পাতা:প্রবাসী (ঊনচত্বারিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* f : কীৰ্ত্তিক বিবিধ প্রসঙ্গ—পূজার বাজারে বাঙালীর ক্রেতব্য কাপড় 3. بر به ته f Y てる Se۹ সহিত কংগ্রেসের কোন মত, কোন অনুষ্ঠিত কৰ্ম্ম বা কোন ংকল্পের বিরোধ নাই। কিন্তু একটি বিষয়ে মহাত্মাজী কিছু বলেন নাই । তাহা হিন্দুদের ন্যায্য স্বার্থ সম্বন্ধে । কংগ্রেস ব্রিটিশ গবন্মেণ্টের সাম্প্রদায়িক সিদ্ধান্ত কাৰ্য্যতঃ গ্রহণ করায় হিন্দুদের শুধু যে স্বার্থে আঘাত পড়িয়াছে তাহা নহে, তাহাদের রাষ্ট্রীয় অধিকার খৰ্ব্ব হওয়ায় ও সরকারী নানা চাকরীতে তাহাদের দাবী কৃত্রিম ও অন্যায় উপায়ে সীমাবদ্ধ হওয়ায় তাহারা তাহাদের যোগ্যতা, শক্তি ও আকাঙ্ক্ষার অনুরূপ দেশ-সেবা করিতে পারিতেছে না। এইরূপ এবং ইহার মতন অন্তান্ত কারণে, কংগ্রেসের সকল মতকে সমুদয় ভারতীয়ের মত বলিয়া স্বীকার করা योंग्नि नों | পূজার বাজারে বাঙালীর ক্রেতব্য কাপড় বঙ্কিমচন্দ্রের ‘লোকরহস্য’ পুস্তকে “কোন ‘স্পেশিয়ালে’র পত্র” নামক একটি রচনা আছে। ইতা ১২৮২ সালের কাৰ্বিকের "বঙ্গদর্শনে’ প্রথম বাহির হয় । ইংলণ্ডের যুবরাজের ভারত-ভ্রমণ উপলক্ষ্যে এটি লিখিত হইয়াছিল। এই রচনাটির গোড়ায় লিথিয়াছেন :– “যুবরাজের সঙ্গে যে সকল স্পেশিয়াল’ আসিয়াছিলেন, র্তাহাদিগের মধ্যে একজন কোন বিলাতীয় সম্বাদপত্রে নিম্নলিখিত পত্রখানি লিখিয়াছিলেন, আমরা অম্বুবাদ করিয়া প্রকাশ করিতেছি ।” এই কল্পিত পত্রের কল্পিত লেখক এক স্থানে বলিতেছে : — দেখিলাম, অধিকাংশ বাঙ্গালি মঞ্চেস্তরের তত্ত্বপ্রস্থত বস্ত্র পরিধান করে । অতএব স্পষ্টই সিদ্ধাস্ত হইতেছে যে, ভারতবর্ষ মাঞ্চেপ্পরের সংস্রবে আসিবার পূৰ্ব্বে, বঙ্গদেশের লোক উলঙ্গ থাকিতে । এক্ষণে মাঞ্চেস্টরের অনুকম্পায় তাহারা বস্ত্র পরিয়া বাচিতেছে । ইহার সম্প্রতি মাত্র বস্ত্র পরিতে আরম্ভ করিয়াছে, কি প্রকারে বস্ত্র পরিধান করিতে হয়, তাহা এখনও ঠিক্‌ করিয়া উঠিতে পারে নাই । কেহ কেহ আমাদিগের মত পেণ্টলন পরে, কেহ কেহ তুর্কদিগের মত পায়জামা পরে, এবং কেহ কেহ কাহাব অমুকরণ করিবে, তাহার কিছুই স্থির করিতে ন পারিয়া, বস্ত্রগুলি কেবল কোমরে জড়াইয়া রাখে। অতএয দেখ, ব্রিটিশ রাজ্য বেঙ্গলদেশে একশত বৎসর বুড়া বঙ্কিমচন্দ্র হইয়াছে মাত্র, ইতিমধ্যেই অসভ্য উলঙ্গ জাতিকে বস্ত্র পরিধান করিতে শিখাইয়াছে । সুতরাং ইংলণ্ডের যে কি অসীম মহিমা এবং তদ্বারা ভারতবর্ষের যে কি পরিমাণে ধন এবং ঐশ্বৰ্য্য বৃদ্ধি হইতেছে, তাহা বলিয়। উঠ যায় না । তাহা ইংরেজেই জানে । বাঙ্গালিতে বুঝিতে পারে, এত বুদ্ধি তাহাদিগের থাকা সম্ভয নহে । এক জন ইংরেজ “স্পেশিয়াল” অর্থাৎ বিশেষ-সংবাদদাত যাহা বিলাতী কোন কাগজে লিখিয়াছিল বলিয়া কল্পনা করা হইয়াছিল, এখন বঙ্কিমচন্দ্র জীবিত থাকিলে কল্পনা করিয়া ব্যঙ্গচ্ছলে সেইরূপ কথা জাপানী, বোম্বাইয়া ও আহমদাবাদী বিশেষ সংবাদদাতার পত্রে সন্নিবিষ্ট করিতে পারিতেন । কারণ, এখনও বাঙালী বহুকোটি টাকার বিদেশী ও বি-প্রদেশী কাপড় ক্রয় করে এবং “তদ্বারা [ বঙ্গের ] যে কি পরিমাণে ধন এবং ঐশ্বৰ্য্য বৃদ্ধি হইতেছে, তাহ বলিয়া উঠা যায় না” । বঙ্গের লোকদের যত কাপড় আবশ্যক হয়, বাঙ্গালী এখনও তত কাপড় হাতের তাতে ও মিলে প্রস্তুত করিতে পারে না, অল্প অংশ মাত্র করে । বাকী কাপড় বিদেশ ও ভিন্ন প্রদেশ হইতে আসে। বাঙালীদের বুদ্ধি অত্যন্ত বেশী, এই জন্য বঙ্গে উৎপন্ন খদ্দর, বঙ্গে উৎপন্ন হাতের তাতের কাপড় এবং বাঙালীদের মিলে উৎপন্ন কাপড় পাওয়া গেলেও, অনেকে অনেক স্থলে তাহ না কিনিয়া বিদেশী ও বি-প্রদেশী জিনিষ কিনিয়া থাকেন । মহাত্মা গান্ধী বলিয়াছেন, “আমি যে-গ্রামে থাকি, তথাকার উৎপন্ন জিনিষ আমার স্বদেশী ।” ভারতবর্ষের অন্যত্র প্রস্তুত জিনিষ তাহার স্বদেশী নহে, এরূপ কথা তিনি বলেন নাই । তিনি যাহা বলিয়াছেন, তাহার অর্থ এই যে, স্বদেশী জিনিষ কিনিতে হইলে ( এবং স্বদেশী ঞ্জিনিষ কেন ও ব্যবহার করা যে উচিত, তাহণ নিঃসন্দেহ ) প্রথমেই সন্ধান লইয়া কিনিতে হইবে নিজের গ্রামের বা শহরের জিনিষ, আবশ্যক দ্রব্য তথায় উৎপন্ন না হইলে নিজের জেলার জিনিষ, সেখানে না মিলিলে নিজের প্রদেশের, তাহা না মিলিলে নিজের দেশের যে-কোন জায়গার জিনিষ । পূজা উপলক্ষ্যে লক্ষ লক্ষ লোক কাপড় কিনিবেন। র্তাহারা অভিরুচি ও সামর্থ্য অনুসারে বঙ্গে উৎপন্ন থম্বর,