পাতা:প্রবাসী (ঊনচত্বারিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অগ্রস্থায়ণ পশ্যশিল্পের কারখানায় ব্যবহার্য্য যন্ত্রপাতি এ-দেশে অল্পই প্রস্তুত হয় । তাহা নিৰ্ম্মাণই গোড়ার কথা । সেদিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ একান্ত আবশ্বক। লেডী বসুর প্রেসিডেন্সী কলেজকে দানের প্রস্তাব প্রত্যাহার ংবাদপত্রে প্রকাশিত হইয়াছে যে, লেডী অবলা বস্থ প্রেসিডেন্সী কলেজে উদ্ভিদবিজ্ঞানের গবেষণা-বৃত্তি স্থাপনের নিমিত্ত যে পঞ্চাশ হাজার টাকা দান করিতে চাহিয়াছিলেন, সেই প্রস্তাব তিনি প্রত্যাহার করিয়াছেন। প্রত্যাহারের কারণ এইরূপ অসুমিত হইয়াছে যে, তাহার দানের এই সর্ভ ছিল যে, বৃত্তি বাঙালী হিন্দু ছাত্রেরাই পাইতে অধিকারী হইবে, এবং বাংলা সরকার এই সৰ্ত্তে দান গ্রহণ করিতে রাজী হন নাই । এ বিষয়ে আমাদের কিছু বক্তব্য গত সংখ্যাতেই বলিয়াছি। কোন দাতা যদি বিশেষ কোন সম্প্রদায়ে শিক্ষার বা গবেষণার উৎসাহ দিতে চান, তাহা হইলে তাহা করিবার তাহার দ্যায্য অধিকার আছে । ধাৰ্ম্মিক মোহম্মদ মোহশিনের প্রদত্ত সম্পত্তি হইতে যে কেবল মুসলমানেরাই বৃত্তি পায়, তাহাতে হিন্দুরা কোন আপত্তি করে না-আপত্তি করিলে তাহা অদ্যায় হইত । লেডী বসুর প্রেসিডেন্সী কলেজকে দান যদি কৃতজ্ঞ চিত্তে বাংলা সরকার কর্তৃক গৃহীত হইত, তাহা হইলে তাহা সুশোভন হইত। কারণ আচাৰ্য্য বস্থ মহাশয় তাহার অধ্যাপকজীবনের প্রথম দিন হইতে শেষ দিন পর্য্যস্ত— পেন্সান লইবার পরেও--প্রেসিডেন্সী কলেজের সহিত যুক্ত ছিলেন। যাহা হউক, লেউী বস্থ অন্য প্রকারে উদ্ভিদবিজ্ঞানের গবেষণায় উৎসাহ দিতে পারিবেন। কোন সাম্প্রদায়িকতাগ্রস্ত মস্ত্রিমণ্ডল তাহাতে বাধা দিতে পরিবে না । হের হিটলারের বক্রোক্তি তার-যোগে খবর আসিয়াছে, হের হিটলার বিদ্রুপ করিয়া বলিয়াছেন – বিৰিৰ প্ৰসৱ-হের হিটলারের কোক্তি جولاج liberty by restoring the freedom of India, we should have bowed before her.” - “যদি ব্রিটেন ভারতবর্ধকে তাহা স্বাধীন ফিরাইয়া দিয়া নিজ সাম্রাজ্যকে পূর্ণ স্বাধীনতা প্রদানের কার্ধ্য আরও করিত, তাহ হইলে তাহার কাছে মাখা নত করা আমাদের উচিত হইত।” ব্রিটেনের পক্ষ হইতে একাধিক ব্রিটিশ রাজপুরুষ বলিয়াছেন বটে যে, ব্রিটেন স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের জন্য যুদ্ধ করিতেছেন। কিন্তু তাহ লইয়া বিদ্রুপ করা হের হিটলারের মুখে শোভা পায় না। কারণ তিনি কোন দেশের স্বাধীনতা লাভের সাহায্য করা দূরে থাকুক, স্বয়ং অষ্টিয়া, চেকোস্লোভাকিয়া ও পোল্যাণ্ডের স্বাধীনতা হরণ করিয়াছেন । ব্রিটেন পাল্টা জবাবে বলিতে পারেন, “আমরা ভারতবর্ষ ছাড়িয়া চলিয়া আসিলে তোমার তাহা দখল করিবার চেষ্টা করাটা সহজ হয় বটে।" কিন্তু ব্রিটেন যাহাই মনে করুন বা বলুন, ইহ। নিশ্চিত যে, ভারতবর্ষ সম্বন্ধে ব্রিটেন যাহা বলিবেন করিবেন বা বলিতে করিতে বিরত থাকিবেন, হের হিটলার তাহা সম্পূর্ণ রূপে নিজের কাজে লাগাইবার চেষ্টা করিবেন। উভয়পক্ষের কথা কাটাকাটি ছাড়িয়া দিয়া, ঐতিহাসিক যাহা বলিতে পারেন, তাহাতে ব্রিটেনের মনোযোগ দেওয়া কৰ্ত্তব্য। এ বিষয়ে কোন সন্দেহ নাই যে, ভারতবর্ষ ব্রিটেনের সাম্রাজ্যভুক্ত হওয়ায় ও থাকায় ব্রিটেন ঐশ্বৰ্য্যশালী ও শক্তিশালী হইয়াছে। তাহাতে ব্রিটেনের প্রতি ঈর্ষ্যাম্বিত হইয়া অন্ত কোন কোন দেশ সাম্রাজ্য লাভ ও বৃদ্ধিতে প্রবৃত্ত হইয়াছে, এবং তাহা একাধিক মহাযুদ্ধের কারণ হইয়াছে। ব্রিটেন এ পর্য্যস্ত সাম্রাজ্য স্থাপন, সাম্রাজ্য শাসন ও সাম্রাজ্য হইতে লাভবান হইবার দৃষ্টান্তস্থল হওয়ায় যেমন অনভিপ্রেত ভাবে সাম্রাজ্যবাদের প্রবর্তক ও প্রচারক হইয়াছেন, এবং তজ্জন্য অপরের দ্বারা আরব্ধ কোন কোন যুদ্ধেরও পরোক্ষভাবে কারণীভূত হইয়াছেন, তেমনি এখন তিনি যদি ভারতবর্ষের স্বাধীনতা লাভে রাজী হন, তাহ হইলে সাম্রাজ্যবাদ-লোপ গণতন্ত্র-স্থাপন এবং স্থায়ী-শাস্তিপ্রতিষ্ঠা তাহার স্বারা যত অধিক পরিমাণে হইবে, তত “if Britain started granting her own Empire full of Cof CWCox wiłł হইবে না । এই সমুদয় মহৎ