পাতা:প্রবাসী (ঊনচত্বারিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পৌষ , “চণ্ডীদাস চরিতে"র পুর্থী vවීමද් প্ৰতিমা আছে। লোকে সরস্বতীকে বিশালাক্ষী মনে করিতেছে। বিশালাক্ষীর প্রতিমা কত কাল নাই, আমরা গুনি না, কিন্তু দেখিতেছি উদয়-সেন ২৮৬ বংসর পূবে দেখিআছিলেন। ইহার কিছু পূর্বে দ্বিজ চণ্ডীদাস বীরভূম অলঙ্কত করিয়াছিলেন। এই দ্বিজ চণ্ডীদাসের গীত বহু প্রচারিত হইয়াছিল। চ-চরিতে একটি গীত উদ্ধৃত হইয়াছে। ( ১৫৬২ পৃ ) ৷ ছাতনার চণ্ডীদাসও দ্বিজ । লোকে দুই দ্বিজের প্রভেদ করিতে পারে নাই, বাসলীআদেশের চণ্ডীদাস যে অন্য তাহা বুঝিতে পারে নাই । “শ্ৰীকৃষ্ণকীৰ্ত্তনে” চণ্ডীদাস বাসলী বন্দিয়া রাধাকৃষ্ণের লীলা গাহিয়াছেন। ইহা কিরূপে সম্ভবিল, আমি বুঝিতে পারি নাই। মুকুন্দরাম-চক্রবর্তী চণ্ডীমঙ্গলে চণ্ডীর মাহাত্ম্য বর্ণিয়াছেন, ঘনরাম ধৰ্ম্মমঙ্গলে ধৰ্ম্মের মাহাত্মা গাহিয়াছেন, ভারতচন্দ্র অন্নদামঙ্গলে অন্নদার মাহাত্ম্য লিথিয়|ছেন। - কিন্তু চণ্ডীদাস বাসলীর মাহাত্ম্য বর্ণনা না করিয়া সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র রাধাকৃষ্ণের লীলা-গীত গাইলেন ! চ-চরিত পড়িয়া বুঝিতেছি তিনি বাসলীরূপ শক্তি উপাসনা হইতে শিব-শক্তির সন্ধান পাইয়াছিলেন, প্রকৃতি-পুরুষের মিলন দেখিয়াছিলেন এবং রাধাকৃষ্ণের কল্পিত মানবীয় লীলায় জীব-ব্রহ্মের লীলা বর্ণনা করিয়াছেন। স্বশ্ববুদ্ধি বলিতেছেন এই সকল ঐক্য দ্বারাই বুঝিতেছি, পুর্থীখানা জাল । জালিয়াং বুদ্ধিমান মেধাবী ও পরিশ্রমী, কলিকাতায় গিয়া লাইব্রেরীতে বসিয়া চণ্ডীদাস সম্বন্ধে যেখানে যাহা পাইয়াছিল সব পড়িয়াছিল, আরও অনেক বই পড়িয়াছিল, বিবিধ ছন্দে হাত পাকাইয়াছিল। কিন্তু এই যুক্তি চমৎকার । এটি শাখের করাত, ‘যেতে কাটে, আসতে কাটে । যদি দেখ এই গ্রন্থে চণ্ডীদাসের চরিতের সংলগ্ন বৃত্তাস্ত আছে, তাহা হইলে বইখানা নিশ্চয় জাল। কারণ, হালের লোক কিরূপে জানিবে ? আর যদি দেখ, নাই, তাহ হইলে বুঝা যাইতেছে স্পষ্ট জাল। কারণ হালের জালিয়াং সে সব কথা কোথায় পাইবে ? ধরি চ-চরিতে নূতন ভাব* কিছু আছে, সে এক অনি! হউক, আর দুই আনা হউক। কিন্তু সে কারণে কি পুর্থীখানা জাল ? বাল্মিকী রামায়ণ খ্ৰীষ্ট্রের সহস্ৰ বৎসর পূর্বে প্রণীত হইয়াছিল। কিন্তু তাহাতে বৌদ্ধকে তস্কর বলা হইয়াছে । ইহা হইতে রামায়ণ-কাব্য খ্রীষ্টের তিন শত বৎসর পুর্বে আদিতেছে । রামায়ণে রামচন্দ্রের জন্মকুণ্ডলীও আছে। সে খ্রীষ্টের নিকটবর্তী কালের কথা। বাল্মিকী রামায়ণকে জাল বলিতে এ পর্যন্ত শুনি নাই। এইরূপ যুক্তিতে মহাভারত এক প্রকাও জাল, কুক্তিবাসী রামায়ণ জাল । একদা ভগবান তথাগত শিষ্যগণকে সম্বোধন করিয়া নানা প্রকারে পুরুষের শ্রেণীভেদ করিয়াছিলেন। "হে ভিক্ষুগণ সংসারে তিন শ্রেণীর লোক আছে। সেই তিন শ্রেণী কি ? অন্ধ, একচক্ষুঃ ও দ্বিচক্ষু।” তিনি পরমার্থ ধরিয়! এই তিন শ্রেণীর লক্ষণ বলিয়ছিলেন। সে সব লক্ষণ ছাড়িয়া দিয়াও আমরা জানি, অন্ধের কিবা রাত্ৰি কিবা দিন, সে পরের কথায় চলে ও ফিরে । সংসারের অধিকাংশ পুরুষ অন্ধ, কিন্তু মনে করে চক্ষুষ্মান। একচক্ষু: পুরুষ দ্রব্যের একটা পাশ দেখিতে পায়, অন্য পাশ পায় না। তাহার সমগ্রতার জ্ঞান হয় না। নৈকট্য ও দূরত্বের জ্ঞানও হয় না, কষ্টে তাহাকে শিখিতে হয়। পুরুষ দ্বিচক্ষুঃ হইলেও তাহার দুই চক্ষু সমান পটু হয় ন। কেহ এক চোখে ভাল দেখে, অন্য চোখে দেখে না। আমরা কখনও কখনও কৃষ্ট হই, মনে করি সে স্বার্থবশে একচক্ষুঃ হইয়াছে। আমরা ভুলিয়া যাই, তাহার জন্মগত প্রকৃতি এই । কেহ মোহবশে একচক্ষু: হয়। সে বুঝিতে পারে না। আমি একচক্ষুঃ কি না জানি না। কিন্তু জানি যুক্তিহীন বিচার দ্বারা ধম হানি হয়।

  • ‘श्यंद्रि!। છારામાજિક জাল, এই অপবাদদিয়াছেন তাহারা কহই স্পষ্ট করিম নির্দেশ করেন নাই, নূতন ভাবগুলি কি, এবং

তাহার বা তাঙ্গাদের বঙ্গসাহিত্যে আবির্ভাব কথন হইয়াছিল । একপ অবস্থায় বিচার কিরূপে হইতে পারে ?—প্রবাসীর সম্পাদক ।