পাতা:প্রবাসী (অষ্টম ভাগ).pdf/৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>88 পারিলাম না। শেওলা রসে দেওয়া যায় না, গুড়ের উপরে দিলে গুড় ক্রমশঃ পরিষ্কৃত হয়। ইক্ষু মাড়াই করিয়া রস বাহির করার পর হইতে centrifugal হইতে চিনি বাহির হওয়া পৰ্য্যন্ত কোন স্থানে শেওলা দিতে হইবে তাহা বুঝিতে পারিলাম না। আশা করি শেওলা দ্বারা কি প্রকারে ইক্ষুরস পরিষ্কৃত হইতে পারে কেদার বাবু তাহা বিস্তৃত ভাবে লিখিবেন। আমরা যতদূর অবগত আছি তাহাতে বলিতে পারি যে ইক্ষুরস হইতে একেবারে চিনি তৈয়ার করিলে যদি উপযুক্ত দক্ষ ব্যক্তির হস্তে রস পরিষ্কার করার এবং চিনি প্রস্তুত করার ভার থাকে তবে তাহা স্বতঃই সাদা হইবে, কোন জিনিষ দিয়া পরিষ্কার করার বিশেষ প্রয়োজন হয় না । কেদার নাথ বাবু লিপিয়াছেন যে “গত পৌষ মাসে আমরা উপরোক্ত প্রণালীতে experiment করিয়া বেশ কৃতকাৰ্য্য হইয়াছি। অবশু আমাদের আবশ্যকীয় যন্ত্রাদির machine অভাবে সাধারণ নিয়মে বলদের সাহায্যে ইক্ষু মাড়াই করিতে । হইয়াছিল এবং কড়া পাকে রস জাল দিতে হইয়াছিল।” পাঠক দেখিবেন যে তিনি “উপরি উক্ত” প্রণালীতে কিরূপ experiment করিয়াছিলেন। উপরি উক্ত প্রণালী দ্বারা श्रांभंब्रां- - ১। নিজ আয়ত্ত্বাধীনে উপযুক্ত পরিমাণ জমি রাখিয়া আধুনিক বৈজ্ঞানিক উপায়ে আবাদ করা। ২। ষ্টীম পরিচালিত কলে মাড়াই কাৰ্য্য সম্পন্ন করা। ৩। ষ্ট্রামের অঁাচে vacuum এ রস পাক করা । ৪ । শেওলা দ্বারা রিফাইন করা।– বুঝিয়াছি। কিন্তু এই চারি প্রকার প্রণালীর মধ্যে তিনি যন্ত্রাদির সাহায্য গ্রহণ করেন নাই তাহা তাহার কথাতেই জানা যাইতেছে । অতএব তিনি ২নং ও ৩নং উপায় অবলম্বন করিতে পারেন নাই, মাত্র ১নং ও ৪নং প্রণালীতে experiment করিয়া থাকিবেন বলিয়া বোধ হয়। এই সামান্ত অভিজ্ঞতাতেই যে তিনি একটা ফ্যাক্টরির লাভালাভের হিসাব বাহির করিয়াছিলেন ইহাই আশ্চর্য্যের বিষয়। লাভালাভ :–১০০/০ মণ ইক্ষুতে ৬০ মণ চিনি তৈয়ার হইবে এই হিসাবে তিনি আয় ব্যয়ের হিসাব দিয়াছেন। এখন প্রবাসী। ৮ম ভাগ। দেখা যাউক যে তিনি আয়ের যে ফর্দ দিয়াছেন তা কতদূর ঠিক। তাহার মতে প্রতি বিঘায় ৫% মন হিসাবে চিনি উৎপন্ন হইবে। যদি ৬০ মন চিনি তৈা করিতে ১০০/০ মন ইক্ষুর প্রয়োজন হয় তবে বিধা প্রতি ৫০% মন চিনি করিতে ৮০ ০/০ মন ইক্ষুর প্রয়োজন হইবে। কিন্তু এক বিঘায় এত অধিক ইক্ষু হওয়া সম্ভব । পর নয়। যে জাভার চিনিতে আমাদের দেশ ছা ! ফেলিয়াছে সেই জাভাতেই বিশেষ যত্ন ও আধুনিক বৈজ্ঞানিক উপায়ে চাষ করিয়াও একার প্রতি ৩৯ টনের অধিক ইক্ষু উৎপন্ন হয় নাই। "Judging by the results, the method adopted must - be of the most persect kind. In 1905 the avera yield of cane per acre, obtained from the whole island. was 871 18 lbs. or nearly 39 tons. (The Louisi - Planter and Sugar Manufacturer, Sept. off PP. 171). মহীশূরে (Mysore) experiment of its & টনের অধিক একার প্রতি পাওয়া যায় নাই (With Capital of 16th December 1906–Indian Sugar Manufacture) যদি একার প্রতি ৩৯ টন বা ২৮ টন উৎপন্ন হয় জ{ বিঘা প্রতি প্রায় ৩৫০/০ বা ২৫০/০ মন মাত্র ইক্ষু হঞ্জ সম্ভব। যদি বিঘা প্রতি ৮০০/০ মন না হইয়া মাত্র ২৫/ ७००/० भन हेख्न श्य उद्द ०००/० भएन ७|० भन श्णािएं বিঘা প্রতি প্রায় ১৬% হইতে ১৯% মন মাত্র চিনি হইবে । তাহা হইলে যে হিসাব দিয়াছেন তদনুযায়ী ৭২ টাকা । দরে চিনি বিক্রয় করিলে লোকসান পড়িবে। কেদার নাথু বাবু লিথিয়াছেন যে এ বিষয়ে কেহ কো বিশেষ তথ্য জানিতে ইচ্ছা করিলে তাহাকে লিখিলে তিনি। তাহা জানাইবেন। এই বাক্যে আশান্বিত হইয়া নির কয়েকটা প্রশ্ন করিলাম। আশা করি তিনি তৎ সমস্তে । উত্তর দানে বাধিত করিবেন। ১ । তিনি যে experiment করিয়াছিলেন | Mr. Hadiর প্রদর্শিত নিয়মে বা অন্য কোন নিয়মে ? ' ২ । তিনি নিজের তত্ত্বাবধানে উন্নত বৈজ্ঞানিক প্রণালীতে আবাদ করিয়াছিলেন কি না ? ৩। বিঘা প্রতি ৮০ ০/০ মন ইক্ষু উৎপন্ন হইবে हेश তিনি কি উপায়ে জ্ঞাত হইয়াছেন ? ৩য়ু সংখ্যা । ] । বা প্রতি আবাদী খরচা ৭৫ টাকা ও চিনি প্রভূত করিবার খরচ ১০০ টাকা ধরিয়াছেন। তাহা কি উপায়ে অবগত হইয়াছেন ? আমরা পরিশেষে পুনরায় বলিতেছি যে নিজের আয়ত্তাধীনে বৈজ্ঞানিক উপায়ে আবাদ করিয়া নূতন যন্ত্রাদির সাহায্যে ইক্ষু হইতে একেবারে চিনি প্রস্তুত করিলে তাহাতে লোকসান হইবে না। তবে কেদার নাথ বাবু যেরূপ ছোট কল করিয়া অল্প মূলধন লাগাইয়া বেশী লাভ দেখাইয়াছেন তাহাই অসম্ভব জানাইবার জন্য এই প্রবন্ধের অবতারণা ढ़ा श्श । শ্ৰীকালিপদ দাস । কোটচাদপুর। দেবদূত । তৃতীয় গর্ভাঙ্ক । স্থান—নৈনিতাল । কাল— প্রভাত । ( অরবিন্দ একাকী । ) অর। উজ্জল, মধুর, স্নিগ্ধ, স্বচ্ছ, এই অমল উষায় অতুল সৌন্দৰ্য্যময়ী প্রকৃতি হেথায়! পরিপূর্ণতার সনে তারুণ্যের হেন সন্মিলন চির-অভিনব। স্নিগ্ধ রবির কিরণ শিশিরের হার-পরা এ ধরারে করি আলিঙ্গন, মরি—তা’রে বিবাহের বধুর মতন সাজায়েছে! ধীরে ধীরে, তরুশাথে তুলিয়া স্পন্দন, মোর দেহে আসি মৃঢ়, শীতল পবন পরশিছে –অদৃশু সে দিগধুর অঞ্চলের মত প্রাণোন্মাদী। চতুর্দিকে জাগে সমুন্নত, স্তরে স্তরে তরঙ্গিত, স্বশ্বামল, যত সংখ্যাতীত . শৈল-শৃঙ্গগুলি। তারি মাঝারে বিস্তৃত সুগভীর হ্রদ খানি–বিমল, নিবিড়, স্বচ্ছ, স্যাম, নিটোল লাবণ্যভরা !—নয়নাভিরাম যেন কোন সুর-বালা থেলিতে খেলিতে শ্রান্তিভরে এলায়ে পড়েছে হেথা বিশ্রামের তরে ; নিৰ্ব্বাক সন্ত্রমে তাই, সারি সারি বিরি’ তারে—মরি, দাড়াইয়া মহাকায় অগণ্য প্রহরী ! (? দেবদূত । >8Q লতিকা-বেষ্টনে বৃক্ষ-পত্র-অন্তরালে গুপ্ত রহি’, ছায়ায় ছায়ায় বেগে চলিয়াছে বহি’, “ঝর-ঝর-ছল-কল”-স্বরে গাহি ত্রিদিব-রাগিণী, শত শত, সুনিৰ্ম্মল গিরি-নিঝরিণী— মর্ত্য-জনে সঞ্জীবনী সুধা-ধারা করাইতে পান ! এ স্থান যেন বা কোন নন্দন-উস্তান অমর বৃন্দের হেথা। সুধা-গন্ধি সমীর-হিল্লোলে, উচ্ছসিত নিৰ্বরের ছল-কলা-রোলে, হ্রদ-সলিলের মৃদ্ধ উল্লাস-কম্পনে অনিবার, মৰ্ম্মরিত বনানীর—তরু-লতিকার প্রত্যেক স্পন্দনে,—নাহি জানি কেন, করে অন্তমনা আৰ্ত্তজনে ! যেন কোন সুখের বেদনা জেগে ওঠে মন-মাঝে, কর্ণে যেন বেজে ওঠে কোন অস্পষ্ট, সুদূর-শ্রত, বিশ্বত, মোহন অতীতের সঙ্গীত-মূর্ছনা! হেথা প্রকৃতি-সুন্দরী আপন সৌন্দর্য্য দেখি যেনরে শিহরি’ উঠিতেছে ক্ষণে ক্ষণে ! হেরি’ এবে মোহিনী প্রকৃতি স্বধু, জাগে মনে—কোন অজানিত স্থতি অনির্দিষ্ট অতীতের শুধু যেন বেদনায় হিয়া কি এক বিরহ ভরে ওঠে গো কঁপিয়া নিশি দিন! যবে ধীরে স্পর্শে তনু মন্থর, অলস সমীর-হিল্লোল, যেন হারাণ পরশ কা’র করি অনুভব—অপূৰ্ব্ব বিরহে কেঁপে উঠি ! নিভৃত কানন মাঝে হেরি যবে—দুটি নিৰ্ম্মল কুসুম ফুটে আছে-গন্ধে করিয়া বিহ্বল জন-শূন্ত, সে নিবিড়, স্তন্ধ বন-স্থল,— তখন সে পুষ্প হেরি, লভিয়া সে স্বমধুর বাস জানিনা কিসের তরে ওঠে দীর্ঘশ্বাস এ অন্তর হতে ! যবে অজ্ঞাত কুলায় হ’তে পিক অকুণ্ঠ আবেগে, মেন, স্বপ্ত দশ-দিক কাপাইয়া, সুমধুর সঙ্গীত-বস্কারে ওঠে গাহি ; –সে স্বর-তরঙ্গ মাঝে ধীরে অবগাহি প্রাণ মোর কেঁপে’ ওঠে, রোমাঞ্চিত হয় তনু মোর ! নেহারিলে প্রকৃতির রূপ মনোহর ; শুনিলে তাহার গান বিহঙ্গ ও তটিনীর স্বরে ; হেরিলে তাহার নৃত্য তরু-পত্র’ পরে, তরঙ্গিনী-মাঝে, হ্রদ-সমুদ্রের দোলন-কম্পনে ; শুনিলে তাহার দৃপ্ত, প্রচণ্ড গর্জনে— বজ-রবে, মেঘ-মন্দ্রে, সাগরের স্বনে মগস্তীর ; ঙ্গেরিলে ভ্ৰকুটি তা’র উদাম, অধীর জলদ-সংঘর্ষে ক্ষুব্ধ দামিনীর চকিত চমকে ; হেরিলে তাহার প্রেম জোছনা-আলোকে, হিল্লেলিত, মুহামল শস্তক্ষেত্রে, নীরদ বর্ষণে ;