পাতা:প্রবাসী (ঊনচত্বারিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

: ! | কাৰ্ত্তিক বলিতেছেন যে, কলিযুগে তিনি বুদ্ধরূপে -প্রকট হইবেন । সুদাম স্বন্দরানন্দ নামে জন্মগ্রহণ করিবেন ও র্তাহার নির্য্যাণ প্রাপ্তির পর অচ্যুতানন্দ নামে পুনরায় জন্মিবেন। মুন্দরানন্দ ব্রজলীলায় দ্বাদশ গোপালের অন্যতম স্থদাম সখা ছিলেন ( গৌরগণেশোদেশ দীপিকা, ১২৭ শ্লোক ) । তিনি ঐনিত্যানন্দের প্রধান পার্ষদ ছিলেন (চৈতন্যভাগবত অস্ত্য ৬ষ্ঠ ) । শ্ৰীকৃষ্ণ বলিলেন প্রভুঞ্জর আঞ্জা হেলা যাঅ হে। সুদাম তুঃ আগু ভেট যাই কলিযুগে পুণ । বডদ রূপরে আস্তে হোইৰু প্রকাশ সিন্দুরানন্দ যে নাম তুম্ভর প্রকট । অtঞ্জ কল পুণ যাই নদিয়া দ্বীপরে চৈতষ্ঠ রূপে প্রকাশ হোই যে থরে । { ভেট র সাক্ষাৎ ; থরে একবার ] শ্রীকৃষ্ণ কেন যে জগন্নাথ-বুদ্ধ রূপে আবিভূত হইয়াছিলেন, সে-কথা আগেই বলা হইয়াছে। একাদশ অধ্যায়ে ঐকৃষ্ণ জানাইতেছেন, কলিযুগে যউদ্ধ রূপে প্রকাশিৰু পুণি ॥ কলিযুগে বউদ্ধ রূপে লিঞ্জরীপ গোপ্য। এধু যে সকল মুনি মানে দেলে শাপ ৷ { এ{= এই প্রকার ! চৈতন্যভাগবতকার ঈশ্বর দাসের সঠিক পরিচয় পাওয়া যায় নাই । তাহার রচিত ভাগবত ও নল-রামচরিত দুই খানিই দুষ্প্রাপ্য ও কোন গ্রন্থেই তিনি আত্মপরিচয় দেন নাই। ভাগবতটি পয়ষটি অধ্যায়ে সমাপ্ত প্রকাও পুথি। প্রত্যেক অধ্যায়ের শেষে চৈতন্যদেবকে বুদ্ধাষতার বলা হইয়াছে। উড়িষ্যার চৈতন্য-পূৰ্ব্ব বৈষ্ণব-মতবাদ এই গ্রন্থে সবিস্তারে বর্ণিত হইয়াছে। বাংলা অক্ষরে এই উড়িয়া বইখানি প্রকাশিত হইলে চৈতন্য-সাহিত্য স্নইয়া র্যাহারা আলোচনা করিতেছেন তাহাদের বিশেষ কাজে লাগিবে । বইখানি ষোড়শ শতকের শেষভাগে রচিত, কারণ বই লেখা শেষ হইবার পরেও মহাপ্রভুর লীলাবসান সম্বন্ধে মুক্তিমণ্ডপে আলোচনা চলিতেছিল। বুদ্ধ-অবতার কথাটির তাৎপৰ্য্য শুমুন অচেত হেডপিবে প্রাণী পণ্ডিতপণে বোধ কহি তেণু চইতপ্ত নাম ভণি বউধাবতীর নাম বহি (চৈ. ভা, তুতীয় অধ্যায় ) ১৭ বুদ্ধাবতার চৈতন্যদেব خدد { অচেত= অচেন ; তেণু=তাই ; পণ্ডিত...কছি=পাণ্ডিত্যের অধিকারে জ্ঞানের কথা বলিতেfছ ] গুরুভক্তি গীতার তৃতীয় খণ্ড দ্বিতীয় পটলে পাই, বউদ্ধ রূপ গ্রহণ করিয়া চৈতন্যদেবের ভক্ত হইতে অচ্যুতানন্দ আদিষ্ট হইয়াছিলেন । ওড় রাষ্ট্রয়ে জাত হোই চৈতন্ত রূপকু যে ধ্যাই । বউদ রূপকু আবোরি এ খোল করতাল ধরি ॥ উদ্ধার করিব নিমস্তুে আজ্ঞা কলে জগন্তুতে । { ধ্যাই=ধান করিয়া, অবোরি⇒গ্রহণ করিতে ; নিমস্তে= জন্ত | মহাপ্রভূ তার জীবদ্দশাতেই জগন্নাথের সহিত অভিন্ন বিবেচিত হইয়াছিলেন। (কবিকর্ণপুর-চৈতন্যচক্ৰোদয় নাটক ৬॥৪৪ ; ৮॥৭ ও চৈতন্যচরিতামৃত কাব্য ১৬॥৪৭ রামনারায়ণ বিদ্যারত্ব-অনূদিত । ) ঈশ্বরদাস, অচ্যুতানন্দ প্রভৃতির মতে র্তাহার তিরোভাবও হইয়াছিল জগন্নাথের মধ্যে। ষোড়শ শতকে রচিত শূন্তসংহিতা, প্রথম অধ্যায় ও চৈতন্যভাগবত, ৬৫ অধ্যায় । সপ্তদশ শতকে রচিত . জগন্নাথচরিতামৃত, সপ্তম অধ্যায়। “শ্ৰীচইতন্য ভাগবতে বউধাবতারে শ্ৰীচইতন্য চন্দ্র জন্ম স্বৰ্গ আরোহণে সর্বগুচী নামে পঞ্চষঠীয়োহধ্যায়” অমুসারে বৈশাখ মাসে অক্ষয়-তৃতীয়ার দিন তিনি জগন্নাথের মধ্যে লীন হইলেন। জগন্নাথের সান্নিধ্যে শ্রীচৈতন্তের মহাপ্রয়াণের ব্যাখ্যা করিতে বুদ্ধাবতার-কল্পনা গড়িয়া উঠিল । চৈতন্যদেব জগন্নাথ-বুদ্ধের অবতার, কাজেই জগন্নাথের মধ্যে লীন হওয়াই হইল স্বাভাবিক পরিণতি। তাই অচ্যুতানন্দ লিখিতেছেন, শুষ্ঠরু শুষ্ঠ প্রকাশিলে শ্ৰীব্ৰহ্ম মঞ্চে করিবকু লীলা তম বিনাশি তত্বজ্ঞান বুঝাই মিশিগলা আসি, কলা অগ্নিরে অগ্নি মিশিগলে যেসনে, বারণ মুহই জানি কলারে কলা সেরিপে মিশিগলা, দেখিন দেখিলে প্রাণী : { মঞ্চে = মতে ; তম--তামসিক দোষ; যেমনে=যেমন । কল=কলা অংশে অবতীর্ণ চৈতন্যদেব ষোলকলাময় জগন্নাথের মধ্যে মিশিয়া গেলেন । ] শ্রীচৈতন্যের তিরোভাবের এরূপ ব্যাখ্য' গৌড়ীয় বৈষ্ণবদের প্রতিকর হয় নাই। ষোড়শ শতকের শেষ দিক হইতে চৈতন্যধর্মের আধিপত্য পাকাপাকি হইল। জগন্নাথের প্রভাব হ্রাস পাওয়া ইহার এক কারণ । কালাপাহাড় দ্বারা নিগ্রহের পর জগন্নাথ আর রাজশক্তির