পাতা:প্রবাসী (ঊনচত্বারিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

,প্রবাসী Yê8W سياسي" BBB BD BBBB BBBBB BBBB BB BBBS BBB BBB DD BBB BB S BB BBBBS গৃহস্থের শিশুপুত্রটি ভাঙা কাঠি হাতে নিয়ে, তার করেছে, চেয়ে তোমরা যাকে বলে এস্কেপিজম, আমার সেই কবিত্বই ভালো। দেখলুম দূরে বসে ব্যথিত চিত্তে, মহাসাম্রাজ্যশক্তির রাষ্ট্রমন্ত্রীরা নিক্রিয় ঔদাসীন্যের সঙ্গে দেখতে লাগল জাপানের করাল দংষ্ট্রাপংক্তির দ্বারা চীনকে খাবলে থাবলে খাওয়া, অবশেষে সেই জাপানের হাতে এমন কুশ্রী অপমান বার-বার স্বীকার করল যা তার প্রাচ্যসাম্রাজ্যের সিংহাসনচ্ছায়ায় কখনো ঘটে নি। দেখলুম ঐ স্পধিত সাম্রাজ্যশক্তি নিৰ্বিকার চিত্তে এবিসনিয়াকে ইটালির ই-করা মুখের গহবরে তলিয়ে যেতে দেখল, মৈত্রীর নামে সাহায্য করল জমনির বুটের তলায় গুড়িয়ে ফেলতে চেকোস্লোভিয়াকে, দেখলুম ননইন্টরভেনশনের কুটিল প্রণালীতে স্পেনের রিপাবলিককে দেউলে ক’রে দিতে, দেখলুম মুনিক প্যাক্টে নতশিরে হিটলরের কাছে একটা অর্থহীন সই সংগ্ৰহ ক’রে অপরিমিত আনন্দ প্রকাশ করতে। নিজের সম্মান খুইয়ে এবং ইমান রক্ষা করতে উপেক্ষা করে মুনফগ তো কিছুই হোলে না— পদে পদে শক্রর হস্তকে বলিষ্ঠ ক’রে তুলে আজ নামতে হোলে! দারুণ যুদ্ধে। এই যুদ্ধে ইংলণ্ড ফ্রান্স জয়ী হোক একান্ত মনে এই কামনা করি । কেননা মানব-ইতিহাসে ফ্যাসিজমের নাৎসিজমের কলঙ্কপ্রলেপ আর সহ হয় না। কিন্তু সবচেয়ে বেদন পাই চীনের জন্তে, কেন না সাম্রাজ্যিকদের অফুরন্ত অর্থ আছে, সামর্থ্য আছে, আর সঙ্গয়শূন্ত চীন লড়ছে প্রায় শূন্ত হাতে, কেবল তার নিভীক বীর্যে ভর করে । কিন্তু ভেবে দেখে, ঐতিহাসিক বিপ্লবে কবির আলুটিমেটম্ আমি ইতিপূর্বেই দিয়ে দিয়েছি—সদ্য তার সাড়া পাওয়া যাবে না –তার মেয়াদের শেষ স্বার্থ যত পূর্ণ হয় লোভ ক্ষুধানল তত তার বেড়ে ওঠে,-বিশ্বধরাতল আপনার খাদ্য বলি না করি বিচার জঠরে পুরিতে চায় বীভৎস আহার বীভৎস ক্ষুধারে করে নির্দয় নিলাজ তখন গর্জিয়া নামে রুদ্র, তব বাজ । কবি একদা বলেছে, ওরে ভাই, কার নিন্দা করে। তুমি, মাথা করো নত— এ আমার, এ তোমার পাপ, বিধাতার বক্ষে এই তাপ বহু যুগ হ’তে জমি বায়ুকোণে আজিকে ঘনায়, ভীরুর ভীরুতাপুঞ্জ, প্রবলের উদ্ধত অন্যায়, লোভীর নিষ্ঠর লোভ, বঞ্চিতের নিত্য চিত্তক্ষোভ, জাতি অভিমান, মানবের অধিষ্ঠাত্রী দেবতার বহু অসম্মান, বিধাতার বক্ষ আজি বিদারিয়া ঝটিকার দীর্ঘশ্বাসে জলে স্থলে বেড়ায় ফিরিয়া । আমার যা বলবার আমি শেষ ক’রে ব’লে দিয়েছি । এরা বলে মাটিং করতে। মাটিঙের কতটুকু পরিধি, কতটুকু প্রাণ, কতটুকু কণ্ঠস্বর ? কবি কি খবরের কাগজের প্রতীক। বলাকা অার একবার পড়ে দেখে, আমার এই কবিতা হয়তো ভুলে গেছ । যদি না ভুলতে তাহলে বলতে আমি শেষবারের মতো যা বলেছি তাতে জল মিশিয়ে নূতন ক’রে পরিবেষণ করা সাহিত্যিক ছনীতি। ইতি ২•া৯৩৯ ।