পাতা:প্রবাসী (ঊনচত্বারিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কীৰ্ত্তিক পিতা-পুত্র . רצ না।" তিনি না থাকলে এ-সভা কার্য্যে পরিণত করা অসম্ভব হ’ত । তিনি নবীন এবং পাশ্চাত্য ভাষা পাশ্চাত্য দর্শন অধ্যয়ন ক’রে প্রাচীন কালের রক্ষণশীলতার প্রভাব হ’তে অনেকাংশে মুক্ত। আজ যুগধৰ্ম্মকে স্বীকার ক’রে সংস্কৃত সাহিত্য এবং শাস্ত্রীয় সংস্কৃতির উপর নূতন আলোকপাতের প্রয়োজন তিনি স্বীকার করেন । সেই জন্যই তার এ আন্তরিক প্রচেষ্ট জয়যুক্ত হয়েছে ব'লে আমার বিশ্বাস। এ প্রয়োজনের পূরণের জন্য মহামহোপাধ্যায় শু্যামাচরণ, পণ্ডিত শিবশেখর প্রমুখ মনীষীবৃন্দ এখানে মিলিত হয়েছেন। আজ তাদের কাছে আমাদের নিবেদন উপস্থাপিত ক’রে আমি সবিনয়ে সভা আরম্ভ করবার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি । পণ্ডিতদের সাধুবাদ এবং রায়বাহাদুরগণের হাততালির মধ্যে সুধাকৃষ্ণবাবু উপবেশন করিলেন । পরমুহূৰ্বেই সভা নিস্তব্ধ হইয়া গেল। ন্যায়তীৰ্থ শিবশেপর উঠিয়া দাড়াইয়াছেন । গষ্ঠীর প্রশাস্ত মুপে কঠোর দৃঢ়তা, গায়ে গরদের চাদর, পরণে ও ক্রুপের মত সাদা গল্পদ, অনাবৃত দক্ষিণ বহুতে সোনার তারে তাগায় একটি প্রবাল ও রুদ্রাক্ষ স্পষ্ট দেথা যাইতেছে । বা হাতে আপনার অভিভাষণটি ধবিয়া বলিলে ন-সমাগত পণ্ডিতমণ্ডলীকে স্বাগত সম্ভাষণ জ্ঞাপন করবার জন্যই আমি দণ্ডায়মান হয়েছি । আমি প্রাচীন, কিন্তু বর্তমান এই সভার রীতি-পদ্ধতি সত্য বলতে কি এ ধরণের সভা আমাদের দেশে প্রচলিত ই ছিল না। এ রীতি বৈদেশিক । প্রাচীন কালে সভা আহিবfন করতেন রাজ, ধনী, জমিদার ধারা তারাই এবং তার ও উপলক্ষ্য ছিল সামাজিক ক্রিয়াসুষ্ঠান । এই উভয় ব্যবস্থার মধ্যে পার্থক্য আছে, সে পার্থক স্বহ্ম হ’লেও শূন্যমগুলের মত অনতিক্রম বলেই সামাজিক ক্রিয়াতুষ্ঠানের মধ্যে সৰ্ব্বোচ্চ তাকে সমস্তই নবীন ; আমার মনে হয় । এবং সৰ্ব্বাগ্রে স্থাপিত করতে হয় যজ্ঞেশ্বরকে । অল্প ভব ক’রে অনুষ্ঠানের সর্ব ত্র বিরাজ করে ভক্তিসিক্ত নিষ্ঠা এবং সদাচার ; যে প্রভাব এই ব্যবস্থার মধ্যে প্রভাবিত করা অসম্ভব ব'লেই মনে হয় । এ হ’ল শুষ্কঞ্জাম প্রকাশের ক্ষেত্র । এক দল প্রাচীনপন্থী পণ্ডিত ধ্বনি তুলিলেন—সাধু সাধু ! లి ন্যায়তাৰ্থ বলিলেন—মুতরাং সেই ক্রটি পূরণের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা আমাদের করা উচিত। সেই জন্যই আপনাদের প্রতি স্বাগত সম্ভাষণ উচ্চারণ করবার পূর্বে যজ্ঞেশ্বরকে এই যজ্ঞস্থলে অধিষ্ঠিত হবার প্রার্থনা অমি জানাব । সমগ্ন স ভাস্থল এবার সাধুবাদে মুখর হইয়া উঠিল। স্বধু শশিশেখর বিবর্ণ মুখে স্তব্ধ হইয়া দাড়াইয়া রহিল। কলরব হইতেই তাহার পিতার কণ্ঠস্বর আসিয়া তাহার কানে পৌছিল । তিনি মন্ত্র উচ্চারণ করিতেছেন, কিন্তু শশী তাহার এক বর্ণও বুঝিতে পারিল না ! প্রশমিত তাহার পর মৰ্ম্মস্পশী ভাষায় রচিত শ্লোকে শ্লোকে ন্যায়তীর্থ পণ্ডিতমণ্ডলীকে স্বাগত সম্ভাষণ জানাইয়া বসিলেন । মহামহোপাধ্যায়ের গম্ভীর কণ্ঠস্বরে সভা ভরিয়া छेट्रैिल । পরদিন ছিল বিচার-সভা। সভার প্রারম্ভেই শশিশেখর উঠিয়া হাত জোড় করিয়া বলিল, আমার কয়েকটি প্রশ্ন আছে । প্রসন্ন হাসি হাসিয়া মহামহোপাধ্যায় বলিলেন—জ্যোতিষ্কের ভগ্নাংশ থেকেই জ্যোতিষ্কের স্বল্প, জ্যোতি হ’ল তার জন্মগত সম্পত্তি । কোন গুহাতে সে জ্যোতি ব্যাহত হ’ল, ছোট ন্যায়তীৰ্থ ? বল শুনি । —অদ্বৈত-পরম রহ্ম চৈতন্যস্বরূপে ভাসমান কিনা ? —নিশ্চয়ই । —এবং সমগ্র ব্রহ্মা ও ব্যাপ্ত ক’রেই ভাসমান ? — অবশৃ} | —চৈতন্য যিনি সৰ্ব্বদা বিরাজিত, আহবান ক’রে তার চৈতন্য সম্পাদন প্রচেষ্টা স্থতরাং ভ্ৰমাত্মক । এবার তীক্ষদৃষ্টিতে শশিশেখরের মুখের দিকে চাহিয়া মহামহোপাধ্যায় বলিলেন —স্বীকার করলাম । হায়তীর্থ সোজা হুইয়া বসিয়া বলিলেন—আমি কিন্তু ཉིན་ཨུ༈ স্বীকার করলাম না। স্বপ্নাতুর অবস্থাতেও মানৰ ।