পাতা:প্রবাসী (ঊনচত্বারিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

و سجاد প্রবাঙ্গী Yè89 হরিচরণ কহিল—মায় যে কইলে ভাত দেবে ? আমি কহিলাম-অতো খোবৃদ! ভাত খায় না। ওঠ, কইতে আছি। আর আবার যদি কোনদিন এ বাসায় আও হেইলে সিধা পিডান খাবি। হরিচরণ চক্ষু মেলিয়া আমার দিকে চাহিল। এতক্ষণে বোধ হয় তাহার ধারণা হইল, আমি সত্যই রাগ করিয়াছি, রসিকতা করিতেছি না । তার পর আর এক বার ছ উ উউ করিয়া উঠিল। আমি কহিলাম—আর ঐ কান্দোন থামা। যা কইতে হয় সিধাসিধি কবি, মর-কান্দোন কান্দবি না। তোর কান্দোনের ঠেলায় মাইন্‌ষে ভাতের গেরাস মুহে দিতে পারবে না-কি পাইছো কি । হরিচরণ চুপ করিল। তার পর ধীরে স্বন্থে তাহার র্বোচকাবাণ্ডিল গুছাইয়া লইয়া উঠিয়া দাড়াইল । ম| কহিলেন-ধাওয়াইয়া দিস না, দি আনয়। ভাতগুন। যারে রে নিভ, লইয়া আয়। আমি কহিলাম—না। গেলি তুই ? হরিচরণ নিঃশব্দে বাহির হইয়া গেল । মা কহিলেন--দিতাম ভাত, তোর ক্ষেতি হইত কি ! ও ভাত তো নষ্টই হইছে। মইধ্যেখিয় খালি ওডারে থাইতে দিলি না। নিভা কহিল—তোর বেবাকই বেশী বেশী । 豪 豪 泰 এই কথাটাই ইহাদের বুঝানো যায় না। শুধু দয়া-মায়া দেখাইবার প্রশ্ন এ নয়, দয়ামায়া ছাড়াও আরও অনেক কথা ভাবিবার আছে। সংসারে আমাদের দুর্ভাগ্য আমরা দু-মুঠ খাদ্যের সংস্থান লইয়া জন্মিয়াছি। হরিচরণদের ভাগ্য ভাল, তাহারা খাদ্যের সংস্থান লইয়া জন্মায় নাই, অতএব যখন ইচ্ছা যেরূপে ইচ্ছা তাহাদের উপবাস-তীক্ষু কণ্ঠের রোদনধ্বনি তুলিয়া আমাদের মুখের সেই অল্পকে তিক্ত বিস্বাদ করিয়া তুলিবার শাশ্বত অধিকার তাহাদের আছে। সেই ক্ষমতা ও অধিকারের তাহারা যথেচ্ছ ব্যবহার করিবে । হরিচরণ দরিত্র। এই দারিদ্র্য তাহার পূৰ্ব্বজন্মের कुङ्कठिद्र कज, कि ऊांशंग्र निऊाभाउांद्र •ाप्°द्र क्ण-७ সকল গভীর তত্ত্বালোচনা আমি করিতে চাই না। তাহার কিছু নাই এইটুকুই সত্য ; কেন নাই, সে গবেষণা অনাবশ্বক। পূৰ্ব্বজন্ম পূৰ্ব্বপুরুষের দোহাই নাই দিলাম— হয়ত এটা তাহার এই জন্মেরই দুর্ভাগ্য। কিন্তু কারণ তাহার যাই হউক, সেই দুর্ভাগ্যের বিলাপে বাতাস ভারাক্রাস্ত করিয়া তুলিবার অধিকার তাহাদের আছে, আর শাস্তিতে বাচিবার অধিকার আমাদের নাই, এইটাই বা কেমন কথা ? হরিচরণ দরিদ্র ; কিন্তু সেই দারিদ্র্যের জন্ত দায়ী অামি নই। সে রোগগ্ৰস্ত, সে-রোগ আমার আমার স্বষ্টি নয় । তবে কেন অামি আমার নিজের অন্ন শাস্তিতে থাইতে পারিব না, প্রতিটি গ্রাস মুখে তুলিবার সঙ্গে সঙ্গে তাহার কান্না আসিয়া আমার কানে ঢুকিবে, সেই অন্নের সহিত গ্লানি মিশাইয়া আমার জীবনকেও ছবিষহ করিয়া তুলিবে-কেন ? সংসারে আমাদেরও বাচিয়া থাকিতে হইবে । তাই খাইতে বসিয়া আমরা প্রাণপণে কানে তুলা গুজি যেন তাহাদের কান্না কানে না ঢোকে , তাহাদের ঠেলিয়া বহু দূরে সরাইয়া দিই, যেন সে-কান্না আমাদের কান পৰ্য্যস্ত আসিয়া না পৌছায়। অনেকে বলেন, কেন, ইহাদের কান্না যদি এতই অসহ বোধ হয়, সে-কান্না থামাইয়া দিলেই তে পার । তোমারই সে প্রতিবেশী—সে অনাহারে থাকিবে আর তুমি তাহাকে দেখাইয়া দেখাইয়া পেট পুরির আহার করিবে ; এবং তাহার পরও আশা করিবে তাহার দুঃখের ক্ৰন্দন কানে আসিয়া তোমাকে বিরক্ত করিবে না—এটা তোমার অসঙ্গত আশা ! তোমার খাদ্য হইতে তাহাকেও ভাগ দাও—মাছ-মাংস তুমিই থাইও, তাহাকে ডালভাতই দিয়া তাহার প্রাণ বাচাও ; সে আর কাদিবে না, তোমার মাছ-মাংস তুমি নিৰ্ব্বিঘ্নে খাইতে পারিবে । কথাটা ভাল। কিন্তু কাজে ইহার অনুষ্ঠান করা কতটুকু সম্ভব? পৃথিবী জুড়িয়া দরিত্রের মেলা, ইহারা জানে প্রতিটি অন্নসংস্থানশালী ব্যক্তির দুয়ারে নির্বিচারে পাতা পাতিবার অধিকার ইহাদের প্রত্যেকের আছে। কিন্তু আমাদের সেই সংস্থানও তো অফুরন্ত নয়। দুই