পাতা:প্রবাসী (ঊনচত্বারিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অগ্রহীয়প বলি নি যে গ্যালিলিওই মরে নিউটন হয়ে জন্মেছিলেন। বিজ্ঞান আর বৈজ্ঞানিকদের ইতিহাস বলতে গিয়ে কথাটা এসে পড়ল, তাই বললাম। —আরও দেখ, ঠাকুমা বলতেন মাহুষ মরে আকাশের তারা হয় । তা বোধ হয় না, না ?—আচ্ছা, তারাগুলো कौ ? —সে-কথা পরে আলোচনা করব । বৈজ্ঞানিকরা নক্ষত্র সম্বন্ধে অনেক কিছু জানতে পেরেছেন। খুব অদ্ভুত সব ব্যাপার আছে, বলব । শেষ করি । —লক্ষ্মীটি, একটু দাড়াও । ঠাকুরকে ডিমের ডালনাটা দেখিয়ে দিয়ে আসি, সেদিন যেটা থেয়ে বলেছিলে "এত ভাল রান্না তুমি কোথায় শিখলে ?—রান্না জিনিযট এমন কিছু নয়, দেখিয়ে দিলে ঠাকুরও পারে।. কিছুক্ষণ ঘড়ির দিকে তাকিয়ে থেকে বিমল আপন মনে বলে ওঠে—না:, লীলা বড্ড সময় নষ্ট করে । কেন, ঠাকুরই তো বেশ রাধে, কী দরকার ছিল এখন রান্ন দেখাবার ? কিন্তু আগে গোড়ার কথা লীলা ফিরে এল –বল তারপর । -- হুঁ, বলছিলাম নিউটনের কথা । নিউটনের নাম নিশ্চয়ই শুনেছ । বল তো তিনি কি কি কারণে এত বিখ্যাত ? বিমল একটু কৌতুকের হাসি হাসল, কারণ এত সব লীলার জানবার কথা নয় । লীলা গম্ভীর ভাবে উত্তর দিল—নিউটন এক জন বড় বৈজ্ঞানিক ছিলেন। ২ বিমল হেসে ফেলল – ঠিক বলেছ, নিউটন এক জন বড় বৈজ্ঞানিক ছিলেন। শুধু তাই নয়, অনেকে বলেন এক হিসাবে তিনি আইনস্টাইনের চেয়েও বড়। কারণ, সে-যুগে তিনি যা করেছেন, ত৷ সম্পূর্ণ নিজ প্রতিভাবলে। কিন্তু আইনস্টাইনের সময় অনেক বড় বড় বিজ্ঞানিকের গবেষণা তাকে নানা ভাবে আলোক দান ক’রে সাহায্য করেছে। বল তো আইনস্টাইন কে ? —জাৰ্ম্মান বৈজ্ঞানিক । ইহুদী বলে হিঢ়লার তাকে দেশ থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। ফ্রয়েডকেও তাই ; এ কিন্তু ভারি অনু্যায়— বৈজ্ঞানিকের ৰিপত্তি & ২৫৩ —আচ্ছা, আচ্ছা, হিট্‌লারের বিচার পরে হবে, এখন আমার কথা শোন— —এখন আর না, রাত হয়ে যাচ্ছে । হবে । চল । খাওয়ার পরে অগ্নবার অধ্যাপন চন্সল—আজ আর বেশী কিছু বলব না ; তোমারও বোধ হয় ভাল লাগছে না। কি ভাবছ চুপ ক’রে ? —ন, না, আমার বেশ লাগছে, তুমি বল। ভাল না লাগলে আমি তোমায় বলব। আর, ভাল লাগবে না-ই বা কেন ? তোমার এত নাম পড়ানোতে— —থামে, দুষ্টুমি করে না। হ্যা, কত দূর বলেছিলাম । —নিউটন, আইনস্টাইন— —না, না, শুধু নিউটন , নিউটনের কথা আগে । —দেখ, ভাবছিলাম, বাথরুমের ঐ কোণটা বড় পিছল হয়ে আছে । আজও তো দেপছি পরিষ্কার ক’রে দিয়ে যায় নি । কত বার সে আছাড় খেতে থেতে বেঁচে গেছি । —আচ্ছা, আচ্ছা, তোমার ধোপ! মেথর সব কাল আসবে, আমার কথা শোন এখন । —রাগ করলে ? —না, শোন –নিউটনের প্রধান আবিষ্কার মাধ্যাকর্ষণ । মাধ্যাকর্ষণের তাৎপৰ্য্য এই যে, প্রত্যেক বস্তু প্রত্যেক বস্তুকে টানছে । যেমন, স্বৰ্য্য পৃথিবীকে, পৃথিবী চাদকে, আবার পৃথিবী ও স্বৰ্য্যকে,—এই রকম সব । পৃথিবীর টানেই গাছ থেকে ফল মাটিতে পড়ে। বুঝেছ ? —হঁ্যা, মনে পড়েছে । ছেলেবেলা গল্পের বইয়ে একটা ছবি ছিল দেখেছি,--নিউটন বাগানের মধ্যে গাছে ঠেস দিয়ে দাড়িয়ে সামনের দিকে তাকিয়ে আছেন, আর সামনের গাছ থেকে একটা আপেল মাটিতে পড়ছে । নীচে লেখা, ফলটি পড়িল কেন ?—সেই কথা বলছ তো ? এতক্ষণে বিমল যেন অকূলে কুল পেল, উৎসাহিত হয়ে বললে – ঠিক। কিন্তু ব্যপারটা ঠিক বুঝেছ তো ? —দেখ, তোমরা বল পৃথিবীর টান’, কথাটা অনেকের কাছে শুনেছিও অনেক বার । ছেলেবেলায় প্রথমে শুনি বাবার কাছে । তারপরে দাদা বিলেত যাবার আগে এই সব গল্প করত আমার সঙ্গে—আরও কত দেশবিদেশের কথা । কিন্তু দেখ, আমি ঠিক বুঝি না কেন ৰে তোমরা পৃথিবীর টান বলে । খেয়ে এসে বেশ