পাতা:প্রবাসী (ঊনচত্বারিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অগ্রহণয়ণ পার্থীর বাসার গঠম-বৈচিত্র্য ২৩৭ সংগ্ৰহ করিয়া আনে। তার পর বোটার দিকে পাতার ধারের ছিদ্রটির মধ্যে ঠোটের সাহায্যে স্থতার একটা প্রাস্ত প্রবেশ করাইয় দেয়। পরে তলার দিক হইতে সুতাটাকে টানিয়া বাহির করে। ইহার ফলে অসংবদ্ধ একটি পত্র জুড়িয়া টুনটুনি পাখী বাসা নিৰ্ম্মাণ কবিয়াছে স্বতার বিচ্ছিন্ন অংশগুলির সবই ছিদ্রপথে গলিয়া আসিতে না পারায় প্রান্তভাগে একটা গেরোর মত হইয়া যায়। এই গেরোর জন্য টান পড়িলেও মুতার প্রাস্তভাগ বাহির হইয়া আসিতে পারে না ; তৎপরে পাতার অপর ধারে সুতাটাকে ঠোট দিয়া ছিদ্রপথে ঠেলিয়া অন্য দিক হইতে টানিয়া লয় এবং প্রান্তভাগ ঠোঁট দিয়া একটু ছড়াইয়া চাপিয়া বসাইয়া দেয়। এইরূপে বোটার দিক হইতে নিম্নভাগ পর্যান্ত পাতাটাকে পিছনের দিকে মুড়িয় খড়কুট যোগাড় করিতে বাহির হয়। নারিকেলের বাগরোর পর্দার মত বেষ্টনী হইতেই অনেক সময় সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম তত্ত্বগুলি সংগ্ৰহ করিয়া সুগভীর পেয়ালার মত বাস। গড়িয়া তোলে । খোল নিৰ্ম্মাণ শেষ হইলে তুলার সন্ধানে বাহির হয়। তুলা অথবা কোমল পালক দিয়া বাসার ভিতরে গদির মত তৈয়ারী করে । স্ত্রী ও পুরুষ উভয়ে মিলিয়া একযোগে কাজ করে। আবার অনেক সময় এক জন বাসা বুনিতে থাকে, অপরটি মালমশলা সংগ্ৰহ করিয়া আনে। আমাদের দেশের বাবুই পার্থী বাসানিৰ্ম্মাণে সৰ্ব্বাধিক নিপুণতার পরিচয় দিয়া থাকে। ইহারা সামাজিক পার্থী। সৰ্ব্বদাই দলবদ্ধ হইয়া বসবাস করে। তাল গাছেই ইহাদিগকে সাধারণতঃ বাস নিৰ্ম্মাণ করিতে দেখা যায় । এক একটা গাছে সময় সময় পঞ্চাশ-ষাটটা বাস ঝুলিতে দেখা যায়। অন্যান্য পার্থীর বাসার মত ইহাদের বাসাগুলি দেখিতে একরূপ নহে। অনেক স্থলেই বিভিন্ন আকৃতির বাসা দেখিতে পাওয়া যায়। তবে বেশীর ভাগ ভাল বাসাই সাপুড়েদের বঁাশীর আরুতিবিশিষ্ট। মনে হয় যেন বড় বড় এক একটা সাপুড়ে বঁাশী বাবুই পাখী [ লেখক কর্তৃক গৃহীত ফটে ] তালপত্রের অগ্রভাগ হইতে ঝুলিতেছে। লম্বা নলের মত বাসার প্রবেশ-পথ নীচের দিকে থাকে । বাসার উপরের দিক সরু, মধ্যস্থল রবারের বেলুনের মত ক্রমশ: গোলাকার হইয়া নীচের দিকে আবার সরু হইয়া আসে। মধ্যস্থলের স্ফীত অংশের অভ্যস্তরে একপাশে পেয়ালার মত একটি