পাতা:প্রবাসী (ঊনচত্বারিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৬৮ প্ৰৰালী so YO89 সম্ভাবনা ঘটিতেছে। বেলজিয়মের রাজা ও হল্যাণ্ডের রাণী মধ্যস্থতার দ্বারা শাস্তি স্থাপনের চেষ্টা করিতে চাহিয়াছিলেন। কিন্তু সে চেষ্ট্র আপাততঃ বিফল হইয়াছে। তাহাদের দেশই রণাঙ্গনে পরিণত হইবার উপক্রম হইয়াছে। (১১ই নবেম্বর লিখিত । ) যুদ্ধ যদি না-ঘটিত কিংবা যদি উহা থামিয়া যায়, তাহা হইলেও আমাদের দেশের বস্ত্র প্রস্তুত করা আমাদের কৰ্ত্তব্য হইত ও হইবে। এই জন্য কোন কোন প্রকার বাধা সত্ত্বেও চালু কলগুলির কাজ যেমন চালান উচিত, প্রারব্ধ মিলগুলির কাজও সেইরূপ যথাসম্ভব আরম্ভ করা কৰ্ত্তব্য। বিষ্ণুপুরের স্থত ও কাপড়ের কলের উদ্যোক্তাদের এ বিষয়ে দৃষ্টি আছে। কারখানার ইমারতের নির্মাণ কাৰ্য্য শেষ হইয়া আসিতেছে। শ্রমিকদের বাসগৃহ এবং কৰ্ম্মচারীদের বাসগৃহ নিৰ্ম্মাণ শীঘ্রই আরম্ভ হইবে। যন্ত্রপাতির যোগাড়েও উদ্যোক্তারা তৎপর আছেন। নূতন কারখানা স্থাপনের প্রয়োজন ও সুযোগ নানা প্রকার ঔযধ, রাসায়নিক দ্রব্য, যন্ত্রপাতি প্রভৃতির আমদানী যুদ্ধের জন্য কমিয়া গিয়াছে । কোন কোন জিনিব আমদানী হইতেছেই না। ইহাদের মধ্যে সমস্তই বা প্রায় সমস্তই এদেশে প্রস্তুত হইতে পারে। প্রস্তুতির একাগ্র চেষ্টা আবশ্যক। বাঙালীদের মধ্যে খুব ধনী লোক যে কেহই নাই এমন নহে। বোম্বাই প্রদেশের মত অত বেশী না হইলেও, অপেক্ষাকৃত অল্প সংখ্যক ধনী লোক বঙ্গেও আছেন । র্তাহারা এখন বহুবিধ পণ্যদ্রব্যের কারখানা স্থাপনে উদ্যোগী হইলে দেশের কল্যাণ হইবে, এবং তঁাহাদেরও ধনাগম হইবে । যাহারা ধনী নহেন অথচ ব্যয় অপেক্ষ যাহাদের আয় কিছু বেশী তাহারা যৌথ চেষ্টা দ্বারা অনেক বড় কারখানা ও কারবার চালাইতে পারেন। প্রধানতঃ মেজর বামনদাস বসুর জ্ঞানবত্তায় ও পরিশ্রমে ভারতবর্ষীয় ভৈবজিক উদ্ভিদসমূহ সম্বন্ধে যে স্ববৃহৎ প্রামাণিক ইংরেজী গ্রন্থ প্রণীত হইয়াছে, তাহার দ্বিতীয় সংস্করণেরঙ্গ চারি ভলুমে এরূপ শত শত গাছগাছড়া বর্ণিত হইয়াছে যাহা হইতে নানাবিধ ঔষধ প্রস্তুত হইতে পারে। আরও চারিটি ভলুমে ( বা বাক্সে ) বিস্তর উদ্ভিদের ফল ফুল পাতার ছবি দেওয়া হইয়াছে যাহার দ্বারা সেগুলি চিনিবার সুবিধা হয়। যাহারা দেশী উদ্ভিদ হইতে ঔষধ প্রস্তুতির বৃহৎ আয়োজন করিতে চান, তাহাদের পক্ষে এবং চিকিৎসকদের পক্ষে এই গ্রন্থ অত্যাবশ্যক । অনেক রাসায়নিক দ্রব্য আছে যেগুলি সাক্ষাৎ ভাবে লোকেরা ব্যবহার করে । অন্য অনেক রাসায়নিক দ্রব্য আছে যাহা বহুবিধ পণ্যদ্রব্য প্রস্তুত করিতে ব্যবহৃত হয় । এইগুলির জন্য অনেক কারখানা আবশ্যক। কয়েক দিন পূৰ্ব্বে কলিকাতায় আচাৰ্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়, ডক্টর হেমেন্দ্রকুমার সেন প্রভৃতির নেতৃত্বে এই বিষয়ে আলোচনা করিবার জন্য সভার অধিবেশন হইয়াছিল । আশা করি কাজও আরম্ভ হইবে । দৈনিক, সাপ্তাহিক ও মাসিক পত্রিকাসমূহের পরিচালকেরা এবং পুস্তকপ্রকাশকেরা কাগজের দুমূল্যতা ও অভাব অনুভব করিতেছেন। যে দৈনিক কাগজগুলির কাটুতি বেশী ও যেগুলি রোটারি যন্ত্রে ছাপা হয়, তাহাদের ব্যবহৃত রীলে জড়ান কাগজ এদেশে প্রস্তুত হয় না । তাহা উৎপাদনের চেষ্টা হওয়া উচিত। অন্যবিধ কাগজও আরও অধিক পরিমাণে প্রস্তুত করিবার নিমিত্ত নূতন কারখানা আবশ্বক। এই জন্য দরকারী সাবয় বা বাবুই ঘাসের চাষ অনেক বাড়ান যাইতে পারে । ইতিমধ্যেই কোথাও কোথাও তাহার আরম্ভ হইয়াছে। এই প্রকার বহুবিধ কারখানার উল্লেখ করা যাইতে পারে। টাটানগরের শ্ৰীযুক্ত নগেন্দ্রনাথ রক্ষিত কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে প্রদত্ত র্তাহার বক্তৃতায় প্রায় এক শত প্রকার দ্রব্য উৎপাদনের কারখানার কথা বলিয়াছিলেন যাহা নুনাধিক পাচ হাজার টাকা পুজি লইয়া চালান যাইতে পারে।

  • Indian Medicinal Plants : By Lieut.-Col. K. R. Kirtikar and Major B. D. Basu. Revised, enlarged and brought up to date by Father Caius, S. J., Father Blatter, S. J. and Dr. Mhaskar, 2nd Edition. Dr. L. M. Basu, Allahabad.