পাতা:প্রবাসী (ঊনচত্বারিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাৰ্ত্তিক 臺 সেগুলিকে আবার বাংলা প্রদেশের অন্তভুক্ত করিয়া দিতে হইবে। তাহার পূর্বেও ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের সম্রাটের ঘোষণা অনুসারে এবং সাইমন কমিশনের রিপোর্ট অনুসারে সীমা-কমিশ্যন ( “বাউণ্ডারি কমিশ্যন” ) বসাইয়া এইরূপ কাজ করিবার আশা দেওয়া হইয়াছিল। কিন্তু বাংলাভাষী অঞ্চলগুলিকে বঙ্গের সঙ্গে আবার জুড়িয়া দিলে বিহারের আয় কমিয়া যাইবে এবং অনেক বাঙালীর উপর প্রভুত্ব করিবার স্বখ হইতে বিহারীরা বঞ্চিত হইবে । এই জন্য বিহারী কংগ্রেসগবন্মেটি বাংলাভাষী অঞ্চলগুলিতে শিক্ষার ব্যবস্থায় বাংলার পরিবর্তে হিন্দী চালাইয়া প্রমাণ করিবার আয়োজন করিতেছেন যে, বাস্তবিক বাংলাভাষী অঞ্চল বলিয়া অভিহিত স্থানগুলিতে বাংলা বেশী চলিত নয় । মানভূমের কুড়মির যে বাঙালী নয় এবং তাহাদের মাতৃভাষা বাংলা নয়, ইহা ও তাতাদের কতকগুলি লোকদের দ্বারা বলাইবার চেষ্ট করা হইতেছে । ১৯৪১ সালের সেন্সান্সে বিহার প্রদেশের বাঙালীদের সংখ্যা কম করিয়া দেখাইবার চেষ্টাও যে হইবে, এই আশঙ্কারও কারণ আছে । এই সকল অপচেষ্টা সফল হইলে ১৯৪১ সালের সেন্সাসের রিপোর্টে বিহার প্রদেশে বাঙালীর সংখ্যা পূৰ্ব্ববৰ্ত্তী সেন্সাস অপেক্ষ কম দেখা যাইবে । এই সব অপচেষ্টা ব্যর্থ করা উচিত। শ্ৰীযুক্ত প্রফুল্লরঞ্জন দাস লিখিয়াছেন, মানভূমে নিরক্ষর লোকদের মধ্যে, বিশেষতঃ কুড়মিদের মধ্যে, বাংলা পড়া ও লেখার বিস্তার করিবার নিমিত্ত একটি কমৗটি গঠিত হইয়াছে। এই কর্মীটি মনে করেন মাসিক এক হাজার টাকা ব্যয় করিতে পারিলে তাহাদের কাজ সুসম্পন্ন হইবে । দাস মহাশয় স্বয়ং মাসিক দুই শত টাকা দিবেন। বাকী টাকা তুলিবার চেষ্টা তিনি করিতেছেন । বঙ্গের বাংলাভাষাতুরাগী ব্যক্তিদিগের সাহায্য কমৗটি আশা করেন এবং সাদরে গ্রহণ করিবেন । মানভূমআদিতে বাংলায় সাক্ষরত বিস্তার চেষ্টা বিহার প্রদেশের অন্তভুক্ত বাংলাভাষী অঞ্চলসমূহে বাংলায় সাক্ষরত বিস্তারের অন্য চেষ্টাও হইতেছে।

@

বিবিধ প্রসঙ্গ—মালভূমআদিতে বাংলায় সাক্ষরত বিস্তার চেষ্টা రి যাহারা এই চেষ্টা করিতেছেন, তাহাদের সহিত শ্ৰীযুক্ত প্রফুল্লরঞ্জন দাস মহাশয়ের কর্মীটির যোগ আছে কিনা জানি না। হয়ত আছে । উভয়ের মধ্যে যোগ না থাকিলে অবিলম্বে যোগ স্থাপিত হওয়া বাঞ্ছনীয়। এই চেষ্টা র্যাহারা করিতেছেন, তাহারা আমাদিগকে নিম্নলিখিত বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশ করিতে অনুরোধ করিয়াছেন । পূজার বন্ধে গ্রামে গ্রামে গিয়া বঙ্গভাষার প্রচারের জন্য ও নিরক্ষর জেলাবাসাদিগকে বঙ্গভাষায় শিক্ষা দানের ব্যবস্থার জন্য আমরা প্রত্যেক বাঙালী ছাত্রকে আমাদের বিনীত অনুরোধ জানাইতেছি । যে-সমস্ত ছাত্র অস্তত: কুড়ি জন নিরক্ষরকে বাংল। প্রথম ভাগ শেষ করাইতে পারবেন, তাহাদের এক-একটি রৌপ্যপদক দেওয়া হইবে । ২০টি ছাত্রের প্রথম ভাগ শেষ হইয়াছে তাহার প্রমাণ জন্য স্থানীয় বিদ্যালয়ের শিক্ষক বা বিশিষ্ট্র ব্যক্তির সাটিফিকেট আনিতে হইবে । ঐঅন্নদাকুমার চক্রবর্তী ( সম্পাদক, "সংগঠন", পুরু লয়। ) শ্ৰমুনীল কুমার মল্লক ( হাজারবাগ ) ক্রমণীন্দ্রচন্দ্র সমাদার ( প্রভাতা-সংঘের পক্ষে ) অন্নদাবাবু কয়েক দিন পূৰ্ব্বে কলিকাতায় আসিয়াছিলেন। তিনি বলিলেন দুই শত বাঙালী ছাত্র পূজার ছুটিতে গ্রামে গ্রামে নিরক্ষর লোকদিগকে বাংলা শিখাইয়া বেড়াইবে প্রতিজ্ঞ করিয়াছে । ইহা অবগত হইয়া বিশেষ উৎসাহ বোধ করিয়াছি । ছাত্রের যথেষ্টসংখ্যক বর্ণপরিচয়ের পুস্তক পাইলে এক লক্ষ শিক্ষার্থীকে তাহা দিতে পারিবে । প্রকাশকদিগের নিকট হইতে পুস্তক সংগ্ৰহ করা অন্নদাবাধুর কলিকাতা আসিবার অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল । বিহার প্রদেশের অন্তর্গত বাংলাভাষী অঞ্চলগুলিতে যাহাদের মাতৃভাষা বাংলা, তাহাদের মধ্যে যে অধিকাংশ লোক বাংলা-লিখনপঠনক্ষম নহে, তাহার জন্য বাঙালীর স্বয়ং কি পরিমাণে দায়ী, তাহ মানভূমের “সংগঠন” কাগজে পাটনার শ্রমণীন্দ্রচন্দ্র সমাদার লিখিয়াছেন । র্তাহার লেখার কিয়দংশ উদ্ধৃত করিতেছি। আজকাল অনেকেরই মুখে শোনা যায়, “ও, বেহারে বাংলা उांमाग्न ८६ फूबदश ।” ७ फूद्रवञ्चांत्र खछ ऊँींबा प्रांद्रेौ करबन