পাতা:প্রবাসী (ঊনচত্বারিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বলিওপের পালিবাব নৃত্যভঙ্গা গামেলান সুদীতের সঙ্গে নাচকে মিলিয়ে দেবার পূৰ্ব্বে, মারিয়োকে অনেক ভাবতে হয়েছিল সে গামেলান সঙ্গীতের এই নাম বৈচিত্র্যের ভিতর দিয়ে কি ভাব প্রকাশ পায়, বা, তা শুনে কি ভাব তার মনে উদয় হয় । সেই ভাবে বিচার ক’রে সঙ্গীতকে সে কতকগুলি ভাগে বিভক্ত করল এবং তার সঙ্গে যেখানে যে-ভাবে দ্রুত, মুকু, জোরালো, কোমল ইত্যাদি দেহের ও তাতের ভঙ্গী মিলতে পারে সেই ভাবে মেলাল । এই মিলই মারিয়োর নবপ্রবর্হিত নাচের বৈশিষ্ট্য । মে চেষ্টা আগেকার নাচে আর গু হয়েছিল, সেই চেষ্টা অনেকখানি সফলতা লাভ করল এই নাচের ভিতর দিয়ে । এ নাচ দেখে প্রত্যেকে পুঝতে পারবে যে, প্রকাশ করার জষ্ঠেই এ নাচ তৈরি—সঙ্গীত যেন দেহের ভঙ্গীর ভিতর দিয়ে নিজেকে বা ক করছে । আজ মারিয়ো বয়সে চল্লিশের কাছাকাছি, যুবা বয়সে এই নাচ তাকে দেখাতে হ’ত নিয়মিত ভাবে দেশী বিদেশী সকলের কাছে । এই নাচের প্রবর্তৃক হিসাবে সে আজ সৰ্ব্বত্রই সুপরিচিত। আজ পর্য্যন্ত খুব কম বিদেশী সে গামেলান সঙ্গীতকে প্রবাসী 989אצ দেশে গিয়ে এই নাচিয়ের নাচ না দেখে ফিরেছে। আজকাল নাচের জগং থেকে মারিয়ো বানপ্রস্থ অবলম্বন ক'রে তার গ্রামের নিভূত নৃত্যশালায় দেশের বালকদের নৃত্যশিক্ষায় মগ্ন । তার ছাত্রদের সে কখনও হুবহু নকল করতে বলে না, সে বলে, সে কেবল ধরিয়ে দেবে তার পর ছাত্রর তাদের সামর্থ্যমত যুক্তখানি সস্তব সূতন রচনা করুক । মাবিয়োর নাচ দেখবার সেী ভাগ্য আমার হয়েছিল, তার অনেক শিমোর নাচ দেখবার সুযোগ ও আমি পেয়েছি । দেখলাম তারই কোন ছাত্র অনেক বিষয়ে গুরুকেও ছাড়িয়ে গিয়েছে গুরুর তাত্ৰে দু:প নেই, সে যা চেয়েছিল তাই সে দেথতে ছাত্রটির মধ্যে । পেয়েছে তার সেই مسير তার এই শিষjটির নাম "র ক" । গুরুর পরে সে আজ সে-দেশে কবিয়ার-নাচে বিপjতি । সে বাড়িয়েছে এই গামেলান সঙ্গীতের সঙ্গে নাচের মিল এর কাছে মেন আর ও সুন্দর হয়ে দেখ। দিয়েছে । মনে পড়ে ঘেদিন প্রথম কবিয়ার নীচ দেখি দেন।পাশার শহরে । রাত্ৰিবেল উন্ম ও প্রাঙ্গণে আধুনিক কেরোসিনের অনেক সৌন্দয্য si fČE I বাতি জলছে, চারি দিকে অসং স্বীপুরুষ, বিদেশ ও দেখ গেল অনেক । ঘন লাল রঙের কাপড় পরে ব’সে আসরে দেখলাম একটি যুবক সুন্দর সোনালী কাজ-করা শাড়ীর মত আছে চুপ ক’রে । দু-পাশে দক্ষিণ-বালিপ গ্রামে এক জন বেলজিয়ান শিল্পীর গৃহে লেখক