পাতা:প্রবাসী (অষ্টম ভাগ).pdf/৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২৬ জলাঞ্জলি দিয়া অম্লান বদনে বল যে, এই চক্ষুর (চৰ্ম্মচক্ষুর ) অন্তঃপুরে দর্পণ-প্রতিবিম্বিত চক্ষুর স্তায় একটা চক্ষু কল্পনাচক্ষে দেখিতে পাইতেছ- তাহাতেই বা কি ? কল্পনার কাল্পনিক চক্ষু তো আর জলজ্যান্ত বাস্তবিক চক্ষু নহে। আদালতের বিচারক্ষেত্রে জ্যাস্ত দেবদত্তের পরিবর্তে দেবদত্তের আতপচিত্রকে (ফটোগ্রাফকে ) সাক্ষী মান্ত করাও যা, আর, সত্যাসত্যের বিচারক্ষেত্রে জ্যান্ত চক্ষুর পরিবর্তে কল্পনা-চক্ষুকে সাক্ষী মান্ত করাও তা, দুইই সমান। ২য়। ভাঙনে-ওয়ালা তোমার মতো দোসর একজন খুজিয়া পাওয়া ভার! আমি ব্ৰহ্মার অবতার, তুমি শঙ্করের অবতার। দক্ষ প্রজাপতি এবং অক্ষ প্রজাপতি বা অক্ষি-প্রজাপতি একই । অক্ষ-দক্ষের জন্ত বিশ্বকৰ্ম্মাকে দিয়া যেই আমি একটা শোভন-ঢঙের পুরী নিৰ্ম্মাণ করাইয়া তুলিতেছি, আর আমি তুমি বীরভদ্র লেলিয়৷ দিয়া দিব্য-মনোজ্ঞ পুরাটাকে ভাঙিয়া লণ্ডভণ্ড করিয়া শ্মশানে পরিণত করিতেছ। আমার বিশ্বকৰ্ম্ম হ’চ্চেন কল্পনা, আর, তোমার বীরভদ্র হচ্চে প্রখর যুক্তি। চক্ষু এ না-ও না—সে না—তা’ তো বুঝিলাম! কিন্তু সে ছাই বোঝাতে মনের বোঝা ঘোচে কই ? চক্ষু পদার্থটা তবে যে কি—সেইটিই হ’চ্চে কাজের কথা। তাহার যদি কোনো সদ্ধান তুমি পাইয়া থাক, তবে বাদ-বিতণ্ডা পরিত্যাগ করিয়া তাহাই আমাকে বল”—আমি তাহা কাণ পাতিয়া শুনিতে প্রস্তুত ; আর, তাহা যদি সদ্যুক্তির অনুমোদিত হয়, তবে মাথা পাতিয়া গ্রহণ করিতে প্রস্তুত। ১ম। বলি তবে শোনো -র্শের্ষবারে এই যে একটি কথা তুমি বলিলে—যে, তোমার যেটি প্রকৃত চক্ষু সেটি তোমার এই চক্ষুর অন্তরাকাশে নীড়মগ্ন পক্ষিশাবকের ন্যায়, অথবা বালুমগ্ন সরস্বতী নদীর ন্তায় নিমগ্ন রহিয়াছে, আর তা ছাড়া, সেটি দ্বিতীয়-বৰ্জ্জিত –এ যাহা তুমি বলিলে এটা খুবই ভাল কথা ; আমিও তাহাই বলি ; আমিও বলি এই যে, সেইটুি তোমার প্রকৃত চক্ষুই বটে, আর, তাহা দ্বিতীয় বর্জিতও বটে। কিন্তু তাহা সত্ত্বেও আমি পূৰ্ব্বে বলিয়াছি এবং এখনো বলিতেছি যে, সে যে তোমার দ্বিতীয় বর্জিত প্রকৃত চক্ষু-সে চক্ষুটিকে তুমি তোমার শরীরের অন্তরাকাশের কোনোস্থানেই দেখিতে পাইতে পার’ না প্রবাসী । - . ৮ম ভাগ।

  • ...)

~~..... তাহা তোমার নিকটে একান্ত পক্ষেই অদৃশু। তুমি প্রয়ে শিকা’র পরীক্ষা দিবার সময় বীজগণিত যাহা । করিয়াছিলে তাহা যদি ইহারই মধ্যে উদরন্থ করিয়া বলিয় না থাক, তবে তোমাকে আমি বলিতেছি এই যে, তো এই চক্ষুর অন্তরাকাশস্থিত তোমার সেই দ্বিতীয় বঞ্জি চক্ষুটি এক প্রকার বিলাতি বীজগণিতের x, অথবা যায়৷ একই কথা—দিশী বীজগণিতের য। য কি তা তুমি জন তো ? য হ’চ্চে “যাবত্তাবৎ”-শব্দের “যাবত্তাবৎ” কি ? না যতটা ততটা ; অর্থাৎ তাহ ৷ে কতটা—এ কথা’র উত্তর আপাতত আমার ঘটে যায় । মৌজুদ আছে তাহ শুদ্ধ কেবল এই যে, তাহা যতট-তা nেতটা ; এক কথায়—তাহা যতটা-ততটা। তবেই হইতেছে যে, যাবত্তাবৎ শব্দের গোড়া’র অক্ষর ঐযে য, উহা unknown quantity'রই নামান্তর। “এতাবৎ” শব্দের গোড়া'র অক্ষর হ’চ্চে “এ” ; “এতাবৎ" কিনা এতটা। মনে মনে আমার তো খুবই সাধ যায়– পুরাতন প্রথা অবলম্বন করিা যাবত্তাবৎ শব্দের ঘ, ব এবং ত’কে বীজগণিতের x, y, এবং ৪’ এর স্থলাভিষিক্ত করিতে, তথৈব, এতাবৎ শক্ষে গোড়া’র এ’র সঙ্গে ও এবং ঐ এই আর-দুইটি অক্ষর’কে এক কোটায় নিক্ষেপ করিয়া এ ও এবং ঐ এই তিনটি শি অক্ষরকে বীজগণিতের A, B এবং C'র স্থলাভিষিক্ত করিতে। উপভোগ করিয়াই সস্তুষ্ট না হইয়া, বীজগণিতের গড়ের মাঠ বা ইডনবাগানে x-y-s’এর দখলি গত্তি'র ভিতরে ঘুড়ি চাদর পর দিশ যু-ব-ত’কে ধরিয়া-বাধিয়া প্রবেশ করা, তাহা হইলে য-ব দেখিয়াই তো তুমি প্রথমে যথবু বনি যাইবে, তাহার পরে যখন আবার ত দেখিবে তখন একে: বারেই প বনিয়া যাইবে । অতএব - তাহাতে কাজ নাইইংরাজ-পছন্দ x-y-s’ই ভাল। তুমি জানিতে চাহিতে্যু যে, তোমার এই চক্ষুর অন্তরাকাশে দ্বিতীয় বর্জিত যে একট চক্ষু জাগিতেছে, সে চক্ষুটি পদার্থটা কি। আপাতত তাহাকে x বলিয়া তো ধরিয়া লওয়া যা’ক্‌ ; তাহার পরে, বিরাটু ভবনের বৃহন্নলা যে, লোকটা কে—x'এর numeri : cal value যে কি—তাহার তথ্য নিরূপণ না করিলে গোড়া’র অক্ষ। কিন্তু আমি যদি আমার মনের মুখস্বপ্ন মনশ্চক্ষে । | রাত্রে তোমার ঘুমের ব্যাঘাত হইবে এমন যদি মনে কর । তাহা তো দেখিতেই পাওয়া যাইতেছে। অবতাহ রীতিমত আঁক কসিয়া বাহির করিবার চেষ্টা দাইবিধেয়। অতএব দেখা যাক – এক প্রকার দৃপ্ত প্রদর্শনী• যন্ত্র আছে, আর, সেই যন্ত্রের রপ্রদেশের চৌকাট জুড়িয়া দর্শকের চক্ষের সম্মুখে স্থাপন করিবার জন্য কতকগুলা জোড়া-জোড়া ছবি আছে। ছবির বাঞ্জিলের মধ্য হইতে একজোড়া ছবি লইয়া সেই বিজোড়া যন্ত্রটার বহিদ্বারের চৌকাটের ফ্রেমে বসাইয়া টাের খিড়কি দ্বারের দুরবিন-চোঙের মধ্য দিয়া যদি সেই ছবিযুগের প্রতি দৃষ্টি নিবদ্ধ করা যায়, তাহা হইলে সেই ক্ষুদ্র ছবি-জোড়াই দর্শকের চক্ষের সম্মুখে মস্ত একটা সত্যিকের দৃপ্ত-বেশে সাজিয়া বাহির হয়। বিজোড়া যন্ত্রের অন্তরাকাশে চৌকাটের ফ্রেমে আটকানো হিয়াছে বটে, কিন্তু দর্শক তাহা দেখিতেছেন না মূলেই ; কেবল, যন্ত্রের বহিরাকাশে (অর্থাৎ যন্ত্রের বাহির অঞ্চলের আকাশে) সহসা যে এক অপূৰ্ব্ব দৃশু উড়িয়া আসিয়া জুড়িয়া বসিল, তাহারই প্রতি দর্শকের দৃষ্টি ষোলো আন মাত্র নিবদ্ধ। কাজেই, যন্ত্রের অন্তরাকাশস্থিত অদৃপ্ত ছবি-জোড় দশকের নিকটে এক প্রকার “অবিজ্ঞাত "R&R" (unknown quantity), Motocol w; ot", মন্ত্রর বহিরাকাশস্থিত সুবিস্তৃত দৃশুমান ছবিটি দর্শকের নিকটে একটা “স্থবিজ্ঞাত এতাবৎ” (known quantity), সংক্ষেপে A । এখন, জিজ্ঞাসা করি যে, যন্ত্রের অন্তরাকাশস্থিত সেই বে অদৃশ্ব ছবি-জোড়া যাহাকে বলা হইতেছে x, আর, যন্ত্রের বহিরাকাশস্থিত সেই যে স্ববিস্তৃত দৃপ্তমান ছবি যাহাকে বলা হইতেছে A, এ দুই ছবি দুই না এক ? এক—তাহা আবার বলিতে ? যে ছবি-জোড়া যন্ত্রের অন্তরাকাশে ীেক্ষাটের ফ্রেমে বসানো রহিয়াছে, সেই অদৃশু ই যন্ত্রের বহিরাকাশে সাজিয়া বাহির হইয়াছে দৃশুমান A হইয়া ;– অতএব এটা

  • বিদ্যাপতি শ্রেণীর কৰিদিগের গ্রন্থমধ্যে “মোহিনী মন্ত্র" এই

কনটির প্রয়োগ আনেকানেক স্থলে দেখিতে পাওয়া যায়। “মোহিনী *"প্তপ্রদর্শনী যন্ধ" দুইই শ্বাস বাঙ্গলা ভাষা তাহাতে আর সন্দেহ गिरे। न%७ छ।गाग्न "cभाश्नी प्रश्न:" अल्लहत्व जित्र श्मिाएरु 5जिएउ७ পারে; একেবারেই যে চলিতে পারে না তাহা নহে। চক্ষু পদার্থটা কি ? ১২৭ স্থির যে, x=1। এ তো গেল উপমা। প্রকৃত বক্তব্য যাহা তাহা এই :– তুমি বলিতেছ যে, তোমার এই চক্ষুর (চৰ্ম্ম চক্ষুর ) অন্তরাকাশে তোমার প্রকৃত চকু নিমগ্ন রহিয়াছে, আর, সেই সঙ্গে এটাও বলিতেছ যে, সে যে তোমার প্রকৃত চক্ষু তাহা দ্বৈতবর্জিত। ইহাতে এইরূপ প্রতিপন্ন হইতেছে যে, দৃশু বস্তু সকলের ছবি-বৈচিত্র্য এবং দৃপ্তগ্রাহী চক্ষুর একত্ব দুইই তোমার চৰ্ম্মচক্ষুর অন্তরাকাশ কোনো-নাকোনো আকারে কেন্দ্রীভূত রহিয়াছে। কিন্তু, যাহাই হউক না কেন—অন্তরাকাশের ঐ দুইটি ব্যাপারের কোনটিকেই তুমি চক্ষে দেখিতে পাইতেছ না-অন্তরাকাশস্থিত ছবিবৈচিত্র্যও চক্ষে দেখিতে পাইতেছ না, অন্তরাকাশস্থিত চক্ষুর একত্বও চক্ষে দেখিতে পাইতেছ না। চক্ষে দেখিবার মধ্যে তুমি দেখিতেছ কেবল বহিরাকাশস্থিত রূপ-সকলের বৈচিত্র্য এবং বহিরাকাশস্থিত আলোকের একত্ব। অতএব বীজগণিতের বিধানানুসারে অবঙ্গ একথা আমি বলিতে পারি যে, (১) অন্তরাকাশস্থিত চক্ষুর একত্ব = y (২) অন্তরাকাশস্থিত ছবিবৈচিত্র্য== (৩) অন্তরাকাশের মোট ব্যাপার = x=ys তেমনি আবার (১) বহিরাকাশস্থিত আলোকের একত্ব= B (২) বহিরাকাশস্থিত রূপ-বৈচিত্রা = C (৩) বহিরাকাশের মোট ব্যাপার = A = BC এখন, দৃপ্তপ্রদর্শনী যন্ত্রের দৃপ্তাদৃশু ছবির ভেদ-রাহিত্য পূৰ্ব্বে যেরূপ প্রণালীতে দেখানো হইয়াছিল, ঠিক সেইরূপ প্রণালীতে দেখানে যাইতে পারে যে, z = C, অর্থাৎ অন্তরাকাশস্থিত ছবিবৈচিত্র= বহিরাকাশস্থিত রূপ-বৈচিত্র্য। এইরূপে পাওয়া যাইতেছে :– প্রথম সিদ্ধান্ত । z=C অর্থাৎ অন্তরাকাশস্থিত ছবি-বৈচিত্র্য = বহিরাকাশস্থিত রূপ-বৈচিত্র্য।

  • দ্বিতীয় সিদ্ধান্ত । চক্ষু কি ? না দর্শনেন্দ্রিয়। অর্থাৎ দেখন বলিয়া যে একপ্রকার ক্রিয়া আছে, সেই ক্রিয়ার করণ বা ইঞ্জিয়।