পাতা:প্রবাসী (ঊনচত্বারিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

'o. وكا«ځه প্রবাঙ্গী , ૭8૭ নন্দী মহাশয় এই পৰ্য্যস্তু বলিয়া সহসা খামিয়া গেলেন এবং বলিলেন—বদিবাৰুর কানে আবার কথাটা যেন না ওঠে দেখবেন, উনি জামাদের পার্টির লোক, ওঁকে চটানো মুদ্ধিল । বিমল ভাড়াতাড়ি বলিল—আমি কাউকে কিছু বলব না। নন্দী মহাশয় আরও কিছুক্ষণ নীরষে ধূমপান করিলেন। তাহার পর বলিলেন—কত ডিফিকালটি যে মশাই তা বাইরে থেকে বোঝা শক্ত। যাকৃ আপনি ভাল লোক যখন এসেছেন, ওষুধ-বিষুধের একটা ব্যবস্থা করতেই হবে । আরও দুই-চারি কথার পর বিমল বিদায়ু লইল । অন্ধকার একটা সরু গলি দিয়া বিমল আসিতেছিল । আকাশ-পাতাল কত কি ভাবিত্তে ভাবিতে আসিতেছিল । হাসপাতালকে সে যদি ঠিক মত খাড়া করিয়া তুলিতে পারে পসার জমাইতে দেরি হইবে না। ভূধরবাৰু এবং জগদীশবাবুর যেরূপ কলের বহর দেখা যাইতেছে, তাহাতে ‘ফিলুড় তো নিতাপ্ত ছোট বলিয়া মনে হয় না।--‘হঠাৎ একটা উন্মুক্ত বাতায়ন হইতে কয়েকটি কথা ভাসিয়া আসিয়া বিমলের কানে প্রবেশ করিল। উৎকর্ণ বিমল দাড়াইয়া শুনিতে লাগিল । অচেনা দুই জন লোক ঘরের ভিতর কথা বলিতেছে । —হাসপাতালের নূতন ডাক্তারটি ছোকরা হলে কি হয়, ডাক্তার ভাল, একের নম্বর ধড়িবাজ ! —না না, হরেনবাবু ওকথা বলবেন না। ষ্টেশন থেকে একটা বুড়িকে কুড়িয়ে এনে নিজের পয়সা খরচ ক’রে চিকিৎসা ক’রে ভাল তো করেছে। আপনাদের হাসপাতালে তো ওষুধপত্তর কিছু নেই ! —ওসব চাল মশাই ! এক চালে বাজি মাৎ করবে ভেবেছে, অত সহজে ভোলবার ছেলে হরেন বোস नघ । —আমার সঙ্গে অবশ্য এখনও বিশেষ পরিচয় হয় নি, কিন্তু আমার চাকরটা তার স্ত্রীকে নিয়ে হাসপাতালে দেখাতে গিছল, খুব যত্ন করে দেখেছে নাকি, খুব মুখ্যাতি করছিল সে । یا هے. হয়েনবাৰু বলিশেন—অতিশয় চালিয়াৎ লোক মশাই, গুপিবাৰুর কাছে শুনলাম এমন সব প্রেসক্লপ শান করে যে দেখলে অবাক হয়ে যেতে হয় । চাল দেখাবার জন্তে নানারকম বিদঘুটে ওষুধের প্রেস্ক্রপশান লেখে। সব বুঝি মশাই । বিমল আর দাড়াইল না, ক্রতপদে পথ অতিবাহন করিতে মাগিল । এই হরেন বোসই কি তাহাদের হাসপাতাল-কমিটির মেম্বার ? ইহার কথাই কি পরেশ-দা বলিয়াছিলেন! ভয়ানক লোক তো ! বাড়ী ফিরিয়া বিমল দেখিল স্বয়ং বদিবাবু তাহার অপেক্ষায় বসিয়া রহিয়াছেন। প্রকাশবাবুর হাতল-ভাঙা চেয়ারটি ভূতা যোগেন বারান্দায় বাহির করিয়া দিয়াছে এবং তাহারই উপর বদিবাবু চুপ করিয়া বসিয়া আছেন । —ডাক্তার বাবু নাকি, বেড়িয়ে ফিরলেন বুঝি ? —নন্দী মশায়ের কাছে গিছলাম। —র্তার পুত্রবধুটির খবর ভাল তো ? --আন্ত্ৰে ই্যা । —আপনারই ওষুধে দেখলাম উপকার হয়েছে! —আপনি কি ক’রে দেখলেন ? স্মিতহাস্ত করিয়া বদিবাবু বলিলেন–রাজা কর্ণেন পশুতি ! চার দিকে চোখ-কান খুলে রাখতে হয়। বিমল চুপ কবিয়া রহিল। বদিবাবু উঠিয়া দাড়াইয়া ছিলেন, বলিলেন--আপনি পি খুব ক্লাস্ত আছেন ? —না, কেন বলুন তো ? —এক জায়গায় যেতে হবে, একটু দূর আছে। —বেশ চলুন । —এপুনি তৈরি } —তা নয় তো কি ? —বা, এই তো চাই, চলুন। —কতক্ষণ দেরি হবে ? —ঘণ্টা দুই-আড়াই ওপারে গিয়ে, মোটরে ক’রে মাইল-চারেক। ওপারে সতীশবাবু জমিদার অাছেন তাদেরই বাড়ীতে । —কারও অমুখ নাকি ?