পাতা:প্রবাসী (ঊনচত্বারিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিদেশী পার্থী Se? আগ্রহণয়ণ স্কুলের কাজের প্রতি আকৃষ্ট হইতেছে। স্কুলের সম্বন্ধে ভীতিও শিশুশিক্ষায় একটি অন্তরায়। এই প্রসঙ্গে আর একটি শিশুর কথা বলি । এক বার একটি শিশু আমাকে জানায়, “আপনি কিছু জানেন না, মা আরও জানেন, স্কুলে কিছু শেখায় না, আমাকে ছাড়িয়ে নেনে” ইত্যাদি । শিক্ষয়িত্রীর প্রতি অগ্রদ্ধা শিশুশিক্ষার বিশেষ আস্তরায় । অন্তরায়গুলির সমাধান হইতে পারে একটি মাত্র উপায়ে, শিক্ষয়িত্রী এবং অভিভাবকদিগের সহযোগিতায় । আমাদের দেশের ইহার বিশেষ অভাব । আমাদের শিশু-বিদ্যালয়ের শিক্ষা কখনই সম্পূর্ণতা লাভ করিতে পারিবে না, যত দিন পর্য্যস্ত না উহ। শিশুদের অভিভাবকদের আস্তরিক সহানুভূতি লাভ করিবে। পারিপাশ্বিক অবস্থার মধ্য দিয়া শিশু-মনোভাব কিরূপে ধীরে ধীরে পরিস্ফুট হয়, পিতামাতাই সৰ্ব্বাগ্রে উহা সম্যকরূপে উপলব্ধি করিতে সমর্থ হন শিক্ষয়িত্রী তাহার মনোভাব-- বিকাশের ধারা বুঝিবার স্থযোগ ও অবকাশ পাইতে পারেন না। শিক্ষয়িত্রীর শিক্ষাপ্রদানের ধারা ও মাতাপিতার শিক্ষার মধ্যে যদি ঘনিষ্ঠ সম্বন্ধ না থাকে, তাহা হইলে শিশুর শিক্ষাগ্রহণের কার্য্যে বিয়ের উৎপত্তি হয়। এই জন্য পাশ্চাত্য দেশে স্কুলে শিশুদের ভৰ্ত্তি করিবার সময় শিশুর পিতামাতার পারিপাশ্বিক জীবনের সম্বন্ধে তথ্য জানিয়া লণ্ডয়া হয় ; ভারতবর্ষের কোন কোন স্কুলেও এইরূপ ব্যবস্থা আছে। শিশু মনের পূর্ণ বিকাশের সহায়-অভিভাবকদের ও শিক্ষয়িত্রীর মধ্যে পরস্পর ভাবের আদান-প্রদান এবং আন্তরিক সহানুভূতি। এই যোগাযোগ সম্পূর্ণ হইলেই শিশুরা মাতুষ হইয়া দেশের ও দশের মধ্যে বিশিষ্ট ব্যক্তি হইয় উঠতে পারে। বিদেশী পাখী ঐপ্রেমকুমার চক্রবত্তী গান গেয়ে উড়ে যায় বিদেশী পার্থী ঘর-ছাড়া মন-ভাঙ,—কি দুখে ডাকি' ? কি যে ভাষে গায় গান সুর যেন অভিমান,— ভাঙা শাখা ফেলে যায় অচেনা শাখা ? গান গেয়ে উড়ে যায় বিদেশী পার্থী । রূপ তার নাহি হেরি-রূপ কি আছে ? দূর হতে চলে যায়,-এল ন কাছে। কথা কিছু নাহি বলে গান গেয়ে যায় চলে দেখা মোরে দিল না যে—শুধাই পাছে ; দূর হতে চলে যায়,—এল না কাছে। ধরণীর মুখদুখ রহিল নীচে– উড়ে যায় দূরে ষায় চাহে না পিছে ; যাহা কিছু মোরা পাই সব হেথা ফেলে ঘাই,--- তাই যাহা দিয়ে যাই—হয় না মিছে ; ধরণব মুখতুখ রশিল নীচে কান পেতে চেয়ে রই নীল আকুলে, স্বর যেন কি মুবাস অচেনা ফুলে । ভরে আছে মন মাঝে স্মৃতিসম যেন বাজে গোপনে হৃদয় বলে ‘যেৎ না ভুলে’ ; স্থর যেন কি স্ববাস অচেনা ফুলে । চলে যায় বলে যায় ধিদেশী পার্থী, একে একে সব যায় স্মৃতিটি রাথি । , বড় ব্যথা ভালোবাসা আরো দুখ যত আশা স্বরে স্বরে সেই ভাষা গাহিল শাখাঁ ; গান গেয়ে উড়ে গেছে বিদেশী পার্থী ।