পাতা:প্রবাসী (অষ্টম ভাগ).pdf/৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রবাসী । AAAAAASA SAASAASAASAASAASAASAASAASAAAS bro [ ৮ম ভাগ | | হয়। সে দরজা যতদিন না খুলিতেছে, দুই হাজার বছর এই পোলাও শাসনাধীন রাখিয়াছে কিন্তু ভারত ও লক্ষ ভূয়ে শাস্তির আশ্রয়ে বসিয়া থাকিলেও কোন লাভ হইবে সম্বন্ধ স্বতন্ত্র। সমস্ত ইংলও উঠিয়া আসিয়া ভারত শাসন | না। বরং এষ্ট শান্তিরক্ষার মাশুল স্বরূপ বৎসরে ৫০ কোট আরম্ভ করিলেও ভারতের এক কোণে পড়িয়া থাকিৰে | টাকা কর দিতে দিতে দিন দিন নিতান্ত অবসর হইয় পড়িব হইবে। ত্রিশ কোটা প্রজাকে পশুবলে শাসন | এবং অবশেষে একেবারে জড়ত্ব প্রাপ্ত হইব। আমরা এই ক্ষমতা ইংলণ্ডের নাই। তাই একটা সম্মোহন অস্ত্র চাই। পথেই চলিয়া আসিয়াছি। এই অনর্থ হইতে উদ্ধারের এক ইংলণ্ডের হস্তে সেই অস্ত্র আমরা দিয়াছি। এটা আমাদের । মাত্র উপায় কৰ্ম্মের উপাসনা। এই জন্য আমাদিগের সর্ব স্বশক্তির উপর অবিশ্বাস। এ অবিশ্বাস वर्कुठांग्न गाहेर প্রকার মহৎ কার্য্যে প্রবৃত্ত হওয়ায় এবং ইংরাজের তাহাতে না, এ অবিশ্বাস রেজলিউশনে যাইবে না। কেবল কৰ্ম্মবাধা না দেওয়ায় উভয় পক্ষেরই মঙ্গল। কিন্তু ইংরাজ রাজ ক্ষেত্রের পরীক্ষায় এ সম্মোহন বিনষ্ট হইতে পারে। জয়ী মনে করেন কৰ্ম্ম আসিলেই তাহাকে দুৰ্ব্বল হইতে হইবে। সৰ্ব্বদাই আমাদিগের কাণের কাছে বলা হইতেছে তোমা ! তাই কৰ্ম্মের নামে তাহার হৃৎকম্প উপস্থিত হয় এবং অশাস্তি স্বায়ত্ব শাসনের উপযুক্ত নও। অথচ যে সকল কৰ্ম্মের দ্বার অশাস্তি বলিয়া চীৎকার করিতে থাকেন। এই অশান্তি আমাদের ক্ষমতা পরীক্ষিত হইবে তাহার ধারেও আমাদিগকে | নিবারণের ওজুহাতে তিনি দেশের সকল কৰ্ম্মের মস্তকে যাইতে দেওয়া হইবে না। দিলেই তো সৰ্ব্বনাশ ! সম্মোহন লগুড়াঘাত করিতেছেন। আর সম্মোহনমুগ্ধ হতভাগ্য ভাঙ্গিয়া যাইবে যে! স্বতরাং সেরূপ কৰ্ম্ম রাজদ্রোহিতা মাত্র। | "."--l-l.--ു.-ു................... আমরাও তাহাই বুঝিতেছি। রুষ জাপান সন্ধির পর তো আমাদিগকে যে উচ্চ রাজকাৰ্য্যে নিযুক্ত করা হয় না, তাহার জাপানী ছাত্রের রাজবাড়ী আক্রমণ করিয়াছিল। বুয়র কারণ ইহা নয় যে আমরা সে সকল কার্য হাতে পাইলে যুদ্ধের সময় তো ইংরেজ ছাত্রের ঘর বাড়ী ভাঙ্গিয়া কাজ চালাইতে পারিব না বা ক্ষমতার অপব্যবহার করিব, আনন্দোৎসব করিল। কই, তাহাদিগকে দমন করিবার কিন্তু অতি স্বচারুরূপে চালাইতে পারিব বলিয়াই আম জন্ত তো কালাইল সাকুলার, রিজলি সাকুলারের জন্ম হইল দিগকে দেওয়া হয় না। তাহ হইলে আমাদের নিজেদে না? আর ভারতেই কেন ছেলেরা স্কুল ছাড়িয়া একটু উপর অবিশ্বাস চলিয়া যাইবে যে ! এ অবিশ্বাস চলিয়া গেলে রাস্তায় আসিয়াছে বলিয় তাহাদের উপর এত জুলুম ? সব বিদেশী শাসনের মেরুদণ্ডই ভাঙ্গিয় গেল। এই দে সভ্য দেশেই তো ছাত্রের রাজনীতির চর্চা করে, তবে আম- অদ্বোদয় যোগে পুলীশের সাহায্য ছাড়াই আমরা বিরাট দের দেশেই এই বিশেষ ব্যবস্থা কেন ? কারণ ব্রিটিশ রাজের জনসঙ্গ নিয়মিত করিলাম, কর্তারা তাহ ভাল করিয়া স্বীকা কৰ্ম্মভীতি। এত কাল আমরা যে রাজনীতির চর্চা করিয়াছি করিতেছেন না কেন ? স্বীকার করিলে তো তাহারে তাহা কেবল বাদেবীর শ্রাদ্ধ, সুতরাং তাহাতে রাজা ভয় পান ব্যবসাই চলিয়া যায় ? এই যে এত কাল জাতীয় স্বেচ্ছা নাই। কিন্তু ছাত্রদের মধ্য দিয়া রাজনীতিক্ষেত্রে, দুর্ভিক্ষে, সেবকদলের এত কুৎসা রটন করা হইল এমন কি বিলাতের l ‘স্বদেশী’ প্রভৃতিতে কৰ্ম্মের আবির্ভাব দেখিয়া রাজার প্রাণে ভীতির সঞ্চার হইয়াছে। সকল বৈদেশিক শাসনই একটা all the powers of the law to suppress যাদুমন্ত্রবলে পরদেশ শাসন করে। সে যাদুমন্ত্রটা হইতেছে this evil" ইহার ভিতরে বৈদেশিক শাসননীতির একট দেশবাসীদের আপনার নিজ শক্তির উপর অবিশ্বাস—আমরা গৃঢ় চাল নিহিত রহিয়াছে। স্বাবলম্বন মানুষের মনে । আমাদের নিজের দেশ নিজের শাসন করিতে পারি না। স্বশক্তির উপর বিশ্বাস আনয়ন করে এবং এই বিশ্বাস হইতেই ইহাই বিদেশী শাসনকর্তাগণের হস্তের সর্বপ্রধান অস্ত্র। আত্মনির্ভর জন্ম গ্রহণ করে। ইংরাজ চলিয়া গেলে দেশীয় শাসন কিম্বা বিদেশীয় শাসন কেহই কয়েক সহস্র আমাদের কি দশ হইবে আমরা একেবারে নিরুপা হইব। সৈন্তের সাহায্যে পশুবলে স্বীয় প্রজার উপর আধিপত্য আমাদের মনের এই শোচনীয় অবস্থাই ভারতে ব্রিটিশ করিতে পারেন। যদিই বা স্বীকার করা যায় রুসিয়া পশুবলে রাজত্বের মেরুদণ্ড। আত্মনির্ভর লাভ করিলে এই নেকাও Times to of Toso, “It is high time to exert - ২য় সংখ্যা । ] ভাঙ্গিয়া যায়। সুতরাং যে স্বেচ্ছাসেবকদল দেশের বুকে এই স্বাবলম্বন, আত্মবিশ্বাস ও আত্মনির্ভরের ভিত্তি স্থাপন করিতেছে, রাজপুরুষগণ আত্মরক্ষার জন্য যদি তাহার উপর খড়গহস্ত হন তবে আশ্চৰ্য্য হইবার কিছুই নাই। যাহা ইউক ভারতে প্রতিষ্ঠিত ব্রিটিশ শান্তি একটা জাতির, যে জাতিটা একদিন স্বগৌরবে জগতে প্রতিষ্ঠা লাভ করিয়াছিল, তাহার সমস্ত কৰ্ম্মশক্তি হরণ করত: তাহাকে শিশুর দ্যায় অষ্টায় অবস্থায় আনয়ন করিয়া তাহার যে ক্ষতি করিয়াছে, ইংরাজ রাজত্বের প্রকৃত বা কল্পিত কোন উপকারই তাহার প্রতিদান স্বরূপ গৃহীত হইতে পারে না। তবে কথা এই যে পৃথিবী অন্ধশক্তি দ্বারা পরিচালিত নহে, এক জ্ঞানময় ষ্ঠাবান মহান পুরুষ ইহার বিধাতা। তাই কোন অপকারই একপেশে নহে। অপকারে যে কেবল যাহার অপকার করা হয় তাহারই ক্ষতি হয় তাহা নহে, অপকারকারীরও অনিষ্ট হয়। ভারতবাসীকে অস্ত্রহীন কৰ্ম্মহীন অসহায় অবস্থায় আনিয় তাহার উপর কর্তৃত্ব করিতে করিতে ইংরেজও ক্রমে মনুষ্যত্বহীন হইয়া পড়িতেছে, একথা সকলেই এখন স্বীকার করেন। তাই বেশীদিন একদল ইংরাজের এদেশে থাকা কৰ্ত্তার নামঞ্জুর করিয়াছেন। নেভিনসন সাহেব সেদিন এই বলিয়া ভারতবাসীদিগকে দোষ দিয়াছেন যে তোমরা একদল ভদ্রলোককে গুণ্ডায় পরিণত করিয়া Gofoto (apparent gentlemen into “bounders" ) ; অর্থাৎ গুরুমহাশয়ের এমন হাতযশ যে ঘোড়া পিটিয়া গাধা বানাইয়া দিয়াছেন। এ দোষ আমাদের নয়। ইংরাজ আমাদিগকে মানুষ হইতে দিতেছে না, গাধা করিয়া রাথিয়া দিয়াছে এবং গাধার সংসর্গে সেও গাধা হইয়া যাইতেছে। ইঙ্গ প্রকৃতির প্রতিশোধ । ইংলও ভারতবর্ষ হইতে কোটা কোটী টাকা লুট করিয়াছেন, কিন্তু প্রতিদানে তাহার সন্তানগণ পশুত্বপ্রাপ্ত হইতেছে ; ইহাই স্থায়বান fifts“ згаз ; what doth it avail you if you gain the whole world but lose your own soul ? ভারতের বৃটিশ শাস্তি শাথের করাতের ছায় দুদিকই কাটিতেছে। তবে সোজা দিকটাই সাধারণের চোখে পড়ে, এই মাত্র বিভিন্নতা । গবর্ণমেণ্ট ভাল কি মন্দ তাহ বিচার করিব কোন 8 সমসাময়িক ভারত। Ե-> মানদণ্ডের সাহায্যে ? দেশে শাস্তি বিরাজ করিতেছে, মানুষের ধনপ্রাণ নিরাপদ, মানুষ নিৰ্ব্বিঘ্নে আহার বিহার করিতেছে, কেবল ইহাই কি সেই মানদণ্ড ? মনে রাখিতে & man doth not live by bread alone. stats ধনপ্রাণও আমাদের পূৰ্ব্বাপেক্ষ কতটা নিরাপদ তাহাও বিবেচ্য। যদিই বা ধরিলাম নিরাপদ তবুও তো মীমাংসা হইল না। যে সমস্ত ব্যাপারে মানুষ ও পশুতে পার্থক্য নাই তাহা নিরাপদ হইলেই কি হইল ? তাহা তো নয়। যে সমস্ত বৃত্তির বিকাশে মানুষের মনুষ্যত্ব, যে সমস্ত বৃত্তির বলে মানুষ ইতর প্রাণী অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ, সেই সমস্ত বৃত্তির বিকাশ হইতেছে কিনা, এই মাপকাঠির দ্বারাই গবর্ণমেণ্টের ভাল মন্দ বিচার করিতে হইবে। ভারতে ব্রিটিশ শাসন এ বিচারে নির্দোষ সাব্যস্ত হইবে কি ? ভারতে ইংরাজপ্রতিষ্ঠিত শাস্তি ভারতবাসীর মনুষ্যত্ব বিকাশের সাহায্য করিতেছে কি ? এই কথাই কি সত্য নয়, যে সমস্ত কৰ্ম্মে দেহ ও মন বললাভ করে, আত্মা পরিপুষ্ট হয়, জাতীয় জীবনের সেই সমস্ত কৰ্ম্মক্ষেত্রের দ্বার ভারতবাসীর নিকট রুদ্ধ ? কৰ্ম্মক্ষেত্র ছাড়িয়া কল্পনাক্ষেত্রে মানুষ গড়িবে না। বিশ্বমানবের সংস্পর্শ ছাড়া মানবহৃদয়ে বিশ্বজনীন ভাব বিকশিত হইতে পারে না। বর্তমান সময়ে ভারতে যে শাসনপ্রণালী প্রতিষ্ঠিত তাহা ভারতবাসীকে সম্পূর্ণরূপে বিশ্বমানবের সংসর্গবিচুত করিয়া আপনার স্বার্থপরতার ক্ষুদ্র গণ্ডীর ভিতর তাঙ্গকে আবদ্ধ করিয়া রাথিয়াছে; এক কথায় তাহার মনুষ্যত্ব বিকাশের সকল পথই রুদ্ধ করিয়া রাখিয়াছে। যে জাতি কৰ্ম্মক্ষেত্রের সুখ দুঃখ, ভুল ভ্রাস্তি, জয় পরাজয়ের অভিজ্ঞতা দ্বারা শিক্ষিত না হইয়া কেবলমাত্র ইতিহাসের গং মুখস্থ করিয়াই জীবনের সিদ্ধি খুজিতে যায়, তাহার মনুষ্যত্বলাভ কি সুদূরপরাহত নহে? ব্রিটিশরাজ বিশ্বমানবের বিশাল কৰ্ম্মক্ষেত্র হইতে সন্তৰ্পণে ভারতবাসীকে দূরে রাখিয়া তাহার যে অনিষ্ট করিয়াছেন, ইহা অপেক্ষা অধিকতর অনিষ্ট মানুষের পক্ষে আর কিছু হইতে পারে না। মানুষ মানুষ হয় উচ্চতর স্বার্থের কাছে নিম্নতর স্বার্থকে বলি দিয়া, জাতীয় স্বার্থের জন্ত ব্যক্তিগত স্বার্থকে দমন করিয়া এবং কৰ্ম্মক্ষেত্রে বিশ্বমানবের সংস্পর্শে আসিয়া। কিন্তু যেদেশে প্রকৃত স্বদেশগ্ৰীতি প্রকারান্তরে আইনত: দণ্ডনীয় সে দেশে