পাতা:প্রবাসী (ঊনচত্বারিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Հ88 মন্দিরের প্রবেশ-তোরণ, বালি কোন কোন ক্ষেত্রে আশ্চৰ্য্য রকমের পরিবর্তন ও নূতনত্ব এসেছে । তাদের সকল চেষ্টার মধ্যেই সব সময়েই স্থষ্টির প্রবল ইচ্ছাটাই প্রকাশ পেয়েছে, ক্রমাগত জিনিষের পুনরাবৃত্তি করে তারা খুশী থাকে নি । বালির প্রাচীন পদ্ধতির নৃত্যকল অভিনয়প্রধান । কিন্তু তা ব’লে কেউ যেন মনে না করেন যে বালির নৃত্য দক্ষিণ-ভারতের কথাকলি-মুদ্রাভিনয়ের মত ; বরঞ্চ মণিপুরী বা কথক-নাচিয়েদের অভিনয়ের সঙ্গে এর সাদৃশ্ব আছে । এর যতটা সম্ভব দেহের ভঙ্গীর সঙ্গে ভাবের মিল রাখবার চেষ্টা করে । মণিপুরী নৃত্যাভিনয়ের মত অভিনেতারা স্বাভাবিক ভাবে প্রাচীন বালি ভাষায় কথা ব’লে অভিনয় করে । তালের সঙ্গে মাঝে মাঝে পায়ের ছন্দ, হাতের ও দেহের সহজ,ভঙ্গীতে এদিকওদিক নড়ে চড়ে বেড়ায়। অভিনয়ই এর মুখ্য উদেশ্ব, প্রবাসী ჯxტვ\) পায়ের ছন্দটা এখানে গৌণ। এমন কি গামেলান সঙ্গীতেরও সেখানে বিশেষ স্থান নেই, তার ব্যবহার মুখই সামান্ত । এই ধরণের মৃত্যকলার পরিবর্তন প্রথম আরম্ভ হয় “লেগং” নাচের ভিতর দিয়ে ; এখানে নৃত্যকলা অনেক থানি মুক্তি পেল। সেই সঙ্গে গামেলান সঙ্গীতেরও অনেক পরিবর্তন হ’ল । লেগং মাচ সম্বন্ধে গত সংখ্যায় লিখেছি ; এ-নাচে দেহভঙ্গীর সঙ্গে ভাবের একটা মিলন সাধনের চেষ্টা সুরু হয় গামেলান সঙ্গীতকে লক্ষ্য ক’রে । এই নাচের সঙ্গে একটি গল্পের যোগ আছে এবং একে নৃত্যাভিনয়ের দলে ফেলা যেতে পারে। কিন্তু এ মৃত্যাভিনয়ে অভিনেতারা একেবারেই কথা বলে না। এ নাচের সঙ্গে প্রাচীন মৃত্যাভিনয়ের আকাশ-পাত্তাল তফাৎ । যদিও এই পরিবর্তন আজকাল হয় নি, তবুও এ-নাচ বর্তমান চঞ্চল দ্রুতগামী জগতের মামুষের কাছে বিশেষ গ্রামের মন্দিরের প্রবেশ-দ্বার, বালি