছকের স্তায় স্বয়ংবহ ও গুপ্ত রহিয়া গিয়াছে ? কিন্তু যে বর্ণনা পা তেছি, তাহাতে যুরোপের সদাবহ আবৰ্ত্তচক্ৰ মনে আসিঠেছে। ৮ম ভাগ। fর কি কথা ? ভাস্করাচার্যও কুহকবিদ্যার উল্লেখ করিয়াছেন। এই চক্রের আকার ৭ম চিত্রে প্রদশিত হইল। আবৰ্ত্তাকার আরসমূহের অন্তৰ্ব্বী গুণকার ভারে চক্রের ভ্রমণ ক'ল্পত হইয়াছিল। বলা বাহুল্য, এই রূপে চক্রপ্রমণ অসাধ্য । ভাঙ্গর অন্য দুই প্রকার স্বয়ংরহ বর্ণনা করিয়াছেন । এই দুইটি ব্ৰহম গুপ্তে নাই। একটি এইরূপ। vम फ़िछ cमथून । उभ-१श प्राद्र এবং দুই অংগুল বিস্তৃত একটি মুষির বা নালী করিয়া চক্রট দুই আধারে স্থাপন করিবে। নালীর উপরে তালপাতা মম দিয়া জুড়িবে। পরে তালপাতার কোন স্থানে ছিদ্র করিয়া নালী মধ্যে পারদ ঢালিবে যেন নালীর অধোভাগ পূর্ণ হয়। পুনর্বার এক পাশ্বে বিদ্ধ করিয়া জল প্রবেশ করাইবে যেন অন্ত পাশ্বে জল যায় না। অনন্তু ছিদ্র বদ্ধ করিবে। এখন জলদ্বারা আকৃষ্ট হইয়া চক্র স্বয়ং ভ্রমণ করিতে থাকিবে । পারদ দ্রব পদার্থ বটে, কিন্তু গুরু। এই হেতু উহাকে জল অন্ত পাশ্বে সরাইতে পরিবে না।” - ইহার অর্থ কি এই যে, পারদ অধোভাগেষ্ট থাকিবে } । জল পারদ ঠেলিতে থাকিবে, এবং তাছাতেই চক্র ঘুরিতে থাকিবে ? যদি এই অর্থই ঠিক হয়, তাহা হইলে এখানে কাল্পনিক সদাবহের সুন্দর দৃষ্টান্ত পাইতেছি। ইহার সহিত এই খ্ৰীষ্টীয় বিংশ শতাব্দীর ইংলণ্ডের এক সদাবহ যন্ত্র তুলনা করুন। ৯ম চিত্রে এক কুণ্ডে পারা, এবং কুণ্ডের দক্ষিণ পাশ্বে এক নলে জল আছে। পারদকুণ্ডের উপরে এক চাকা, 47 ভিতরে আর এক চাকা আছে। ঐ দুই চাকাকে বেষ্টন কঙ্গি এক স্বত্র আছে। চক্রের নেমিতে দুই অংগুল গভীর - ৬ষ্ঠ চিত্র। স্বয়ংবহ। ৭ম চিত্র। আবৰ্ত্তচক্র । স্বত্রে কতকগুলি লঘু (যেমন সোলার ) বৰ্ত্তল বন্ধ আছে। বৰ্ত্তলগুলি জলে ভাসিয়া উঠিতে থাকিবে, সঙ্গে সঙ্গে চাকা দুইটিও ঘুরিতে থাকবে । - ভূস্বরাচার্যের তৃতীয় স্বয়ংবহ এইরূপ। ১০ম চিত্র দেখুন। এক লেখক নটা বন্ধ আছে। কুপাদি ৮ম চিত্র। স্বয়ংবহু ? ৯ম চিত্র। স্বয়ংবছ।হইতে জলোত্তোলনের ঘটচক্রবৎ এই চক্রকে দুই আধারে ধারণ করবে। তাম্রাদি ধাতু নিৰ্ম্মিত অঙ্কুশকার এক নল দিয়া কুণ্ডের জল ঘটামুখে পড়িবে। তখন চক্রট :
