পাতা:প্রবাসী (ঊনচত্বারিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૨ઉN, ংগ্রেস আপিসে যাইতেন এবং কংগ্রেসের কার্য্যে সহায়তা করিতেন। আচাৰ্য্যদেব তাহাকে এক দিন বলিয়াছিলেন, “দেখ, কংগ্রেসের প্রতি আমার কিছুমাত্র অনাস্থা নাই । তোমার কংগ্রেস ভাল লাগে ত সব ছেড়ে কংগ্রেসের কাজেই লেগে যাও, আর সায়েন্স ভাল লাগে ত সব ছেড়ে সায়েন্সেই লেগে যাও। কিন্তু দুটো করতে গেলে কোনটাই হবে না। একটা নিয়ে থাকতে হবে । দেখ না, আমি সায়েন্সের জন্য সব ছেড়েছি। I was tremendously interested in Bengali literature, I was tremendously interested in the Brahmo Samaj, I was tremendously interested in the education of my nephews, but I gave up everything for the sake of science.” (qtor সাহিত্যে, ব্রাহ্মসমাজের কাজে....আমার বিশেষ উৎসাহ ছিল, কিন্তু বি জন্য সবই ছেড়েছি) ।” বঙ্গসাহিত্যে আচাৰ্য্যদেবের আঁঠুরাগের পরিচয় দেশবাসী পাইয়াছেন। বাংলা ভাষায় তিনি যে স্বল্প রচনা রাখিয়া গিয়াছেন তাহাতে বুঝা যায় তাহার লেখনীধারণ সাৰ্থক হইয়াছে, এবং সাধনা করিলে বঙ্গসাহিত্যকে তিনি ধথেষ্ট সমুদ্ধ করিয়া যাইতে পারিতেন। তিনি কিছুকাল বঙ্গীয় সাহিত্যপরিষদের সভাপতিও ছিলেন । তাহার নিজের যেরূপ একনিষ্ঠত ছিল অপরকেও তদ্রুপ একনিষ্ঠ হইতে উপদেশ দিতেন । বিজ্ঞানমন্দিরের কৰ্ম্মীদের কত দিন food of foston—I want the whole mind, the undivided mind. ..., তাই বলিয়া বিজ্ঞানের বিষয়ে তিনি উদাসীন ছিলেন না | আন্দোলনের সহিত তাহার অন্তরের যোগ ছিল । সাধারণ লোকের মত তিনি যে শুধু সংবাদপত্র মারফত এই যোগরক্ষা করিতেন তাহা নহে, বিশেষজ্ঞদের নিকট হইতে সাক্ষাংমত সমস্ত সংবাদ লষ্টতেল । দেশবিদেশের যত বড় লোক কলিকাতায় আসিলেই এক বার তাহার সহিত সাক্ষাৎ করিতেন এবং বস্থবিজ্ঞান-মন্দির দেখিতে আসিতেন । র্তাহাদের সঠিত আলাপ-আলোচনায় সহজেই সকল বিষয়ের মৰ্ম্ম গ্রহণ করিতেন । ললিতকলার দেশের অধিকাংশ এৰাঙ্গী , SoSW, প্রতি আচাৰ্য্যদেবের খুৰ অম্বুরাগ ছিল । তাহার বাড়ী অথবা বস্ব-বিজ্ঞান-মন্দির র্যাহারা দেখিয়াছেন তাহারাই এই বিষয়ে সাক্ষ্য প্রদান করিবেন। তাহার বাড়ীতে প্রাচীন মিশরের চিত্র, অজস্তার চিত্র, বাংলার আধুনিক শ্রেষ্ঠ শিল্পীদের চিত্র এবং আরও কত যে শিল্প-সম্ভার আছে শিল্পজ্ঞানহীনের পক্ষে তাহা স্মরণ রাখাও অসম্ভব। একবার আগরতলায় বঁাশ ও বেতের প্রস্তুত একটি বেড়ার কারুকার্য্য দেখিয়া তিনি এত মুগ্ধ হন যে তদ্রপ আর একটি আনাইয়া নিজের বসিবার ঘরের দেয়ালে টাঙাইয়া রাখেন । কোন কাজের সংকল্প করিলে তাহা কার্য্যে পরিণত করিবার জন্য তিনি অধীর হইয়া উঠিতেন । বড়লোক মাত্রেরই বোধ হয় ইহা স্বভাব। সংকল্পিত কাৰ্য্যটি না হইলে বা বস্তুটি না পাইলে যেন সংসার অচল হইয়া যায় । “ঐ এক্সপেরিমেন্টটার রেজাল্ট জানতে না পারলে কোন ৰাজ করতে পাচ্ছি না।” “ঐটার জন্য আমার লেখাটেখা সব বন্ধ হয়ে আছে", ইত্যাদি। সুতরাং সংকল্পকে যথাসম্ভব শীঘ্ৰ কার্য্যে পরিণত করিতেন তবে ছাড়িতেন ; কিন্তু কোন একটি কাৰ্য্যকে এক বার করিয়াই ক্ষাস্ত হইতেন না, পুন: পুনঃ সেইটা করিতেন, বা করাইতেন । বৈজ্ঞানিক পরীক্ষাগুলি বার বার করাষ্টতেন, সময়ের ব্যবধানে করাষ্টতেন, আবার বিভিন্ন ঋতুতে করাইতেন । তাহার মুখে প্রায়ই শোনা ধাইত “বার বার ক’রে যাও”, "ক্রমাগত করতে থাক”, “পারফেক্ট হওয়া চাই”, “nothing short of perfection", #siffa c*Ia & gi sfata ceসকল পরীক্ষা দেখাইবেন স্থির করিতেন অনেক দিন আগে হক্টতেই সেই গুলি করাইতে আরম্ভ করিতেন । যে কৰ্ম্মীদের উপর ঐ পরীক্ষাগুলি দেখাইবার ভার পড়িত তাহাদের আর অন্য কোন কাজ করিতে হৃষ্টত না । তাঙ্গর সকালে সন্ধ্যায় দুপুরে, রোদে বৃষ্টিতে বিভিন্ন অবস্থায় পুনঃ পুনঃ অনুষ্ঠান করিয়া ঐ পরীক্ষণগুলি সম্পূর্ণ আয়ত্ত করিয়া ফেলিতেন। স্বতরাং কোন বক্তৃতামঞ্চে আচাৰ্য্য জগদীশচন্দ্রের কোন পরীক্ষা অকৃতকাৰ্য্য হুইত না । এক বার তাহার প্রদর্শিত সবগুলি পরীক্ষার একরূপ নাটকীয় পরিণতি দর্শনে বিস্মিত হইয়া বিলাতের 臺