পাতা:প্রবাসী (ঊনচত্বারিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- জগ্রহায়ণ छौबत्र УФ-ар o লইয়া কৰ্ম্ম নাই, ওনারে অাইতে কইছে । বাইয়া কইতে লাগজে, হেরে না ধাওয়াইয়া ছারবে না। ক্যান, আছি, বাইরা। হের কি ? গজন গুনিয়া সুজিত ও নিভ বাহির হইয়া আসিল । হরিচরণ হঠাৎ এক কাগু করিল, বলিয়া বসিল—দাদায় कई ? এ বাসায় দাদা বলিতে আমাকে বুঝায়। আমায় ভয়েই সে ইদানীং বাসায় আসিতে চাহিত না, অথচ নূতনতর বিপদের মুখে কি বুৰিয়া ষে আমাকেই অবলম্বন করিতে চাহিল, সেটা আমার কাছে আজও রহস্তে ঢাকা । নিভা তাহার ইঙ্গিত বুঝিল, কহিল—এই দাদায় বুঝি ওরে আইতে কইছে। তৃ বয়, খাইয়া যাবি। তাহার আদেশের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা মায়ের মামার সঙ্গিল না। তিনি কহিলেন—বষ্টয়া রইলি ষে ? নিভা কহিল—ওরে আমরা আইতে কইছি। ভাত থাইবে । মায়ের মামা একটা কুংসিত মুখভঙ্গী করিয়া কহিলেন— তোমারগো কি, বাপের পয়সায় থাও, গায় তো বাজে না । রাস্তাখিয়া ভিক্ষুক ধরিয়া আনিয়া ভাত খাওয়াবা— এইয়া করলেই বাপে গেছে । এই কথা নিভাকে বলিয়। আমরা কেহ পার পাইতাম না। ভাই বোন দু-জনেই চটিয়া লাল হইয়া গেল। অথচ সম্পর্কে গুরুজন এবং বাড়ীতে অতিথি, তাহাকে কিছু বলাও যায় না । নিভ একটুক্ষণ গুম হইয়া দাড়াইয়া রহিল, তার পর দৃঢ়স্বরে হরিচণকে কহিল-তুষ্ট বয়। বলিয়া দুই জনে সোজা গিয়া মা’র কাছে হাজির হইল। কহিল—ম, তোমার মামারে মানা করো। ম| কহিলেন—কি আবার হইছে ? তিনি জানিতেন তাহার এই মামাটির একটু অসভা রসিকতার অভ্যাস আছে, এবং সেই জন্যই আমরা তাহাকে খুব পছন্দ করি না । ভাবিলেন, বোধ হয় সেইরূপই কিছু হইয়াছে। কহিলেন-যদি কিছু কইয়াই থাকে, উত্তর দিস না। জানোই তো হের মুখ ঐ রকম। নিভা কহিল—আমাগে। না । হরিচরণডা আইছে, হেরে এক্কারে যা তা কইয়া গাইল দিতে লাগজে, বকতে মা কহিলেন-হরিচরণ আইছে ? একটু বওয়া, না থাইয়া যেন যায় না। নিত্য নিত্য ডাইলভাত খাইয়া যায়, আইজ একটু ভাল জিনিষ আছে, খাইয়া যাউক ছ্যাম্রা। অনুজ্ঞা পাইয়া নিভা ও স্বজিত লাফাইতে লাফাইতে ফিরিয়া আসিল, কিন্তু সেখানে ততক্ষণ যা হক্টৰার হইয়া গিয়াছে। তাহারা সরিয়া যাইতেই মা’র মামা একেবারে রুদ্রমূৰ্ত্তি ধরিয়া হরিচরণের কাছে গিয়া দাড়াইয়াছেন, বলিয়াছেন— বইয়া রইছো—গেলি না ! হরিচরণ উত্তরে বলিয়াছে—বাবু, কাইলগোখিয়া খাই নায় । এউক্কা পান্থাভাত আমারে দেন। তিনি মুখভঙ্গি করিয়া বলিয়াছেন—পান্থাভাত কিয়া, পায়াস দিবে তোমারে। এই দ্যাথছো নি লাডি ! তাহার রক্তচক্ষু দেখিয়া হরিচরণ আর বসিয়া থাকিতে ভরসা পায় নাই। উঠিয়া বাহিরের দিকে পা বাড়াইয়াছে। বাড়ীর মধ্যে তখন খাওয়া চলিতেছে, খাদ্যের সুগন্ধে বাড়ী আমোদিত। চাকর তাহার সম্মুখ দিয়া ঝুড়ি-ভৰ্ত্তি উচ্ছিষ্ট খাদ্য লইয়া গিয়া অস্তিাকুড়ে ফেলিয়া আসিল । বাহিরের দিকে পা বাড়াইয়া হরিচরণ নাকি আপন মনেই বলিয়াছিল—পরমেশ্বর, পোলাউ-মাংস ফ্যালানি যায়, আর এউস্কা পাস্থাভােতও বোলে নাই । ইহার পরই মা’র মামা কি কইলি’ বলিয়া এক লাফে আসিয়া তাহার ঘাড় ধরিলেন, এবং অজস্র গালাগালির সহিত তাহাকে ছিড়হিড়, করিয়া কত দূর টানিয়া লইয়া, এক ঠেলা মারিলেন, হরিচরণ সোজা মুখ থুবড়াইয়া পড়িয়া গেল । নিভা ও স্বজিত যখন আসিয়া পৌছিল তখন হরিচরণ মাটিতে পডিয়া, উঠিতে চেষ্টা করিতেছে। তাহার কাথাকাপড় ইতস্তত: বিক্ষিপ্ত ; কাপড়ের কোণে কিছু চাল বাধা ছিল কোথায় ভিক্ষায় হয়ত পাইয়াছিল, সেগুলা উঠানময় ছড়াইয়া পড়িয়াছে । মা’র মামা বিজয়গৰ্ব্বে ফিরিয়া দাড়াইয়াছেন, তাহার সমস্তটা মুখ উল্লাসে উদ্ভাসিত, দন্তু বিকাশ করিয়া t w v م.م.